এস এম আব্রাহাম লিংকন-সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচন ব্যর্থতার কার্যকারণ
সবাই আশা করেছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচনে সরকার সমর্থক আইনজীবীরা এবার বিজয়ী হবেন। সাধারণ সম্পাদক পদে মতদ্বৈধতা থাকলেও সভাপতির বিজয়কে নিশ্চিত ভেবেছিলেন অনেকে। যাঁরা ভোট দেননি এ রকম প্রতিপক্ষদের কারো কারো মতে, আবদুল বাছেত মজুমদারের পরাজয় প্রত্যাশিত ফল নয়।
এর পরও এরূপ নিরঙ্কুশবিরোধী বিজয় কেন হলো তা ভবিষ্যতের জন্য ভাবা প্রয়োজন। প্রগতিশীলরা কি সংখ্যায় কমে গেছেন? গত কয়েক বছরের যে হিসাব, তাতে সুপ্রিম কোর্ট বারের সদস্যদের অবসর নেওয়ার সংখ্যা বা মৃত্যুজনিত কারণে সদস্যপদ শূন্য হওয়ার হিসাবদৃষ্টে দেখা যায় সে সংখ্যা খুবই কম। সদস্য যদি না কমে থাকে, তবে ভোট কেন কম বা কেন আমরা পরাজিত? বিষয়টি অবশ্যই ভাবার। এবারে বাম গণতান্ত্রিক শক্তি তো একত্রে ভোটও করেছে, তদুপরি এ ফল বিপর্যয় কেন?
আমরা মোটেও বিবেচনায় নিইনি যে শুধু একত্র হওয়া কিন্তু ঐক্য নয়। ঐক্য ক্রিয়াশীল প্রক্রিয়া। চলতে চলতেই ঐক্য প্রতিষ্ঠিত ও দৃঢ় হয়। এবারের নির্বাচনে আমরা একত্র ছিলাম; কিন্তু কার্যকর রূপে ক্রিয়াশীল ছিলাম না।
যেসব কারণে পরাজয় : ১. প্রতিপক্ষকে ছোট ভাবা। ২. বিজয়ের ব্যাপারে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী থাকা। ৩. ঐক্য হয়েছে; কিন্তু ঐক্যবদ্ধ রূপে কাজে অংশ না করা (শুধু সভা-সমাবেশের মধ্যে নিজেদের গণ্ডিবদ্ধ রাখা)। ৪. প্রতিপক্ষের (আগের কমিটি) সাধিত ভালো কাজগুলোকে ঢালাওভাবে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে মূল্যায়ন করা সাধারণ সদস্যরা ভালোভাবে গ্রহণ করেননি। যেমন_এস এ পরিবহনের কাউন্টার, এটিএম বুথ, সদস্যদের জন্য পুরনো বিল্ডিংয়ের উপরিভাগে বসার আয়োজন, সদস্যদের আর্থিক সুবিধা (বেনোভেলেন্ট সুবিধা) এবং সঞ্চয় বৃদ্ধি প্রভৃতি। সাধারণ সদস্য যাঁরা ভোটের ক্ষেত্রে ডিসাইসিভ ফ্যাক্টর তাঁরা কিন্তু ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এ কাজগুলো গ্রহণ করেছেন। এসব কার্যক্রমের ঢালাও বিরোধিতা প্রগতিশীলদের ক্ষতি করেছে। তাঁদের কারো কারো মনে সংশয় ছিল, সরকার সমর্থকরা বারের ক্ষমতায় এলে এসব ইতিবাচক কাজ বাতিল হয়ে যাবে। ৫. সরকার দুই বছরের অধিক ক্ষমতায়; কিন্তু আইনজীবীদের জন্য উল্লেখযোগ্য কোনো সুবিধা দিতে পারেনি। হয়তো তাঁদের পক্ষে বার সমিতি ছিল না, তদুপরি কিছু সুযোগ-সুবিধা প্রগতিশীল নেতারা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আনতে পারতেন। ৬. কিছু কাজ ভোটের আগে করা মোটেও উচিত হয়নি (জ্ঞাত বা অজ্ঞাতে যেভাবেই হোক)। যেমন_পুরনো বিল্ডিংয়ের চারতলায় সমিতির সদস্যদের জন্য যে রুম হচ্ছিল, তা ভাঙতে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে আসায় মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। সদস্যরা এটাকে মানসম্মত সিদ্ধান্ত মনে করেননি। এমনিতেই পেশাগত কারণে আইনজীবীরা বেঞ্চ গঠন নিয়ে নানা কারণে সমালোচনামুখী। ৭. সরকারবিরোধিরা সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতি তাঁদের নিয়ন্ত্রণে রাখায় বদ্ধপরিকর ছিলেন। তাঁরা এমন কোনো তালিকাভুক্ত আইনজীবী