আইন ও সমাজ-হিন্দু মেয়েরা কি মা-বাবার সন্তান নয়? by তৃপ্তি বালা
রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে ৭ এপ্রিল মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘পূর্ণাঙ্গ হিন্দু বিবাহ আইন’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন তথা ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন এবং অবশ্যম্ভাবী ক্ষেত্রে বিয়েবিচ্ছেদের বৈধতা কিংবা আইনগত সুযোগের বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়। হিন্দু বিবাহ নিবন্ধনের অভাবে বাংলাদেশে হিন্দু নারী,
বিশেষত প্রান্তিক গোষ্ঠীর অবলা-অনাথ মেয়েদের বিবাহ-পরবর্তী জীবনের দুর্ভোগ-দুুর্দশা-নির্যাতন, মানুষ হিসেবে মর্যাদাহীনতার যে চিত্র উঠে আসে তিনজন নারী বক্তার ভাষ্যে, তা তো সামাজিক নির্দয়তার, পুরুষের পৌরুষহীনতার এক জীবন্ত চিত্র! তবু তো আমাদের চেতন হয় না। সমলিঙ্গের অসহায়ত্বের কাহিনি-কথনের সামনে এ প্রশ্নটি ঘনিয়ে ওঠে: জন্মদানকারী পিতা-মাতার কাছেই নাড়িছেঁড়া যে ধনের জায়গা হলো না, জগতের আর কোনখানে কি তার মূল্যমান যাচাই সম্ভব?
কন্যাদানের নামে বিবাহ নামক দায়িত্বটি পালনের মধ্য দিয়ে সেই কন্যাকেই তো বুঝে নিতে বলা হয়, সমাজের বুকে তার মূল্য কতখানি। অস্তিত্বের অধিকারটি অর্জনের পথে পিতৃগৃহ থেকে রিক্ত-শূন্য হূদয়ে স্বামীর গৃহে পা বাড়ায় সে। হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন জরুরি, অবশ্যই জরুরি; সময়ের অনিবার্য দাবি। তারও চেয়ে জরুরি জনক-জননীর ঘরে সন্তানের অধিকার প্রতিষ্ঠা; পিতা-মাতার উত্তরাধিকারে পুত্র ও কন্যার সমান অধিকার অর্জন।
জন্মগতভাবে কিংবা জন্মের পরিচয়ে একজন মানব শিশুর এই পৃথিবীতে আগমন যেমন একটি সহজ-স্বাভাবিক ঘটনা, পিতা-মাতার গৃহে তার অধিকারটিও সে রকমই সহজ-স্বাভাবিক বিবেচিত হওয়ার কথা। অথচ আশ্চর্য, তা হয়নি। হিন্দু পারিবারিক আইন বলে পরিচিত আইনে পিতা-মাতার সম্পত্তিতে কন্যাসন্তানের কোনো অধিকার নেই। নিদারুণ-নিষ্ঠুর একপেশে এই বিধানটি কী করে যে আমরা মেনে চলেছি যুগের পর যুগ, প্রজন্মের পর প্রজন্ম—ভাবতে বিস্মিত হই, নিদারুণ হতাশা আর যন্ত্রণায় মনটা কাতরও হয়ে ওঠে। একই পিতা-মাতার সন্তান, অথচ কন্যার নেই তার জন্মের দাবি! হতবাক হই এই ভেবে, কী করে যে আমাদের বাবা ও ভাইয়েরা এসব মেনে নিয়ে নিশ্চুপ থেকেছেন এতটা কাল! এমন বিষম একটি বিধানের প্রতিকারে এগিয়ে আসেননি আরও আগেই!
