দাম স্থিতিশীল রাখতে বহুমুখী উদ্যোগ জরুরি-খাদ্যপণ্য পরিস্থিতি
বিশ্ববাজারে খাদ্যের দাম সামনের দিনগুলোতে বাড়বে—এমন পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। কারণ, গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় ৬ শতাংশ খাদ্যপণ্য বাজারে কম আসবে। বিশ্বের অনেক দেশে এরই মধ্যে এর চাপ পড়তে শুরু করেছে। খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার দিকে থাকলেও বাংলাদেশ এখনো বড় চাপে পড়েনি।
কিন্তু পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত ও কার্যকর প্রস্তুতি না নিতে পারলে সামনে বিপদে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সরকার এরই মধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে। আমরা সামগ্রিকভাবে আরও কিছু বিষয়ের প্রতি সরকারের মনোযোগ আকর্ষণ করতে চাই।
প্রথমেই বলা প্রয়োজন, খাদ্যসংকটের যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিতে হবে। ২০০৭-০৮-এর খাদ্যসংকটের বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে। যে পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে, তাতে এটা বোঝা যাচ্ছে যে এবারের এই সংকট দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। উৎপাদন কমে যাওয়ায় যেমন সংকট দেখা দিতে যাচ্ছে, তেমনই উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় সামনের দিনগুলোয় খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্যবৃদ্ধির যে প্রবণতা, তাতে সামনের দিনগুলোতে দাম আরও বাড়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। সাধারণত তেলের দাম বাড়ার প্রভাব খাদ্যপণ্যের ওপর পড়ে মাস ছয়েক পর। তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সার ও সেচের সম্পর্ক থাকায় কৃষিপণ্যেরও দাম বেড়ে যায়। ফলে খাদ্যসংকট ও খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার প্রবণতা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার আশঙ্কাই বেশি।
বর্তমান বাস্তবতায় দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আগামী তিন মাসের মধ্যে বহুমুখী তৎপরতা ও উদ্যোগ জরুরি হয়ে পড়েছে। এই সময়ের মধ্যে কোথা থেকে কী খাদ্যপণ্য সংগ্রহ করা যাবে, তা নিশ্চিত না করলে এবং সামনে দাম আরও বেড়ে গেলে বিষয়টি কঠিন হয়ে পড়বে। সরকার ইতিমধ্যে ভিয়েতনাম থেকে আড়াই লাখ টন চাল আমদানির উদ্যোগ সেরে ফেলেছে এবং অর্ধেক চাল দেশে চলেও এসেছে। ভারত থেকে পাঁচ লাখ টন চাল আমদানির বিষয়টি তাদের নানা শর্তের কারণে ঝুলে আছে। এর বাইরে সরকার থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া থেকে চাল আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা মনে করি, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের এই উদ্যোগগুলো জরুরি এবং এখনই সামনে চাল আমদানির জন্য এই দেশগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কিছু চুক্তি করে রাখা উচিত।
এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন যে পাশের দেশ ভারত থেকে চাল আমদানি দাম বা পরিবহন যেকোনো বিবেচনায়ই সাশ্রয়ী। ভারত থেকে আনা গেলে সবচেয়ে ভালো, কিন্তু দেশটির নানা শর্ত ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে ভারতীয় চালের ওপর নির্ভর করে বসে থাকার সুযোগ নেই। বিকল্প সব সম্ভাবনা বিবেচনায় নিতে হবে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটও সক্রিয় হয়ে ওঠে, বাজার থেকে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে। এই বিষয়গুলোও সরকারের বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে দেশের বেসরকারি খাত খুব স্বাভাবিক কারণেই চাল ও গমের মতো খাদ্যপণ্য আমদানি কমিয়ে দিয়েছে। সরকারের খাদ্য মজুদের ক্ষমতা বা দুর্নীতি ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা—এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বলা যায়, শুধু সরকারের পক্ষে চাল বা খাদ্যপণ্য আমদানি করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হবে। বেসরকারি খাতকে এই উদ্যোগে সম্পৃক্ত করা সে কারণেই জরুরি। কীভাবে এই প্রক্রিয়ায় বেসরকারি খাতকে যুক্ত করা যায়, সে ব্যাপারে সরকার আমদানিকারকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শুরু করতে পারে। রাষ্ট্রীয়ভাবে অন্য দেশের সঙ্গে খাদ্যপণ্য আমদানির সমঝোতার ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের জন্যও কোটা নির্দিষ্ট করে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।
