প্রয়োজনের অতিরিক্ত বরাদ্দ বন্ধ করুন-কালোবাজারে পুলিশের চাল
খাদ্য বিভাগের এক তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নামে বরাদ্দ করা রেশনের চাল কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে। খাদ্য বিভাগের একজন অতিরিক্ত পরিচালকের নেতৃত্বে গঠিত এক তদন্ত কমিটির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশের জন্য বরাদ্দ রেশনের চাল কালোবাজারে বিক্রি হয়, এটা তাদের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
এটা বড়ই দুর্ভাগ্যজনক যে, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ সাধারণ মানুষ চালের উচ্চমূল্যে যখন সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে, তখন বিপুল অঙ্কের সরকারি ভর্তুকি দিয়ে অতি নিম্নমূল্যে দেওয়া রেশনের চাল পুলিশের দুটি কর্তৃপক্ষ বাজারে বিক্রি করে দেয়। বাজারে যে চালের দাম কেজিপ্রতি ৩৫ থেকে ৩৭ টাকা, পুলিশ বাহিনীর জন্য সেই চাল রেশনে দেওয়া হয় মাত্র দুই টাকা ১০ পয়সা কেজি দরে। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃপক্ষের নামে বছরে ১২ হাজার টন চাল এই সামান্য মূল্যে দেওয়া হয়। এই বিশেষ সুবিধাটি তারা পেয়ে থাকে ‘অগ্রাধিকার দলের নামে বরাদ্দ’ হিসেবে। এক টাকা ৭৮ পয়সা কেজি দরে আট হাজার টন গমও প্রতিবছর তাদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়। বাজারে গমের দাম কেজিপ্রতি ৩৩ থেকে ৩৭ টাকা।
ডিএমপির পক্ষ থেকে এ রকম একটি ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে যে, পুলিশ সদস্যদের মধ্যে যাঁরা মেসে খাওয়াদাওয়া করেন, তাঁদের জন্য এত পরিমাণ চালের প্রয়োজন হয় না। মেস ম্যানেজার বাড়তি চাল বিক্রি করে দিয়ে সেই টাকায় মাছ-মাংস ও সবজি কেনেন। একই সঙ্গে আবার এমন মন্তব্যও করা হয়, পুলিশ বাহিনীর জন্য আরও বেশি চাল বরাদ্দ করা উচিত। এটি একটি উদ্ভট, অগ্রহণযোগ্য যুক্তি। যতটা চালের প্রয়োজন হয় না, ততটা বরাদ্দ দেওয়াই অন্যায়, উপরন্তু আরও বেশি চাল বরাদ্দ করা উচিত বলে মন্তব্য করা বিবেচনাবোধের পরিচায়ক নয়। মনে রাখা উচিত, এই দরিদ্র দেশে বিপুলসংখ্যক গরিব মানুষ তিন বেলা পেটপুরে শুধু ভাতটুকুই খেতে পায় না।
পুলিশের জন্য রেশনে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয় তা বিক্রি করে মাছ-মাংস ও সবজি কেনার জন্য নয়। আর যে প্রক্রিয়ায় বাড়তি চাল বিক্রি করে সেই অর্থ অন্য খাদ্যের পেছনে ব্যয় করা হয়, তাও নিয়মসিদ্ধ নয়। এখানে আর্থিক অনিয়মের আশঙ্কা থেকে যায়। আমরা আশা করব, খাদ্য বিভাগ ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত চাল বরাদ্দ বন্ধ করা এবং বরাদ্দ চালের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত দরকার।
ডিএমপির পক্ষ থেকে এ রকম একটি ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে যে, পুলিশ সদস্যদের মধ্যে যাঁরা মেসে খাওয়াদাওয়া করেন, তাঁদের জন্য এত পরিমাণ চালের প্রয়োজন হয় না। মেস ম্যানেজার বাড়তি চাল বিক্রি করে দিয়ে সেই টাকায় মাছ-মাংস ও সবজি কেনেন। একই সঙ্গে আবার এমন মন্তব্যও করা হয়, পুলিশ বাহিনীর জন্য আরও বেশি চাল বরাদ্দ করা উচিত। এটি একটি উদ্ভট, অগ্রহণযোগ্য যুক্তি। যতটা চালের প্রয়োজন হয় না, ততটা বরাদ্দ দেওয়াই অন্যায়, উপরন্তু আরও বেশি চাল বরাদ্দ করা উচিত বলে মন্তব্য করা বিবেচনাবোধের পরিচায়ক নয়। মনে রাখা উচিত, এই দরিদ্র দেশে বিপুলসংখ্যক গরিব মানুষ তিন বেলা পেটপুরে শুধু ভাতটুকুই খেতে পায় না।
পুলিশের জন্য রেশনে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয় তা বিক্রি করে মাছ-মাংস ও সবজি কেনার জন্য নয়। আর যে প্রক্রিয়ায় বাড়তি চাল বিক্রি করে সেই অর্থ অন্য খাদ্যের পেছনে ব্যয় করা হয়, তাও নিয়মসিদ্ধ নয়। এখানে আর্থিক অনিয়মের আশঙ্কা থেকে যায়। আমরা আশা করব, খাদ্য বিভাগ ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত চাল বরাদ্দ বন্ধ করা এবং বরাদ্দ চালের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত দরকার।
No comments