ভারতের সঙ্গে ঋণচুক্তি: ১০০ কোটি ডলার ঋণের ছয় প্রকল্প দুই পক্ষের সম্মতিতে বাদ-শেষ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে ভারত by রাহীদ এজাজ
১০০ কোটি ডলার ঋণচুক্তির শর্ত শেষ পর্যন্ত শিথিল করেছে ভারত। এর ফলে এখন ভারতের ঋণ দিয়ে ৮৫ শতাংশ পণ্য ভারত থেকেই কিনতে হবে না। এর পরিবর্তে ৩৫ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত পণ্য ভারত থেকে কেনা যাবে। আর খননযন্ত্রের ক্ষেত্রে মাত্র ৩৫ শতাংশ ভারত সরবরাহ করবে।
অন্যদিকে, কঠোর শর্ত ও প্রক্রিয়াগত কারণে চুক্তির আওতা থেকে ছয়টি প্রকল্প শেষ পর্যন্ত দুই দেশের সম্মতিতে বাদ দেওয়া হয়েছে। বাদ যাওয়া প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে: জুরাইনে উড়ালসেতু নির্মাণ, আশুগঞ্জ নৌবন্দর আধুনিকায়ন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-সিঙ্গাইর সড়ক প্রকল্প, আখাউড়া-আগরতলা সড়কপথে একটি সেতু নির্মাণ, লালমনিরহাট-বুড়িমারী সড়ক প্রকল্প, রেলওয়ের জন্য ২৬৪টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী কোচ ও দুটি ব্রডগেজ পরিদর্শন কোচ কেনা এবং ১২৫টি ব্রডগেজ যাত্রীবাহী কোচ কেনা।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, চুক্তি বাস্তবায়ন-প্রক্রিয়া দ্রুত করতে সমপ্রতি এক আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। গত ১২ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ঋণচুক্তি নিয়ে চলতি মাসে দিল্লিতে এক পর্যালোচনা বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছে ভারতের এক্সিম ব্যাংক। এ মাসের শেষ সপ্তাহে এ বৈঠক হওয়ার কথা। তবে আগামী ৫ মে ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জির বাংলাদেশ সফরের আগে এ পর্যালোচনা বৈঠক হবে কি না, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
ইআরডির যুগ্ম সচিব আসিফ-উজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ঋণচুক্তির আওতায় থাকা ছয় প্রকল্প বাদ দেওয়ায় ঋণের বেশ কিছু টাকা বাড়তি পাওয়া গেছে, যা থেকে নতুন প্রকল্প নেওয়া যাবে। ইতিমধ্যেই অবশ্য ঢাকা-টঙ্গী দুই সারি রেললাইন সমপ্রসারণ প্রকল্পটি চুক্তির আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শর্ত শিথিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রকল্পে ছাড় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সব প্রকল্পে সুনির্দিষ্ট হারে ছাড়ের পরিবর্তে প্রকল্প অনুযায়ী আলোচনার পর কতটা ছাড় দেওয়া হবে, সেটি ঠিক হবে।
২০১০ সালের ৭ আগস্ট দুই প্রতিবেশী দেশের অর্থমন্ত্রীদের উপস্থিতিতে ঢাকায় ১০০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি সই হয়। বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে এ অর্থের জোগান দেবে এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (এক্সিম ব্যাংক)।
প্রক্রিয়া দ্রুত করার তাগিদ: প্রায় ২০ মাস পেরিয়ে গেলেও ঋণচুক্তি বাস্তবায়ন বিলম্বিত হচ্ছে। গত ১২ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ঋণচুক্তি পর্যালোচনাসংক্রান্ত এক বৈঠকে এ অভিমত দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই বৈঠকে উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে বলেন, প্রকল্প চূড়ান্ত বা এ-সংক্রান্ত দরপত্র-প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
দায় বাংলাদেশেরও: ঋণচুক্তির আওতায় থাকা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর ধীরগতির কারণে প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে। কোনো কোনো প্রকল্পে ভারতীয় দরদাতা উচ্চমূল্য দিলে তা বাতিল কিংবা নতুন করে দরপত্র আহ্বানসহ সামগ্রিক প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হচ্ছে। গত ১২ এপ্রিলের বৈঠকে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে উপস্থিত অন্য এক কর্মকর্তা বলেন, একটি প্রকল্প মূল্যায়নে যদি সাত মাস সময় লাগে, তবে তো পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে দেরি হওয়াটাই স্বাভাবিক। রেলের একটি প্রকল্পের ক্ষেত্রে এমনটা ঘটেছে। আবার রেলওয়ের প্রস্তাবিত অন্য একটি প্রকল্পের খসড়া অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর আড়াই মাস পেরিয়ে গেলেও তা চূড়ান্ত অনুমোদন হয়নি। কাজেই এ বিষয়গুলো দ্রুততার সঙ্গে না করলে ঋণচুক্তি বাস্তবায়ন দ্রুত করা দুরূহ বটে।
