নিখোঁজ রহস্যের নতুন ক্লু সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ঘটনা-নাটকীয় অভিযান ইলিয়াস আলীকে পাওয়া গেল না by পারভেজ খান

সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা নিখোঁজ ইলিয়াস আলীকে উদ্ধারের জন্য র‌্যাব-পুলিশের একটি দল গতকাল গাজীপুরের পুবাইলে একটি শুটিং স্পটসহ আশপাশের কয়েকটি বাড়িতে টানা এক ঘণ্টার নাটকীয় অভিযান চালায়। রাত সোয়া ৮টা থেকে সোয়া ৯টা পর্যন্ত অভিযানে র‌্যাবের সঙ্গে অংশ নেয় গাজীপুর জেলার পুলিশ।


শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসে তারা। র‌্যাব-পুলিশের নিজস্ব সোর্সের ওপর ভিত্তি করে এ অভিযান চালানো হয়নি। ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনার কাছ থেকে পাওয়া একটি গোপন তথ্যের ভিত্তিতেই এ অভিযান চালানো হয়।
র‌্যাবের মিডিয়া উইংসের পরিচালক কমান্ডার সোহায়েল ও গোয়েন্দা শাখার প্রধান লে. কর্নেল জিয়াউল আহসান গত রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা তাঁদের জানান, তিনি গোপন সূত্রে জানতে পেরেছেন তাঁর স্বামীকে পুবাইলের একটি বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছে। তাঁর এ তথ্যের ভিত্তিতেই এ অভিযান চালানো হয়।
র‌্যাব সূত্র জানায়, তারা প্রথমে গাজীপুরের পুবাইলের বড় কয়ের গ্রামের একটি শুটিং স্পটে যায়। স্পটটির মালিক হাফিজুর রহমান নামের একজন ব্যবসায়ী এবং এলাকায় বাড়িটি হাফিজের শুটিং স্পট নামে পরিচিত। র‌্যাব ও পুলিশ প্রথমেই বাড়িটি ঘিরে ফেলে এবং সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় তারা এলাকার চারপাশে ব্যারিকেড দিয়ে রাখে এবং লোকজন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়। টানা এক ঘণ্টা দোতলা এ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয় র‌্যাব ও পুলিশ। পরে তারা আবু সুফিয়ান মেম্বারের বাড়িসহ আশপাশের আরো কয়েকটি বাড়িতেও অভিযান চালায়। তবে রাত ৯টার দিকে তারা নিশ্চিত হয় যে লুনার কাছে আসা খবরটি ঠিক নয়। এরপর তারা ফিরে আসে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, তাদের কাছে এখন মনে হচ্ছে, ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ ঘটনার পেছনে কোনো নাটকীয় ব্যাপার বা রহস্য লুকিয়ে আছে। আর দশটি অপহরণ বা গুমের মতো ঘটনা এটি নয়। এখন পর্যন্ত একজন সাক্ষী পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তাই যেকোনো সময় যেকোনো নাটকীয়তার মধ্য দিয়েই এই নিখোঁজ রহস্যের সমাপ্তি ঘটতে পারে। আর এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত সম্ভাব্য কারণ হিসেবে তারা ইলিয়াস আলীর নিজ বলয়ের মধ্যে বিরাজমান কোনো বিরোধকেই গুরুত্ব দিচ্ছে।
সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার রাতে ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ ঘটনার তদন্তে সম্ভাব্য নানা কারণ নিয়ে মাঠে নেমেছেন গোয়েন্দারা। শুধু রাজধানীতেই র‌্যাব, ডিবি পুলিশের আটটি পৃথক দল কাজ করে যাচ্ছে। ইলিয়াস আলীর বিরুদ্ধে একসময় অনেক মামলা ছিল। বৃহত্তর সিলেট এলাকায় নিজ দলের কমপক্ষে সাতজন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদের সঙ্গেও ইলিয়াস আলীর সম্পর্ক ভালো ছিল না। তাঁদের এই সম্পর্ক আর পুরনো মামলাগুলোও গোয়েন্দারা নজরে এনেছেন। সম্ভাব্য কারণ হতে পারে এমন বলয়ের তিনজনকে আটক করে তাঁদের সঙ্গে নিয়ে অভিযানও চালাচ্ছেন।
