কালের পুরাণ-খালেদার ভাষণ: গ্লাসের তিন ভাগই খালি by সোহরাব হাসান

বাংলাদেশের রাজনীতির বৈশিষ্ট্য হলো কেউ ক্ষমতায় গিয়ে মাথা ঠিক রাখতে পারেন না। আবার কেউ ক্ষমতায় যেতে না পেরে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। সরকারপ্রধান ও বিরোধী দলের প্রধানের সাম্প্রতিক বক্তব্য-বিবৃতি দেখেশুনে এই প্রতীতি জন্মেছে যে তাঁদের দ্বারা মহৎ কিছু আশা করা যায় না।


অন্তত সুরুচি, সংস্কৃতি ও অনুকরণীয় রীতি আশা করা বাতুলতামাত্র। তাঁদের একজন পাটকেল ছুড়লে আরেকজন ইট ছুড়ে মারেন। ভাগ্যিস, বাংলাদেশে পরমাণু বোমা নেই, যদি থাকত তা-ও আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পরস্পরের প্রতি নিক্ষেপ করতে দ্বিধা করত না (পাঠক স্মরণ করুন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলার ঘটনা)।
দুই দলই অতীত নিয়ে মশগুল থাকে, বর্তমানকে অগ্রাহ্য করে এবং ভবিষ্যৎ দেখার মতো দৃষ্টি তাদের নেই।
মহাজোট সরকারের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণের তিন দিনের মাথায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া। ৪০ মিনিট ধরে পাঠ করা তাঁর ভাষণটি সুলিখিত হলেও সত্য নেই, আছে অর্ধ বা সিকি সত্য। আছে ব্যর্থতার জ্বালা, পরাজয় না মানতে পারার খেদ, আছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে অন্ধ আক্রোশ। এমনকি ব্যক্তিগত আক্রমণ থেকেও মুক্ত নয় খালেদা জিয়ার ভাষণ। প্রধানমন্ত্রী ভাঙা সুটকেস থেকে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তোলা এবং ব্যক্তিগত লাভে রাজনীতি করার অভিযোগ এনেছিলেন বিরোধীদলীয় নেত্রীর বিরুদ্ধে। জবাবে তিনি বলেছেন, গোটা দেশ নাকি ব্যক্তির ক্রীতদাসে পরিণত হয়েছে। এ ধরনের মন্তব্য করে খালেদা জিয়া কি দেশের ষোলো কোটি মানুষকে ছোট করলেন না? এই বাংলাদেশে কি একজন স্বাধীন মানুষও নেই? সবাই ক্রীতদাস?
বিরোধীদলীয় নেত্রী সরকারের দুই বছরের ব্যর্থতার খতিয়ান তুলে ধরেছেন। তা ধরতেই পারেন। প্রধানমন্ত্রী যদি দুই বছরের সাফল্য বর্ণনা করতে পারেন, বিরোধীদলীয় নেত্রী কেন ব্যর্থতা ও দুর্নীতির কথা বলতে পারবেন না? কিন্তু তিনি যখন সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান, সরকারকে অবৈধ বলে আখ্যায়িত করেন তখনই খটকা লাগে। একটি নির্বাচিত সরকার অগণতান্ত্রিক হতে পারে, অবৈধ নয়। একটি নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার সর্বাত্মক আহ্বানের পাশাপাশি সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ কিংবা লাগাতার সংসদ বর্জন করে সংসদ কার্যকর করার কথা বলা হাস্যকর নয় কি? বিএনপির নেত্রী সব ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করলেও সংসদ বর্জনের ক্ষেত্রে কেন তাদের অনুসরণ করে চলেছেন, সেটাই আমাদের প্রশ্ন।
খালেদা জিয়া সরকারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও দুর্নীতির যেসব অভিযোগ এনেছেন, তা সর্বাংশে অসত্য, এ কথা কেউ বলবে না। কিন্তু তিনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন, তাঁদের আমলে মানুষ কেমন ছিল? তখন কি চাঁদাবাজি, দখলবাজি, সন্ত্রাস, রাস্তাঘাট, ভবন, বাড়ি, টার্মিনাল জবরদখল হয়নি? হয়েছে। এখনো হচ্ছে। তবে বিএনপি আমলে বাড়তি উপসর্গ ছিল সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন, তাদের