ঢাকায় পানি সংকট-চারপাশের নদীগুলোকে কাজে লাগান
একদিকে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা, অন্যদিকে পানীয় জলের অভাব- সব মিলে ঢাকার নগরজীবন এখন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। অনেক এলাকায় এখন পানীয় জলের চাহিদা পূরণ করতে হচ্ছে ওয়াসার গাড়ি এবং বোতলজাত পানি দিয়ে। প্রশ্ন হচ্ছে, এভাবে পানি ক্রয় করে কি নিত্যদিনের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব? আবার পানির এই সমস্যা ঢাকা শহরের জন্য নতুনও নয়।
তার পরও এ সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি পরিলক্ষিত হচ্ছে না। দেড় কোটি মানুষের জন্য দৈনিক যেখানে প্রায় ২৫০ কোটি লিটার পানির দরকার সেখানে পানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ওয়াসার পানি উৎপাদন ক্ষমতা মাত্র ২০০ কোটি লিটার। স্বাভাবিকভাবেই দৈনিক ৫০ কোটি লিটার পানির ঘাটতি। তার পরও ঢাকার ৬০৭টি পাম্প হাউস নিয়মিত চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ বিদ্যুৎ সংকট। বিকল্প জ্বালানির ব্যবস্থা দিয়েও চেষ্টা করা হচ্ছে; কিন্তু সেই বিকল্প ব্যবস্থাও চাহিদা পূরণ করার মতো পর্যায়ে নেই। বিদ্যুৎ ঘাটতিজনিত কারণে পানি উৎপাদন করতে না পারাটা স্বাভাবিক। কিন্তু জনচাহিদা পূরণ করা সরকারের অবশ্য কর্তব্য। এমন পরিস্থিতিতে ৪৩৩টি জেনারেটর চালানোর উদ্যোগ নিয়েও সরকার খুব একটা সফল হতে পারছে না। এ ব্যর্থতার পেছনে সরকারি প্রতিষ্ঠানের আন্তরিকতার অভাবের পাশাপাশি প্রশাসনের দুর্নীতিও রয়েছে। জানা গেছে, ৪৯৩টি পাম্প হাউস চালানোর জন্য যথারীতি প্রতি মাসে এক কোটি টাকা সরকারের তহবিল থেকে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু জেনারেটরগুলো প্রয়োজনীয় সময় না চালিয়ে সেখান থেকে তেল চুরি করার অভিযোগ উঠেছে।
এ মুহূর্তে ওয়াসার পানির স্বল্প উৎপাদনের মাত্রাকেও ছাড়িয়ে গেছে ওয়াসার দুর্গন্ধ ও ময়লাযুক্ত পানি। সায়েদাবাদ ও চাঁদনীঘাট পানি শোধনাগারে অতিরিক্ত রাসায়নিক পদার্থ মেশানোর পরও সেই দুই জায়গার পানি শোধন করা সম্ভব হচ্ছে না। এর জন্য নদীর পানি দূষণকে দায়ী করা হয়। সুতরাং এই দুই প্রকল্পের ওপর নির্ভরশীল হওয়ারও সুযোগ কম। অন্যদিকে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমেই নিচে নেমে যাওয়ার কারণে গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানি উত্তোলন করাও সহজ হবে না। এ পরিস্থিতিতে ব্রহ্মপুত্র নদ ও মেঘনা নদীর পানি ব্যবহারের পরিকল্পনা করতে হবে। বৃষ্টির পানি ধরে রাখার কোনো কৌশল অবলম্বন করা যায় কি না, তাও ভেবে দেখতে হবে। ঢাকা শহরের জলাধারগুলোকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার যে প্রবণতা আছে তাও ঠেকানো প্রয়োজন। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ঢাকা শহরের পুকুরগুলো ভরাট হয়ে গেছে একের পর এক। সেই প্রবণতাও রোধ করতে হবে। তা না হলে দেড় কোটি মানুষের এই নগরীতে খাদ্য সমস্যার চেয়েও পানি সংকট বড় হয়ে দেখা দেবে।
এ মুহূর্তে ওয়াসার পানির স্বল্প উৎপাদনের মাত্রাকেও ছাড়িয়ে গেছে ওয়াসার দুর্গন্ধ ও ময়লাযুক্ত পানি। সায়েদাবাদ ও চাঁদনীঘাট পানি শোধনাগারে অতিরিক্ত রাসায়নিক পদার্থ মেশানোর পরও সেই দুই জায়গার পানি শোধন করা সম্ভব হচ্ছে না। এর জন্য নদীর পানি দূষণকে দায়ী করা হয়। সুতরাং এই দুই প্রকল্পের ওপর নির্ভরশীল হওয়ারও সুযোগ কম। অন্যদিকে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমেই নিচে নেমে যাওয়ার কারণে গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানি উত্তোলন করাও সহজ হবে না। এ পরিস্থিতিতে ব্রহ্মপুত্র নদ ও মেঘনা নদীর পানি ব্যবহারের পরিকল্পনা করতে হবে। বৃষ্টির পানি ধরে রাখার কোনো কৌশল অবলম্বন করা যায় কি না, তাও ভেবে দেখতে হবে। ঢাকা শহরের জলাধারগুলোকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার যে প্রবণতা আছে তাও ঠেকানো প্রয়োজন। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ঢাকা শহরের পুকুরগুলো ভরাট হয়ে গেছে একের পর এক। সেই প্রবণতাও রোধ করতে হবে। তা না হলে দেড় কোটি মানুষের এই নগরীতে খাদ্য সমস্যার চেয়েও পানি সংকট বড় হয়ে দেখা দেবে।
No comments