তদন্তে নতুনভাবে পাওয়া আরো একটি বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছেন গোয়েন্দারা। সেটা হচ্ছে, সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএসের গাড়ি থেকে ৭০ লাখ টাকা উদ্ধারের ঘটনার সঙ্গে ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ হওয়ার কোনো যোগসূত্র আছে কি না। এই সম্ভাবনা থাকার পেছনে কিছু কারণও তাঁরা জানতে পেরেছেন। এটা নিয়েও তদন্ত করছেন তাঁরা। গোয়েন্দারা বলছেন, এখন পর্যন্ত কোনো ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত না হওয়া গেলেও তাঁদের ধারণা, এই নিখোঁজ রহস্য লুকিয়ে আছে 'বৃহত্তর সিলেট' ঘিরেই, আর জট খুলতে খুব একটা বেশি সময় হয়তো লাগবে না।
র‌্যাবের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গতকাল কালের কণ্ঠকে জানান, পরিস্থিতি ঘোলা করছেন বিরোধীদলীয় রাজনীতিবিদরা। তাঁরা কেউই কোনো প্রকার তথ্য দিয়ে সহায়তা করছেন না। বরং এ ক্ষেত্রে ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা তাঁদের যথেষ্ট সাহায্য করছেন এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও দিয়েছেন। তাঁর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভেতরে অনেক সম্ভাব্য কারণ আছে। তাঁকে সঙ্গে নিয়েই র‌্যাব উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে। সবার আগে ব্যক্তিগত শত্রুতা আর আধিপত্য নিয়ে বিরোধের বিষয়কেই তাঁরা গুরুত্ব দিচ্ছেন। বৃহত্তর সিলেটে নিজ দল আর বিরোধী দলের মধ্যে আধিপত্য নিয়েও অনেকের সঙ্গে ইলিয়াস আলীর একটা প্রতিযোগিতা চলছিল। কারো কারো সঙ্গে আছে এতটাই চরম বিরোধ, যেটা বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই। তদন্ত করতে গিয়েই অনেক কিছু বের হয়ে আসছে। বিশেষ করে সিলেটের প্রভাবশালী সাতজন রাজনীতিবিদের সঙ্গেও ইলিয়াস আলীর বিরোধ আছে। তাঁরা বিভিন্ন সময়ে ইলিয়াস আলীকে হুমকিও দিয়েছেন। পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকেই এ ধরনের অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। ইলিয়াস আলীর অতীত ইতিহাসও নানা প্রশ্নবিদ্ধ। তাঁর বিরুদ্ধে নতুন পুরনো মামলাও আছে অনেক। ওয়ান-ইলেভেনের সময়ও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এসব মামলা আর বিরোধের ভেতরেও তাঁর নিখোঁজ রহস্য লুকিয়ে থাকতে পারে।
এক প্রশ্নের জবাবে কর্মকর্তা বলেন, কাউকে আটক বলাটা আসলে এই মুহূর্তে ঠিক হবে না। বলা চলে, তিনজনকে সঙ্গে রেখে তাঁদের সহযোগিতা নিয়ে বা তাঁদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
একজন ঊর্ধ্বতন গোয়েন্দা কর্মকর্তা গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএস ওমর ফারুকের গাড়িচালক আজম খানের সঙ্গে ইলিয়াস আলীর গাড়িচালক আনসারের দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠতা আছে। আজম খানও ব্যক্তিগতভাবে ইলিয়াস আলীকে চিনতেন। বর্তমান চাকরি নেওয়ার আগে আজম খান আগে যেখানে চাকরি করতেন, ওই চাকরি পাওয়ার ব্যাপারে ইলিয়াস আলী তাঁকে সহযোগিতা করেছিলেন। ফলে ওমর ফারুকের ঘুষ লেনদেনসহ অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অনেক খোঁজখবরই আজম খানের মাধ্যমে আনসার জানতেন। আবার আনসারের মাধ্যমে সেটা জানতেন ইলিয়াস আলী।