বাড়িঘর লুট, অগ্নিসংযোগ। বিএনপি ক্যাডারদের ভয়ে মানুষ শুধু আতঙ্কে দিন কাটায়নি, তারা দেশের ভেতরেও শরণার্থী শিবির খুলেছিল। গ্রামে টিকতে না পেরে আওয়ামী লীগের শত শত কর্মী ঢাকায় এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের খবর পত্রিকায় ছাপা হলে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী বিমানে রামশীলের শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করে বলেছিলেন, ‘যা লেখা হয়েছে, তা অতিরঞ্জিত।’ বাংলাদেশে ক্ষমতাসীনেরা বরাবর সত্যভাষণকে অতিরঞ্জিত বলে সাফাই গান।
বিরোধীদলীয় নেত্রী দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, শেয়ারবাজারে ধস, জনশক্তি রপ্তানি হ্রাস, বিদ্যুৎসংকট বৃদ্ধি, ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসের কথা বলেছেন। এগুলো মিথ্যে নয়। কিন্তু বিরোধীদলীয় নেত্রী অনুগ্রহ করে বলবেন কি, আপনার সরকারের প্রথম দুই বছরে কী ঘটেছিল? সেদিন নির্যাতিতা পূর্ণিমা, শেফালি রানী, অঞ্জলি রানী, ছবি রানী, সীমাদের পাশে সরকারের পুলিশ র‌্যাট, কোবরা কেউ দাঁড়ায়নি। খালেদা জিয়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় র‌্যাব গঠনের কৃতিত্ব দাবি করেন। কিন্তু তিনি বলেননি, কেন র‌্যাব গঠন করতে হয়েছে। এখনকার মতো সে সময়ও ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা সারা দেশে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। তাদের দৌরাত্ম্য এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল যে প্রচলিত বাহিনী তথা পুলিশ দিয়ে দুর্ধর্ষ সব দলীয় মাস্তানকে নিবৃত্ত করা যাচ্ছিল না। বাধ্য হয়ে খালেদা জিয়ার সরকার র‌্যাব করেছিল, এমনকি আইন দ্বারা তাদের দায়মুক্তিও দেওয়া হয়েছিল।
অতএব বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে দেশে দুধের নহর বয়ে গেছে কিংবা শান্তির ফল্গুধারা প্রবাহিত হতো—সেই রকম দাবি মোটেই সত্য নয়। যে শিক্ষানীতি সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে, তারও কঠোর সমালোচনা করেছেন খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, শিক্ষানীতি প্রণয়নে একটি বিশেষ মত ও পথের শিক্ষাবিদদের নিয়েই কেবল কমিশন গড়া হয়েছিল, এ নীতিতে তাদের মতেরই প্রতিফলন ঘটেছে। আমরা যত দূর জানি, শিক্ষানীতি নিয়ে ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, মোদার্রেছিন নেতা মাওলানা জয়নুল আবেদিন প্রমুখের সঙ্গেও কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী, তাঁদের সুপারিশ গ্রহণও করেছেন তিনি। তাঁরা কোন মত ও পথের লোক? সরকারের মন্দ কাজের সমালোচনা করা এবং ভালো কাজ সমর্থন করাই দায়িত্বশীল বিরোধী দলের কর্তব্য।
গত দুই বছরে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা কমেছে নিঃসন্দেহে। কিন্তু বিএনপির খুব জনপ্রিয়তা বেড়েছে, তার প্রমাণ নেই। কারণ তারা অতীতের ব্যর্থতা স্বীকার করে নিজেদের সংশোধনের কথা একবারও বলেনি। এখনো বিএনপির নেতারা তাদের শাসনামলকে সুবর্ণ সময় বলে আখ্যায়িত করেন। সব দোষ নন্দ ঘোষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ওপর চাপিয়ে নিজেদের অপরাধ ঢাকতে চেষ্টা করছেন। জাতির উদ্দেশে দেওয়া খালেদা জিয়ার ভাষণ তার ব্যতিক্রম নয়।
২.
