সাক্ষাৎকারে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক-সরকারের কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই বাড়াবাড়ি আছে বিএনপিরও
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য এম ইলিয়াস আলীকে নিয়ে বিরোধী দলের কর্মসূচি 'বেশি বাড়াবাড়ি' বলে মনে করেন প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। একই সঙ্গে তিনি মনে করেন, ইলিয়াস আলীকে খুঁজে বের করতে সরকার কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
তিনি বিশ্বাস করেন ইলিয়াস আলী বেঁচে আছেন এবং গণতন্ত্রের স্বার্থেই তাঁকে খুঁজে বের করা উচিত।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে এক সাক্ষাৎকারে এসব মন্তব্যের পাশাপাশি সংবিধান সংশোধন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত প্রসঙ্গেও তিনি কথা বলেছেন।
কালের কণ্ঠ : দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কেমন বলে আপনি মনে করেন?
ব্যারিস্টার রফিক : পরিস্থিতি খুবই উত্তপ্ত। তবে এটা বাংলাদেশের জন্য নতুন কিছু নয়। পরিস্থিতি কখনো গরম হয়, কখনো ঠাণ্ডা থাকে। বর্তমানে ইলিয়াস আলী ইস্যুতে গরম হয়েছে। আবার ঠাণ্ডাও হয়ে যাবে। গত সাত মাসে দেশে অনেক গুমের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু রাজনৈতিক পরিস্থিতি গরম হয়নি। ইলিয়াস আলী প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের নেতা হওয়ায় দেশের রাজনৈতিক বাতাস গরম হয়ে উঠেছে। কারণ সিলেটে সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের পর তিনিই বিএনপির কাণ্ডারি ছিলেন।
কালের কণ্ঠ : ইলিয়াস আলী বেঁচে আছেন- এমনটা কিভাবে বলছেন?
ব্যারিস্টার রফিক : আমি এখনো মনে করি ইলিয়াস আলী বেঁচে আছেন। তিনি ফিরে আসবেন। ইলিয়াস আলী মারা গেলে তাঁর মরদেহ পাওয়া যেত। এ ঘটনায় হরতাল হচ্ছে। অথচ সরকারদলীয় লোক ১০ বছর আগের ঘটনা নিয়ে ইলিয়াস আলীর বিরুদ্ধে সিলেটে মামলা করল। এটা খুবই ইঙ্গিতবহ। ইলিয়াস আলী মারা গেলে এরকম দুটি মামলা হওয়ার কথা নয়।
ইলিয়াস আলীকে গুম করা হয়েছে- এটা বলব না। ইলিয়াস আলী নিখোঁজ। তাঁকে কেউ টাকার জন্য অপহরণ করবে বলেও মনে করি না। যেকোনো কারণেই হোক তিনি নিখোঁজ। এমন হতে পারে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে কোথাও লুকিয়ে আছেন। কিন্তু দেশে যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে বের হতে পারছেন না। বের হলে তাঁর দল বা সরকার যে কেউই বেকায়দায় পড়তে পারে, ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
কালের কণ্ঠ : এখন সরকারের ভূমিকা কী হওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?
ব্যারিস্টার রফিক : ইলিয়াস আলী গুম হোক আর নিখোঁজ হোক, তাঁকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব সরকারের। যেখান থেকেই হোক তাঁকে মৃত বা জীবিত উদ্ধার করতে হবে। কিন্তু সরকার তাঁকে উদ্ধারে সত্যিকার অর্থে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বিষয়টি সরকারের খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া উচিত ছিল।
কালের কণ্ঠ : গণতন্ত্রের জন্য এ ধরনের ঘটনা হুমকি কিনা?
ব্যারিস্টার রফিক : অব্যশ্যই। ইলিয়াস আলীর ঘটনা একটি গণতান্ত্রিক দেশের জন্য দুঃখজনক। কাউকে গুম করার পন্থা কেউ বেছে নিলে তার পরিণতি ভালো হয় না। এর ফাঁদে একসময় নিজেকেই পড়তে হয়। যে গুম করে সে-ই একদিন গুম হয়ে যায়। প্রতিটি বড় রাজনৈতিক দলের নিজস্ব নীতি থাকতে পারে। তেমনি আমাদের দুই নেত্রীরও নিজস্ব নীতি থাকতে পারে। কিন্তু তাই বলে একজন রাজনৈতিক নেতাকে গুম করে দেওয়ার সংস্কৃতি ভালো নয়। জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচি কারো জন্যই শুভকর নয়। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সব মহলের এক টেবিলে বসা দরকার। আলোচনায় বসলেই সমাধান বেরিয়ে আসবে।
কালের কণ্ঠ : বিরোধী দলের হরতাল কর্মসূচি সমর্থন করেন?
