অপহরণ আতঙ্কে দক্ষিণখানবাসী-নিখোঁজ নারী-শিশুরা কোথায় যায়?
রাজধানীর উত্তরা এলাকার দক্ষিণখানে গত ১২ মাসে ১৩২ জনের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি নাগরিকদের নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টিও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার মতো ব্যাপার। এসব অপহরণের ঘটনায় মামলা হয়েছে মাত্র ১৮টি, সাধারণ ডায়েরি ১১৪টি। কারণ, থানা মামলা নিতে চায় না।
মামলা নিলে নাকি তাদের ‘ভাবমূর্তি’ নষ্ট হয়। নিখোঁজ শিশু ও নারীর জীবনের নিরাপত্তার চেয়ে থানা-পুলিশের ভাবমূর্তি অনেক বেশি মূল্যবান। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রাষ্ট্র ও সরকারের কর্তাব্যক্তিদের নিরাপত্তায় ব্যস্ত থাকেন। অপহূত দরিদ্র শিশু ও নারীদের খুঁজে বের করার সময় কোথায়?
গতকাল প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের যোগসাজশে এসব শিশু ও নারীকে অপহরণ করে হয়তো বিদেশে পাচার করা হয় কিংবা দেশেই অপরাধী চক্রের কাছে বিক্রয় করে দেওয়া হয়। এর সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের যোগসাজশ আছে কি না, তা-ও তদন্ত করে দেখা দরকার। দক্ষিণখানে একজন আসামি গ্রেপ্তার হওয়ার পরপর স্থানীয় শ্রমিক লীগের নেতাদের তদবিরের বিষয়টিও রহস্যজনক।
এলাকাটিতে দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষের বসবাস বেশি, জীবনের ঘানি টানতে তাঁদের দিন-রাত ব্যস্ত থাকতে হয়; বিশেষ করে, জীবিকার জন্য নারীদের বেশির ভাগ সময় ঘরের বাইরে থাকতে হয়। শিশুসন্তানদের দেখভাল করার সময় পান না। এই সুযোগেই পাচারকারী চক্র শিশুদের অপহরণ করে, আবার চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে নারী পাচারের ঘটনাও ঘটে।
যেখানে খোদ রাজধানী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকায় এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধ ঘটছে, সেখানে সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সহজেই অনুমান করা যায়। কিছুদিন আগে কামরাঙ্গীরচরে অপহূত শিশুদের ভিক্ষাবৃত্তিতে এবং নারীদের দেহব্যবসায় নিয়োজিত করার চাঞ্চল্যকর ঘটনা ফাঁস হয়েছে। সন্দেহ নেই, এর সঙ্গে দেশি-বিদেশি অপরাধী চক্র জড়িত।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব প্রতিটি অপহরণের ঘটনা আমলে নিয়ে অপহূত শিশু ও নারীদের উদ্ধার করা। সেই সঙ্গে অপহরণকারীদের শাস্তিও নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এই ঘৃণ্য অপরাধ করতে সাহসী না হয়। সরকার আরেকটি বিষয়েও ভাবতে পারে, সেটি হলো শ্রমজীবী মায়েদের সন্তানদের জন্য সরকারি খরচে ডে-কেয়ার সেন্টার করা। তাতে এই দরিদ্র পরিবারের শিশুদের জীবনে নিরাপত্তার পাশাপাশি কিছুটা স্বস্তিও আসতে পারে।
গতকাল প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের যোগসাজশে এসব শিশু ও নারীকে অপহরণ করে হয়তো বিদেশে পাচার করা হয় কিংবা দেশেই অপরাধী চক্রের কাছে বিক্রয় করে দেওয়া হয়। এর সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের যোগসাজশ আছে কি না, তা-ও তদন্ত করে দেখা দরকার। দক্ষিণখানে একজন আসামি গ্রেপ্তার হওয়ার পরপর স্থানীয় শ্রমিক লীগের নেতাদের তদবিরের বিষয়টিও রহস্যজনক।
এলাকাটিতে দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষের বসবাস বেশি, জীবনের ঘানি টানতে তাঁদের দিন-রাত ব্যস্ত থাকতে হয়; বিশেষ করে, জীবিকার জন্য নারীদের বেশির ভাগ সময় ঘরের বাইরে থাকতে হয়। শিশুসন্তানদের দেখভাল করার সময় পান না। এই সুযোগেই পাচারকারী চক্র শিশুদের অপহরণ করে, আবার চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে নারী পাচারের ঘটনাও ঘটে।
যেখানে খোদ রাজধানী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকায় এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধ ঘটছে, সেখানে সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সহজেই অনুমান করা যায়। কিছুদিন আগে কামরাঙ্গীরচরে অপহূত শিশুদের ভিক্ষাবৃত্তিতে এবং নারীদের দেহব্যবসায় নিয়োজিত করার চাঞ্চল্যকর ঘটনা ফাঁস হয়েছে। সন্দেহ নেই, এর সঙ্গে দেশি-বিদেশি অপরাধী চক্র জড়িত।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব প্রতিটি অপহরণের ঘটনা আমলে নিয়ে অপহূত শিশু ও নারীদের উদ্ধার করা। সেই সঙ্গে অপহরণকারীদের শাস্তিও নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এই ঘৃণ্য অপরাধ করতে সাহসী না হয়। সরকার আরেকটি বিষয়েও ভাবতে পারে, সেটি হলো শ্রমজীবী মায়েদের সন্তানদের জন্য সরকারি খরচে ডে-কেয়ার সেন্টার করা। তাতে এই দরিদ্র পরিবারের শিশুদের জীবনে নিরাপত্তার পাশাপাশি কিছুটা স্বস্তিও আসতে পারে।
No comments