আমরা আশা করব, সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সরকার এগোবে। এ ক্ষেত্রে দেরি করার কোনো সুযোগ নেই।
প্রথমেই বলা প্রয়োজন, খাদ্যসংকটের যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিতে হবে। ২০০৭-০৮-এর খাদ্যসংকটের বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে। যে পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে, তাতে এটা বোঝা যাচ্ছে যে এবারের এই সংকট দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। উৎপাদন কমে যাওয়ায় যেমন সংকট দেখা দিতে যাচ্ছে, তেমনই উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় সামনের দিনগুলোয় খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্যবৃদ্ধির যে প্রবণতা, তাতে সামনের দিনগুলোতে দাম আরও বাড়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। সাধারণত তেলের দাম বাড়ার প্রভাব খাদ্যপণ্যের ওপর পড়ে মাস ছয়েক পর। তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সার ও সেচের সম্পর্ক থাকায় কৃষিপণ্যেরও দাম বেড়ে যায়। ফলে খাদ্যসংকট ও খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার প্রবণতা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার আশঙ্কাই বেশি।
বর্তমান বাস্তবতায় দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আগামী তিন মাসের মধ্যে বহুমুখী তৎপরতা ও উদ্যোগ জরুরি হয়ে পড়েছে। এই সময়ের মধ্যে কোথা থেকে কী খাদ্যপণ্য সংগ্রহ করা যাবে, তা নিশ্চিত না করলে এবং সামনে দাম আরও বেড়ে গেলে বিষয়টি কঠিন হয়ে পড়বে। সরকার ইতিমধ্যে ভিয়েতনাম থেকে আড়াই লাখ টন চাল আমদানির উদ্যোগ সেরে ফেলেছে এবং অর্ধেক চাল দেশে চলেও এসেছে। ভারত থেকে পাঁচ লাখ টন চাল আমদানির বিষয়টি তাদের নানা শর্তের কারণে ঝুলে আছে। এর বাইরে সরকার থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া থেকে চাল আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা মনে করি, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের এই উদ্যোগগুলো জরুরি এবং এখনই সামনে চাল আমদানির জন্য এই দেশগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কিছু চুক্তি করে রাখা উচিত।
এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন যে পাশের দেশ ভারত থেকে চাল আমদানি দাম বা পরিবহন যেকোনো বিবেচনায়ই সাশ্রয়ী। ভারত থেকে আনা গেলে সবচেয়ে ভালো, কিন্তু দেশটির নানা শর্ত ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে ভারতীয় চালের ওপর নির্ভর করে বসে থাকার সুযোগ নেই। বিকল্প সব সম্ভাবনা বিবেচনায় নিতে হবে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটও সক্রিয় হয়ে ওঠে, বাজার থেকে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে। এই বিষয়গুলোও সরকারের বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে দেশের বেসরকারি খাত খুব স্বাভাবিক কারণেই চাল ও গমের মতো খাদ্যপণ্য আমদানি কমিয়ে দিয়েছে। সরকারের খাদ্য মজুদের ক্ষমতা বা দুর্নীতি ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা—এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বলা যায়, শুধু সরকারের পক্ষে চাল বা খাদ্যপণ্য আমদানি করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হবে। বেসরকারি খাতকে এই উদ্যোগে সম্পৃক্ত করা সে কারণেই জরুরি। কীভাবে এই প্রক্রিয়ায় বেসরকারি খাতকে যুক্ত করা যায়, সে ব্যাপারে সরকার আমদানিকারকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শুরু করতে পারে। রাষ্ট্রীয়ভাবে অন্য দেশের সঙ্গে খাদ্যপণ্য আমদানির সমঝোতার ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের জন্যও কোটা নির্দিষ্ট করে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।
আমরা আশা করব, সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সরকার এগোবে। এ ক্ষেত্রে দেরি করার কোনো সুযোগ নেই।
No comments