কর্মকর্তা জানান, এই সূত্র ধরে তাঁরা ধারণা করছেন, ওমর ফারুক পিলখানায় টাকাসহ ধরা পড়ার পর তাঁর গাড়িচালক আজম খান ঘটনাটি তাৎক্ষণিক ইলিয়াস আলীর গাড়িচালক আনসারকে জানান। আর আনসারই তাঁর বিভিন্ন যোগসূত্রের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সেটা মিডিয়াতে ফাঁস করে দেন। কিংবা ঘটনাটি এমনও হতে পারে যে, যেহেতু ওমর ফারুকের কর্মকাণ্ড সবই জানতেন ইলিয়াস আলীর গাড়িচালক আনসার, সে কারণে তিনিই গোয়েন্দাদের আগেভাগে খবর দেন এবং তাঁদের পরামর্শেই আজম খান পিলখানায় ঢুকে ওমর ফারুককে টাকাসহ ধরিয়ে দেন। এর পেছনে রাজনৈতিক স্বার্থও কাজ করে থাকতে পারে। ফলে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সাবেক এপিএস ওমর ফারুক ও তাঁর গাড়িচালক আজম খানও এই নিখোঁজ ঘটনার সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে জড়িত থাকতে পারেন। একটি মহল থেকে এ ধরনের খবর পাওয়ার পর তাঁরা সম্ভাবনার এ বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এবং ইলিয়াস আলী পরস্পরবিরোধী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং দুজনই বৃহত্তর সিলেট এলাকার। ফলে সম্ভাব্য এই সন্দেহকে কম গুরুত্ব দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলেই গোয়েন্দারা মনে করছেন।
পুলিশের আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার কালের কণ্ঠকে বলেন, এই ঘটনার নেপথ্য কারণ কী সেটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে সম্ভাব্য কোনো কারণকেই তাঁরা ছোট করে দেখছেন না। তাঁরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন ইলিয়াস আলীকে। র‌্যাব ও পুলিশকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সংখ্যক টিম গঠন করে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তারা মাঠে নেমে যথাসাধ্য কাজও করছেন।
র‌্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান লে. কর্নেল জিয়াউল আহসান গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, রাতে পুবাইলের অভিযান ব্যর্থ হলেও তাঁরা থেমে নেই। তাঁরা এখনো অভিযানে আছেন এবং মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যারাতে ইলিয়াস আলীর বাড়ির সামনে মোটরসাইকেলে করে যান বিএনপিদলীয় নেতা মীর নেওয়াজ, তাঁর ভাই ওয়ার্ড কমিশনার মীর আজম এবং মোমেন মুন্নাসহ পাঁচজন। এরপর রাতে ইলিয়াস আলী আজম ও মুন্নাকে নিয়ে রূপসী বাংলা হোটেলে আসেন এবং সেখানে একজন আইনজীবীর সঙ্গে তাঁর পুরনো কিছু মামলা নিয়ে কথা বলেন। রাত ১২টার দিকে তাঁরা বের হন। এরপর অন্যরা যে যাঁর মতো চলে যান এবং ইলিয়াস আলী বাসায় ফিরছিলেন। এর পরেই তিনি নিখোঁজ হন। নিখোঁজের পর থেকে র‌্যাব এ রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য অনেকের সঙ্গেই কথা বলছে। তবে এখনো নিশ্চিত কোনো কারণ জানা যায়নি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে লে. কর্নেল জিয়া বলেন, তাঁরা সম্ভাব্য কোনো কারণকেই ছোট করে দেখছেন না। এর বাইরে অতিরিক্ত কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।
ইলিয়াস আলীর ছেলে লাবিব শারার গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'কী কারণ আছে জানি না। আব্বুর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার পেছনে ওমর ফারুকের ওই অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনার একটি যোগসূত্র থাকতেও পারে। এ রকম সন্দেহ তাঁরাও করছেন। সময়ের সব চেয়ে আলোচিত ঘটনা এই অর্থ কেলেঙ্কারি। এতে করে আওয়ামী লীগও নানাভাবে সমালোচিত হচ্ছে। ফলে এমনও হতে পারে, নতুন একটি ইস্যু তৈরি করে একটি মহল ওই ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
