কান্না থামছে না বদরের বাড়িতে by গৌরাঙ্গ নন্দী
'খারাপ খবর বাতাসের আগে ছোটে'- বদর আলীর স্বজনদের কাছে এটা এমনই কঠিন সত্য হয়ে গেল। যে মানুষটির সঙ্গে একান্ত কাছের মানুষরা কথা বলেছিলেন মাত্র ঘণ্টা দুই আগে, সেই মানুষটির মৃত্যু সংবাদ কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তাঁরা। দুঃসংবাদটি জেনে সেই যে কান্নার শুরু আর তা থামছে না।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্যের এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে হতবিহ্বল স্বজনদের প্রশ্ন, বদরের কেন এমনটি হলো? প্রতিবেশীদের বলাবলি করতে শোনা গেল, রাজনীতি না করেও রাজনীতির কারণে মানুষটিকে মরতে হলো।
গতকাল শনিবার দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর আজিমপুর এলাকায় ইডেন কলেজের কাছে কতিপয় যুবক একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেই আগুনে পুড়ে প্রাণ হারান বাসচালক বদরুদ্দিন। পুরো নাম বদরুদ্দিন আলী বেগ। আশপাশের সবাই এবং কাছের মানুষরা বদর বলেই ডাকতো তাঁকে। বাড়ি খুলনার ফুলতলা উপজেলার দামোদর পূর্বপাড়ায়।
ঘটনাটি ঘটার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই বদরের বাড়িতে খবরটি পৌঁছে যায়। ততক্ষণে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো ঘটনার সচিত্র প্রতিবেদন সম্প্রচার শুরু করেছে। প্রতিবেশীরা ভিড় জমাতে শুরু করে। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বদরের বাড়ির সামনে অনেক লোককে জড়ো হয়ে থাকতে দেখা যায়। বাড়ির ভেতরে তখন কান্নার রোল। প্রতিবেশীরা বিষণ্ন।
খুলনা-যশোর রোডের ২১ কিলোমিটার মাইলফলকের দক্ষিণ পাশ দিয়ে চলে গেছে একটি ইটের রাস্তা। ওই রাস্তা দিয়ে সামান্য এগোলেই মসজিদ। এর ১০-১২ হাত পরই উঁচু ভিটায় মাটির দেয়ালের ওপর টিনের চালা দেওয়া বদরের বাড়ি। তাতে দুটি কক্ষ। এর একটি কক্ষে স্ত্রী ও ছোট মেয়েটিকে নিয়ে বদর থাকতেন। আরেকটি কক্ষে থাকেন তাঁর ছেলে শামীম। বদরের দুটি মেয়ে। বড় মেয়ে আয়েশার বিয়ে হয়েছে বরিশালে। ছোট মেয়ে লিমা দশম শ্রেণীর ছাত্রী।
লিমার বাবা বাবা বলে চিৎকার আর তার মা হাওয়া বেগমের ক্ষণে ক্ষণে মূর্ছা যাওয়ায় গোটা এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। উপস্থিত প্রতিবেশীদের কারো মুখে কোনো কথা নেই। কিভাবে তারা সান্ত্বনা দেবে এ পরিবারটিকে।
ছেলে শামীম জানান, দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে তাঁর বাবা ফোন করেছিলেন। তখন বদরুদ্দিন স্ত্রী ও ছেলেমেয়ের সঙ্গে কথা বলেন। প্রায় একই সময় বরিশালে বড় মেয়ের সঙ্গেও কথা বলেন।
শামীম আরো জানান, আগের দিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাঁর বাবা বাড়ি থেকে বেরিয়ে খুলনায় যান। সেখান থেকে রাতে ঢাকা যান। ঢাকা থেকে বিকেল ৪টায় (গতকাল শনিবার) তাঁর খুলনার পথে রওনা দেওয়ার কথা। বদর তাদের জানিয়েছিলেন, 'আমি এখন ঘুমাবো। ৪টার সময় রওনা দেব।' সেই গাড়িতে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায়ই তিনি পুড়ে মারা যান। বাড়ি ফেরার কথা জানালেও বদরের আর বাড়ি ফেরা হলো না।
এলাকার বাসিন্দা শামসুল হক খোকন বলেন, 'বহু দিন থেকে বদর এই পেশায় যুক্ত। মানুষ হিসেবে তিনি বেশ ভালো।' খোকন আরো বলেন, 'মাত্র মাস ছয়েক আগে তিনি ঈগল পরিবহনে স্থায়ী চালক হিসেবে কাজ করা শুরু করেন। এর আগে নগর পরিবহন এবং খুলনা-কুষ্টিয়া রুটের গাড়ি চালাতেন। এই মানুষটির এভাবে মৃত্যু হবে এটি ভাবা যায় না।'
প্রতিবেশী মনিরুজ্জামানা জমাদ্দার বলেন, 'এভাবে একজন মানুষের মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। রাজনৈতিক কর্মসূচি সফল করার জন্য পরিকল্পিতভাবে মানুষ হত্যা করা গুরুতর অন্যায়। তাঁর প্রশ্ন, আমাদের কি রাজনৈতিক হিংসা থেকে মুক্তি নেই?'
