সাংবাদিক দম্পতি হত্যা-পুলিশের সন্দেহ ছিল না বলে মর্গ আলামত রাখেনি
ছুরিকাঘাতের কারণেই সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত ছিল পুলিশ। সুরতহাল প্রতিবেদনে হত্যার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে ‘ছুরিকাঘাত’ ছাড়া অন্য কিছু উল্লেখ না থাকায় রাসায়নিক পরীক্ষার (ভিসেরা) আলামত সংরক্ষণ করেনি মর্গ।
মামলার বর্তমান তদন্ত সংস্থা র্যাব বলছে, চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা সাদা চোখে দেখে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগে কিছু তথ্য ভবিষ্যতের জন্য রাখলে তদন্তে সুবিধা হতো। এত বড় ঘটনায় পুলিশ ও মর্গ কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল অন্তত ভবিষ্যতের কথা ভেবে হলেও কিছু আলামত সংগ্রহে রাখা।
হত্যাকাণ্ডের ৭৫ দিন পর গত বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশে আজিমপুর কবরস্থান থেকে সাগর-রুনির লাশ উত্তোলন করা হয়। রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য কিছু আলামত রেখে ওই দিনই মরদেহ আবার কবর দেওয়া হয়।
হত্যাকাণ্ডের পর এই মামলা তদন্তের দায়িত্ব পান শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহুরুল ইসলাম। গতকাল তিনি প্রথম আলোকে বলেন, কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে কী পরীক্ষা করা লাগবে, তা চিকিৎসকদের বোঝার কথা। হত্যার ক্ষেত্রে পুলিশ নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ‘মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হলো’ লিখে মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
এসআই জহুরুল বলেন, মৃতদের শরীরে প্রচুর ক্ষতচিহ্ন ছিল। সাগর সরোয়ারের শরীরে একটি বাঁট ছাড়া ছুরিও ঢুকে ছিল। পুলিশের কাছে এটা স্পষ্ট ছিল যে তাঁদের হত্যা করা হয়েছে। তাঁদের শরীরে অসংখ্য ছুরিকাঘাতের চিহ্নও দৃশ্যমান ছিল। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ যথানিয়মে লাশ দুটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ‘মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য’ মর্গে পাঠিয়েছে।
ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক সোহেল মাহমুদ তখন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, আঘাত ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে।
এসআই জহুরুল বলেন, নিহতদের মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য রাসায়নিক পরীক্ষার আলামত সংরক্ষণ করে আরও কিছু পরীক্ষার প্রয়োজন হলে তা ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকেরা বুঝবেন। ভিসেরা পরীক্ষার জন্য আলামত সংরক্ষণ করা চিকিৎসকদের বিষয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান কাজী মোখলেসুর রহমান গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, কোনো অপমৃত্যুর ক্ষেত্রে সাধারণত পুলিশ যখন সুরতহাল প্রতিবেদন করে মর্গে পাঠায়, তখন তারা মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে তাদের ধারণা লিখে দেয়। যেমন: ছুরিকাঘাত, গুলিবিদ্ধ, বিষ প্রয়োগ, বিষক্রিয়া বা নেশাজাতীয় দ্রব্য প্রয়োগে মৃত্যু হয়েছে ইত্যাদি। বিষ প্রয়োগ, বিষক্রিয়া বা নেশাজাতীয় দ্রব্যের ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা ভিসেরার আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে মহাখালীর রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পাঠান। আর সুরতহাল প্রতিবেদনে বুলেট বা ছুরিকাঘাতের কথা উল্লেখ থাকলে তাঁরা ভিসেরা সংরক্ষণ করেন না। কাজী মোখলেসুর বলেন, পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই তাঁরা ব্যবস্থা নেন।