প্রকল্পভিত্তিক ছাড়: ভারত থেকে ৮৫ শতাংশ পণ্য নেওয়ার ইতিপূর্বের শর্তে ছাড় দিয়েছে এক্সিম ব্যাংক। তবে সব প্রকল্পে সুনির্দিষ্ট হারে ছাড় না দিয়ে আলোচনার ভিত্তিতে প্রকল্প অনুযায়ী ছাড় দেওয়া হবে।
জানতে চাইলে ইআরডির এক কর্মকর্তা বলেন, ইতিমধ্যেই ভারত শর্ত শিথিলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। তবে সব প্রকল্পে সুনির্দিষ্ট হারে ছাড় দেওয়া হলে তাতে আইনি জটিলতা তৈরি হয়। এ জন্য ভারতের আইন সংশোধনের বিষয়টি জড়িত। আর তাতে পুরো প্রক্রিয়া আরও বিলম্বিত হবে। তাই তারা প্রকল্প অনুযায়ী ছাড় দেবে। যেমন—পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে ৩৫ থেকে ৫০ শতাংশ বাইরে থেকে সরবরাহের কথা জানিয়েছে ভারত।
ইআরডির সূত্র জানায়, পানিসম্পদ ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের চারটি খননযন্ত্র ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি সরবরাহের ক্ষেত্রে ভারত এখন ৮৫ শতাংশের পরিবর্তে ৩৫ শতাংশ যন্ত্র নিজেরা সরবরাহ করবে। অবশিষ্ট যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করা হবে অন্য দেশ থেকে। এ ব্যাপারে ভারতের ব্যাখ্যা হচ্ছে, খননযন্ত্রের ক্ষেত্রে তাদের নিজেদের যন্ত্র ব্যবহারের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়।
বিএসটিআইয়ের যন্ত্রপাতির সুরাহা হয়নি: বাংলাদেশ মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (বিএসটিআই) আধুনিকায়নে পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে যন্ত্রপাতি সরবরাহের বিষয়টি সুরাহা হয়নি। বিএসটিআইয়ের আধুনিকায়নের জন্য ভারতের পাশাপাশি ইউরোপ ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বিবেচনায় রেখে যন্ত্রপাতি সংগ্রহের পরিকল্পনা গ্রহণ করে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশ যেসব যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করতে চায়, তার বেশির ভাগ উৎপাদন করে না ভারত। ফলে শুধু ভারত থেকে যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা হলে বাংলাদেশের পরিকল্পনা অনুযায়ী বিএসটিআইয়ের আধুনিকায়ন-প্রক্রিয়া শেষ হবে না। অন্যদিকে, ভারতে এ প্রকল্পে তাদের যন্ত্রপাতি সরবরাহে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে ভারতের কাছ থেকে যেসব যন্ত্রপাতি নেওয়া যায়, সে ব্যাপারে আবার তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ। ফলে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন কিছুটা বিলম্বিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, চুক্তি বাস্তবায়ন-প্রক্রিয়া দ্রুত করতে সমপ্রতি এক আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। গত ১২ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ঋণচুক্তি নিয়ে চলতি মাসে দিল্লিতে এক পর্যালোচনা বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছে ভারতের এক্সিম ব্যাংক। এ মাসের শেষ সপ্তাহে এ বৈঠক হওয়ার কথা। তবে আগামী ৫ মে ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জির বাংলাদেশ সফরের আগে এ পর্যালোচনা বৈঠক হবে কি না, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
ইআরডির যুগ্ম সচিব আসিফ-উজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ঋণচুক্তির আওতায় থাকা ছয় প্রকল্প বাদ দেওয়ায় ঋণের বেশ কিছু টাকা বাড়তি পাওয়া গেছে, যা থেকে নতুন প্রকল্প নেওয়া যাবে। ইতিমধ্যেই অবশ্য ঢাকা-টঙ্গী দুই সারি রেললাইন সমপ্রসারণ প্রকল্পটি চুক্তির আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শর্ত শিথিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রকল্পে ছাড় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সব প্রকল্পে সুনির্দিষ্ট হারে ছাড়ের পরিবর্তে প্রকল্প অনুযায়ী আলোচনার পর কতটা ছাড় দেওয়া হবে, সেটি ঠিক হবে।
২০১০ সালের ৭ আগস্ট দুই প্রতিবেশী দেশের অর্থমন্ত্রীদের উপস্থিতিতে ঢাকায় ১০০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি সই হয়। বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে এ অর্থের জোগান দেবে এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (এক্সিম ব্যাংক)।
