অভিযানে সোর্সের তথ্যই যথেষ্ট নয়-প্রশ্নবিদ্ধ র্যাবের কার্যক্রম
ইয়াবা উদ্ধার করতে গিয়ে গত শুক্রবার চট্টগ্রামে যে ঘটনাটি ঘটল, তা র্যাবের ভাবমূর্তির যথেষ্ট ক্ষতি করল। ইয়াবা উদ্ধারে যে বাসায় অভিযান চালাতে গিয়েছিল র্যাব, সেখানে ইয়াবা রাখতে গিয়ে ধরা পড়লেন র্যাবেরই এক সোর্স। যাঁদের ফাঁসাতে গিয়ে এসব সাজানো হয়েছিল, শেষ পর্যন্ত তাঁরা রক্ষা পেয়েছেন সেটাই স্বস্তির কথা।
আর র্যাবও বুঝতে পেরেছে যে তারা সোর্সের সাজানো নাটকে পা দিয়েছিল। তথ্য সংগ্রহ ও অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে র্যাব যে পদ্ধতি অবলম্বন করে, এ ঘটনায় তা আবারও প্রশ্নবিদ্ধ হলো।
শুধু সোর্সের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে অভিযান চালাতে গিয়ে অতীতেও বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে র্যাব। এ ক্ষেত্রে আমরা সাতক্ষীরার ঘটনা স্মরণ করতে পারি। ২০১০ সালের মে মাসে সদর উপজেলার নাথুয়াডাঙ্গা গ্রামে ‘অস্ত্র উদ্ধারে’ গিয়ে ছয় ঘণ্টা অবরুদ্ধ ছিল র্যাবের একটি দল। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বাড়ির গ্রিল ভেঙে অস্ত্রের প্যাকেট রেখে তখন ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছিল স্থানীয় আওয়ামী লীগের একজন নেতা ও ব্যবসায়ীকে। অভিযানে নেতৃত্বদানকারী র্যাব কর্মকর্তা পরে স্বীকার করেছিলেন যে তাঁদের ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছিল।
চট্টগ্রামে শুক্রবার যে ঘটনা ঘটেছে, সেখানে সোর্সের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ইয়াবা উদ্ধারের জন্য র্যাব সদস্যরা হাজির হয়েছিলেন আবেদিন কলোনির সালেহ আহমেদের বাড়িতে। সোর্স তথ্য দিয়ে জানিয়েছিল, ওই বাড়িতে দুই হাজার ইয়াবা বড়ি রয়েছে। এ বাড়ির মালিকানা নিয়ে অন্য একটি পক্ষের সঙ্গে বিরোধ চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। সেই বাসায় ইয়াবা রেখে র্যাব দিয়ে অভিযান পরিচালনা করার চক্রান্ত করেন র্যাবের দুই সোর্স। ইয়াবা রাখতে গিয়ে ধরা পড়ে যাওয়ায় তাঁদের সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি। পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন র্যাবের এক সোর্স এবাদুর রহমান, পালিয়ে গেছেন আরেক সোর্স আইয়ুব খান। চট্টগ্রাম র্যাবের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নিজেই স্বীকার করেছেন, র্যাব সোর্সের প্রতারণার শিকার হয়েছে।
সাতক্ষীরা ও চট্টগ্রামের এ ঘটনার পর এটা আবার নতুন করে স্পষ্ট হয়েছে যে শুধু সোর্সের দেওয়া তথ্যের ওপর নির্ভর করে অভিযান পরিচালনা ঠিক নয়। সোর্সের দেওয়া তথ্য বিবেচনায় নিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েই এগোতে হবে। আমরা মনে করি, সামগ্রিকভাবে র্যাবের তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করা জরুরি। সোর্স হিসেবে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের অনেকের বিরুদ্ধেই নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এ ধরনের লোকের দেওয়া তথ্যের ওপর পুরোপুরি নির্ভর করার প্রবণতা দূর করতে হবে। এ ব্যাপারে সতর্ক না হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা থেকেই যাবে।