ব্যারিস্টার রফিক : একজন প্রভাবশালী নেতা নিখোঁজ। তাঁকে উদ্ধারে সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। তাই বলে টানা হরতাল কর্মসূচি সমর্থন করা যায় না। বিরোধী দল যে কর্মসূচি দিচ্ছে তা বেশি বাড়াবাড়ি। টানা হরতালে দেশের অর্থনীতির ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। দেশের বড় ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। এর আগেও গুমের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এমন তো দেখিনি।
কালের কণ্ঠ : বিএনপিই ইলিয়াস আলীকে লুকিয়ে রেখেছে- প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য সঠিক মনে করেন?
ব্যারিস্টার রফিক : প্রধানমন্ত্রী হয়তো ঝোঁকের মাথায় এমনটা বলে ফেলেছেন। আর এই বলাটা ভুল হয়ে গেছে মনে করেছেন বলেই এ নিয়ে তিনি আর কিছু বলছেন না। তাঁর দলের লোকেরাও কিছু বলছেন না।
কালের কণ্ঠ : আপনি এক সভায় বলেছেন, সুরঞ্জিত সেনের ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে এ ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে।
ব্যারিস্টার রফিক : আমার ওই মন্তব্য সঠিক বলেই প্রমাণ হয়েছে। ইলিয়াস আলীর ঘটনার পর তো সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ঘটনা ধামাচাপা পড়ে গেছে। আমি অন্ধকারে ঢিল ছুড়লেও তা লেগে গেছে।
কালের কণ্ঠ : সুরঞ্জিত সেনের ঘটনা সরকার বা সরকারি দলের জন্য ক্ষতির কারণ হয়েছে বলে মনে করেন কি?
ব্যারিস্টার রফিক : সুরঞ্জিত সেন আমার বন্ধু মানুষ। তাঁর এই ঘটনা আগামী জাতীয় নির্বাচনে একটি ইস্যু হবে। বিরোধী দল এ ঘটনা বারবার উচ্চারণ করে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলবে।
কালের কণ্ঠ : আপনি বলছেন রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে। এ থেকে পরিত্রাণের উপায় কী?
ব্যারিস্টার রফিক : সমঝোতা।
কালের কণ্ঠ : এত সব ঘটনায় সমঝোতার দুয়ার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কি?
ব্যারিস্টার রফিক : পৃথিবীর যেখানেই বড় বড় সমস্যা হয়েছে সেখানেই সমঝোতা হয়েছে। সমঝোতার পথ কখনো বন্ধ হয় না। আমাদের দেশের বর্তমান সমস্যারও শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে বলে বিশ্বাস করি।
কালের কণ্ঠ : তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে দুই নেত্রীর পক্ষে মামলায় লড়েছেন। তখন আপনি বলেছিলেন, গণতন্ত্র ফিরে এলে দুজনকে এক টেবিলে বসাবেন। এখন কী ভাবছেন?
ব্যারিস্টার রফিক : আমি দুজনকেই সম্মান করি। একজনকে বঙ্গবন্ধুর মেয়ে হিসেবে, আরেকজনকে জিয়াউর রহমানের স্ত্রী হিসেবে। ওয়ান-ইলেভেনের ঘটনার পর দুই নেত্রী একসঙ্গে বসবেন বলে আশা করেছিলাম। কিন্তু তা হয়নি। আমি এখনো আশাবাদী, তাঁরা একসঙ্গে বসে বিষয়টির সমাধান করবেন।
কালের কণ্ঠ : তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে সংবিধান সংশোধন সম্পর্কে আপনি কী মনে করেন?
