'রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে বাংলাদেশ বাধ্য নয়'-জামায়াত মদদ দিচ্ছে!
বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে বাধ্য নয় উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, গত দুই দশকে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের দমন-পীড়নের ফলে বাংলাদেশে প্রবেশ করা সাড়ে চার লাখ রোহিঙ্গার চাপ সামলাতে সরকার হিমশিম খাচ্ছে। জামায়াতে ইসলামী রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র মদদ দিচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ৩০০ বিধিতে দেওয়া বিবৃতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, মিয়ানমারে কোনো যুদ্ধাবস্থা চলছে না, সে দেশের সরকারও কাউকে বিতাড়িত করছে না। তাই আন্তর্জাতিক কোনো আইনেই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে সীমান্ত খুলে দিতে বাংলাদেশ বাধ্য নয়। এ ধরনের অনুরোধকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং এনজিওগুলোকে বাংলাদেশে নয়, মিয়ানমারে গিয়ে রোহিঙ্গাদের সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের এক ইঞ্চি মাটিও প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ক্ষতির জন্য কাউকে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। আর কোনো রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়েও বাংলাদেশ হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশের কঠোর নীতিগত অবস্থান তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছে মিয়ানমার সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে, বাংলাদেশে থাকা কিছু রোহিঙ্গা সংগঠনকে একটি রাজনৈতিক দল (জামায়াত) সশস্ত্র হস্তক্ষেপের মাধ্যমে মিয়ানমারে সহিংসতায় ইন্ধন জোগাতে কাজ করছে। এ অভিযোগকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ, আমাদের ভূমি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর কিছু করার কাজে ব্যবহার হতে দেব না। জাতীয় স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে কোনো কাজ করতে দেব না। আমরা এ সমস্যাকে আর বড় হতে দিতে চাই না।' তিনি আরো বলেন, 'মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতা অনেক কমে এসেছে। আমরা আশাবাদী মিয়ানমার সরকার সে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সফল হবে।'
বিবৃতিতে দীপু মনি বলেন, 'কয়েক দিন ধরে মিয়ানমারে কিছু জাতিগত সহিংসতা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে আমরা বিজিবিসহ সীমান্ত রক্ষীবাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় রেখেছি। ১৯৭১ সালে আমাদের যে অভিজ্ঞতা, পাশের দেশ ভারতে এক কোটি লোক শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছিল- এটা আমরা কখনোই ভুলে যাই না। ভুলে যাই না বলেই কোথাও এ ধরনের ঘটনা ঘটছে দেখলেই তাদের পাশে দাঁড়াই। বাংলাদেশ সব সময় তাই করে।' তিনি আরো বলেন, 'একাত্তরে দেশে যুদ্ধাবস্থা ছিল। গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট চলছিল। তখন অস্থায়ী মুজিবনগর সরকার ভারত সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছিল, যাতে শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়। আমরা কৃতজ্ঞ যে ইন্দিরা গান্ধী সরকার ও ভারতীয় জনগণ আমাদের শরণার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছিল।'
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, এনজিও ও মানবাধিকার সংগঠনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমরা আন্তর্জাতিক শরণার্থী কনভেনশনে অনুসাক্ষরকারী রাষ্ট্র নই। তাই কোনো কনভেনশন বা প্রটোকল অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের দায়বদ্ধতা নেই। কোনো আন্তর্জাতিক আইনে বাধ্যবাধকতায় না থাকার পরও ১৯৭১ সালের অভিজ্ঞতায় আমরা শুধু মানবিক কারণে দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গাদের আমাদের দেশে থাকতে দিচ্ছি। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক প্রথাগত কোনো আইনেও কোনো দেশ অন্য একটি দেশের মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য সীমান্ত খুলে দিতে বাধ্য নয়।' তিনি বলেন, 'কোনো কোনো মহল, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও এনজিও বলার চেষ্টা করছে, আন্তর্জাতিক প্রথাগত আইনে আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে বাধ্য। কিন্তু আসল কথা হচ্ছে, কোনো আইনেই আমাদের সেই বাধ্যবাধকতা নেই।' তিনি আরো বলেন, 'আজকের মিয়ানমারের পরিস্থিতি, আর একাত্তরের পরিস্থিতি এক নয়। দুটি জাতিগত গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত চলছে। এতে রাষ্ট্র বা সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। বরং সমস্যা সমাধানে মিয়ানমার সরকার নিরলস কাজ করছে বলেই আমরা মনে করি।'
