ফতোয়া-হেনার মৃত্যু ও আমাদের মূল্যবোধ by সালমা খান
শরীয়তপুরে ধর্ষণের শিকার কিশোরী হেনার ফতোয়াবাজদের দোররার আঘাতে মৃত্যু আমাদের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। এ কথা যেমন সত্যি তেমনি এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বাংলাদেশের গ্রামেগঞ্জে এ ধরনের ঘটনা অহরহ ঘটে চলেছে, এ-ও সত্যি।
সৈয়দ আবুল মকসুদ তাঁর লেখায় যথার্থই বলেছেন, হেনার মৃত্যু না হলে এই বর্বরতার বিষয়ে আমরা হয়তো জানতামই না। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আজ আমাদের সামনে যে প্রশ্নটি বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে তা হলো, স্বাধীনতার ৪০ বছর পর একবিংশ শতাব্দীতে বাংলাদেশের সমাজচিত্রের হাল কী? সমাজকে যদি আমরা একটি জাতির মানসদর্পণ বলি, তাহলে আমাদের সমাজ কোন আদর্শের ধারক? একাত্তরে আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের মূল দর্শন ছিল বৈষম্য ও অন্যায়কে নির্মূল করে সমতা ও সামাজিক ন্যায়বিচারভিত্তিক এক নতুন সমাজ বিনির্মাণ। স্বাধীনতা সব সময়ই সোশ্যাল জাস্টিস ও সর্বজনীনতার পক্ষে বৃহত্তর জনগণের মধ্যে একটা পরিবর্তনের সূচনা করে। সে জন্য স্বাধীনতা ও পক্ষপাতহীনতাকে পরস্পরের সম্পূরক বলা হয়। ব্যক্তিজীবনে স্বাধীনতার মৌলিক বহিঃপ্রকাশ নিহিত থাকে আত্মনিয়ন্ত্রণ ও জীবনের বিকল্পগুলো বেছে নেওয়ার অধিকারের মধ্যে। সেই মর্মে পুরুষের সমকক্ষভাবে বাংলাদেশের নারীর আজও স্বাধীনতা অর্জিত হয়নি।
সময়ের পরিক্রমায় যদিও নারী গৃহকোণের ক্ষুদ্র পরিসর থেকে বেরিয়ে কঠোর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তার কর্মক্ষেত্রের বিরাট ব্যাপ্তি ঘটিয়ে পরিবার ও রাষ্ট্রকে সমৃদ্ধ করে চলেছে। অন্যদিকে সে ক্রমান্বয়ে অধিক হারে পুরুষতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণের বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে পড়ছে। নারীর স্বাধীন চলাফেরা, দৈহিক অভেদ্যতা (integৎity) মানসিক ও আবেগিক বিশিষ্টতা প্রতিনিয়ত ব্যাহত হচ্ছে পুরুষের আক্রমণাত্মক আচরণে। পারিবারিক বৈষম্য, অপেক্ষাকৃত নিগূঢ় দারিদ্র্য ও আইনি সুরক্ষার অপ্রাপ্যতার কারণে আমাদের দেশে নারী সব সময় পুরুষের তুলনায় অনেক দুর্বল অবস্থানে। সে ক্ষেত্রে মানবিক মূল্যবোধ ও সামাজিক ন্যায়বিচার, যা যেকোনো সমাজকাঠামোর মূল ভিত্তি, তা-ই নারীর প্রধান সুরক্ষা হিসেবে কাজ করতে পারে। ব্যক্তিজীবনে আমাদের বিভিন্ন অসদাচরণ, স্বার্থপরতা ও হীনম্মন্যতা থাকলেও আমরা সংঘবদ্ধভাবে সমাজে বাস করার সুবাদে ক্রমশ তাকে পরিশীলিত ও মানবিক করে তুলি। যে কারণে ব্যক্তিপর্যায়ে কেউ অন্যায় ও সহিংস আচরণ করলেও সম্মিলিত শুভবুদ্ধির ডাকে সাড়া দিয়ে সমাজ তা প্রতিহত করতে সচেষ্ট হয়। এভাবেই বর্বরতা অতিক্রম করে আমরা সভ্য নাগরিকত্বে উত্তরণ ঘটাই। যে কারণে অধিকাংশ সময়ই চরম সহিংসতা, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির মতো জনকল্যাণবিরোধী কর্মকাণ্ডগুলো ব্যক্তিপর্যায়ে বা বিচ্ছিন্ন ক্ষুদ্র গোষ্ঠী দ্বারা সংঘটিত হয়। সমাজের শিক্ষিত, শ্রদ্ধেয় ও নেতৃস্থানীয় মানুষেরা মানবিক মূল্যবোধ, সমতা ও ন্যায়বিচারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকেন বলেই সময়ের পরিক্রমায় অনুন্নত অবস্থা থেকে উন্নত এবং বর্বরতা থেকে সভ্য সমাজব্যবস্থার বিকাশ ঘটে।