নেই, যাঁদের সামনে তাঁদের গৃহীত সফল কাজগুলোকে তুলে ধরেননি। তাঁরা যেমন সুপ্রিম কোর্টে সরকারদলীয়দের বিরুদ্ধে দলীয়করণের অভিযোগ নিয়ে এসেছেন; অনুরূপভাবে তাঁদের সাফল্যগুলো তাঁরা সদস্যদের মধ্যে প্রচারে সফল ছিলেন। ৮. প্রগতিশীলরা কিন্তু কাউন্টারপার্ট হিসেবে কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারিনি। ৯. আমরা ভুলে গিয়েছি সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতি প্রতিক্রিয়াশীল জোটের দখলে রাখা তাঁদের আদি লক্ষ্য ছিল। সেখান থেকে তাঁরা কিন্তু বিচ্যুত হননি। ১০. চারদলীয় জোটভুক্ত যেসব সদস্য সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাকটিস করার পরও দেশের বিভিন্ন বারে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতেন, তাঁদের ভোটের অপশন চেঞ্জ করে এবারে সুপ্রিম কোর্ট বারে ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সংখ্যাটি অনেক ছিল। এ রকম পদ্ধতিতে ভোট বৃদ্ধির কাজটি আগের কমিটিতে থাকার সুবাদে চারদলীয় জোট করতে সক্ষম হয়েছে। এ বিষয়টি চার দলের নিয়ন্ত্রণে বার সমিতি থাকায় প্রগতিশীলরা খোঁজ পাননি বা জানার পরও নিশ্চিত বিজয় হওয়ার অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসে বিষয়টিকে আমলে নেননি। ১১. এবারের নির্বাচনে প্রগতিশীল প্রবীণ আইনজীবীরা তেমন কোনো ভূমিকা রাখেননি। যা বিরোধীরা প্রচারে সক্ষম হয়েছেন, প্রবীণরা প্রগতিশীলদের সঙ্গে নেই। নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে জামায়াতের কেউ মূল পদে না থাকলেও কর্মকৌশলে তাঁরাই মূল ছিলেন। বিষয়টি প্রগতিশীলরা ভাবনায় নেননি। ১২. প্রগতিশীলরা যখন প্রতিদিন কোর্ট প্রাঙ্গণে মিটিং করেছেন (একই বক্তা একই শ্রোতা নিয়ে) তখন কিন্তু সরকারবিরোধীরা ডোর টু ডোর কন্ট্রাক্ট করেছেন। তাঁরা এলাকাভিত্তিক পরিকল্পনায় নির্বাচনী কাজ করেছেন। এ ক্ষেত্রে প্রগতিশীলরা ছিলেন অনেক পিছিয়ে। ১৩. বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, সরকারি আইন কর্মকর্তারা শুধু ভূমিকা পালন করছেন। প্রগতিশীলদের যাঁরা আইকন তাঁরা ভোট প্রার্থনা করেননি। ১৪. অভিযোগ ছিল ঢাকা বারের দু-একজন সদস্য যাঁরা সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন, তা কিন্তু সাধারণ সদস্যরা ভালোভাবে গ্রহণ করেননি। সেখানকার পিপির নির্দেশে ভবিষ্যতে সুপ্রিম কোর্ট বার পরিচালিত হতে পারে_এমন প্রচারণা ছিল।
সর্বোপরি যে পরিশ্রম একটি নির্বাচনে বিজয়ের জন্য দরকার, তা আমাদের অনেক নেতা-কর্মী ও প্রার্থীর ছিল না। প্রগতিশীলরা নির্বাচনে বিজয়ী হওয়াকে নিজস্ব বিজয় বলে মনে করেননি। প্রগতিশীলদের আত্মমূল্যায়ন দরকার। উপরিউক্ত বিষয়গুলো বিবেচনায় নিলে ভবিষ্য দিনের নির্বাচনী হিসাব-নিকাশ সহজ হবে। বিবেচনায় নিতে হবে নির্বাচনের আগে এক মাসের প্রস্তুতি বিজয়ের জন্য যথেষ্ট নয়। শুধু নির্বাচনের আগে সদস্যদের প্রতি সদয় হয়ে লাভ নেই। সাধারণ সদস্যদের আকৃষ্ট করার জন্য চাই বছরজুড়ে পরিকল্পনা। জামায়াত-বিএনপির বিজয় কিন্তু এক মাসের লড়াইয়ের ফল নয়। তারা ভোটের অনেক আগ থেকেই প্রচারাভিযানে নেমেছে। যাঁর যেখানে শক্তি ছিল সেই শক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করেছেন। যেখান থেকে সদস্যদের উপকার করা যায়, তাঁরা তার চেষ্টা করেছেন। সেটা ব্যাংক, বীমা, চিকিৎসা, পরিবহন, আত্মীয়ের চাকরি_যা-ই হোক। প্রগতিশীলরা কি সেদিকে নজর দিতে পেরেছিলেন? রাজনীতির দোহাই দিয়ে পেশাজীবীদের সমর্থন পাওয়া সহজ নয়। যাঁরা রাজনীতি করেন না, শুধুই পেশাজীবী, তাঁদের ভোট পেতে হলে পেশার মানোন্নয়নসহ পেশাজীবীদের জন্য কল্যাণমূলক কার্যক্রম হাতে নিতে হবে।
