বেপরোয়া গাড়িচালনা বন্ধ করুন-মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা
শনিবার সকালে নরসিংদীর ঘাশিরদিয়া এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশের ১০ জন সদস্যের মৃত্যু এক কথায় হূদয়বিদারক। মাছবোঝাই একটি ট্রাকের সঙ্গে পুলিশের ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ওই ভ্যানে থাকা ১০ পুলিশের প্রত্যেকেই মারা গেছেন।
ভ্যানটি দুমড়েমুচড়ে যে আকৃতি পেয়েছে, তা থেকে দুর্ঘটনার ভয়াবহতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। প্রশস্ত মহাসড়কের ওপর সকালের আলোয় বিপরীত দিক থেকে আসা যে ট্রাকটি পুলিশের ভ্যানটিকে একদম মুখোমুখি ধাক্কা দিয়েছে, তার চালক প্রকৃতিস্থ ছিলেন কি না, সেই প্রশ্ন জাগে।
দেশজুড়ে প্রতিনিয়তই সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটছে, অনেক মানুষ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হারাচ্ছে, সর্বস্বান্ত হচ্ছে অনেক পরিবার। গত শনিবারের দুর্ঘটনায় নিহত পুলিশ সদস্যদের ১০টি পরিবারে কী নিদারুণ দুঃখ-দুর্দশাই না নেমে এল! কী মর্মান্তিকভাবে অনিশ্চিত হয়ে পড়ল নিহত পুলিশ সদস্যদের স্ত্রী ও সন্তানদের ভবিষ্যৎ। আমরা নিহত ব্যক্তিদের জন্য গভীর শোক ও তাঁদের পরিবার-পরিজনদের জন্য আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।
পুলিশের যে সদস্যরা এমন দুর্ভাগ্যজনকভাবে নিহত হলেন, তাঁরা আজ অনুষ্ঠেয় পৌরসভা নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে নরসিংদী পুলিশ লাইনে যাচ্ছিলেন। তাঁদের মধ্যে এমন কয়েকজনও ছিলেন, যাঁরা শুক্রবার রাতে দায়িত্ব পালন করে শনিবার সকালেই আবার দায়িত্ব পালনের জন্য পথে বের হয়েছিলেন। সেই পথ তাঁদের প্রাণ কেড়ে নিল!
স্বরাষ্ট্রসচিব আশ্বাস দিয়েছেন, নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবার ও সন্তানদের পড়াশোনার ব্যয় সরকার বহন করবে। আমরা আশা করব, এই আশ্বাস দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। যথাসময়ে ও সুষ্ঠুভাবে ক্ষতিপূরণ পেতে পরিবারগুলো যেন আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বা দাপ্তরিক হয়রানির শিকার না হয়, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উচিত সে বিষয়ে সচেতন থাকা।
প্রকাশ্য দিনের আলোয় সংঘটিত ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনাটি স্পষ্টতই ছিল বিপরীত থেকে আসা মাছবোঝাই ট্রাকটির চালকের বেপরোয়া গাড়ি চালানোর ফল। মুখোমুখি ধাক্কায় ট্রাকটি পুলিশের ভ্যানটিকে চুরমার করে দিয়েছে, ঘটনাস্থলেই ভ্যানটির ১০ আরোহীর আটজনই মারা গেছেন। মারাত্মক আহত বাকি দুজনকে দুমড়ানো ভ্যানটি থেকে বের করতেও বেগ পেতে হয়েছে। পরে তাঁদেরও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। অথচ ট্রাকটির চালক দিব্যি পালাতে পেরেছেন। এ ধরনের বেপরোয়া গাড়িচালনার কারণেই অধিকাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। বিশেষভাবে ট্রাকচালক ও বাসচালকদের বেপরোয়া গাড়িচালনা রোধ করতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া যে খুবই জরুরি, মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা আবারও তা স্মরণ করিয়ে দিল।
দেশজুড়ে প্রতিনিয়তই সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটছে, অনেক মানুষ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হারাচ্ছে, সর্বস্বান্ত হচ্ছে অনেক পরিবার। গত শনিবারের দুর্ঘটনায় নিহত পুলিশ সদস্যদের ১০টি পরিবারে কী নিদারুণ দুঃখ-দুর্দশাই না নেমে এল! কী মর্মান্তিকভাবে অনিশ্চিত হয়ে পড়ল নিহত পুলিশ সদস্যদের স্ত্রী ও সন্তানদের ভবিষ্যৎ। আমরা নিহত ব্যক্তিদের জন্য গভীর শোক ও তাঁদের পরিবার-পরিজনদের জন্য আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।
পুলিশের যে সদস্যরা এমন দুর্ভাগ্যজনকভাবে নিহত হলেন, তাঁরা আজ অনুষ্ঠেয় পৌরসভা নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে নরসিংদী পুলিশ লাইনে যাচ্ছিলেন। তাঁদের মধ্যে এমন কয়েকজনও ছিলেন, যাঁরা শুক্রবার রাতে দায়িত্ব পালন করে শনিবার সকালেই আবার দায়িত্ব পালনের জন্য পথে বের হয়েছিলেন। সেই পথ তাঁদের প্রাণ কেড়ে নিল!
স্বরাষ্ট্রসচিব আশ্বাস দিয়েছেন, নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবার ও সন্তানদের পড়াশোনার ব্যয় সরকার বহন করবে। আমরা আশা করব, এই আশ্বাস দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। যথাসময়ে ও সুষ্ঠুভাবে ক্ষতিপূরণ পেতে পরিবারগুলো যেন আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বা দাপ্তরিক হয়রানির শিকার না হয়, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উচিত সে বিষয়ে সচেতন থাকা।
প্রকাশ্য দিনের আলোয় সংঘটিত ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনাটি স্পষ্টতই ছিল বিপরীত থেকে আসা মাছবোঝাই ট্রাকটির চালকের বেপরোয়া গাড়ি চালানোর ফল। মুখোমুখি ধাক্কায় ট্রাকটি পুলিশের ভ্যানটিকে চুরমার করে দিয়েছে, ঘটনাস্থলেই ভ্যানটির ১০ আরোহীর আটজনই মারা গেছেন। মারাত্মক আহত বাকি দুজনকে দুমড়ানো ভ্যানটি থেকে বের করতেও বেগ পেতে হয়েছে। পরে তাঁদেরও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। অথচ ট্রাকটির চালক দিব্যি পালাতে পেরেছেন। এ ধরনের বেপরোয়া গাড়িচালনার কারণেই অধিকাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। বিশেষভাবে ট্রাকচালক ও বাসচালকদের বেপরোয়া গাড়িচালনা রোধ করতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া যে খুবই জরুরি, মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা আবারও তা স্মরণ করিয়ে দিল।
No comments