হাঙ্গামাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিন-শেষ দিনের পৌর নির্বাচন
দেশের সাতটি বিভাগে ২৪৩টি পৌরসভার নির্বাচন শুরু হয়েছিল যে সুষ্ঠু, পরিচ্ছন্ন ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে, শেষ পর্যন্ত তা বহাল থাকলে একটি আদর্শ নির্বাচনের দৃষ্টান্ত হতে পারত। কিন্তু শেষ দিনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নোয়াখালী অঞ্চলের বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে যে ব্যালট ছিনতাই, পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া এবং সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।
এই সংঘাতের জন্য বিরোধী দল ক্ষমতাসীন দলকে দায়ী করেছে। অন্যদিকে সরকারি দল বিরোধী দলের বিরুদ্ধে ‘তাদের গায়ে কালিমা লেপনের’ অভিযোগ এনেছে। এসব ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় বিএনপি গতকাল লক্ষ্মীপুর, ফেনী ও নোয়াখালীতে হরতালও পালন করেছে। নির্বাচন কমিশনের দাবি, কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন মোটামুটি অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে।
২০০৪ সালের পৌর নির্বাচনের সঙ্গে তুলনা করলে এই নির্বাচন যে অনেক বেশি শান্তিপূর্ণ হয়েছে, সে ব্যাপারে কারও সংশয় নেই। বিরোধী দলও প্রথম তিন দিনের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে স্বীকার করেছে। এটি সরকারের জন্য একটি বড় অর্জন হতে পারত, যদি শেষ দিনের বিচ্ছিন্ন হাঙ্গামার ঘটনা এড়ানো যেত। পৌর নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশনের চেষ্টার কমতি ছিল না। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তথা রাজনৈতিক দলগুলোর সার্বিক সহযোগিতা না পেলে তাদের পক্ষে যে নির্বাচনকে সর্বাঙ্গে সুন্দর করা সম্ভব নয়, তা আবারও প্রমাণিত হলো। প্রথম তিন দিনের নির্বাচন নিয়ে তেমন অভিযোগ নেই। চতুর্থ দিনে পরিবেশ এ রকম উত্তপ্ত হয়ে উঠল কেন? বিভিন্ন কেন্দ্রে হাঙ্গামাকারীদের ছবি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। পুলিশ ছবি দেখে তাদের আটক করলেই বেরিয়ে আসবে তারা কোন দলের সমর্থক।
নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে ১৯৭২ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন করা হয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। কিন্তু যে কাজটি করা সম্ভব হয়নি তা হলো রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন। এখনো পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকেরা জনগণের রায় মেনে নিতে চান না। যে কারণে ভোটকেন্দ্রে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে থাকে। এই নির্বাচনে কোন দলের কতজন সমর্থক প্রার্থী জয়ী বা পরাজিত হলেন, সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হলো নির্বাচনে জনগণের রায়ের যথাযথ প্রতিফলন ঘটেছে কি না। সেই ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন অনেকটাই কৃতিত্বের দাবি করতে পারে। যদিও সরকারি দলের সমর্থক কোনো কোনো প্রার্থীর আচরণ কাঙ্ক্ষিত সফলতা অর্জন করতে দেয়নি। নির্বাচনের শেষ দিনের হস্তক্ষেপ ও হাঙ্গামায় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে, সন্দেহ নেই। তবে আমরা মনে করি, এখনো সুযোগ শেষ হয়ে যায়নি। যেখানে প্রায় আড়াই শ পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেখানে গুটি কয়েক কেন্দ্রে হাঙ্গামা যারা ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়ে এবং আইনি ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করেই ক্ষমতাসীনেরা তাদের হারানো ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করতে পারে। কিন্তু হামলার ঘটনা অস্বীকার করা কিংবা অন্যের ওপর দোষ চাপিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা হবে আত্মঘাতী।
২০০৪ সালের পৌর নির্বাচনের সঙ্গে তুলনা করলে এই নির্বাচন যে অনেক বেশি শান্তিপূর্ণ হয়েছে, সে ব্যাপারে কারও সংশয় নেই। বিরোধী দলও প্রথম তিন দিনের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে স্বীকার করেছে। এটি সরকারের জন্য একটি বড় অর্জন হতে পারত, যদি শেষ দিনের বিচ্ছিন্ন হাঙ্গামার ঘটনা এড়ানো যেত। পৌর নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশনের চেষ্টার কমতি ছিল না। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তথা রাজনৈতিক দলগুলোর সার্বিক সহযোগিতা না পেলে তাদের পক্ষে যে নির্বাচনকে সর্বাঙ্গে সুন্দর করা সম্ভব নয়, তা আবারও প্রমাণিত হলো। প্রথম তিন দিনের নির্বাচন নিয়ে তেমন অভিযোগ নেই। চতুর্থ দিনে পরিবেশ এ রকম উত্তপ্ত হয়ে উঠল কেন? বিভিন্ন কেন্দ্রে হাঙ্গামাকারীদের ছবি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। পুলিশ ছবি দেখে তাদের আটক করলেই বেরিয়ে আসবে তারা কোন দলের সমর্থক।
নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে ১৯৭২ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন করা হয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। কিন্তু যে কাজটি করা সম্ভব হয়নি তা হলো রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন। এখনো পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকেরা জনগণের রায় মেনে নিতে চান না। যে কারণে ভোটকেন্দ্রে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে থাকে। এই নির্বাচনে কোন দলের কতজন সমর্থক প্রার্থী জয়ী বা পরাজিত হলেন, সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হলো নির্বাচনে জনগণের রায়ের যথাযথ প্রতিফলন ঘটেছে কি না। সেই ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন অনেকটাই কৃতিত্বের দাবি করতে পারে। যদিও সরকারি দলের সমর্থক কোনো কোনো প্রার্থীর আচরণ কাঙ্ক্ষিত সফলতা অর্জন করতে দেয়নি। নির্বাচনের শেষ দিনের হস্তক্ষেপ ও হাঙ্গামায় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে, সন্দেহ নেই। তবে আমরা মনে করি, এখনো সুযোগ শেষ হয়ে যায়নি। যেখানে প্রায় আড়াই শ পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেখানে গুটি কয়েক কেন্দ্রে হাঙ্গামা যারা ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়ে এবং আইনি ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করেই ক্ষমতাসীনেরা তাদের হারানো ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করতে পারে। কিন্তু হামলার ঘটনা অস্বীকার করা কিংবা অন্যের ওপর দোষ চাপিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা হবে আত্মঘাতী।
No comments