উদ্যোগগুলো বাস্তবায়িত হোক-হাসিনা-থিনলে বৈঠক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভুটানের সফররত প্রধানমন্ত্রী লিওনচেন জিগমে ওয়াই থিনলের মঙ্গলবারের বৈঠকে ব্যবসা-বাণিজ্য, আঞ্চলিক যোগাযোগ, জ্বালানি, পর্যটন, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতিসহ নানা ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বেশ আশাপ্রদ আলোচনা হয়েছে।
নিকট প্রতিবেশী দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীদের বক্তব্য থেকে আবারও পরিষ্কার হয়েছে, উল্লিখিত ক্ষেত্রগুলোতে উভয় দেশই কতভাবে লাভবান হতে পারে; বৃহত্তর আঞ্চলিক পরিসরে আরও কত সম্ভাবনা আমরা এত দিন কাজে লাগাইনি।
উজানের দেশ ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ভাটির দেশ বাংলাদেশের সম্ভাব্য সমস্যাগুলো সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত বলে জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার অনুরোধ জানালে প্রধানমন্ত্রী থিনলে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। ভুটানে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা ব্যাপক; সে দেশের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোতে বিনিয়োগের অংশীদার হিসেবে বা ক্রেতা হিসেবে ভুটান থেকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ পেতে পারে, যা এ দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের ঘাটতি মোকাবিলায় অনেক সহায়ক হবে। আমরা বেশ কয়েক বছর ধরেই এ সম্ভাবনার কথা শুনে আসছি; কিন্তু সম্ভাবনাগুলো বাস্তবায়নে ফলপ্রসূ কোনো উদ্যোগ এখনো নেওয়া হয়নি। বাংলাদেশের উচিত এই ক্ষেত্রটিতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ভুটানকে আরও উদ্যোগী করে তোলা। কারণ, বিদু্যুৎ আমাদের বিশেষ অগ্রাধিকার।
ভুটানের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্যিক লেনদেন ভালো, যদিও তাদের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য-ঘাটতি রয়ে গেছে। পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে আরও গতি সঞ্চার ঘটতে পারে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ট্রানজিট চুক্তিটি কার্যকর হলে। ১৯৮০ সালে দুই দেশের মধ্যে একটি ট্রানজিট চুক্তি স্বাক্ষর এবং ২০০০ সালে তার মেয়াদও শেষ হয়েছে। কিন্তু ওই সময়ে চুক্তিটির বাস্তবায়ন ঘটানো সম্ভব হয়নি দুই দেশের মাঝখানে ভারতীয় ভূখণ্ড থাকায়। এখানে ভারতের সংশ্লিষ্টতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহারে সম্মতি আদায়ের সময় এসেছে; এ বছর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ঢাকা সফরে এলে এ ব্যাপারে অগ্রগতির আশা করা হচ্ছে।
ভারত যেহেতু বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে তার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজগুলোতে পণ্য পরিবহনের সুযোগ চায়, তাই বাংলাদেশও ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ভুটানে পণ্য পরিবহনের সুযোগ অবশ্যই আদায় করে নিতে পারে। এটি ঘটলে প্রথমত ভুটান-বাংলাদেশের মধ্যকার বাণিজ্যিক লেনদেন আরও ব্যয়সাশ্রয়ী ও সময়সাশ্রয়ী হবে, ভুটান চট্টগ্রাম ও মংলাবন্দর ব্যবহারের সুযোগ পাবে এবং মিয়ানমার, চীন ও থাইল্যান্ডের সঙ্গেও যোগাযোগের নতুন পথ খুলে যাবে। ফলে এই পুরো অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নতুন গতি সঞ্চারিত হবে; আনুষঙ্গিক সুফল হিসেবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই জাতিগুলোর মধ্যে শিক্ষা-সাংস্কৃতিক বিনিময় আরও নিবিড় হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উদ্ভূত নতুন সমস্যাবলি, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদসহ বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলায় যৌথ উদ্যোগও সূচিত হতে পারে এই বৃহত্তর যোগাযোগ, সম্প্রীতি ও সংহতির মধ্য দিয়ে।
