কিছু শর্তের জন্য হজযাত্রী কমে যাওয়ার শঙ্কা-টাকা জমার শেষ দিন আজ
হজের টাকা জমা দেওয়ার সময় আজ বুধবার শেষ হচ্ছে। গত মার্চ মাসে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এ বছরের হজ পালনেচ্ছু যাত্রীদের এককালীন তিন লাখ তিন হাজার ৪৪০ টাকা সরকার নির্ধারিত ব্যাংকে জমা দিতে ২০ জুন পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। সরকারের কিছু কিছু শর্তারোপের কারণে এবার হজযাত্রী কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য তিন লাখ টাকা এককালীন জমা দেওয়া।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (হজ) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হজের পুরো টাকা (মুয়ালি্লম ফিসহ) জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময় আজ বুধবার শেষ হচ্ছে। এ সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। তবে আজ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এতে আরেক দফা সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হতে পারে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, আরো ১০ দিন সময় বাড়ানো হতে পারে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে হজ ব্যবস্থাপনা ঠিক রেখে এরপর আর সময় বাড়ানো হবে না।
এদিকে গতকাল পর্যন্ত ৬০ হাজারের বেশি ব্যক্তি হজের টাকা জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ বছর এক লাখ ২০ হাজার হাজি হজে যেতে পারবেন। হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) সময় বাড়ানোর জন্য গতকাল ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শাজাহান মিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছে। তবে সময় বাড়ানোর বিষয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী হাব নেতাদের আশ্বস্ত করলেও আর কত দিন সময় বাড়ানো হবে তা নিশ্চিত করে কিছু বলেননি।
বৈঠক শেষে হজের টাকা জমা দেওয়ার সময় বাড়ানোর একটি দাবি-সংবলিত আবেদন হাব মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। আবেদনে তারা উল্লেখ করে, গত বছরের ১২ জুলাই ছিল হজের টাকা জমা দেওয়ার শেষ সময়। এবার আরো বাড়ানো উচিত ছিল কিন্তু সরকার তা না করে আরো ২০ দিন কমিয়ে দিয়েছে। তাই হজযাত্রীদের সুবিধার্থে ৩১ জুলাই পর্যন্ত টাকা জমা দেওয়ার সময় বাড়ানোর দাবি জানায় তারা। আবেদনে তারা বলে, এ কারণে এবার হজযাত্রী কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
হজের টাকা জমা দেওয়ার সময় বাড়ানোর বিষয়ে বেসরকারি সংস্থা তাহফিজে হারামাইন পরিষদ বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা সাদেক আহমদ সিদ্দিকী বলেন, আজকের মধ্যে হজের টাকা জমা দেওয়ার জন্য খুবই কম সময়। এ সময়ের মধ্যে গ্রামগঞ্জের অনেকেই টাকা জমা দিতে পারবে না। এ জন্য অবশ্যই সরকারকে সময় বাড়ানো দরকার।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও হজ অফিসার বজলুল হক বিশ্বাস বলেন, 'এবার হজের টাকা জমা দেওয়ার সময় বাড়ানোর দাবি অযৌক্তিক। কারণ গত মে মাসের মধ্যেই সৌদি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের হজযাত্রীদের তালিকা চেয়েছিল। ভারত ও পাকিস্তান মে মাসের মধ্যেই সৌদি আরবে তাদের হজযাত্রীদের তালিকা পাঠিয়েছে। আমরা বরং পিছিয়ে আছি।' তিনি বলেন, টাকা জমা নেওয়ার পরই বাংলাদেশ ও সৌদি সরকারের মধ্যে হজ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে কার্যক্রম শুরু হবে। ভিসা, ফ্লাইট শিডিউল, সৌদি আরবে বাড়িভাড়াসহ বিভিন্ন কার্যক্রম হজের টাকা জমা নেওয়ার পরই শুরু হবে। এ ছাড়া গত বছর হজ হয়েছিল নভেম্বর মাসে, এবার তা এসে দাঁড়িয়েছে ২৬ অক্টোবরে। তাই সময় বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।