লেখক : আইনজীবী, Lincoln_bd@yahoo.com
আমরা মোটেও বিবেচনায় নিইনি যে শুধু একত্র হওয়া কিন্তু ঐক্য নয়। ঐক্য ক্রিয়াশীল প্রক্রিয়া। চলতে চলতেই ঐক্য প্রতিষ্ঠিত ও দৃঢ় হয়। এবারের নির্বাচনে আমরা একত্র ছিলাম; কিন্তু কার্যকর রূপে ক্রিয়াশীল ছিলাম না।
যেসব কারণে পরাজয় : ১. প্রতিপক্ষকে ছোট ভাবা। ২. বিজয়ের ব্যাপারে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী থাকা। ৩. ঐক্য হয়েছে; কিন্তু ঐক্যবদ্ধ রূপে কাজে অংশ না করা (শুধু সভা-সমাবেশের মধ্যে নিজেদের গণ্ডিবদ্ধ রাখা)। ৪. প্রতিপক্ষের (আগের কমিটি) সাধিত ভালো কাজগুলোকে ঢালাওভাবে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে মূল্যায়ন করা সাধারণ সদস্যরা ভালোভাবে গ্রহণ করেননি। যেমন_এস এ পরিবহনের কাউন্টার, এটিএম বুথ, সদস্যদের জন্য পুরনো বিল্ডিংয়ের উপরিভাগে বসার আয়োজন, সদস্যদের আর্থিক সুবিধা (বেনোভেলেন্ট সুবিধা) এবং সঞ্চয় বৃদ্ধি প্রভৃতি। সাধারণ সদস্য যাঁরা ভোটের ক্ষেত্রে ডিসাইসিভ ফ্যাক্টর তাঁরা কিন্তু ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এ কাজগুলো গ্রহণ করেছেন। এসব কার্যক্রমের ঢালাও বিরোধিতা প্রগতিশীলদের ক্ষতি করেছে। তাঁদের কারো কারো মনে সংশয় ছিল, সরকার সমর্থকরা বারের ক্ষমতায় এলে এসব ইতিবাচক কাজ বাতিল হয়ে যাবে। ৫. সরকার দুই বছরের অধিক ক্ষমতায়; কিন্তু আইনজীবীদের জন্য উল্লেখযোগ্য কোনো সুবিধা দিতে পারেনি। হয়তো তাঁদের পক্ষে বার সমিতি ছিল না, তদুপরি কিছু সুযোগ-সুবিধা প্রগতিশীল নেতারা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আনতে পারতেন। ৬. কিছু কাজ ভোটের আগে করা মোটেও উচিত হয়নি (জ্ঞাত বা অজ্ঞাতে যেভাবেই হোক)। যেমন_পুরনো বিল্ডিংয়ের চারতলায় সমিতির সদস্যদের জন্য যে রুম হচ্ছিল, তা ভাঙতে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে আসায় মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। সদস্যরা এটাকে মানসম্মত সিদ্ধান্ত মনে করেননি। এমনিতেই পেশাগত কারণে আইনজীবীরা বেঞ্চ গঠন নিয়ে নানা কারণে সমালোচনামুখী। ৭. সরকারবিরোধিরা সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতি তাঁদের নিয়ন্ত্রণে রাখায় বদ্ধপরিকর ছিলেন। তাঁরা এমন কোনো তালিকাভুক্ত আইনজীবী নেই, যাঁদের সামনে তাঁদের গৃহীত সফল কাজগুলোকে তুলে ধরেননি। তাঁরা যেমন সুপ্রিম কোর্টে সরকারদলীয়দের বিরুদ্ধে দলীয়করণের অভিযোগ নিয়ে এসেছেন; অনুরূপভাবে তাঁদের সাফল্যগুলো তাঁরা সদস্যদের মধ্যে প্রচারে সফল ছিলেন। ৮. প্রগতিশীলরা কিন্তু কাউন্টারপার্ট হিসেবে কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারিনি। ৯. আমরা ভুলে গিয়েছি সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতি প্রতিক্রিয়াশীল