দুই ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী দেশের দুই প্রধানমন্ত্রীর এই বৈঠককে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে চাই। অনুরোধ, আশ্বাস ও সম্ভাবনাগুলো উল্লেখের মধ্য দিয়েই যেন দুই দেশের আলোচনা শেষ হয়ে না যায়; আলোচিত প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় চুক্তি, সমঝোতা ইত্যাদি সম্পাদন করে কার্যক্ষেত্রে অগ্রগতি সাধনে উদ্যোগী হতে হবে।
উজানের দেশ ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ভাটির দেশ বাংলাদেশের সম্ভাব্য সমস্যাগুলো সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত বলে জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার অনুরোধ জানালে প্রধানমন্ত্রী থিনলে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। ভুটানে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা ব্যাপক; সে দেশের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোতে বিনিয়োগের অংশীদার হিসেবে বা ক্রেতা হিসেবে ভুটান থেকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ পেতে পারে, যা এ দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের ঘাটতি মোকাবিলায় অনেক সহায়ক হবে। আমরা বেশ কয়েক বছর ধরেই এ সম্ভাবনার কথা শুনে আসছি; কিন্তু সম্ভাবনাগুলো বাস্তবায়নে ফলপ্রসূ কোনো উদ্যোগ এখনো নেওয়া হয়নি। বাংলাদেশের উচিত এই ক্ষেত্রটিতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ভুটানকে আরও উদ্যোগী করে তোলা। কারণ, বিদু্যুৎ আমাদের বিশেষ অগ্রাধিকার।
ভুটানের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্যিক লেনদেন ভালো, যদিও তাদের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য-ঘাটতি রয়ে গেছে। পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে আরও গতি সঞ্চার ঘটতে পারে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ট্রানজিট চুক্তিটি কার্যকর হলে। ১৯৮০ সালে দুই দেশের মধ্যে একটি ট্রানজিট চুক্তি স্বাক্ষর এবং ২০০০ সালে তার মেয়াদও শেষ হয়েছে। কিন্তু ওই সময়ে চুক্তিটির বাস্তবায়ন ঘটানো সম্ভব হয়নি দুই দেশের মাঝখানে ভারতীয় ভূখণ্ড থাকায়। এখানে ভারতের সংশ্লিষ্টতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহারে সম্মতি আদায়ের সময় এসেছে; এ বছর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ঢাকা সফরে এলে এ ব্যাপারে অগ্রগতির আশা করা হচ্ছে।
ভারত যেহেতু বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে তার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজগুলোতে পণ্য পরিবহনের সুযোগ চায়, তাই বাংলাদেশও ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ভুটানে পণ্য পরিবহনের সুযোগ অবশ্যই আদায় করে নিতে পারে। এটি ঘটলে প্রথমত ভুটান-বাংলাদেশের মধ্যকার বাণিজ্যিক লেনদেন আরও ব্যয়সাশ্রয়ী ও সময়সাশ্রয়ী হবে, ভুটান চট্টগ্রাম ও মংলাবন্দর ব্যবহারের সুযোগ পাবে এবং মিয়ানমার, চীন ও থাইল্যান্ডের সঙ্গেও যোগাযোগের নতুন পথ খুলে যাবে। ফলে এই পুরো অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নতুন গতি সঞ্চারিত হবে; আনুষঙ্গিক সুফল হিসেবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই জাতিগুলোর মধ্যে শিক্ষা-সাংস্কৃতিক বিনিময় আরও নিবিড় হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উদ্ভূত নতুন সমস্যাবলি, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদসহ বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলায় যৌথ উদ্যোগও সূচিত হতে পারে এই বৃহত্তর যোগাযোগ, সম্প্রীতি ও সংহতির মধ্য দিয়ে।
দুই ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী দেশের দুই প্রধানমন্ত্রীর এই বৈঠককে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে চাই। অনুরোধ, আশ্বাস ও সম্ভাবনাগুলো উল্লেখের মধ্য দিয়েই যেন দুই দেশের আলোচনা শেষ হয়ে না যায়; আলোচিত প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় চুক্তি, সমঝোতা ইত্যাদি সম্পাদন করে কার্যক্ষেত্রে অগ্রগতি সাধনে উদ্যোগী হতে হবে।
No comments