গতকাল শনিবার দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর আজিমপুর এলাকায় ইডেন কলেজের কাছে কতিপয় যুবক একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেই আগুনে পুড়ে প্রাণ হারান বাসচালক বদরুদ্দিন। পুরো নাম বদরুদ্দিন আলী বেগ। আশপাশের সবাই এবং কাছের মানুষরা বদর বলেই ডাকতো তাঁকে। বাড়ি খুলনার ফুলতলা উপজেলার দামোদর পূর্বপাড়ায়।
ঘটনাটি ঘটার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই বদরের বাড়িতে খবরটি পৌঁছে যায়। ততক্ষণে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো ঘটনার সচিত্র প্রতিবেদন সম্প্রচার শুরু করেছে। প্রতিবেশীরা ভিড় জমাতে শুরু করে। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বদরের বাড়ির সামনে অনেক লোককে জড়ো হয়ে থাকতে দেখা যায়। বাড়ির ভেতরে তখন কান্নার রোল। প্রতিবেশীরা বিষণ্ন।
খুলনা-যশোর রোডের ২১ কিলোমিটার মাইলফলকের দক্ষিণ পাশ দিয়ে চলে গেছে একটি ইটের রাস্তা। ওই রাস্তা দিয়ে সামান্য এগোলেই মসজিদ। এর ১০-১২ হাত পরই উঁচু ভিটায় মাটির দেয়ালের ওপর টিনের চালা দেওয়া বদরের বাড়ি। তাতে দুটি কক্ষ। এর একটি কক্ষে স্ত্রী ও ছোট মেয়েটিকে নিয়ে বদর থাকতেন। আরেকটি কক্ষে থাকেন তাঁর ছেলে শামীম। বদরের দুটি মেয়ে। বড় মেয়ে আয়েশার বিয়ে হয়েছে বরিশালে। ছোট মেয়ে লিমা দশম শ্রেণীর ছাত্রী।
লিমার বাবা বাবা বলে চিৎকার আর তার মা হাওয়া বেগমের ক্ষণে ক্ষণে মূর্ছা যাওয়ায় গোটা এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। উপস্থিত প্রতিবেশীদের কারো মুখে কোনো কথা নেই। কিভাবে তারা সান্ত্বনা দেবে এ পরিবারটিকে।
ছেলে শামীম জানান, দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে তাঁর বাবা ফোন করেছিলেন। তখন বদরুদ্দিন স্ত্রী ও ছেলেমেয়ের সঙ্গে কথা বলেন। প্রায় একই সময় বরিশালে বড় মেয়ের সঙ্গেও কথা বলেন।
শামীম আরো জানান, আগের দিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাঁর বাবা বাড়ি থেকে বেরিয়ে খুলনায় যান। সেখান থেকে রাতে ঢাকা যান। ঢাকা থেকে বিকেল ৪টায় (গতকাল শনিবার) তাঁর খুলনার পথে রওনা দেওয়ার কথা। বদর তাদের জানিয়েছিলেন, 'আমি এখন ঘুমাবো। ৪টার সময় রওনা দেব।' সেই গাড়িতে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায়ই তিনি পুড়ে মারা যান। বাড়ি ফেরার কথা জানালেও বদরের আর বাড়ি ফেরা হলো না।
এলাকার বাসিন্দা শামসুল হক খোকন বলেন, 'বহু দিন থেকে বদর এই পেশায় যুক্ত। মানুষ হিসেবে তিনি বেশ ভালো।' খোকন আরো বলেন, 'মাত্র মাস ছয়েক আগে তিনি ঈগল পরিবহনে স্থায়ী চালক হিসেবে কাজ করা শুরু করেন। এর আগে নগর পরিবহন এবং খুলনা-কুষ্টিয়া রুটের গাড়ি চালাতেন। এই মানুষটির এভাবে মৃত্যু হবে এটি ভাবা যায় না।'
প্রতিবেশী মনিরুজ্জামানা জমাদ্দার বলেন, 'এভাবে একজন মানুষের মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। রাজনৈতিক কর্মসূচি সফল করার জন্য পরিকল্পিতভাবে মানুষ হত্যা করা গুরুতর অন্যায়। তাঁর প্রশ্ন, আমাদের কি রাজনৈতিক হিংসা থেকে মুক্তি নেই?'
No comments