লাবিব শারার এবং তাঁর বড় ভাই আবরার অর্নব গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা রাজনীতি বুঝি না। আমাদের একটাই কথা- সব নোংরামির ঊর্ধ্বে থেকে আমাদের বাবাকে ফেরত দেওয়া হোক।'
গতকাল কয়েক দফায় ইলিয়াস আলীর বনানীর বাসায় গিয়ে তাঁর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি রাজি হননি। পরে বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতার মাধ্যমে অনুরোধ জানালে তিনি কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তাহসিনা রুশদীর লুনা বলেন, 'আমি সন্দেহজনক কারো নাম উল্লেখ করতে চাই না। ঘটনা কারা করেছে, সে সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। কেন করেছে, সেটাও জানি না। আমি জানি আমার স্বামী নিখোঁজ। আজ আমার চাওয়া শুধু একটাই- আমার স্বামী ফেরত আসুক। যেকোনো শর্তে আমি তাঁকে ফেরত চাই। আমি জানতে চাই, সে কোথায় আছে, কেমন আছে।'

গাজীপুর থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, ইলিয়াস আলীর খোঁজে বড় কয়ের গ্রামে র‌্যাব ও পুলিশের অভিযানের ঘটনায় গ্রামবাসীও বিস্মিত হয়। গ্রামের বাসিন্দা ও এলাকার সাবেক মেম্বার আবু সুফিয়ান খান কালের কণ্ঠকে বলেন, রাত ৮টার দিকে ৭০ থেকে ৮০ জনের র‌্যাব-পুলিশের একটি দল তাঁর ছোট ভাই এজাজুল হক খানের দোতলা বাড়িটি ঘিরে ফেলে। এজাজুল ঢাকায় বসবাস করেন। তাঁর ভাই তৌহিদুজ্জামান তালা খুলে দিলে র‌্যাব ভেতরে ঢুকে নিচ ও ওপর তলার সব কক্ষে তল্লাশি চালায়। দোতলার উত্তর পাশের একটি কক্ষের তালার চাবি না থাকায় ওই কক্ষের তালা ও দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন র‌্যাব সদস্যরা।
তৌহিদুজ্জামান জানান, 'বাসায় কিছু না পেয়ে র‌্যাব সদস্যরা জানতে চান, গ্রামে কার কার দোতলা বাড়ি আছে। পরে তাঁরা আমার বড় ভাই আবু সুফিয়ানকে নিয়ে তাঁর বাড়িসহ আশপাশের জামান খান, মহসিন ও ইদ্রিস আলী কোম্পানীর দোতলা বাড়িতে অভিযান চালান। তবে কোথাও কাউকে পাওয়া যায়নি। কেন তাঁরা তল্লাশি করছেন আমাদের জানাননি। চলে যাওয়ার সময়ও কিছু বলেননি। ঘণ্টাব্যাপী এ অভিযানে পুরো গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে তাঁরা কারো সঙ্গে খারাপ কোনো আচরণ করেননি।'
আবু সুফিয়ান খান বলেন, 'রাতে ১০ গাড়িতে বিপুলসংখ্যক র‌্যাব ও পুলিশ আসায় আমরা হতভম্ব হয়ে পড়ি। পরে শুনেছি নিখোঁজ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর খোঁজে তল্লাশি করেছে।' ইলিয়াস আলীর স্ত্রী র‌্যাবের সঙ্গে ছিলেন কি না জানতে চাইলে তিনি জানান, কোনো মহিলা তাঁরা দেখেননি। আবু সুফিয়ান জানান, এজাজুল হক এশিয়ান ইলেকট্রনিকসের মালিক। তিনি ঢাকার রামপুরা এলাকায় বাস করেন। বছরে এক-দুই বার বাড়িতে আসেন।
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, আবু সুফিয়ানের খালাতো ভাই আরিফুল ইসলাম ঢাকার ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের (মালিবাগ-সিদ্ধেশ্বরী) সাবেক কমিশনার। তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার আবদুল বাতেন জানান, সারা দেশের মতো গাজীপুরেও ইলিয়াস আলীকে উদ্ধারে অভিযান চলছে। তবে তাঁকে উদ্ধার করা যায়নি।
এদিকে পুবাইলের বিলাসরা হাফিজ শুটিং স্পটে অভিযান চালানোর কথা শোনা গেলেও এর সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।
ইলিয়াস আলীর স্ত্রী বললেন
'আমি কোথাও যাইনি'

No comments

Powered by Blogger.