কেউ আইন ভাঙেনি ... by আসিফ আহমদ
আমরা আরম্ভ করি, শেষ করি না...। কত বিষয়েই না এমন কথা বলা যায়। গত বছরের ৪ নভেম্বর অটোরিকশার ভাড়া বাড়ানো হয়। তখন মিটার অনুযায়ী যে কোনো গন্তব্যে যাওয়া, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করা, মিটারের টেম্পারিং না করা, চালকের কাছ থেকে অটোরিকশা মালিকের বেশি দাম আদায় না করাসহ কয়েকটি চুক্তি সই হয়েছিল।
সই করেছিলেন অটোরিকশা শ্রমিক ও মালিক সংগঠনের প্রতিনিধি, ট্রাফিক পুলিশ এবং বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি বা বিআরটিএ প্রতিনিধিরা। চুক্তি সইয়ে ব্যবহার করা হয় ১৫০ টাকার স্ট্যাম্প। কয়েকটি স্ট্যাম্পে চুক্তি সই হয়েছে এবং এ বাবদ সরকারের কিছু আয় হয়েছে। পুলিশের তরফে দৃঢ়ভাবে বলা হয়েছিল, চালক ও মালিকরা চুক্তি অমান্য করলে মালিকের রুট পারমিট ও চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
আমরা ধরে নিতে পারি যে, গত কয়েক মাসে কেউ আইন ভাঙেনি। কারণ, এ সময় পুলিশ কাউকে সাজা প্রদানের জন্য আদালতের কাছে উপস্থিত করেছে এমন বিজ্ঞপ্তি সংবাদপত্রে পাঠায়নি।
আইন কেউ ভাঙেনি, এমন কথা শুনে হাসি পাচ্ছে? হাসতে থাকুন। কারণ হাসি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এতে দেহ-মন ভালো থাকে। পুলিশও সেটা পছন্দ করবে। ৫০ টাকা যে গন্তব্যের জন্য ভাড়া হয়, সেখানে যাওয়ার জন্য আপনি ৯০ টাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন, এমন অভিযোগ নিয়ে ট্রাফিক পুলিশের কাছে গেলে তারাও একচোট হেসে নেবে। এ সময় আপনাকে বোকা বলে অভিহিত করলেও রাগ করবেন না। তারা বলবে, আইন আছে মিটার অনুযায়ী ভাড়া দিতে হবে। কিন্তু চালক যখন বলল যে মিটার ঠিক নেই, সে গাড়িতে আপনি চাপলেন কেন? এমনকি এ 'বেআইনি কাজ করার' দায়ে আপনাকে তারা আদালতে হাজির করতে পারে। নূ্যনতম এক রাত হাজতবাস করিয়ে জীবন অতিষ্ঠ করে দিতে পারে।
মিটার অনুযায়ী ভাড়া আদায় না করলে কঠোর শাস্তি_ হৈ চৈ রৈ রৈ করে এটা প্রচার করা হয়। প্রচারে এটাও বলা হয়, মালিকরাও নির্ধারিত হারে জমা না দিলে কঠোর দণ্ড পাবে। কিন্তু কোনো লাভ হয় না। মালিকদের সমিতি আছে। তারা জানে, যখন যে দল ক্ষমতায় তাদের সঙ্গে আপস করে আইনকে বুড়ো আঙুল দেখাতে হয়। চালকরা জানে, রাজপথে যেহেতু যানবাহনের সংকট তাই যাত্রীরা বাধ্য হবে চালকের নির্ধারিত ভাড়ায় উঠতে। একটা খালি অটোরিকশা কোথাও থামলে আট-দশজন যাত্রী ছুটে আসে। যার বেশি টাকা আছে কিংবা যার তাগিদ বেশি তিনিই দরদামের প্রতিযোগিতায় জয়ী হন। এ কাজ অন্যায়। কিন্তু অন্যায় করলে পার পাওয়া যাবে না, এমন দিব্যি কে দিয়েছে?