জোটের দখলে রাখা তাঁদের আদি লক্ষ্য ছিল। সেখান থেকে তাঁরা কিন্তু বিচ্যুত হননি। ১০. চারদলীয় জোটভুক্ত যেসব সদস্য সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাকটিস করার পরও দেশের বিভিন্ন বারে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতেন, তাঁদের ভোটের অপশন চেঞ্জ করে এবারে সুপ্রিম কোর্ট বারে ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সংখ্যাটি অনেক ছিল। এ রকম পদ্ধতিতে ভোট বৃদ্ধির কাজটি আগের কমিটিতে থাকার সুবাদে চারদলীয় জোট করতে সক্ষম হয়েছে। এ বিষয়টি চার দলের নিয়ন্ত্রণে বার সমিতি থাকায় প্রগতিশীলরা খোঁজ পাননি বা জানার পরও নিশ্চিত বিজয় হওয়ার অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসে বিষয়টিকে আমলে নেননি। ১১. এবারের নির্বাচনে প্রগতিশীল প্রবীণ আইনজীবীরা তেমন কোনো ভূমিকা রাখেননি। যা বিরোধীরা প্রচারে সক্ষম হয়েছেন, প্রবীণরা প্রগতিশীলদের সঙ্গে নেই। নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে জামায়াতের কেউ মূল পদে না থাকলেও কর্মকৌশলে তাঁরাই মূল ছিলেন। বিষয়টি প্রগতিশীলরা ভাবনায় নেননি। ১২. প্রগতিশীলরা যখন প্রতিদিন কোর্ট প্রাঙ্গণে মিটিং করেছেন (একই বক্তা একই শ্রোতা নিয়ে) তখন কিন্তু সরকারবিরোধীরা ডোর টু ডোর কন্ট্রাক্ট করেছেন। তাঁরা এলাকাভিত্তিক পরিকল্পনায় নির্বাচনী কাজ করেছেন। এ ক্ষেত্রে প্রগতিশীলরা ছিলেন অনেক পিছিয়ে। ১৩. বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, সরকারি আইন কর্মকর্তারা শুধু ভূমিকা পালন করছেন। প্রগতিশীলদের যাঁরা আইকন তাঁরা ভোট প্রার্থনা করেননি। ১৪. অভিযোগ ছিল ঢাকা বারের দু-একজন সদস্য যাঁরা সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন, তা কিন্তু সাধারণ সদস্যরা ভালোভাবে গ্রহণ করেননি। সেখানকার পিপির নির্দেশে ভবিষ্যতে সুপ্রিম কোর্ট বার পরিচালিত হতে পারে_এমন প্রচারণা ছিল।
সর্বোপরি যে পরিশ্রম একটি নির্বাচনে বিজয়ের জন্য দরকার, তা আমাদের অনেক নেতা-কর্মী ও প্রার্থীর ছিল না। প্রগতিশীলরা নির্বাচনে বিজয়ী হওয়াকে নিজস্ব বিজয় বলে মনে করেননি। প্রগতিশীলদের আত্মমূল্যায়ন দরকার। উপরিউক্ত বিষয়গুলো বিবেচনায় নিলে ভবিষ্য দিনের নির্বাচনী হিসাব-নিকাশ সহজ হবে। বিবেচনায় নিতে হবে নির্বাচনের আগে এক মাসের প্রস্তুতি বিজয়ের জন্য যথেষ্ট নয়। শুধু নির্বাচনের আগে সদস্যদের প্রতি সদয় হয়ে লাভ নেই। সাধারণ সদস্যদের আকৃষ্ট করার জন্য চাই বছরজুড়ে পরিকল্পনা। জামায়াত-বিএনপির বিজয় কিন্তু এক মাসের লড়াইয়ের ফল নয়। তারা ভোটের অনেক আগ থেকেই প্রচারাভিযানে নেমেছে। যাঁর যেখানে শক্তি ছিল সেই শক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করেছেন। যেখান থেকে সদস্যদের উপকার করা যায়, তাঁরা তার চেষ্টা করেছেন। সেটা ব্যাংক, বীমা, চিকিৎসা, পরিবহন, আত্মীয়ের চাকরি_যা-ই হোক। প্রগতিশীলরা কি সেদিকে নজর দিতে পেরেছিলেন? রাজনীতির দোহাই দিয়ে পেশাজীবীদের সমর্থন পাওয়া সহজ নয়। যাঁরা রাজনীতি করেন না, শুধুই পেশাজীবী, তাঁদের ভোট পেতে হলে পেশার মানোন্নয়নসহ পেশাজীবীদের জন্য কল্যাণমূলক কার্যক্রম হাতে নিতে হবে।
লেখক : আইনজীবী, Lincoln_bd@yahoo.com
No comments