চারদিক-পিঠা খাবেন, পিঠা? by মুজিবুর রহমান
৫ ফেব্রুয়ারি শমশেরনগরের মানুষ পিঠা খেল। মৌলভীবাজারের শমশেরনগরের কথাই বলছি। এমন তো নয় যে শীতকালে আর কেউ পিঠা খায় না। শীতকাল মানেই ঘরে ঘরে পিঠা উৎসব। শমশেরনগরের মানুষও সে ঐতিহ্যমতো পিঠা বানায়, পাঠায় আত্মীয়র বাড়ি। তবে আজ যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলছি, তা একেবারে বড়সড় এক পিঠা উৎসবের। ২০০৭ সাল থেকেই এ উৎসব চলছে।
আতিথেয়তায় সিলেট অঞ্চল কারও চেয়ে পিছিয়ে নেই। তবে রকমারি পিঠার কথা যদি বলা হয়, তবে মজার ও সুস্বাদু পিঠার ক্ষেত্রে সিলেট অঞ্চল অনেক পিছিয়ে। চিতই পিঠা, মেড়া (ঢেলা) পিঠা, পাটিসাপটা, নারকেলি পপ, রস পিঠা, ডুঙ্গা (বাঁশের চোঙায় তৈরি), নুনের পিঠা, সন্দেশসহ (ময়দা বা আটা দিয়ে গুড়ের পিঠা) হাতেগোনা কয়েকটি পিঠা ছাড়া সিলেট অঞ্চলের লোকজন অন্যান্য পিঠার সঙ্গে তেমন পরিচিত নয়। সেই শূন্যতা ঘুচিয়ে দিতেই আয়োজন করা হয় এ উৎসবের। শমশেরনগরের এ উৎসবে শতাধিক দেশি পিঠার স্বাদ পায় এলাকার মানুষ।
বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলে যে নানা রকমের মজাদার পিঠা তৈরি হয়, তা জানা, তৈরির কৌশল জানা ও সবাইকে এ ব্যাপারে জানাতে, বিশেষ করে আবহমান বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে লালন করার জন্যই ‘এসো বন্ধু এসো, সবে মেতে উঠি পিঠা উৎসবে’ স্লোগান নিয়ে ২০০৭ সালের ২৭ জানুয়ারি স্থানীয় একটি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো শমশেরনগরে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। কমলগঞ্জ উপজেলার তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. আজাদুর রহমানের সহযোগিতায় এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। সে বছর স্টল ছিল ১৫টি। পরবর্তী সময়ে উৎসবে স্টলের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
জানুয়ারির শুরু থেকেই আগ্রহী মানুষ আর স্টলের মালিকেরা পিঠা উৎসব উদ্যাপন কমিটির কাছে জানতে চান, কবে শুরু হবে উৎসব। উৎসব শুরু হলেই এলাকাবাসীর মনে লাগে উৎসবের রং। উৎসবটি আরও সুন্দর করার জন্য আয়োজকেরা আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বই, মণিপুরি তাঁত ও বস্ত্র, বাঁশের তৈরি ফার্নিচার, কসমেটিকসের কয়েকটি স্টলের মালিকদের। সকাল নয়টায় শিংরাউলী ইলেভেন স্টার মাঠে স্টল সাজিয়ে বিক্রিবাট্টা শুরু হয়ে যায়। বেলা তিনটায় সিলেট বিভাগীয় কমিশনার গোলাম রব্বানী উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মফিজুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. আবদুল আলীম মাহমুদ ও কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকাশ কান্তি চৌধুরী। এ ছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের যুগ্ম সচিব মো. নজরুল ইসলাম, রাবেয়া-রাগীব ফাউন্ডেশন থেকে ২০১০ সালের একুশে পদকে মনোনীত বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক ফয়জুর রহমান, বিয়ানীবাজারের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আহমদ আলী ও ভারতের উত্তর ত্রিপুরার জেলা কৈলাসহরের সাংবাদিক মোহিত পালও উৎসবে উপস্থিত ছিলেন। হাজার হাজার দর্শনার্থীর ভিড়ে মেলায় বাঙালির চিরাচরিত বিভিন্ন ধরনের শতাধিক পিঠা স্থান পায়। রাত আটটা পর্যন্ত হাজারো দর্শনার্থী ও ক্রেতার উপস্থিতিতে পিঠা বিক্রি চলে। রাত সাড়ে আটটা থেকে উৎসবস্থলে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