২০১১ সালের ১ জানুয়ারি ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া বর্তমান সরকারকে অবৈধ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। তাঁর দাবি, ‘ফখরুদ্দীন, মইনুদ্দীনের অবৈধ সরকারের মতো এই সরকারও অবৈধ।’ খালেদা জিয়া মইনুদ্দীন-ফখরুদ্দীনের সরকারকে অবৈধ বলেছেন; তাঁর পক্ষে হয়তো একটি যুক্তি আছে। ওই সরকার নির্বাচিত ছিল না। ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দীনের সরকারকে অবৈধ বলা এখন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের একটি ফ্যাশনে দাঁড়িয়েছে। যেমন—জিয়া ও এরশাদের সরকারকেও আমরা অবৈধ বলি। কেন বলি? তাঁরা অবৈধ পন্থায় ক্ষমতায় এসেছেন। কিন্তু অবৈধ সরকারগুলো যেসব অনৈতিক, বেআইনি ও গণবিরোধী কাজ করেছে, সেই কাজগুলো যদি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারও করে, তাকে কী বলা যাবে? ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দীনেরা অনেক খারাপ কাজ করেছেন, স্বীকার করি। কিন্তু তাঁরা একটি ভালো কাজও তো করেছেন। তাঁরা তো একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করেছেন। খালেদা জিয়া মনোনীত ইয়াজউদ্দিন-এম এ আজিজেরা কাজটি করতে পারলে তো মইনুদ্দীন-ফখরুদ্দীনদের মঞ্চে আসতে হতো না।
ছাত্রদলের সমাবেশে খালেদা জিয়া সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন। আওয়ামী লীগ সরকারকে বাড়াবাড়ির পরিণতি অত্যন্ত খারাপ হবে বলেও হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন। গত দুই বছরে সরকার দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে কী করেছে, তা জানতে চেয়েছেন। সরকারের কে কী করেছে, সেই হিসাব তাঁর কাছে আছে বলে দেশবাসীকে জানিয়ে দিয়েছেন। সরকার সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলেও বিএনপির চেয়ারপারসন অভিযোগ করেছেন। এ পর্যন্ত না-হয় মেনে নিলাম। মেনে নিলাম, তাঁরা ক্ষমতায় এসে সরকারের কাজকর্ম কড়ায়গণ্ডায় বুঝে নেবেন, অন্যায়-দুর্নীতি করলে বিচার করবেন, মেনে নিলাম সেই কথাও।
কিন্তু বিরোধীদলীয় নেত্রী যখন বলেন, এই সরকার ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার পর তাদের সব কাজ অবৈধ ঘোষণা করা হবে—সব কাজ বলতে কী বোঝাচ্ছেন তিনি? এই সরকারের আমলে যেসব উন্নয়নকাজ হচ্ছে, বিদ্যুৎ প্রকল্প হচ্ছে, পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে, বিদেশের সঙ্গে চুক্তি হচ্ছে—সবই কি অবৈধ ঘোষণা করা হবে? এই সরকার রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা দিচ্ছে, জনগণের কাছ থেকে কর আদায় করছে, পোশাকশ্রমিকদের জন্য নতুন মজুরিকাঠামো ঘোষণা করছে—সবটাই অবৈধ হয়ে যাবে? বিএনপির আমলে পোশাকশ্রমিকেরা ন্যূনতম বেতন পেতেন এক হাজার ৬৫০ টাকা, এখন সেটি তিন হাজার টাকা করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার কথা মানলে শ্রমিকদের বাড়তি মজুরি তো মালিকদের ফেরত দিতে হবে। খালেদা জিয়ার কথা মেনে নিলে এই সরকারের কাছ থেকে মুক্তিযোদ্ধা, বৃদ্ধ ও অসহায় নারীরা যে বর্ধিত ভাতা নিয়েছেন, তা কড়ায়গণ্ডায় ফেরত দিতে হবে। এই সরকার বিচারপতিদের বেতন বাড়িয়েছে, সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়িয়েছে, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে কি তাদের কাছ থেকে বর্ধিত বেতন-ভাতা ফেরত নিয়ে নেবেন? কিংবা সরকারি কর্মচারী, সেনাসদস্য ও সিভিল আমলাদের বাড়তি বেতন-ভাতা ফেরত দিতে হবে?