এদিকে সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে এ বছর হজযাত্রীর সংখ্যা কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলোর সংগঠন হাবের সেক্রেটারি জেনারেল এম এ রশিদ শাহ সম্রাট। তিনি বলেন, আগে হজযাত্রীরা শুধু মোয়ালেম ফি বাবদ এক হাজার ৮৯ রিয়াল হিসেবে ২৩ হাজার টাকার মতো জমা দিয়ে তালিকাভুক্ত হতেন। পরে বিভিন্ন কিস্তিতে অবশিষ্ট টাকা জমা দিতেন। কিন্তু এবারই সরকার হজের সব টাকা একসঙ্গে জমা দেওয়ার বিধান করেছে। তা ছাড়া জুন মাস ব্যাংক ক্লোজিংয়ের মাস। অনেক ব্যাংক এ সময় গ্রাহকদের টাকাও দিতে চায় না। সব মিলিয়ে সরকার সময় না বাড়ালে অনেকে হজে যেতে পারবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এদিকে গতকাল পর্যন্ত ৬০ হাজারের বেশি ব্যক্তি হজের টাকা জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ বছর এক লাখ ২০ হাজার হাজি হজে যেতে পারবেন। হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) সময় বাড়ানোর জন্য গতকাল ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শাজাহান মিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছে। তবে সময় বাড়ানোর বিষয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী হাব নেতাদের আশ্বস্ত করলেও আর কত দিন সময় বাড়ানো হবে তা নিশ্চিত করে কিছু বলেননি।
বৈঠক শেষে হজের টাকা জমা দেওয়ার সময় বাড়ানোর একটি দাবি-সংবলিত আবেদন হাব মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। আবেদনে তারা উল্লেখ করে, গত বছরের ১২ জুলাই ছিল হজের টাকা জমা দেওয়ার শেষ সময়। এবার আরো বাড়ানো উচিত ছিল কিন্তু সরকার তা না করে আরো ২০ দিন কমিয়ে দিয়েছে। তাই হজযাত্রীদের সুবিধার্থে ৩১ জুলাই পর্যন্ত টাকা জমা দেওয়ার সময় বাড়ানোর দাবি জানায় তারা। আবেদনে তারা বলে, এ কারণে এবার হজযাত্রী কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
হজের টাকা জমা দেওয়ার সময় বাড়ানোর বিষয়ে বেসরকারি সংস্থা তাহফিজে হারামাইন পরিষদ বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা সাদেক আহমদ সিদ্দিকী বলেন, আজকের মধ্যে হজের টাকা জমা দেওয়ার জন্য খুবই কম সময়। এ সময়ের মধ্যে গ্রামগঞ্জের অনেকেই টাকা জমা দিতে পারবে না। এ জন্য অবশ্যই সরকারকে সময় বাড়ানো দরকার।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও হজ অফিসার বজলুল হক বিশ্বাস বলেন, 'এবার হজের টাকা জমা দেওয়ার সময় বাড়ানোর দাবি অযৌক্তিক। কারণ গত মে মাসের মধ্যেই সৌদি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের হজযাত্রীদের তালিকা চেয়েছিল। ভারত ও পাকিস্তান মে মাসের মধ্যেই সৌদি আরবে তাদের হজযাত্রীদের তালিকা পাঠিয়েছে। আমরা বরং পিছিয়ে আছি।' তিনি বলেন, টাকা জমা নেওয়ার পরই বাংলাদেশ ও সৌদি সরকারের মধ্যে হজ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে কার্যক্রম শুরু হবে। ভিসা, ফ্লাইট শিডিউল, সৌদি আরবে বাড়িভাড়াসহ বিভিন্ন কার্যক্রম হজের টাকা জমা নেওয়ার পরই শুরু হবে। এ ছাড়া গত বছর হজ হয়েছিল নভেম্বর মাসে, এবার তা এসে দাঁড়িয়েছে ২৬ অক্টোবরে। তাই সময় বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।
এদিকে সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে এ বছর হজযাত্রীর সংখ্যা কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলোর সংগঠন হাবের সেক্রেটারি জেনারেল এম এ রশিদ শাহ সম্রাট। তিনি বলেন, আগে হজযাত্রীরা শুধু মোয়ালেম ফি বাবদ এক হাজার ৮৯ রিয়াল হিসেবে ২৩ হাজার টাকার মতো জমা দিয়ে তালিকাভুক্ত হতেন। পরে বিভিন্ন কিস্তিতে অবশিষ্ট টাকা জমা দিতেন। কিন্তু এবারই সরকার হজের সব টাকা একসঙ্গে জমা দেওয়ার বিধান করেছে। তা ছাড়া জুন মাস ব্যাংক ক্লোজিংয়ের মাস। অনেক ব্যাংক এ সময় গ্রাহকদের টাকাও দিতে চায় না। সব মিলিয়ে সরকার সময় না বাড়ালে অনেকে হজে যেতে পারবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
No comments