কিন্তু বাংলাদেশে এ কোন সমাজ দেখছি আমরা? মাদ্রাসার শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধিসহ সমাজপতিরা নিরীহ জনগণের প্রতি অন্যায় প্রতিরোধ করার পরিবর্তে নিজেরাই সন্ত্রাস ও সহিংসতায় নতুন মাত্রা যোগ করে চলেছে, যা প্রায় ক্রিমিন্যাল অ্যাক্টের পর্যায়ে পড়ে। প্রকৃতপক্ষে, এ ঘটনা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, কীভাবে সমাজপতিরা বিদ্যমান শ্রেণী ও লিঙ্গবৈষম্যের সুযোগে চিরায়ত ন্যায় ও নৈতিকতার সংজ্ঞাগুলোকে পুনর্বিন্যাস করছে এবং সমাজে তার গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টি করছে। এ কারণেই সমাজের মূলধারার জনগণ সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েও প্রতিবাদমুখর হয় না, বৈষম্য ও অন্যায়কে সামাজিক ‘নর্ম’ হিসেবে গ্রহণ করাকেই শ্রেয় মনে করে।
ব্যাপক প্রচারণাপ্রাপ্তির কারণে হেনার ঘটনায় আমরা সবাই বিচলিত হয়েছি—ধর্ষক ও ফতোয়াবাজদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। শাস্তি অবশ্যই হতে হবে এবং অচিরেই হতে হবে। কিন্তু তাতে কি এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ হবে? নারীর প্রতি সন্ত্রাস, নারীকে পুরুষের ন্যায্য ভোগের সামগ্রী ভাবার প্রবণতা যে বাংলাদেশে একটা সামাজিক ব্যাধিরূপে বিস্তার করছে, তার প্রমাণ রয়েছে সাম্প্রতিক সময়ের তথাকথিত ইভ টিজিং বা যৌন নিপীড়ন ও উত্ত্যক্তকরণের ঘটনায় মেয়েদের হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনার ব্যাপকতায়। বহু ক্ষেত্রে আইনের যথাযথ পদক্ষেপও নারীকে রক্ষা করতে পারেনি, উপরন্তু বিচ্ছিন্ন প্রতিবাদকারীকেও প্রাণ দিতে হয়েছে। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায়, বৈষম্য ও সহিংসতা রোধে আইনের প্রসারিত হাতের চেয়ে সমাজের ন্যায়ভিত্তিক মানসিকতার প্রসার অনেক বেশি কার্যকর। আর এ জন্য প্রয়োজন সামাজিক মানসিকতার পরিবর্তন, মুষ্টিমেয় ধর্ষক ও ফতোয়াবাজের বিরুদ্ধে সম্মিলিত কণ্ঠের আওয়াজকে জোরদার করা। এ দায়িত্ব সরকার বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নয়, এ দায়িত্ব প্রত্যেক স্বাধীনতাকামী ও সামাজিক ন্যায্যতাবিশ্বাসী মানুষের, রাজনৈতিক নেতাদের, সুশীল সমাজের, নারী আন্দোলনের। আমাদের দুর্ভাগ্য, এ দেশে আমরা কখনো তেমন সমাজসংস্কারক পাইনি, যাঁরা তাঁদের কর্ম ও চিন্তাচেতনার মাধ্যমে সমাজের মৌলিক কাঠামোতে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছেন।
