পৌরসভা নির্বাচন-সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হওয়াই কাম্য
দেশজুড়ে পৌরসভা নির্বাচন শুরু হচ্ছে আজ থেকে। আজ ও কাল এবং ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি দেশের মোট ৩১০টি পৌরসভার ২৪৩টিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ১৭টি পৌরসভার মেয়াদ পূর্ণ হওয়া বাকি রয়েছে এবং আইনি জটিলতার কারণে কিছু পৌরসভার নির্বাচন স্থগিত থাকছে।
এসবের মধ্যে ১৪টি পৌরসভার ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ উঠে যাওয়ায় সেগুলোতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৭ জানুয়ারি। অর্থাৎ দেশের অধিকাংশ পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্থানীয় সরকারব্যবস্থার এই গুরুত্বপূর্ণ স্তরে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন সম্পন্ন হতে যাচ্ছে এ মাসের মধ্যেই।
পৌরসভা নির্বাচন ঘিরে দেশজুড়ে বরাবরের মতো বেশ উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ করা গেছে। তবে কিছু অনভিপ্রেত জবরদস্তিমূলক আচরণের অভিযোগ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। ভোটারদের মন জয় করার প্রয়াসের পাশাপাশি ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগের খবরও কিছু পাওয়া গেছে। তবে বড় ধরনের সহিংসতা কোথাও ঘটেনি। যেসব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার আশঙ্কা রয়েছে, সেগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও মোতায়েন রাখা হবে।
যদিও পৌরসভা নির্বাচনে ঘোষিতভাবে রাজনৈতিক দল থেকে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হয় না, তবু দলীয় তৎপরতা বেশ লক্ষ করা যায়, বিশেষত মেয়র পদপ্রার্থীদের নিয়ে। দলীয় কারণেই দেশের নানা স্থান থেকে নির্বাচনী প্রচারণায় বলপ্রয়োগের অভিযোগ এসেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপি-সমর্থক প্রার্থীদের মধ্যে কিছু হিংসাত্মক ঘটনার খবরও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে উত্তরাঞ্চলের ৭২টি পৌরসভার নির্বাচন বর্জনের হুমকি দেওয়া হয় এই অভিযোগ তুলে যে, ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে বিরোধীদলীয় প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের র্যাব-পুলিশ দিয়ে নির্যাতন ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণা চালাচ্ছেন বলেও বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে নির্বাচন বর্জনের মতো কিছু শেষ পর্যন্ত ঘটেনি। নির্বাচন কমিশনের কর্তব্য, যেকোনো অভিযোগ উঠলে তা গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নিয়ে সব পক্ষের নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া, আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া। এটা প্রয়োজন সব পৌরসভায় ভোট গ্রহণসহ পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার স্বার্থে।
পৌরসভা নির্বাচনের নিরপেক্ষতা ও সুষ্ঠুতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমেরও সহায়ক ভূমিকা থাকবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সংবাদকর্মীদের জন্য এক অদ্ভুত নির্দেশনা দিয়েছে: একই জেলার অন্তর্ভুক্ত পৌরসভাগুলো ভিন্ন ভিন্ন উপজেলাধীন বলে প্রতিটি উপজেলার জন্য সংবাদকর্মীদের পৃথক পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে হবে। এটি কোনো যুক্তিপূর্ণ নির্দেশনা নয়; অবিলম্বে এটি প্রত্যাহার করা হোক। সংবাদকর্মীদের নির্বাচন-সংক্রান্ত সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিষয়ে কোনো বাধানিষেধ থাকা উচিত নয়।
সবার সহযোগিতায় পৌরসভাগুলোর নির্বাচন শান্তিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন হোক, সেটাই প্রত্যাশিত।
পৌরসভা নির্বাচন ঘিরে দেশজুড়ে বরাবরের মতো বেশ উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ করা গেছে। তবে কিছু অনভিপ্রেত জবরদস্তিমূলক আচরণের অভিযোগ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। ভোটারদের মন জয় করার প্রয়াসের পাশাপাশি ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগের খবরও কিছু পাওয়া গেছে। তবে বড় ধরনের সহিংসতা কোথাও ঘটেনি। যেসব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার আশঙ্কা রয়েছে, সেগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও মোতায়েন রাখা হবে।
যদিও পৌরসভা নির্বাচনে ঘোষিতভাবে রাজনৈতিক দল থেকে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হয় না, তবু দলীয় তৎপরতা বেশ লক্ষ করা যায়, বিশেষত মেয়র পদপ্রার্থীদের নিয়ে। দলীয় কারণেই দেশের নানা স্থান থেকে নির্বাচনী প্রচারণায় বলপ্রয়োগের অভিযোগ এসেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপি-সমর্থক প্রার্থীদের মধ্যে কিছু হিংসাত্মক ঘটনার খবরও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে উত্তরাঞ্চলের ৭২টি পৌরসভার নির্বাচন বর্জনের হুমকি দেওয়া হয় এই অভিযোগ তুলে যে, ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে বিরোধীদলীয় প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের র্যাব-পুলিশ দিয়ে নির্যাতন ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণা চালাচ্ছেন বলেও বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে নির্বাচন বর্জনের মতো কিছু শেষ পর্যন্ত ঘটেনি। নির্বাচন কমিশনের কর্তব্য, যেকোনো অভিযোগ উঠলে তা গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নিয়ে সব পক্ষের নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া, আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া। এটা প্রয়োজন সব পৌরসভায় ভোট গ্রহণসহ পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার স্বার্থে।
পৌরসভা নির্বাচনের নিরপেক্ষতা ও সুষ্ঠুতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমেরও সহায়ক ভূমিকা থাকবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সংবাদকর্মীদের জন্য এক অদ্ভুত নির্দেশনা দিয়েছে: একই জেলার অন্তর্ভুক্ত পৌরসভাগুলো ভিন্ন ভিন্ন উপজেলাধীন বলে প্রতিটি উপজেলার জন্য সংবাদকর্মীদের পৃথক পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে হবে। এটি কোনো যুক্তিপূর্ণ নির্দেশনা নয়; অবিলম্বে এটি প্রত্যাহার করা হোক। সংবাদকর্মীদের নির্বাচন-সংক্রান্ত সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিষয়ে কোনো বাধানিষেধ থাকা উচিত নয়।
সবার সহযোগিতায় পৌরসভাগুলোর নির্বাচন শান্তিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন হোক, সেটাই প্রত্যাশিত।
No comments