ব্যারিস্টার রফিক : আপিল বিভাগে শুনানিকালে আমি একটি ফর্মুলা দিয়েছিলাম। বলেছিলাম, এটা থাকা দরকার তবে বর্তমান পদ্ধতিতে নয়। আপিল বিভাগ তা বাতিল করে রায় দিলেও কিন্তু একটি অভিমত দিয়েছেন যে দুই মেয়াদে এটা রাখা যেতে পারে। তাই আপিল বিভাগের রায় প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত সরকারের অপেক্ষা করা উচিত ছিল। তা না করে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করে সংবিধান সংশোধন করা সরকারের অন্যায় হয়েছে বলে মনে করি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে এক সাক্ষাৎকারে এসব মন্তব্যের পাশাপাশি সংবিধান সংশোধন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত প্রসঙ্গেও তিনি কথা বলেছেন।
কালের কণ্ঠ : দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কেমন বলে আপনি মনে করেন?
ব্যারিস্টার রফিক : পরিস্থিতি খুবই উত্তপ্ত। তবে এটা বাংলাদেশের জন্য নতুন কিছু নয়। পরিস্থিতি কখনো গরম হয়, কখনো ঠাণ্ডা থাকে। বর্তমানে ইলিয়াস আলী ইস্যুতে গরম হয়েছে। আবার ঠাণ্ডাও হয়ে যাবে। গত সাত মাসে দেশে অনেক গুমের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু রাজনৈতিক পরিস্থিতি গরম হয়নি। ইলিয়াস আলী প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের নেতা হওয়ায় দেশের রাজনৈতিক বাতাস গরম হয়ে উঠেছে। কারণ সিলেটে সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের পর তিনিই বিএনপির কাণ্ডারি ছিলেন।
কালের কণ্ঠ : ইলিয়াস আলী বেঁচে আছেন- এমনটা কিভাবে বলছেন?
ব্যারিস্টার রফিক : আমি এখনো মনে করি ইলিয়াস আলী বেঁচে আছেন। তিনি ফিরে আসবেন। ইলিয়াস আলী মারা গেলে তাঁর মরদেহ পাওয়া যেত। এ ঘটনায় হরতাল হচ্ছে। অথচ সরকারদলীয় লোক ১০ বছর আগের ঘটনা নিয়ে ইলিয়াস আলীর বিরুদ্ধে সিলেটে মামলা করল। এটা খুবই ইঙ্গিতবহ। ইলিয়াস আলী মারা গেলে এরকম দুটি মামলা হওয়ার কথা নয়।
ইলিয়াস আলীকে গুম করা হয়েছে- এটা বলব না। ইলিয়াস আলী নিখোঁজ। তাঁকে কেউ টাকার জন্য অপহরণ করবে বলেও মনে করি না। যেকোনো কারণেই হোক তিনি নিখোঁজ। এমন হতে পারে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে কোথাও লুকিয়ে আছেন। কিন্তু দেশে যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে বের হতে পারছেন না। বের হলে তাঁর দল বা সরকার যে কেউই বেকায়দায় পড়তে পারে, ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
কালের কণ্ঠ : এখন সরকারের ভূমিকা কী হওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?
ব্যারিস্টার রফিক : ইলিয়াস আলী গুম হোক আর নিখোঁজ হোক, তাঁকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব সরকারের। যেখান থেকেই হোক তাঁকে মৃত বা জীবিত উদ্ধার করতে হবে। কিন্তু সরকার তাঁকে উদ্ধারে সত্যিকার অর্থে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বিষয়টি সরকারের খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া উচিত ছিল।
কালের কণ্ঠ : গণতন্ত্রের জন্য এ ধরনের ঘটনা হুমকি কিনা?
ব্যারিস্টার রফিক : অব্যশ্যই। ইলিয়াস আলীর ঘটনা একটি গণতান্ত্রিক দেশের জন্য দুঃখজনক। কাউকে গুম করার পন্থা কেউ বেছে নিলে তার পরিণতি ভালো হয় না। এর ফাঁদে একসময় নিজেকেই পড়তে হয়। যে গুম করে সে-ই একদিন গুম হয়ে যায়। প্রতিটি বড় রাজনৈতিক দলের নিজস্ব নীতি থাকতে পারে। তেমনি আমাদের দুই নেত্রীরও নিজস্ব নীতি থাকতে পারে। কিন্তু তাই বলে একজন রাজনৈতিক নেতাকে গুম করে দেওয়ার সংস্কৃতি ভালো নয়। জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচি কারো জন্যই শুভকর নয়। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সব মহলের এক টেবিলে বসা দরকার। আলোচনায় বসলেই সমাধান বেরিয়ে আসবে।
কালের কণ্ঠ : বিরোধী দলের হরতাল কর্মসূচি সমর্থন করেন?