এ ব্যবধান কী করে সহ্য করে ধরিত্রী! করে না। আর তাই হয়তো খুব বেশি এগোতেও পারি না আমরা। হানাহানি, কাটাকাটিতেই নিঃশেষ হই প্রগতির পথে। আবেগের বেগে কত কথাই তো বেরিয়ে আসে, লাভ নেই তাতে। যুগ যুগ ধরে ক্ষমতা আর শক্তির কাছেই কেবল বলি মানবাত্মা! মহামানবগণ আসেন, যান; অনেক দূর এগিয়েও দিয়ে যান এই সমাজ আর তার বিধিব্যবস্থা। আর কী নিদারুণ শ্রম-স্বেদের পথে তাঁদের সেই সমাজ-সংস্কারের পথচলা—ইতিহাস তার সাক্ষী।
রাজা রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ব্রিটিশ ভারতে সতীদাহ প্রথা, বিধবা বিবাহ আইন—হিন্দু সামাজিকতার পাশবিক কতক দিকের সংস্কারে যে সফল হয়েছিলেন, সে তো চাট্টিখানি ব্যাপার ছিল না। হিন্দু পৌত্তলিকতা তথা রক্ষণশীল হিন্দুর অমানবিক বিরুদ্ধতা প্রবল শক্তিরূপে সব সময়ই ক্রিয়াশীল ছিল। বলা যায়, বিজাতীয় ইংরেজের সহযোগিতায়ই তারা তা সম্ভবপর করতে পেরেছিলেন।
বাংলাদেশে আজকের সময় পর্যন্ত হিন্দু পারিবারিক যে আইন চলছে, তা প্রায় সেই দুই থেকে আড়াই হাজার বছর আগে পুরুষতান্ত্রিকতা, বর্ণবাদ আর ব্রাহ্মণ্যবাদের প্রতিষ্ঠাতা কজন আইনপ্রণেতার দ্বারা প্রণীত কিছু নিষ্ঠুর একপক্ষীয় নির্দেশাবলি। বৈদিক যুগের পরবর্তী সময়ে মন্যু, অত্রি, যাজ্ঞবল্ক্য প্রভৃতি সংহিতাপ্রণেতারা বিভিন্ন সময়ে সামাজিক পরিস্থিতি অনুযায়ী এসব শাস্ত্র রচনা করেছিলেন, যেখানে মূল ছিল জাতিভেদ আর নারী অনুশাসন। ব্রিটিশ ভারতের কাল পেরিয়ে সাতচল্লিশ-পরবর্তী সময়ে ইন্ডিয়ান ইনডিপেনডেন্ট অ্যাক্টের আওতায় এ ভূখণ্ডেও তা স্বীকৃত হয়েছে। পরবর্তী ছয় দশকের অধিক সময়ে কোনো সরকারের আমলে হিন্দু আইনের আর কোনো পরিবর্তন বা সংস্কার হয়নি। এ যুগের আইন বিশ্লেষণকারী, ব্যবহারকারী এবং প্রয়োগকারী—সবার কাছেই বিরাজমান হিন্দু পারিবারিক আইন এককথায় জাতিসংঘ মানবাধিকার সনদ ও নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ সনদ (সিডও) এবং বাংলাদেশ সংবিধানের বিরোধিতার শামিল।
পাশের দেশ ভারতে একক বৃহৎ হিন্দু জনগোষ্ঠীর দেশ হিসেবে ১৯৫৫, ১৯৫৬, ১৯৬০ এবং ২০০৫-এ হিন্দু পারিবারিক আইনের ব্যাপক সংস্কার হয়েছে। এই সংস্কারের কারণে সে দেশে নর-নারীর জীবনে সময়োপযোগী পরিবর্তন যেমন এসেছে, তাদের মানবাধিকার ও সাংবিধানিক অধিকারও নিশ্চিত হয়েছে। সেখানে সম্পত্তির উত্তরাধিকারে পুত্র ও কন্যার সম-অধিকার অনেক আগে থেকেই স্বীকৃত। বিবাহ নিবন্ধন আইন, বিয়েবিচ্ছেদ আইন—সবই যুগোপযোগী ক্রিয়া করছে। ভারতীয় হিন্দু পারিবারিক আইনের সর্বশেষ সংশোধনী পর্যন্ত মডেল হিসেবে অনুসরণ করেই আমাদের দেশে এ আইন পাস করা দরকার।
খণ্ডবিশেষ সংশোধন করে সার্বিক অর্জন সম্ভব নয়। দরকার পূর্ণাঙ্গ হিন্দু পারিবারিক আইনের সময়োপযোগী পরিবর্তন। হিন্দু আইন সংস্কার বিষয়ে রক্ষণশীল হিন্দু সমাজের বিরোধিতা সব সময়ই ছিল। গুটিকতক ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ইচ্ছা, অনীহা কিংবা নির্দয় মনোভাবের কারণে সার্বিক মানবতার মুক্তি বলি হতে পারে না; বরং রাষ্ট্রের কর্তব্য তার সব নাগরিকের মানবিক ও সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় সর্বজনীন আইন প্রণয়ন করা। আইন প্রণীত হলে নাগরিকসাধারণ তা মেনে চলতে বাধ্য থাকবে।