ডা. দীপু মনি বলেন, 'কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে আমাদের সংবিধানে। এটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। সেখানে আমাদের হস্তক্ষেপ করা সংবিধানসম্মত হবে না।'
আশ্রয়ের জন্য আসা অনেক রোহিঙ্গাকেই সহায়তা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে দীপু মনি বলেন, যারা নৌকায় চড়ে আসছে, বিজিবি তাদের প্রয়োজনীয় খাবার, ওষুধ ও নৌকার জ্বালানি দিচ্চ্েছ। এক নৌকায় তিন মাসের একটি শিশু পাওয়া গেছে, যাতে আর কেউ ছিল না। ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কাছে লালন-পালনের জন্য দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সেন্টমার্টিনে এক রোহিঙ্গা নারী সন্তান প্রসব করলে তাকে আশ্রয়সহ সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমরা কখনো কারোর সঙ্গে অমানবিক আচরণ করিনি, করবও না। তবে একই সঙ্গে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি দেখারও প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের দেশের মাটির এক ইঞ্চি জায়গাও প্রতিবেশীদের ওপর হস্তক্ষেপের কাজে ব্যবহার করতে দেব না। বাংলাদেশে অবস্থানকারী কিছু রোহিঙ্গা সংগঠনকে এ দেশেরই রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী সহায়তা দিচ্ছে বলে মিয়ানমার সরকার সে দেশের বাংলাদেশি দূতাবাসের মাধ্যমে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।' তিনি জানান, ১৯৭৯, ১৯৯১ ও ১৯৯২ সালে বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে ব্যাপকভাবে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঘটে। সে সময় মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ছিল। আড়াই লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর রোহিঙ্গাদের একটি বড় অংশকে সে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। বাংলাদেশে নথিভুক্ত রোহিঙ্গার সংখ্যা এখন ২৮ হাজারেরও বেশি। এর পরও অবৈধভাবে সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গাদের প্রবেশ ঘটেই চলেছে। সঠিক তথ্য না থাকলেও এ সংখ্যা তিন থেকে পাঁচ লাখ অনুমান করা হয়।
ডা. দীপু মনি বলেন, 'আমরা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিই না, নেব না। কিন্তু অবৈধভাবে রোহিঙ্গারা প্রবেশ করে নির্বিচারে বসতি গেড়ে বন কেটে উজাড় করছে। এখানকার শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে। আইনশৃঙ্খলাসহ জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও সমস্যা সৃষ্টি করছে।' তিনি বলেন, 'বিগত সরকারের আমলে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে গিয়ে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। আমাদের শ্রমবাজার নষ্টের পাশাপাশি দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন করছে। রোহিঙ্গারা নৌকাযোগে আশপাশের দেশে গিয়ে নিজেদের বাংলাদেশি নাগরিক বলে পরিচয় দিয়ে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।' এসব সমস্যা আর সরকার বাড়তে দিতে চায় না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশের কঠোর নীতিগত অবস্থান তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছে মিয়ানমার সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে, বাংলাদেশে থাকা কিছু রোহিঙ্গা সংগঠনকে একটি রাজনৈতিক দল (জামায়াত) সশস্ত্র হস্তক্ষেপের মাধ্যমে মিয়ানমারে সহিংসতায় ইন্ধন জোগাতে কাজ করছে। এ অভিযোগকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ, আমাদের ভূমি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর কিছু করার কাজে ব্যবহার হতে দেব না। জাতীয় স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে কোনো কাজ করতে দেব না। আমরা এ সমস্যাকে আর বড় হতে দিতে চাই না।' তিনি আরো বলেন, 'মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতা অনেক কমে এসেছে। আমরা আশাবাদী মিয়ানমার সরকার সে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সফল হবে।'
বিবৃতিতে দীপু মনি বলেন, 'কয়েক দিন ধরে মিয়ানমারে কিছু জাতিগত সহিংসতা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে আমরা বিজিবিসহ সীমান্ত রক্ষীবাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় রেখেছি। ১৯৭১ সালে আমাদের যে অভিজ্ঞতা, পাশের দেশ ভারতে এক কোটি লোক শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছিল- এটা আমরা কখনোই ভুলে যাই না। ভুলে যাই না বলেই কোথাও এ ধরনের ঘটনা ঘটছে দেখলেই তাদের পাশে দাঁড়াই। বাংলাদেশ সব সময় তাই করে।' তিনি আরো বলেন, 'একাত্তরে দেশে যুদ্ধাবস্থা ছিল। গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট চলছিল। তখন অস্থায়ী মুজিবনগর সরকার ভারত সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছিল, যাতে শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়। আমরা কৃতজ্ঞ যে ইন্দিরা গান্ধী সরকার ও ভারতীয় জনগণ আমাদের শরণার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছিল।'