যেকোনো দেশের স্বাধীনতা অর্জনের পথ হয় বন্ধুর, যা অতিক্রম করতে গিয়ে বহু ক্ষেত্রে সামাজিক অস্থিরতা ও প্রচলিত মূল্যবোধে ভাঙন দেখা দেয়। স্বাধীনতা-উত্তর নতুন সমাজ বিনির্মাণে তাই প্রয়োজন হয় সমাজের মন্দগুলোকে পরিহার করে নিজস্ব সামাজিক বৈশিষ্ট্য ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করা। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের পুরোভাগে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল সমাজসংস্কারের প্রয়োজনীয়তাকে—সতীদাহ নিরোধ, বিধবাবিবাহ ও নারীশিক্ষার প্রসারে গুরুত্ব দিয়েছিল জাতীয় পর্যায়ের সফল নেতৃত্ব। অনেক দেরিতে হলেও আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে সমাজসংস্কারের ওপর। সমাজের প্রতি স্তরে মানবিক মূল্যবোধ সৃষ্টিতে সভ্য সমাজ বিনির্মাণের কোনো বিকল্প নেই।
সালমা খান: নারীনেত্রী, সিডও কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান।
সময়ের পরিক্রমায় যদিও নারী গৃহকোণের ক্ষুদ্র পরিসর থেকে বেরিয়ে কঠোর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তার কর্মক্ষেত্রের বিরাট ব্যাপ্তি ঘটিয়ে পরিবার ও রাষ্ট্রকে সমৃদ্ধ করে চলেছে। অন্যদিকে সে ক্রমান্বয়ে অধিক হারে পুরুষতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণের বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে পড়ছে। নারীর স্বাধীন চলাফেরা, দৈহিক অভেদ্যতা (integৎity) মানসিক ও আবেগিক বিশিষ্টতা প্রতিনিয়ত ব্যাহত হচ্ছে পুরুষের আক্রমণাত্মক আচরণে। পারিবারিক বৈষম্য, অপেক্ষাকৃত নিগূঢ় দারিদ্র্য ও আইনি সুরক্ষার অপ্রাপ্যতার কারণে আমাদের দেশে নারী সব সময় পুরুষের তুলনায় অনেক দুর্বল অবস্থানে। সে ক্ষেত্রে মানবিক মূল্যবোধ ও সামাজিক ন্যায়বিচার, যা যেকোনো সমাজকাঠামোর মূল ভিত্তি, তা-ই নারীর প্রধান সুরক্ষা হিসেবে কাজ করতে পারে। ব্যক্তিজীবনে আমাদের বিভিন্ন অসদাচরণ, স্বার্থপরতা ও হীনম্মন্যতা থাকলেও আমরা সংঘবদ্ধভাবে সমাজে বাস করার সুবাদে ক্রমশ তাকে পরিশীলিত ও মানবিক করে তুলি। যে কারণে ব্যক্তিপর্যায়ে কেউ অন্যায় ও সহিংস আচরণ করলেও সম্মিলিত শুভবুদ্ধির ডাকে সাড়া দিয়ে সমাজ তা প্রতিহত করতে সচেষ্ট হয়। এভাবেই বর্বরতা অতিক্রম করে আমরা সভ্য নাগরিকত্বে উত্তরণ ঘটাই। যে কারণে অধিকাংশ সময়ই চরম সহিংসতা, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির মতো জনকল্যাণবিরোধী কর্মকাণ্ডগুলো ব্যক্তিপর্যায়ে বা বিচ্ছিন্ন ক্ষুদ্র গোষ্ঠী দ্বারা সংঘটিত হয়। সমাজের শিক্ষিত, শ্রদ্ধেয় ও নেতৃস্থানীয় মানুষেরা মানবিক মূল্যবোধ, সমতা ও ন্যায়বিচারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকেন বলেই সময়ের পরিক্রমায় অনুন্নত অবস্থা থেকে উন্নত এবং বর্বরতা থেকে সভ্য সমাজব্যবস্থার বিকাশ ঘটে।
কিন্তু বাংলাদেশে এ কোন সমাজ দেখছি আমরা? মাদ্রাসার শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধিসহ সমাজপতিরা নিরীহ জনগণের প্রতি অন্যায় প্রতিরোধ করার পরিবর্তে নিজেরাই সন্ত্রাস ও সহিংসতায় নতুন মাত্রা যোগ করে চলেছে, যা প্রায় ক্রিমিন্যাল অ্যাক্টের পর্যায়ে পড়ে। প্রকৃতপক্ষে, এ ঘটনা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, কীভাবে সমাজপতিরা বিদ্যমান শ্রেণী ও লিঙ্গবৈষম্যের সুযোগে চিরায়ত ন্যায় ও নৈতিকতার সংজ্ঞাগুলোকে পুনর্বিন্যাস করছে এবং সমাজে তার গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টি করছে। এ কারণেই সমাজের মূলধারার জনগণ সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েও প্রতিবাদমুখর হয় না, বৈষম্য ও অন্যায়কে সামাজিক ‘নর্ম’ হিসেবে গ্রহণ করাকেই শ্রেয় মনে করে।