চট্টগ্রামের ঘটনায় র্যাবের একজন সোর্স আটক হয়েছেন। এখন র্যাবের খুঁজে বের করা জরুরি যে কারা সালেহ আহমেদের বাড়িতে ইয়াবা রেখে তাঁর পরিবারকে ফাঁসাতে চেয়েছিলেন। ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থে এ চক্রকে খুঁজে বের করে আইনের মুখোমুখি করার দায়িত্ব র্যাবকেই নিতে হবে।
শুধু সোর্সের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে অভিযান চালাতে গিয়ে অতীতেও বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে র্যাব। এ ক্ষেত্রে আমরা সাতক্ষীরার ঘটনা স্মরণ করতে পারি। ২০১০ সালের মে মাসে সদর উপজেলার নাথুয়াডাঙ্গা গ্রামে ‘অস্ত্র উদ্ধারে’ গিয়ে ছয় ঘণ্টা অবরুদ্ধ ছিল র্যাবের একটি দল। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বাড়ির গ্রিল ভেঙে অস্ত্রের প্যাকেট রেখে তখন ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছিল স্থানীয় আওয়ামী লীগের একজন নেতা ও ব্যবসায়ীকে। অভিযানে নেতৃত্বদানকারী র্যাব কর্মকর্তা পরে স্বীকার করেছিলেন যে তাঁদের ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছিল।
চট্টগ্রামে শুক্রবার যে ঘটনা ঘটেছে, সেখানে সোর্সের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ইয়াবা উদ্ধারের জন্য র্যাব সদস্যরা হাজির হয়েছিলেন আবেদিন কলোনির সালেহ আহমেদের বাড়িতে। সোর্স তথ্য দিয়ে জানিয়েছিল, ওই বাড়িতে দুই হাজার ইয়াবা বড়ি রয়েছে। এ বাড়ির মালিকানা নিয়ে অন্য একটি পক্ষের সঙ্গে বিরোধ চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। সেই বাসায় ইয়াবা রেখে র্যাব দিয়ে অভিযান পরিচালনা করার চক্রান্ত করেন র্যাবের দুই সোর্স। ইয়াবা রাখতে গিয়ে ধরা পড়ে যাওয়ায় তাঁদের সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি। পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন র্যাবের এক সোর্স এবাদুর রহমান, পালিয়ে গেছেন আরেক সোর্স আইয়ুব খান। চট্টগ্রাম র্যাবের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নিজেই স্বীকার করেছেন, র্যাব সোর্সের প্রতারণার শিকার হয়েছে।
সাতক্ষীরা ও চট্টগ্রামের এ ঘটনার পর এটা আবার নতুন করে স্পষ্ট হয়েছে যে শুধু সোর্সের দেওয়া তথ্যের ওপর নির্ভর করে অভিযান পরিচালনা ঠিক নয়। সোর্সের দেওয়া তথ্য বিবেচনায় নিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েই এগোতে হবে। আমরা মনে করি, সামগ্রিকভাবে র্যাবের তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করা জরুরি। সোর্স হিসেবে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের অনেকের বিরুদ্ধেই নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এ ধরনের লোকের দেওয়া তথ্যের ওপর পুরোপুরি নির্ভর করার প্রবণতা দূর করতে হবে। এ ব্যাপারে সতর্ক না হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা থেকেই যাবে।
চট্টগ্রামের ঘটনায় র্যাবের একজন সোর্স আটক হয়েছেন। এখন র্যাবের খুঁজে বের করা জরুরি যে কারা সালেহ আহমেদের বাড়িতে ইয়াবা রেখে তাঁর পরিবারকে ফাঁসাতে চেয়েছিলেন। ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থে এ চক্রকে খুঁজে বের করে আইনের মুখোমুখি করার দায়িত্ব র্যাবকেই নিতে হবে।
No comments