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, এনজিও ও মানবাধিকার সংগঠনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমরা আন্তর্জাতিক শরণার্থী কনভেনশনে অনুসাক্ষরকারী রাষ্ট্র নই। তাই কোনো কনভেনশন বা প্রটোকল অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের দায়বদ্ধতা নেই। কোনো আন্তর্জাতিক আইনে বাধ্যবাধকতায় না থাকার পরও ১৯৭১ সালের অভিজ্ঞতায় আমরা শুধু মানবিক কারণে দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গাদের আমাদের দেশে থাকতে দিচ্ছি। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক প্রথাগত কোনো আইনেও কোনো দেশ অন্য একটি দেশের মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য সীমান্ত খুলে দিতে বাধ্য নয়।' তিনি বলেন, 'কোনো কোনো মহল, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও এনজিও বলার চেষ্টা করছে, আন্তর্জাতিক প্রথাগত আইনে আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে বাধ্য। কিন্তু আসল কথা হচ্ছে, কোনো আইনেই আমাদের সেই বাধ্যবাধকতা নেই।' তিনি আরো বলেন, 'আজকের মিয়ানমারের পরিস্থিতি, আর একাত্তরের পরিস্থিতি এক নয়। দুটি জাতিগত গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত চলছে। এতে রাষ্ট্র বা সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। বরং সমস্যা সমাধানে মিয়ানমার সরকার নিরলস কাজ করছে বলেই আমরা মনে করি।'
ডা. দীপু মনি বলেন, 'কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে আমাদের সংবিধানে। এটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। সেখানে আমাদের হস্তক্ষেপ করা সংবিধানসম্মত হবে না।'
আশ্রয়ের জন্য আসা অনেক রোহিঙ্গাকেই সহায়তা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে দীপু মনি বলেন, যারা নৌকায় চড়ে আসছে, বিজিবি তাদের প্রয়োজনীয় খাবার, ওষুধ ও নৌকার জ্বালানি দিচ্চ্েছ। এক নৌকায় তিন মাসের একটি শিশু পাওয়া গেছে, যাতে আর কেউ ছিল না। ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কাছে লালন-পালনের জন্য দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সেন্টমার্টিনে এক রোহিঙ্গা নারী সন্তান প্রসব করলে তাকে আশ্রয়সহ সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমরা কখনো কারোর সঙ্গে অমানবিক আচরণ করিনি, করবও না। তবে একই সঙ্গে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি দেখারও প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের দেশের মাটির এক ইঞ্চি জায়গাও প্রতিবেশীদের ওপর হস্তক্ষেপের কাজে ব্যবহার করতে দেব না। বাংলাদেশে অবস্থানকারী কিছু রোহিঙ্গা সংগঠনকে এ দেশেরই রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী সহায়তা দিচ্ছে বলে মিয়ানমার সরকার সে দেশের বাংলাদেশি দূতাবাসের মাধ্যমে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।' তিনি জানান, ১৯৭৯, ১৯৯১ ও ১৯৯২ সালে বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে ব্যাপকভাবে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঘটে। সে সময় মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ছিল। আড়াই লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর রোহিঙ্গাদের একটি বড় অংশকে সে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। বাংলাদেশে নথিভুক্ত রোহিঙ্গার সংখ্যা এখন ২৮ হাজারেরও বেশি। এর পরও অবৈধভাবে সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গাদের প্রবেশ ঘটেই চলেছে। সঠিক তথ্য না থাকলেও এ সংখ্যা তিন থেকে পাঁচ লাখ অনুমান করা হয়।
ডা. দীপু মনি বলেন, 'আমরা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিই না, নেব না। কিন্তু অবৈধভাবে রোহিঙ্গারা প্রবেশ করে নির্বিচারে বসতি গেড়ে বন কেটে উজাড় করছে। এখানকার শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে। আইনশৃঙ্খলাসহ জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও সমস্যা সৃষ্টি করছে।' তিনি বলেন, 'বিগত সরকারের আমলে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে গিয়ে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। আমাদের শ্রমবাজার নষ্টের পাশাপাশি দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন করছে। রোহিঙ্গারা নৌকাযোগে আশপাশের দেশে গিয়ে নিজেদের বাংলাদেশি নাগরিক বলে পরিচয় দিয়ে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।' এসব সমস্যা আর সরকার বাড়তে দিতে চায় না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
No comments