এ দেশে সম্পত্তির অভিন্ন উত্তরাধিকার বিষয়ে বিরুদ্ধ-গোষ্ঠীর সন্দেহের একটি বড় দিক হয়তো ধর্মান্তর বিষয়ে। তাদের প্রতি সবিনয়ে উল্লেখ্য, প্রেম কিংবা প্রলোভনে পড়ে কন্যাসন্তান যেমন অন্য ধর্মের পুরুষকে বিয়ে করে ধর্মান্তরিত হচ্ছে, পুত্রসন্তানের ক্ষেত্রেও তো তেমনটি ঘটতে পারে। ধর্মান্তরিত পুত্র কিংবা কন্যার বিষয়ে বিশেষ বিধান সংযুক্ত করেই না হয় উত্তরাধিকারের অধিকার সংরক্ষণ করতে হবে।
মোট কথা, মানবাধিকার ও সাংবিধানিক অধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বিষয়গুলো সম্পূর্ণ বর্জন করে হিন্দু পারিবারিক আইনের আমূল সংস্কার করা জরুরি। এবং ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণও এ মুহূর্তে রাষ্ট্রের একটি বড় সাংবিধানিক দায়িত্ব।
তৃপ্তি বালা: গল্পকার, চিকিৎসক।
কন্যাদানের নামে বিবাহ নামক দায়িত্বটি পালনের মধ্য দিয়ে সেই কন্যাকেই তো বুঝে নিতে বলা হয়, সমাজের বুকে তার মূল্য কতখানি। অস্তিত্বের অধিকারটি অর্জনের পথে পিতৃগৃহ থেকে রিক্ত-শূন্য হূদয়ে স্বামীর গৃহে পা বাড়ায় সে। হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন জরুরি, অবশ্যই জরুরি; সময়ের অনিবার্য দাবি। তারও চেয়ে জরুরি জনক-জননীর ঘরে সন্তানের অধিকার প্রতিষ্ঠা; পিতা-মাতার উত্তরাধিকারে পুত্র ও কন্যার সমান অধিকার অর্জন।
জন্মগতভাবে কিংবা জন্মের পরিচয়ে একজন মানব শিশুর এই পৃথিবীতে আগমন যেমন একটি সহজ-স্বাভাবিক ঘটনা, পিতা-মাতার গৃহে তার অধিকারটিও সে রকমই সহজ-স্বাভাবিক বিবেচিত হওয়ার কথা। অথচ আশ্চর্য, তা হয়নি। হিন্দু পারিবারিক আইন বলে পরিচিত আইনে পিতা-মাতার সম্পত্তিতে কন্যাসন্তানের কোনো অধিকার নেই। নিদারুণ-নিষ্ঠুর একপেশে এই বিধানটি কী করে যে আমরা মেনে চলেছি যুগের পর যুগ, প্রজন্মের পর প্রজন্ম—ভাবতে বিস্মিত হই, নিদারুণ হতাশা আর যন্ত্রণায় মনটা কাতরও হয়ে ওঠে। একই পিতা-মাতার সন্তান, অথচ কন্যার নেই তার জন্মের দাবি! হতবাক হই এই ভেবে, কী করে যে আমাদের বাবা ও ভাইয়েরা এসব মেনে নিয়ে নিশ্চুপ থেকেছেন এতটা কাল! এমন বিষম একটি বিধানের প্রতিকারে এগিয়ে আসেননি আরও আগেই!
এ ব্যবধান কী করে সহ্য করে ধরিত্রী! করে না। আর তাই হয়তো খুব বেশি এগোতেও পারি না আমরা। হানাহানি, কাটাকাটিতেই নিঃশেষ হই প্রগতির পথে। আবেগের বেগে কত কথাই তো বেরিয়ে আসে, লাভ নেই তাতে। যুগ যুগ ধরে ক্ষমতা আর শক্তির কাছেই কেবল বলি মানবাত্মা! মহামানবগণ আসেন, যান; অনেক দূর এগিয়েও দিয়ে যান এই সমাজ আর তার বিধিব্যবস্থা। আর কী নিদারুণ শ্রম-স্বেদের পথে তাঁদের সেই সমাজ-সংস্কারের পথচলা—ইতিহাস তার সাক্ষী।
রাজা রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ব্রিটিশ ভারতে সতীদাহ প্রথা, বিধবা বিবাহ আইন—হিন্দু সামাজিকতার পাশবিক কতক দিকের সংস্কারে যে সফল হয়েছিলেন, সে তো চাট্টিখানি ব্যাপার ছিল না। হিন্দু পৌত্তলিকতা তথা রক্ষণশীল হিন্দুর অমানবিক বিরুদ্ধতা প্রবল শক্তিরূপে সব সময়ই ক্রিয়াশীল ছিল। বলা যায়, বিজাতীয় ইংরেজের সহযোগিতায়ই তারা তা সম্ভবপর করতে পেরেছিলেন।