ব্যারিস্টার রফিক : একজন প্রভাবশালী নেতা নিখোঁজ। তাঁকে উদ্ধারে সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। তাই বলে টানা হরতাল কর্মসূচি সমর্থন করা যায় না। বিরোধী দল যে কর্মসূচি দিচ্ছে তা বেশি বাড়াবাড়ি। টানা হরতালে দেশের অর্থনীতির ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। দেশের বড় ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। এর আগেও গুমের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এমন তো দেখিনি।
কালের কণ্ঠ : বিএনপিই ইলিয়াস আলীকে লুকিয়ে রেখেছে- প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য সঠিক মনে করেন?
ব্যারিস্টার রফিক : প্রধানমন্ত্রী হয়তো ঝোঁকের মাথায় এমনটা বলে ফেলেছেন। আর এই বলাটা ভুল হয়ে গেছে মনে করেছেন বলেই এ নিয়ে তিনি আর কিছু বলছেন না। তাঁর দলের লোকেরাও কিছু বলছেন না।
কালের কণ্ঠ : আপনি এক সভায় বলেছেন, সুরঞ্জিত সেনের ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে এ ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে।
ব্যারিস্টার রফিক : আমার ওই মন্তব্য সঠিক বলেই প্রমাণ হয়েছে। ইলিয়াস আলীর ঘটনার পর তো সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ঘটনা ধামাচাপা পড়ে গেছে। আমি অন্ধকারে ঢিল ছুড়লেও তা লেগে গেছে।
কালের কণ্ঠ : সুরঞ্জিত সেনের ঘটনা সরকার বা সরকারি দলের জন্য ক্ষতির কারণ হয়েছে বলে মনে করেন কি?
ব্যারিস্টার রফিক : সুরঞ্জিত সেন আমার বন্ধু মানুষ। তাঁর এই ঘটনা আগামী জাতীয় নির্বাচনে একটি ইস্যু হবে। বিরোধী দল এ ঘটনা বারবার উচ্চারণ করে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলবে।
কালের কণ্ঠ : আপনি বলছেন রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে। এ থেকে পরিত্রাণের উপায় কী?
ব্যারিস্টার রফিক : সমঝোতা।
কালের কণ্ঠ : এত সব ঘটনায় সমঝোতার দুয়ার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কি?
ব্যারিস্টার রফিক : পৃথিবীর যেখানেই বড় বড় সমস্যা হয়েছে সেখানেই সমঝোতা হয়েছে। সমঝোতার পথ কখনো বন্ধ হয় না। আমাদের দেশের বর্তমান সমস্যারও শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে বলে বিশ্বাস করি।
কালের কণ্ঠ : তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে দুই নেত্রীর পক্ষে মামলায় লড়েছেন। তখন আপনি বলেছিলেন, গণতন্ত্র ফিরে এলে দুজনকে এক টেবিলে বসাবেন। এখন কী ভাবছেন?
ব্যারিস্টার রফিক : আমি দুজনকেই সম্মান করি। একজনকে বঙ্গবন্ধুর মেয়ে হিসেবে, আরেকজনকে জিয়াউর রহমানের স্ত্রী হিসেবে। ওয়ান-ইলেভেনের ঘটনার পর দুই নেত্রী একসঙ্গে বসবেন বলে আশা করেছিলাম। কিন্তু তা হয়নি। আমি এখনো আশাবাদী, তাঁরা একসঙ্গে বসে বিষয়টির সমাধান করবেন।
কালের কণ্ঠ : তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে সংবিধান সংশোধন সম্পর্কে আপনি কী মনে করেন?
ব্যারিস্টার রফিক : আপিল বিভাগে শুনানিকালে আমি একটি ফর্মুলা দিয়েছিলাম। বলেছিলাম, এটা থাকা দরকার তবে বর্তমান পদ্ধতিতে নয়। আপিল বিভাগ তা বাতিল করে রায় দিলেও কিন্তু একটি অভিমত দিয়েছেন যে দুই মেয়াদে এটা রাখা যেতে পারে। তাই আপিল বিভাগের রায় প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত সরকারের অপেক্ষা করা উচিত ছিল। তা না করে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করে সংবিধান সংশোধন করা সরকারের অন্যায় হয়েছে বলে মনে করি।
No comments