ট্রাফিক পুলিশ থেকে এক সময় হৈচৈ করে বলা হলো যে, লেন ধরে যানবাহন না চললে কঠোর দণ্ড দেওয়া হবে। আইন কারা ভাঙছে, এটা লক্ষ্য করার জন্য নাকি প্রধান প্রধান সড়কে বিশেষ ধরনের ক্যামেরাও স্থাপন করা হয়। এখন সে ক্যামেরাগুলো কি সচল নেই? এ জন্য কত অর্থ ব্যয় হয়েছিল? নাকি ক্যামেরা না লাগিয়েই চালকদের ভয় দেখানোর জন্য এর প্রচার করা হয়েছিল? এসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মতো আপনি কাউকে খুঁজে পাবেন না। এ বাবদ সরকারের প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়েছে। তবে অটোরিকশা চালক-মালিকদের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে সরকার বলতে পারে, আমরা কিন্তু কয়েকটি স্ট্যাম্প বিক্রি করে নগদে কিছু টাকা হাতে পেয়েছি...। রাজস্ব আদায়ে এ তো কম অবদান নয়! অর্থমন্ত্রীর উচিত হবে বিশেষ সংবাদ সম্মেলন করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ
জ্ঞাপন করা।
আমরা ধরে নিতে পারি যে, গত কয়েক মাসে কেউ আইন ভাঙেনি। কারণ, এ সময় পুলিশ কাউকে সাজা প্রদানের জন্য আদালতের কাছে উপস্থিত করেছে এমন বিজ্ঞপ্তি সংবাদপত্রে পাঠায়নি।
আইন কেউ ভাঙেনি, এমন কথা শুনে হাসি পাচ্ছে? হাসতে থাকুন। কারণ হাসি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এতে দেহ-মন ভালো থাকে। পুলিশও সেটা পছন্দ করবে। ৫০ টাকা যে গন্তব্যের জন্য ভাড়া হয়, সেখানে যাওয়ার জন্য আপনি ৯০ টাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন, এমন অভিযোগ নিয়ে ট্রাফিক পুলিশের কাছে গেলে তারাও একচোট হেসে নেবে। এ সময় আপনাকে বোকা বলে অভিহিত করলেও রাগ করবেন না। তারা বলবে, আইন আছে মিটার অনুযায়ী ভাড়া দিতে হবে। কিন্তু চালক যখন বলল যে মিটার ঠিক নেই, সে গাড়িতে আপনি চাপলেন কেন? এমনকি এ 'বেআইনি কাজ করার' দায়ে আপনাকে তারা আদালতে হাজির করতে পারে। নূ্যনতম এক রাত হাজতবাস করিয়ে জীবন অতিষ্ঠ করে দিতে পারে।
মিটার অনুযায়ী ভাড়া আদায় না করলে কঠোর শাস্তি_ হৈ চৈ রৈ রৈ করে এটা প্রচার করা হয়। প্রচারে এটাও বলা হয়, মালিকরাও নির্ধারিত হারে জমা না দিলে কঠোর দণ্ড পাবে। কিন্তু কোনো লাভ হয় না। মালিকদের সমিতি আছে। তারা জানে, যখন যে দল ক্ষমতায় তাদের সঙ্গে আপস করে আইনকে বুড়ো আঙুল দেখাতে হয়। চালকরা জানে, রাজপথে যেহেতু যানবাহনের সংকট তাই যাত্রীরা বাধ্য হবে চালকের নির্ধারিত ভাড়ায় উঠতে। একটা খালি অটোরিকশা কোথাও থামলে আট-দশজন যাত্রী ছুটে আসে। যার বেশি টাকা আছে কিংবা যার তাগিদ বেশি তিনিই দরদামের প্রতিযোগিতায় জয়ী হন। এ কাজ অন্যায়। কিন্তু অন্যায় করলে পার পাওয়া যাবে না, এমন দিব্যি কে দিয়েছে?
ট্রাফিক পুলিশ থেকে এক সময় হৈচৈ করে বলা হলো যে, লেন ধরে যানবাহন না চললে কঠোর দণ্ড দেওয়া হবে। আইন কারা ভাঙছে, এটা লক্ষ্য করার জন্য নাকি প্রধান প্রধান সড়কে বিশেষ ধরনের ক্যামেরাও স্থাপন করা হয়। এখন সে ক্যামেরাগুলো কি সচল নেই? এ জন্য কত অর্থ ব্যয় হয়েছিল? নাকি ক্যামেরা না লাগিয়েই চালকদের ভয় দেখানোর জন্য এর প্রচার করা হয়েছিল? এসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মতো আপনি কাউকে খুঁজে পাবেন না। এ বাবদ সরকারের প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়েছে। তবে অটোরিকশা চালক-মালিকদের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে সরকার বলতে পারে, আমরা কিন্তু কয়েকটি স্ট্যাম্প বিক্রি করে নগদে কিছু টাকা হাতে পেয়েছি...। রাজস্ব আদায়ে এ তো কম অবদান নয়! অর্থমন্ত্রীর উচিত হবে বিশেষ সংবাদ সম্মেলন করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ
জ্ঞাপন করা।
No comments