কর্তৃপক্ষকে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে-ফেসবুক উপেক্ষিত
নাহ্! এই দেশের কোনো কিছুই ঠিক নেই। দেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে অনিয়মের ঘনঘটা। বাইরে এক কাহিনি থাকলে ভেতরে সম্পূর্ণ অন্য কাহিনি। বাইরে লেখা সিটিং বাস। অথচ ভেতরে দেখা যায় যাত্রীরা রড ধরে বাদুড়ের মতো ঝুলে আছে। সাইনবোর্ডে লেখা থাকে গরু-ছাগলের হাট। অথচ ভেতরে গিয়ে দেখা যায় উট, মহিষ, দুম্বা—সবই আছে।
খুবই দুঃখজনক ঘটনা। তবে সব জায়গার অনিয়ম মেনে নেওয়া যায়, কিন্তু বাঙালির প্রাণের মেলা হিসেবে বিবেচিত বইমেলায় এ ধরনের অনিয়ম কিছুতেই সহ্য করা যায় না। মেলায় রয়েছে অসংখ্য স্টল। এর মধ্যে বেশ কিছু স্টল আছে, যাদের সঙ্গে বইয়ের কোনো সম্পর্কই নেই। এর কোনো মানে হয়! মেলাটার নামই বইমেলা। ইংরেজিতে যাকে বলে বুক ফেয়ার। সেই বুক ফেয়ারে কত রকমের স্টল বরাদ্দ পেল। অথচ বর্তমান পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুকের কোনো স্টলই নেই! আরে ভাই, এত বড় একটা বইমেলা, অর্থাৎ বুক ফেয়ার হচ্ছে, সেখানে ফেসবুকের স্টল থাকবে না, এটা হয় নাকি! ফেসবুক কি বুক না? ফেসবুকের কল্যাণে সারা বিশ্বে কত আন্দোলন-সংগ্রাম হচ্ছে, আর মেলা কর্তৃপক্ষ এটিকে কোনো পাত্তাই দিচ্ছে না। আশ্চর্য! কার্টুন দেখা পিচ্চি থেকে টক শো দেখা বৃদ্ধ—সবাই জানেন পৃথিবীতে ফেসবুক কত জনপ্রিয়। শুধু জানে না আমাদের বইমেলা কর্তৃপক্ষ। জানলে নিশ্চয়ই ফেসবুকের একটা স্টল থাকত। দেশকে ডিজিটাল করতে কত কিছু হচ্ছে, আর আমাদের বইমেলা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কিছুই ভাবছে না! ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা বাঙালি হলে এতক্ষণে চিৎকার করে বলতেন, শত শত স্টলের মধ্যে আমার স্টল কই? হতাশা, শুধুই হতাশা। যা-ই হোক, আর কথা বাড়িয়ে লাভ নেই। মেলা শেষ হতে এখনো অনেক দিন বাকি। আশা করি, এর মধ্যেই কর্তৃপক্ষ ফেসবুকের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্টল বরাদ্দ দিয়ে জনগণের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবে।
No comments