পিঠার স্টলগুলোর নামগুলোও ছিল মনকাড়া। ‘সোনামণিদের পিঠাঘর’, ‘বধূয়া’, ‘পিঠে পিঠা’, ‘সকাল-সন্ধ্যা’সহ বাহারি নানা নামের পিঠার স্টল অংশ নিয়েছিল উৎসবে। মূলত সকাল নয়টা থেকে মোট ৪৮টি স্টলে পিঠা বিক্রি শুরু হয়।
বরাবরের মতো এবারও শমশেরনগর পিঠা উৎসবে এসেছিলেন ভারতের ত্রিপুরার কবি, সাহিত্যিক ও সাংবাদিকেরা। তবে এবারের উৎসব ছিল একটু ব্যতিক্রম। প্রভাষক শাহজাহান মানিক অনূদিত ওয়ারলক ও ইউছুফ আলী রচিত বাউল গানের বই মন ছাতকির মন নামের দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয় পিঠা উৎসবে।
বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলে যে নানা রকমের মজাদার পিঠা তৈরি হয়, তা জানা, তৈরির কৌশল জানা ও সবাইকে এ ব্যাপারে জানাতে, বিশেষ করে আবহমান বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে লালন করার জন্যই ‘এসো বন্ধু এসো, সবে মেতে উঠি পিঠা উৎসবে’ স্লোগান নিয়ে ২০০৭ সালের ২৭ জানুয়ারি স্থানীয় একটি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো শমশেরনগরে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। কমলগঞ্জ উপজেলার তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. আজাদুর রহমানের সহযোগিতায় এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। সে বছর স্টল ছিল ১৫টি। পরবর্তী সময়ে উৎসবে স্টলের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
জানুয়ারির শুরু থেকেই আগ্রহী মানুষ আর স্টলের মালিকেরা পিঠা উৎসব উদ্যাপন কমিটির কাছে জানতে চান, কবে শুরু হবে উৎসব। উৎসব শুরু হলেই এলাকাবাসীর মনে লাগে উৎসবের রং। উৎসবটি আরও সুন্দর করার জন্য আয়োজকেরা আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বই, মণিপুরি তাঁত ও বস্ত্র, বাঁশের তৈরি ফার্নিচার, কসমেটিকসের কয়েকটি স্টলের মালিকদের। সকাল নয়টায় শিংরাউলী ইলেভেন স্টার মাঠে স্টল সাজিয়ে বিক্রিবাট্টা শুরু হয়ে যায়। বেলা তিনটায় সিলেট বিভাগীয় কমিশনার গোলাম রব্বানী উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মফিজুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. আবদুল আলীম মাহমুদ ও কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকাশ কান্তি চৌধুরী। এ ছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের যুগ্ম সচিব মো. নজরুল ইসলাম, রাবেয়া-রাগীব ফাউন্ডেশন থেকে ২০১০ সালের একুশে পদকে মনোনীত বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক ফয়জুর রহমান, বিয়ানীবাজারের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আহমদ আলী ও ভারতের উত্তর ত্রিপুরার জেলা কৈলাসহরের সাংবাদিক মোহিত পালও উৎসবে উপস্থিত ছিলেন। হাজার হাজার দর্শনার্থীর ভিড়ে মেলায় বাঙালির চিরাচরিত বিভিন্ন ধরনের শতাধিক পিঠা স্থান পায়। রাত আটটা পর্যন্ত হাজারো দর্শনার্থী ও ক্রেতার উপস্থিতিতে পিঠা বিক্রি চলে। রাত সাড়ে আটটা থেকে উৎসবস্থলে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
পিঠার স্টলগুলোর নামগুলোও ছিল মনকাড়া। ‘সোনামণিদের পিঠাঘর’, ‘বধূয়া’, ‘পিঠে পিঠা’, ‘সকাল-সন্ধ্যা’সহ বাহারি নানা নামের পিঠার স্টল অংশ নিয়েছিল উৎসবে। মূলত সকাল নয়টা থেকে মোট ৪৮টি স্টলে পিঠা বিক্রি শুরু হয়।
বরাবরের মতো এবারও শমশেরনগর পিঠা উৎসবে এসেছিলেন ভারতের ত্রিপুরার কবি, সাহিত্যিক ও সাংবাদিকেরা। তবে এবারের উৎসব ছিল একটু ব্যতিক্রম। প্রভাষক শাহজাহান মানিক অনূদিত ওয়ারলক ও ইউছুফ আলী রচিত বাউল গানের বই মন ছাতকির মন নামের দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয় পিঠা উৎসবে।
No comments