আজকের সব বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত-হরতালে লণ্ডভণ্ড এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা by অভিজিৎ ভট্টাচার্য্য
বিরোধী দলের হরতালের কারণে আজ রবিবার দেশের সব শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। একই কারণে বিএনপি গত বৃহস্পতিবার সিলেট বিভাগের চার জেলায় হরতাল করায় ওই দিনও সিলেট শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সারা দেশের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি জানিয়েছে, সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আজ রবিবারের স্থগিত পরীক্ষাগুলো আগামী ২২ মে, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা ৯ মে এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা ২ মে অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া সিলেট বোর্ডের গত বৃহস্পতিবার স্থগিত হওয়া পরীক্ষা হবে ২৪ মে এবং কারিগরি বোর্ডের স্থগিত হওয়া পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৩০ এপ্রিল।
শিক্ষা বোর্ড সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পরীক্ষার ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী আগামী ২০ মে এইচএসসির লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু বিএনপির ডাকা হরতালের কারণে এইচএসসি পরীক্ষার সময়সূচি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। নতুন করে আবার সময়সূচি ঘোষণা করতে হয়েছে। নতুন সূচি অনুযায়ী লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ২৪ মে। এই চার দিন দেরি হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হয়েছে। এর ফলে নির্ধারিত সময়ে আগামী বছরের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা যাবে না। কর্মকর্তারা বলছেন, পরীক্ষার সময় এক দিন হরতাল ডাকায় শিক্ষার্থীদের কমপক্ষে এক মাস সময় নষ্ট হলো।
জানতে চাইলে আন্তশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন কালের কণ্ঠকে বলেন, রুটিন অনুযায়ী ২০ মে লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু হরতালের কারণে তা ২৪ মে শেষ হবে। এতে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ থেকে শুরু করে ভর্তির কার্যক্রমসহ সবকিছুতে দেরি হবে। শুরু হবে সেশনজট। তিনি বলেন, এটি একটি পাবলিক পরীক্ষা। এর গুরুত্ব সবার বোঝা উচিত। পরীক্ষার সময় এক দিন হরতাল ডাকার কারণে লাখ লাখ শিক্ষার্থীর কমপক্ষে এক মাস সময় নষ্ট হলো। তিনি জাতির কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, এর দায়দায়িত্ব কে নেবে?
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র গতকাল শনিবার কালের কণ্ঠকে বলেন, তিন বছর ধরে পাবলিক পরীক্ষাগুলো একটি ছকের আওতায় এসেছিল। এতে এসএসসি পরীক্ষা ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতো। ফলাফল প্রকাশ হতো ১৫ মের মধ্যে। একাদশ শ্রেণীর ক্লাস শুরু হতো ১ জুলাই থেকে। আর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতো ১ এপ্রিল থেকে। ফলাফল প্রকাশ করা হতো ২০ জুলাইয়ের মধ্যে। সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভর্তির কার্যক্রম শুরু করত। এতে সেশনজটও কমে আসছিল।
ওই সূত্র মতে, চলমান এইচএসসি পরীক্ষার সময় হরতাল দেওয়ার কারণে সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেছে। এতে পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ের পরে শেষ হবে। ফল প্রকাশ হবে নির্ধারিত সময়ের পর। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রমও দেরিতে শুরু হবে। সব মিলিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্লাস-পরীক্ষা নিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।
এদিকে পরীক্ষার সময় হরতাল কর্মসূচি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। হরতাল প্রত্যাহার না হলে শিক্ষা ব্যবস্থা অগোছালো হয়ে যাবে বলে মন্ত্রী বিবৃতিতে উল্লেখ করেছিলেন।
এর আগে গতকাল সকালে আন্তশিক্ষা বোর্ডের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির ডাকা হরতালের কারণে সব শিক্ষা বোর্ডের রবিবারের পরীক্ষাগুলো স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সভায়। পরে পরীক্ষা স্থগিত হওয়ার বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আজ রবিবার আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সকালে প্রকৌশল অঙ্কন ও ওয়ার্কশপ প্র্যাকটিস প্রথমপত্র, সমরবিদ্যা (তত্ত্বীয়) প্রথমপত্র, গার্হস্থ্য অর্থনীতি (তত্ত্বীয়) প্রথমপত্র এবং বিকেলে পরিসংখ্যান (তত্ত্বীয়) প্রথমপত্র, সাধারণ বিজ্ঞান এবং খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) প্রথমপত্র (রসায়ন), সাধারণ বিজ্ঞান এবং খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) প্রথমপত্র (জীববিজ্ঞান) ও ক্রীড়া (তত্ত্বীয়) প্রথমপত্র বিষয়ের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। এ পরীক্ষাগুলো হবে আগামী ২২ মে।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আজ আল ফিকহ (দ্বিতীয়পত্র), জীববিজ্ঞান (দ্বিতীয়পত্র) ও উচ্চতর গণিত (দ্বিতীয়পত্র) বিষয়ের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। এসব পরীক্ষা হবে আগামী ৯ মে।