ব্যাপক প্রচারণাপ্রাপ্তির কারণে হেনার ঘটনায় আমরা সবাই বিচলিত হয়েছি—ধর্ষক ও ফতোয়াবাজদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। শাস্তি অবশ্যই হতে হবে এবং অচিরেই হতে হবে। কিন্তু তাতে কি এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ হবে? নারীর প্রতি সন্ত্রাস, নারীকে পুরুষের ন্যায্য ভোগের সামগ্রী ভাবার প্রবণতা যে বাংলাদেশে একটা সামাজিক ব্যাধিরূপে বিস্তার করছে, তার প্রমাণ রয়েছে সাম্প্রতিক সময়ের তথাকথিত ইভ টিজিং বা যৌন নিপীড়ন ও উত্ত্যক্তকরণের ঘটনায় মেয়েদের হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনার ব্যাপকতায়। বহু ক্ষেত্রে আইনের যথাযথ পদক্ষেপও নারীকে রক্ষা করতে পারেনি, উপরন্তু বিচ্ছিন্ন প্রতিবাদকারীকেও প্রাণ দিতে হয়েছে। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায়, বৈষম্য ও সহিংসতা রোধে আইনের প্রসারিত হাতের চেয়ে সমাজের ন্যায়ভিত্তিক মানসিকতার প্রসার অনেক বেশি কার্যকর। আর এ জন্য প্রয়োজন সামাজিক মানসিকতার পরিবর্তন, মুষ্টিমেয় ধর্ষক ও ফতোয়াবাজের বিরুদ্ধে সম্মিলিত কণ্ঠের আওয়াজকে জোরদার করা। এ দায়িত্ব সরকার বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নয়, এ দায়িত্ব প্রত্যেক স্বাধীনতাকামী ও সামাজিক ন্যায্যতাবিশ্বাসী মানুষের, রাজনৈতিক নেতাদের, সুশীল সমাজের, নারী আন্দোলনের। আমাদের দুর্ভাগ্য, এ দেশে আমরা কখনো তেমন সমাজসংস্কারক পাইনি, যাঁরা তাঁদের কর্ম ও চিন্তাচেতনার মাধ্যমে সমাজের মৌলিক কাঠামোতে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছেন।
যেকোনো দেশের স্বাধীনতা অর্জনের পথ হয় বন্ধুর, যা অতিক্রম করতে গিয়ে বহু ক্ষেত্রে সামাজিক অস্থিরতা ও প্রচলিত মূল্যবোধে ভাঙন দেখা দেয়। স্বাধীনতা-উত্তর নতুন সমাজ বিনির্মাণে তাই প্রয়োজন হয় সমাজের মন্দগুলোকে পরিহার করে নিজস্ব সামাজিক বৈশিষ্ট্য ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করা। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের পুরোভাগে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল সমাজসংস্কারের প্রয়োজনীয়তাকে—সতীদাহ নিরোধ, বিধবাবিবাহ ও নারীশিক্ষার প্রসারে গুরুত্ব দিয়েছিল জাতীয় পর্যায়ের সফল নেতৃত্ব। অনেক দেরিতে হলেও আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে সমাজসংস্কারের ওপর। সমাজের প্রতি স্তরে মানবিক মূল্যবোধ সৃষ্টিতে সভ্য সমাজ বিনির্মাণের কোনো বিকল্প নেই।
সালমা খান: নারীনেত্রী, সিডও কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান।
No comments