বাংলাদেশে আজকের সময় পর্যন্ত হিন্দু পারিবারিক যে আইন চলছে, তা প্রায় সেই দুই থেকে আড়াই হাজার বছর আগে পুরুষতান্ত্রিকতা, বর্ণবাদ আর ব্রাহ্মণ্যবাদের প্রতিষ্ঠাতা কজন আইনপ্রণেতার দ্বারা প্রণীত কিছু নিষ্ঠুর একপক্ষীয় নির্দেশাবলি। বৈদিক যুগের পরবর্তী সময়ে মন্যু, অত্রি, যাজ্ঞবল্ক্য প্রভৃতি সংহিতাপ্রণেতারা বিভিন্ন সময়ে সামাজিক পরিস্থিতি অনুযায়ী এসব শাস্ত্র রচনা করেছিলেন, যেখানে মূল ছিল জাতিভেদ আর নারী অনুশাসন। ব্রিটিশ ভারতের কাল পেরিয়ে সাতচল্লিশ-পরবর্তী সময়ে ইন্ডিয়ান ইনডিপেনডেন্ট অ্যাক্টের আওতায় এ ভূখণ্ডেও তা স্বীকৃত হয়েছে। পরবর্তী ছয় দশকের অধিক সময়ে কোনো সরকারের আমলে হিন্দু আইনের আর কোনো পরিবর্তন বা সংস্কার হয়নি। এ যুগের আইন বিশ্লেষণকারী, ব্যবহারকারী এবং প্রয়োগকারী—সবার কাছেই বিরাজমান হিন্দু পারিবারিক আইন এককথায় জাতিসংঘ মানবাধিকার সনদ ও নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ সনদ (সিডও) এবং বাংলাদেশ সংবিধানের বিরোধিতার শামিল।
পাশের দেশ ভারতে একক বৃহৎ হিন্দু জনগোষ্ঠীর দেশ হিসেবে ১৯৫৫, ১৯৫৬, ১৯৬০ এবং ২০০৫-এ হিন্দু পারিবারিক আইনের ব্যাপক সংস্কার হয়েছে। এই সংস্কারের কারণে সে দেশে নর-নারীর জীবনে সময়োপযোগী পরিবর্তন যেমন এসেছে, তাদের মানবাধিকার ও সাংবিধানিক অধিকারও নিশ্চিত হয়েছে। সেখানে সম্পত্তির উত্তরাধিকারে পুত্র ও কন্যার সম-অধিকার অনেক আগে থেকেই স্বীকৃত। বিবাহ নিবন্ধন আইন, বিয়েবিচ্ছেদ আইন—সবই যুগোপযোগী ক্রিয়া করছে। ভারতীয় হিন্দু পারিবারিক আইনের সর্বশেষ সংশোধনী পর্যন্ত মডেল হিসেবে অনুসরণ করেই আমাদের দেশে এ আইন পাস করা দরকার।
খণ্ডবিশেষ সংশোধন করে সার্বিক অর্জন সম্ভব নয়। দরকার পূর্ণাঙ্গ হিন্দু পারিবারিক আইনের সময়োপযোগী পরিবর্তন। হিন্দু আইন সংস্কার বিষয়ে রক্ষণশীল হিন্দু সমাজের বিরোধিতা সব সময়ই ছিল। গুটিকতক ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ইচ্ছা, অনীহা কিংবা নির্দয় মনোভাবের কারণে সার্বিক মানবতার মুক্তি বলি হতে পারে না; বরং রাষ্ট্রের কর্তব্য তার সব নাগরিকের মানবিক ও সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় সর্বজনীন আইন প্রণয়ন করা। আইন প্রণীত হলে নাগরিকসাধারণ তা মেনে চলতে বাধ্য থাকবে।
এ দেশে সম্পত্তির অভিন্ন উত্তরাধিকার বিষয়ে বিরুদ্ধ-গোষ্ঠীর সন্দেহের একটি বড় দিক হয়তো ধর্মান্তর বিষয়ে। তাদের প্রতি সবিনয়ে উল্লেখ্য, প্রেম কিংবা প্রলোভনে পড়ে কন্যাসন্তান যেমন অন্য ধর্মের পুরুষকে বিয়ে করে ধর্মান্তরিত হচ্ছে, পুত্রসন্তানের ক্ষেত্রেও তো তেমনটি ঘটতে পারে। ধর্মান্তরিত পুত্র কিংবা কন্যার বিষয়ে বিশেষ বিধান সংযুক্ত করেই না হয় উত্তরাধিকারের অধিকার সংরক্ষণ করতে হবে।
মোট কথা, মানবাধিকার ও সাংবিধানিক অধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বিষয়গুলো সম্পূর্ণ বর্জন করে হিন্দু পারিবারিক আইনের আমূল সংস্কার করা জরুরি। এবং ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণও এ মুহূর্তে রাষ্ট্রের একটি বড় সাংবিধানিক দায়িত্ব।
তৃপ্তি বালা: গল্পকার, চিকিৎসক।
No comments