এ সাফল্য ভোটারদের, এ কৃতিত্ব নির্বাচন কমিশনের-পৌরসভা নির্বাচন
১২ ও ১৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচন মোটামুটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শেষ হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন ধন্যবাদ পেতে পারে। এই নির্বাচনে কোন দলের সমর্থিত কতজন প্রার্থী জয়ী বা পরাজিত হয়েছেন, সেটি বিবেচ্য বিষয় নয়। এখানে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ভোটাররা নির্বিঘ্নে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছেন কি না।
সব সংশয়-শঙ্কার পরও এবারে পৌরসভা নির্বাচন যে অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে, তা বিরোধী দলের প্রতিক্রিয়া থেকেই ধারণা করা যায়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান স্বীকার করেছেন, নির্বাচন মোটামুটি সুষ্ঠু হয়েছে। অবশ্য বরিশালের দুটি পৌরসভার নির্বাচন সম্পর্কে আপত্তি জানিয়েছেন তাঁদের সমর্থিত প্রার্থীরা।
আমাদের দেশে স্থানীয় সরকার নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে হলেও দলের প্রভাব অস্বীকার করা যায় না। পৌর নির্বাচনও এর ব্যতিক্রম ছিল না। এ কারণে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে স্থানীয় পর্যায়ে রাজনীতি বেশ সরগরম ছিল। আশার কথা, নির্বাচনী প্রচারণায় রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা সক্রিয় অংশ নিলেও পরিবেশ ছিল স্বাভাবিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া প্রচারকালে অপ্রীতিকর ঘটনার খবরও তেমন পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছে। শুরু থেকেই তারা কঠোর নজরদারিতে রেখেছে সংশ্লিষ্ট সবাইকে। কেউ নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবেও কোনো রাজনৈতিক দল স্থানীয় এই নির্বাচনকে প্রভাবিত করেনি। সে জন্য তাদেরও ধন্যবাদ প্রাপ্য।
নির্বাচন কমিশনসহ সবার আন্তরিক প্রয়াসেই পৌর নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করা সম্ভব হয়েছে। এতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণেরও আস্থা বেড়েছে। যে বিরোধী দল নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির আশঙ্কা করে সব কেন্দ্রে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছিল, দুই দফা ভোট গ্রহণের পর তারাই নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছে। এটি নির্বাচন কমিশনের বড় সাফল্য বলে মনে করি।
আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির বড় দুর্বলতা হলো, পরাজয়কে স্বীকার করতে না পারা। যে দল পরাজিত হয়, তারাই কারচুপির অভিযোগ আনে। এবারে পৌর নির্বাচনের প্রথম দিন উত্তরাঞ্চলে বিএনপির প্রাধান্য ছিল। আবার দ্বিতীয় দিন দক্ষিণাঞ্চলে আওয়ামী লীগ ভালো ফল করেছে। আশা করি, ১৭ ও ১৮ জানুয়ারির নির্বাচনও অবাধ ও সুষ্ঠু করতে যা যা প্রয়োজন, নির্বাচন কমিশন তা করবে।
এই নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করা সম্ভব। দুই দফা পৌর নির্বাচনে যে ধারা লক্ষ করা গেছে, ভবিষ্যতে সব নির্বাচনে তা অক্ষুণ্ন থাকবে আশা করি। সেই সঙ্গে আরেকটি কথা বলা প্রয়োজন, যাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের ভোটারদের কথা ভুলে গেলে চলবে না। ক্ষমতার পাশাপাশি দায়িত্বের বিষয়ে সজাগ থাকলে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা কিছুটা হলেও পূরণ করা সম্ভব হবে। সরকারেরও উচিত হবে, দল-মতনির্বিশেষে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা যাতে অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করতে পারেন, সেই ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা।
আমাদের দেশে স্থানীয় সরকার নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে হলেও দলের প্রভাব অস্বীকার করা যায় না। পৌর নির্বাচনও এর ব্যতিক্রম ছিল না। এ কারণে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে স্থানীয় পর্যায়ে রাজনীতি বেশ সরগরম ছিল। আশার কথা, নির্বাচনী প্রচারণায় রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা সক্রিয় অংশ নিলেও পরিবেশ ছিল স্বাভাবিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া প্রচারকালে অপ্রীতিকর ঘটনার খবরও তেমন পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছে। শুরু থেকেই তারা কঠোর নজরদারিতে রেখেছে সংশ্লিষ্ট সবাইকে। কেউ নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবেও কোনো রাজনৈতিক দল স্থানীয় এই নির্বাচনকে প্রভাবিত করেনি। সে জন্য তাদেরও ধন্যবাদ প্রাপ্য।
নির্বাচন কমিশনসহ সবার আন্তরিক প্রয়াসেই পৌর নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করা সম্ভব হয়েছে। এতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণেরও আস্থা বেড়েছে। যে বিরোধী দল নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির আশঙ্কা করে সব কেন্দ্রে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছিল, দুই দফা ভোট গ্রহণের পর তারাই নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছে। এটি নির্বাচন কমিশনের বড় সাফল্য বলে মনে করি।
আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির বড় দুর্বলতা হলো, পরাজয়কে স্বীকার করতে না পারা। যে দল পরাজিত হয়, তারাই কারচুপির অভিযোগ আনে। এবারে পৌর নির্বাচনের প্রথম দিন উত্তরাঞ্চলে বিএনপির প্রাধান্য ছিল। আবার দ্বিতীয় দিন দক্ষিণাঞ্চলে আওয়ামী লীগ ভালো ফল করেছে। আশা করি, ১৭ ও ১৮ জানুয়ারির নির্বাচনও অবাধ ও সুষ্ঠু করতে যা যা প্রয়োজন, নির্বাচন কমিশন তা করবে।
এই নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করা সম্ভব। দুই দফা পৌর নির্বাচনে যে ধারা লক্ষ করা গেছে, ভবিষ্যতে সব নির্বাচনে তা অক্ষুণ্ন থাকবে আশা করি। সেই সঙ্গে আরেকটি কথা বলা প্রয়োজন, যাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের ভোটারদের কথা ভুলে গেলে চলবে না। ক্ষমতার পাশাপাশি দায়িত্বের বিষয়ে সজাগ থাকলে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা কিছুটা হলেও পূরণ করা সম্ভব হবে। সরকারেরও উচিত হবে, দল-মতনির্বিশেষে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা যাতে অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করতে পারেন, সেই ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা।
No comments