এ ছাড়া হরতালের কারণে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম) দ্বাদশ শ্রেণীর ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, একাদশ/পরিপূরক শ্রেণীর কম্পিউটার প্রোগ্রামিং কনসেপ্ট, এইচএসসি (ভোকেশনাল) দ্বাদশ শ্রেণীর রসায়ন বিজ্ঞান-২, ডিপ্লোমা ইন কমার্সের একাদশ/পরিপূরক শ্রেণীর প্রোডাকশন প্ল্যানিং, কন্ট্রোল অ্যান্ড কস্টিং এবং ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের টেক্সটাইল ক্যালকুলেশন (ষষ্ঠ পর্ব), টেক্সটাইল ক্যালকুলেশন-জুট (ষষ্ঠ পর্ব), বিজনেস কমিউনিকেশন (সপ্তম পর্ব-জুট ও টেক্স) বিষয়ের পরীক্ষাও স্থগিত হয়ে গেছে। আগামী ২ মে এসব বিষয়ের পরীক্ষা হবে। আর সোমবার থেকে পরবর্তী পরীক্ষাগুলো আগের সময়সূচি অনুযায়ী চলবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সিলেট বোর্ডে বৃহস্পতিবারের স্থগিত পরীক্ষার সময়সূচি : সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. মনির উদ্দিন গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বৃহস্পতিবারের স্থগিত করা পরীক্ষা আগামী ২৪ মে অনুষ্ঠিত হবে। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আবদুর রেজ্জাক জানান, ওই দিনের স্থগিত করা পরীক্ষা আগামী ৩০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে।
গত বৃহস্পতিবার সিলেট শিক্ষা বোর্ডে পৌরনীতি দ্বিতীয়পত্র, জীববিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয়পত্র, ব্যবসায় উদ্যোগ ও ব্যবহারিক ব্যবস্থাপনা দ্বিতীয়পত্র, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি দ্বিতীয়পত্র, উচ্চাঙ্গ সংগীত (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয়পত্র বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এসব বিষয়ের পরীক্ষা হবে ২৪ মে।
আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে একই দিনে এইচএসসি বিএম-এ দ্বাদশ শ্রেণীর লাইভস্কিলড ডেভেলপমেন্ট, একাদশ শ্রেণীর সেক্রেটারিয়াল প্র্যাকটিসেস, এইচএসসি ভোকেশনালের পদার্থবিজ্ঞান-১ এবং ডিপ্লোমা ইন কমার্সের উচ্চতর হিসাববিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এসব পরীক্ষা হবে ৩০ এপ্রিল।
উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল থেকে সারা দেশে চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা চলছে। আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ৯ লাখ ২৬ হাজার পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে এবার।
শিক্ষা বোর্ড সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পরীক্ষার ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী আগামী ২০ মে এইচএসসির লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু বিএনপির ডাকা হরতালের কারণে এইচএসসি পরীক্ষার সময়সূচি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। নতুন করে আবার সময়সূচি ঘোষণা করতে হয়েছে। নতুন সূচি অনুযায়ী লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ২৪ মে। এই চার দিন দেরি হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হয়েছে। এর ফলে নির্ধারিত সময়ে আগামী বছরের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা যাবে না। কর্মকর্তারা বলছেন, পরীক্ষার সময় এক দিন হরতাল ডাকায় শিক্ষার্থীদের কমপক্ষে এক মাস সময় নষ্ট হলো।
জানতে চাইলে আন্তশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন কালের কণ্ঠকে বলেন, রুটিন অনুযায়ী ২০ মে লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু হরতালের কারণে তা ২৪ মে শেষ হবে। এতে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ থেকে শুরু করে ভর্তির কার্যক্রমসহ সবকিছুতে দেরি হবে। শুরু হবে সেশনজট। তিনি বলেন, এটি একটি পাবলিক পরীক্ষা। এর গুরুত্ব সবার বোঝা উচিত। পরীক্ষার সময় এক দিন হরতাল ডাকার কারণে লাখ লাখ শিক্ষার্থীর কমপক্ষে এক মাস সময় নষ্ট হলো। তিনি জাতির কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, এর দায়দায়িত্ব কে নেবে?