এসব কথার চেয়ে সবচেয়ে মারাত্মক যে কথাটি খালেদা জিয়া বলেছেন তা হলো, ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দীন সরকারের মতো এই সরকারও অবৈধ।
তিনি তিন-তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তাঁর নিশ্চয়ই জানা আছে, সংবিধান অনুযায়ী কোন সরকার বৈধ আর কোন সরকার অবৈধ।
জেনারেল এরশাদের সরকার অবৈধ ছিল। যেহেতু তিনি গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। তাঁর আগে জিয়াউর রহমান তথাকথিত সিপাহি বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেও নিজের সাড়ে পাঁচ বছরের শাসনকে বৈধতা দিতে পারেননি। তিনি নিজে সামরিক আইন জারি না করলেও সামরিক আইন জারির পুরো সুবিধাটি নিয়েছেন সাড়ে পাঁচ বছর ধরে। কিন্তু জনগণের ভোটে নির্বাচিত একটি সরকার অবৈধ হয় কী করে? ১৯৯১ ও ২০০১ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসেন এবং পাঁচ বছর দেশ শাসন করেন। তাঁর দুই দফার শাসন বৈধ হলে শেখ হাসিনার সরকার অবৈধ হয় কীভাবে?
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারটি অবৈধ হলে সংসদে বিরোধী দলের বৈধতা থাকে না। সংসদে বিরোধী দলের বৈধতা না থাকলে বিরোধীদলীয় নেত্রীও অবৈধ হয়ে যান। তাঁর দলের সাংসদেরাও অবৈধ হয়ে যান। সংসদের স্থায়ী কমিটি অবৈধ হয়ে যায়। তাঁরা যেসব কাজ করেছেন, সুপারিশ করেছেন, বৈঠক করেছেন, তা-ও অবৈধ হয়ে যায়। তাঁরা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে যে বেতন-ভাতা তুলেছেন, তা-ও অবৈধ হয়ে যায়। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বৈধ ও অবৈধতার সার্টিফিকেট দিতে পারে একমাত্র জনগণ। সে জন্য খালেদা জিয়াকে আরও তিন বছর অপেক্ষা করতে হবে।
মহাজোটের নেতা-কর্মীরা অনেক মন্দ কাজ করেছেন, ছাত্রলীগ করেছে, যুবলীগ করেছে, মানি। কিন্তু বিএনপি ২০০১ সালের নির্বাচনের পর যা করেছে, তাকে এখনো কেউ ছাড়িয়ে যেতে পারেনি। তাদের আমলে রাজশাহীতে বাংলা ভাইয়ের রাজত্ব কায়েম হয়েছিল, ময়মনসিংহে সিনেমা হলে বোমা মেরে মানুষ মারা হয়েছিল, সিলেটে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের ওপর বোমা হামলা হয়েছিল, আওয়ামী লীগের নেতা শাহ এ এস এম কিবরিয়া, আহসানউল্লাহ মাস্টারসহ অসংখ্য রাজনৈতিক নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল। এক দিনে ৬৩টি জেলায় বোমা হামলা চালানো হয়েছিল। বিএনপির নেত্রী সেই সব হত্যা, বোমাবাজি ও জঙ্গি হামলার কথা উল্লেখ করলে ভাবতাম, তিনি দুই আমলের একটি তুলনামূলক চিত্র দেশবাসীর সামনে হাজির করেছেন। কিন্তু এখন যা বলেছেন, তাতে সত্যের চেয়ে সত্য আড়াল করার চেষ্টাই বেশি। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে আমরা অর্ধেক গ্লাস খালি দেখেছিলাম। বিরোধীদলীয় নেত্রীর ভাষণে দেখছি গ্লাসের তিন ভাগই খালি। পূর্ণ মাত্র এক-চতুর্থাংশ।
সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।
sohrab03@dhaka.net

No comments

Powered by Blogger.