রুনির ভাই নওশের আলম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, আগে কেন তদন্ত কর্মকর্তারা ভিসেরা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেননি, সেটি পরিবারের কাছে প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। হত্যার পর আশার বাণী শুনিয়ে আড়াই মাস পরে এসে পুলিশ বলছে, তারা ব্যর্থ। তিনি বলেন, ‘যেসব কর্মকর্তা ব্যর্থ হলেন, তাঁদের কি কোনো জবাবদিহি নেই?’ নওশের বলেন, ‘পুনরায় লাশ তোলায় আত্মীয়স্বজন অনেক কষ্ট পেয়েছে। কিন্তু বিচারের আশায় আমরা সব কষ্ট সহ্য করে যাচ্ছি।’
হত্যাকাণ্ডের ৭৫ দিন পর গত বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশে আজিমপুর কবরস্থান থেকে সাগর-রুনির লাশ উত্তোলন করা হয়। রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য কিছু আলামত রেখে ওই দিনই মরদেহ আবার কবর দেওয়া হয়।
হত্যাকাণ্ডের পর এই মামলা তদন্তের দায়িত্ব পান শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহুরুল ইসলাম। গতকাল তিনি প্রথম আলোকে বলেন, কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে কী পরীক্ষা করা লাগবে, তা চিকিৎসকদের বোঝার কথা। হত্যার ক্ষেত্রে পুলিশ নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ‘মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হলো’ লিখে মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
এসআই জহুরুল বলেন, মৃতদের শরীরে প্রচুর ক্ষতচিহ্ন ছিল। সাগর সরোয়ারের শরীরে একটি বাঁট ছাড়া ছুরিও ঢুকে ছিল। পুলিশের কাছে এটা স্পষ্ট ছিল যে তাঁদের হত্যা করা হয়েছে। তাঁদের শরীরে অসংখ্য ছুরিকাঘাতের চিহ্নও দৃশ্যমান ছিল। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ যথানিয়মে লাশ দুটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ‘মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য’ মর্গে পাঠিয়েছে।
ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক সোহেল মাহমুদ তখন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, আঘাত ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে।
এসআই জহুরুল বলেন, নিহতদের মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য রাসায়নিক পরীক্ষার আলামত সংরক্ষণ করে আরও কিছু পরীক্ষার প্রয়োজন হলে তা ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকেরা বুঝবেন। ভিসেরা পরীক্ষার জন্য আলামত সংরক্ষণ করা চিকিৎসকদের বিষয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান কাজী মোখলেসুর রহমান গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, কোনো অপমৃত্যুর ক্ষেত্রে সাধারণত পুলিশ যখন সুরতহাল প্রতিবেদন করে মর্গে পাঠায়, তখন তারা মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে তাদের ধারণা লিখে দেয়। যেমন: ছুরিকাঘাত, গুলিবিদ্ধ, বিষ প্রয়োগ, বিষক্রিয়া বা নেশাজাতীয় দ্রব্য প্রয়োগে মৃত্যু হয়েছে ইত্যাদি। বিষ প্রয়োগ, বিষক্রিয়া বা নেশাজাতীয় দ্রব্যের ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা ভিসেরার আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে মহাখালীর রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পাঠান। আর সুরতহাল প্রতিবেদনে বুলেট বা ছুরিকাঘাতের কথা উল্লেখ থাকলে তাঁরা ভিসেরা সংরক্ষণ করেন না। কাজী মোখলেসুর বলেন, পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই তাঁরা ব্যবস্থা নেন।
রুনির ভাই নওশের আলম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, আগে কেন তদন্ত কর্মকর্তারা ভিসেরা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেননি, সেটি পরিবারের কাছে প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। হত্যার পর আশার বাণী শুনিয়ে আড়াই মাস পরে এসে পুলিশ বলছে, তারা ব্যর্থ। তিনি বলেন, ‘যেসব কর্মকর্তা ব্যর্থ হলেন, তাঁদের কি কোনো জবাবদিহি নেই?’ নওশের বলেন, ‘পুনরায় লাশ তোলায় আত্মীয়স্বজন অনেক কষ্ট পেয়েছে। কিন্তু বিচারের আশায় আমরা সব কষ্ট সহ্য করে যাচ্ছি।’
No comments