সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে-সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়া
সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়া সরকার যে হারে নির্ধারণ করে দিয়েছে, অটোরিকশার চালকেরা তা মেনে চলেন না—এ অভিযোগ অনেক পুরোনো। যেন তাঁরা তা মেনে চলেন, তেমন চেষ্টাও মাঝেমধ্যে করা হয়েছে। কিন্তু কখনোই সাফল্য আসেনি। সর্বশেষ গত রোববার থেকে নতুন ভাড়ার হার কার্যকর করার উদ্যোগটিও পুরোপুরি সফল হয়নি বলে খবর বেরিয়েছে।
প্রথম আলোয় প্রকাশিত এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, কিছু চালক মিটার অনুযায়ী ভাড়া নিয়ে যাত্রী পরিবহন করলেও অধিকাংশ তা মেনে চলছেন না। আবার মিটারে ভাড়া বেশি ওঠারও অভিযোগ রয়েছে। এখা নে মিটার কারসাজি করে বেশি ভাড়া ওঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার বিষয়। অন্যদিকে অনেক যাত্রী ঝামেলা এড়াতে মিটার অনুযায়ী ভাড়া না দিয়ে চুক্তির ভিত্তিতে চলছেন। তাঁরা ভেবেছেন, মিটারে যাওয়ার জন্য চাপাচাপি করলে চালক গন্তব্যে যেতে চাইবেন না। অর্থাৎ একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাকে স্থায়ী অনুশীলনে পরিণত করার ক্ষেত্রে চালক ও যাত্রী উভয় পক্ষেই অনীহা লক্ষ করা যাচ্ছে।
ঢাকা মহানগরে চলাফেরার ক্ষেত্রে সময়মতো ন্যায্য ভাড়ায় যানবাহন পাওয়া বিরল সৌভাগ্যের ব্যাপার। জনপরিবহনের সিংহভাগ চলে বিভিন্ন রুটের বাসগুলোর দ্বারা। বাকিটা চলে কিছু টেম্পো ও হিউম্যান হলার-জাতীয় ছোট ছোট যানবাহন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং স্বল্প দূরত্বে পায়ে টানা রিকশায়। নিম্ন আয়ের মানুষের প্রধান ভরসা বাস; এবং যেহেতু নিম্ন আয়ের মানুষের সংখ্যাই বেশি, তাই বাসে ভিড়ও খুব বেশি। জরুরি ভিত্তিতে কোথাও যাওয়ার ক্ষেত্রে সামর্থ্যবান মানুষেরা সিএনজিচালিত অটোরিকশাগুলোর ওপর নির্ভর করেন। কিন্তু যাত্রীর তুলনায় অটোরিকশার সংখ্যা এত কম যে অটোরিকশাগুলোর চালকেরা সরকার-নির্ধারিত ভাড়ায় মিটার অনুযায়ী চলা দূরে থাক, নিজেদের ইচ্ছামতো অনেক বেশি ভাড়া হাঁকেন। অনেক সময় তাঁরা বেশি ভাড়ায়ও যেতে রাজি হন না, যদিও নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো গন্তব্যে যাত্রী পরিবহনে বাধ্য। কিন্তু এখন অনিয়মই নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে, ফলে দুর্ভোগ ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা।
সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বর্ধিত ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর পরও মিটারে না যাওয়ার কোনো যুক্তি নেই। অবশ্য কোনো কোনো চালক তাঁদের কাছ থেকে মালিকেরা নির্ধারিত হারের বেশি জমা নেন বলে দাবি করেছেন, সে রকম কিছু ঘটে থাকলে তারও প্রতিকার প্রয়োজন। বিআরটিএ বলছে, অটোরিকশার চালকেরা সরকার-নির্ধারিত হারে ভাড়া নিচ্ছেন কি না, তা দেখার মতো লোকবল তাদের নেই। তারা এটা দেখার জন্য পুলিশ কমিশনারকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লিখেছে। ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব এটি দেখা, কিন্তু গত কয়েক দিনে তাদের তেমন তৎপরতা লক্ষ করা যায়নি। অনেক যাত্রী অভিযোগ করেছেন, টেলিফোনে পুলিশের সাহায্য চেয়েও তাঁরা সাড়া পাননি। এটা দুঃখজনক। ট্রাফিক পুলিশের সহযোগিতা ছাড়া এ ক্ষেত্রে নিয়মনীতি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না। আমরা পুলিশ কর্তৃপক্ষের মনোযোগ আকর্ষণ করছি—বিআরটিএকে সহযোগিতা করুন; প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ করুন। অন্যথায় বিআরটিএর এই উদ্যোগও ভেস্তে যাবে।
ঢাকা মহানগরে চলাফেরার ক্ষেত্রে সময়মতো ন্যায্য ভাড়ায় যানবাহন পাওয়া বিরল সৌভাগ্যের ব্যাপার। জনপরিবহনের সিংহভাগ চলে বিভিন্ন রুটের বাসগুলোর দ্বারা। বাকিটা চলে কিছু টেম্পো ও হিউম্যান হলার-জাতীয় ছোট ছোট যানবাহন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং স্বল্প দূরত্বে পায়ে টানা রিকশায়। নিম্ন আয়ের মানুষের প্রধান ভরসা বাস; এবং যেহেতু নিম্ন আয়ের মানুষের সংখ্যাই বেশি, তাই বাসে ভিড়ও খুব বেশি। জরুরি ভিত্তিতে কোথাও যাওয়ার ক্ষেত্রে সামর্থ্যবান মানুষেরা সিএনজিচালিত অটোরিকশাগুলোর ওপর নির্ভর করেন। কিন্তু যাত্রীর তুলনায় অটোরিকশার সংখ্যা এত কম যে অটোরিকশাগুলোর চালকেরা সরকার-নির্ধারিত ভাড়ায় মিটার অনুযায়ী চলা দূরে থাক, নিজেদের ইচ্ছামতো অনেক বেশি ভাড়া হাঁকেন। অনেক সময় তাঁরা বেশি ভাড়ায়ও যেতে রাজি হন না, যদিও নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো গন্তব্যে যাত্রী পরিবহনে বাধ্য। কিন্তু এখন অনিয়মই নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে, ফলে দুর্ভোগ ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা।
সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বর্ধিত ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর পরও মিটারে না যাওয়ার কোনো যুক্তি নেই। অবশ্য কোনো কোনো চালক তাঁদের কাছ থেকে মালিকেরা নির্ধারিত হারের বেশি জমা নেন বলে দাবি করেছেন, সে রকম কিছু ঘটে থাকলে তারও প্রতিকার প্রয়োজন। বিআরটিএ বলছে, অটোরিকশার চালকেরা সরকার-নির্ধারিত হারে ভাড়া নিচ্ছেন কি না, তা দেখার মতো লোকবল তাদের নেই। তারা এটা দেখার জন্য পুলিশ কমিশনারকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লিখেছে। ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব এটি দেখা, কিন্তু গত কয়েক দিনে তাদের তেমন তৎপরতা লক্ষ করা যায়নি। অনেক যাত্রী অভিযোগ করেছেন, টেলিফোনে পুলিশের সাহায্য চেয়েও তাঁরা সাড়া পাননি। এটা দুঃখজনক। ট্রাফিক পুলিশের সহযোগিতা ছাড়া এ ক্ষেত্রে নিয়মনীতি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না। আমরা পুলিশ কর্তৃপক্ষের মনোযোগ আকর্ষণ করছি—বিআরটিএকে সহযোগিতা করুন; প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ করুন। অন্যথায় বিআরটিএর এই উদ্যোগও ভেস্তে যাবে।
No comments