প্রক্রিয়া দ্রুত করার তাগিদ: প্রায় ২০ মাস পেরিয়ে গেলেও ঋণচুক্তি বাস্তবায়ন বিলম্বিত হচ্ছে। গত ১২ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ঋণচুক্তি পর্যালোচনাসংক্রান্ত এক বৈঠকে এ অভিমত দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই বৈঠকে উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে বলেন, প্রকল্প চূড়ান্ত বা এ-সংক্রান্ত দরপত্র-প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
দায় বাংলাদেশেরও: ঋণচুক্তির আওতায় থাকা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর ধীরগতির কারণে প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে। কোনো কোনো প্রকল্পে ভারতীয় দরদাতা উচ্চমূল্য দিলে তা বাতিল কিংবা নতুন করে দরপত্র আহ্বানসহ সামগ্রিক প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হচ্ছে। গত ১২ এপ্রিলের বৈঠকে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে উপস্থিত অন্য এক কর্মকর্তা বলেন, একটি প্রকল্প মূল্যায়নে যদি সাত মাস সময় লাগে, তবে তো পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে দেরি হওয়াটাই স্বাভাবিক। রেলের একটি প্রকল্পের ক্ষেত্রে এমনটা ঘটেছে। আবার রেলওয়ের প্রস্তাবিত অন্য একটি প্রকল্পের খসড়া অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর আড়াই মাস পেরিয়ে গেলেও তা চূড়ান্ত অনুমোদন হয়নি। কাজেই এ বিষয়গুলো দ্রুততার সঙ্গে না করলে ঋণচুক্তি বাস্তবায়ন দ্রুত করা দুরূহ বটে।
প্রকল্পভিত্তিক ছাড়: ভারত থেকে ৮৫ শতাংশ পণ্য নেওয়ার ইতিপূর্বের শর্তে ছাড় দিয়েছে এক্সিম ব্যাংক। তবে সব প্রকল্পে সুনির্দিষ্ট হারে ছাড় না দিয়ে আলোচনার ভিত্তিতে প্রকল্প অনুযায়ী ছাড় দেওয়া হবে।
জানতে চাইলে ইআরডির এক কর্মকর্তা বলেন, ইতিমধ্যেই ভারত শর্ত শিথিলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। তবে সব প্রকল্পে সুনির্দিষ্ট হারে ছাড় দেওয়া হলে তাতে আইনি জটিলতা তৈরি হয়। এ জন্য ভারতের আইন সংশোধনের বিষয়টি জড়িত। আর তাতে পুরো প্রক্রিয়া আরও বিলম্বিত হবে। তাই তারা প্রকল্প অনুযায়ী ছাড় দেবে। যেমন—পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে ৩৫ থেকে ৫০ শতাংশ বাইরে থেকে সরবরাহের কথা জানিয়েছে ভারত।
ইআরডির সূত্র জানায়, পানিসম্পদ ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের চারটি খননযন্ত্র ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি সরবরাহের ক্ষেত্রে ভারত এখন ৮৫ শতাংশের পরিবর্তে ৩৫ শতাংশ যন্ত্র নিজেরা সরবরাহ করবে। অবশিষ্ট যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করা হবে অন্য দেশ থেকে। এ ব্যাপারে ভারতের ব্যাখ্যা হচ্ছে, খননযন্ত্রের ক্ষেত্রে তাদের নিজেদের যন্ত্র ব্যবহারের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়।
বিএসটিআইয়ের যন্ত্রপাতির সুরাহা হয়নি: বাংলাদেশ মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (বিএসটিআই) আধুনিকায়নে পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে যন্ত্রপাতি সরবরাহের বিষয়টি সুরাহা হয়নি। বিএসটিআইয়ের আধুনিকায়নের জন্য ভারতের পাশাপাশি ইউরোপ ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বিবেচনায় রেখে যন্ত্রপাতি সংগ্রহের পরিকল্পনা গ্রহণ করে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশ যেসব যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করতে চায়, তার বেশির ভাগ উৎপাদন করে না ভারত। ফলে শুধু ভারত থেকে যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা হলে বাংলাদেশের পরিকল্পনা অনুযায়ী বিএসটিআইয়ের আধুনিকায়ন-প্রক্রিয়া শেষ হবে না। অন্যদিকে, ভারতে এ প্রকল্পে তাদের যন্ত্রপাতি সরবরাহে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে ভারতের কাছ থেকে যেসব যন্ত্রপাতি নেওয়া যায়, সে ব্যাপারে আবার তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ। ফলে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন কিছুটা বিলম্বিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
No comments