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র গতকাল শনিবার কালের কণ্ঠকে বলেন, তিন বছর ধরে পাবলিক পরীক্ষাগুলো একটি ছকের আওতায় এসেছিল। এতে এসএসসি পরীক্ষা ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতো। ফলাফল প্রকাশ হতো ১৫ মের মধ্যে। একাদশ শ্রেণীর ক্লাস শুরু হতো ১ জুলাই থেকে। আর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতো ১ এপ্রিল থেকে। ফলাফল প্রকাশ করা হতো ২০ জুলাইয়ের মধ্যে। সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভর্তির কার্যক্রম শুরু করত। এতে সেশনজটও কমে আসছিল।
ওই সূত্র মতে, চলমান এইচএসসি পরীক্ষার সময় হরতাল দেওয়ার কারণে সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেছে। এতে পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ের পরে শেষ হবে। ফল প্রকাশ হবে নির্ধারিত সময়ের পর। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রমও দেরিতে শুরু হবে। সব মিলিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্লাস-পরীক্ষা নিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।
এদিকে পরীক্ষার সময় হরতাল কর্মসূচি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। হরতাল প্রত্যাহার না হলে শিক্ষা ব্যবস্থা অগোছালো হয়ে যাবে বলে মন্ত্রী বিবৃতিতে উল্লেখ করেছিলেন।
এর আগে গতকাল সকালে আন্তশিক্ষা বোর্ডের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির ডাকা হরতালের কারণে সব শিক্ষা বোর্ডের রবিবারের পরীক্ষাগুলো স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সভায়। পরে পরীক্ষা স্থগিত হওয়ার বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আজ রবিবার আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সকালে প্রকৌশল অঙ্কন ও ওয়ার্কশপ প্র্যাকটিস প্রথমপত্র, সমরবিদ্যা (তত্ত্বীয়) প্রথমপত্র, গার্হস্থ্য অর্থনীতি (তত্ত্বীয়) প্রথমপত্র এবং বিকেলে পরিসংখ্যান (তত্ত্বীয়) প্রথমপত্র, সাধারণ বিজ্ঞান এবং খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) প্রথমপত্র (রসায়ন), সাধারণ বিজ্ঞান এবং খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) প্রথমপত্র (জীববিজ্ঞান) ও ক্রীড়া (তত্ত্বীয়) প্রথমপত্র বিষয়ের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। এ পরীক্ষাগুলো হবে আগামী ২২ মে।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আজ আল ফিকহ (দ্বিতীয়পত্র), জীববিজ্ঞান (দ্বিতীয়পত্র) ও উচ্চতর গণিত (দ্বিতীয়পত্র) বিষয়ের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। এসব পরীক্ষা হবে আগামী ৯ মে।
এ ছাড়া হরতালের কারণে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম) দ্বাদশ শ্রেণীর ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, একাদশ/পরিপূরক শ্রেণীর কম্পিউটার প্রোগ্রামিং কনসেপ্ট, এইচএসসি (ভোকেশনাল) দ্বাদশ শ্রেণীর রসায়ন বিজ্ঞান-২, ডিপ্লোমা ইন কমার্সের একাদশ/পরিপূরক শ্রেণীর প্রোডাকশন প্ল্যানিং, কন্ট্রোল অ্যান্ড কস্টিং এবং ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের টেক্সটাইল ক্যালকুলেশন (ষষ্ঠ পর্ব), টেক্সটাইল ক্যালকুলেশন-জুট (ষষ্ঠ পর্ব), বিজনেস কমিউনিকেশন (সপ্তম পর্ব-জুট ও টেক্স) বিষয়ের পরীক্ষাও স্থগিত হয়ে গেছে। আগামী ২ মে এসব বিষয়ের পরীক্ষা হবে। আর সোমবার থেকে পরবর্তী পরীক্ষাগুলো আগের সময়সূচি অনুযায়ী চলবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সিলেট বোর্ডে বৃহস্পতিবারের স্থগিত পরীক্ষার সময়সূচি : সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. মনির উদ্দিন গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বৃহস্পতিবারের স্থগিত করা পরীক্ষা আগামী ২৪ মে অনুষ্ঠিত হবে। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আবদুর রেজ্জাক জানান, ওই দিনের স্থগিত করা পরীক্ষা আগামী ৩০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে।
গত বৃহস্পতিবার সিলেট শিক্ষা বোর্ডে পৌরনীতি দ্বিতীয়পত্র, জীববিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয়পত্র, ব্যবসায় উদ্যোগ ও ব্যবহারিক ব্যবস্থাপনা দ্বিতীয়পত্র, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি দ্বিতীয়পত্র, উচ্চাঙ্গ সংগীত (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয়পত্র বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এসব বিষয়ের পরীক্ষা হবে ২৪ মে।
আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে একই দিনে এইচএসসি বিএম-এ দ্বাদশ শ্রেণীর লাইভস্কিলড ডেভেলপমেন্ট, একাদশ শ্রেণীর সেক্রেটারিয়াল প্র্যাকটিসেস, এইচএসসি ভোকেশনালের পদার্থবিজ্ঞান-১ এবং ডিপ্লোমা ইন কমার্সের উচ্চতর হিসাববিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এসব পরীক্ষা হবে ৩০ এপ্রিল।
উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল থেকে সারা দেশে চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা চলছে। আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ৯ লাখ ২৬ হাজার পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে এবার।
No comments