আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো কি অদক্ষ-অযোগ্য?-সংসদীয় কমিটির বৈঠক
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির গুরুতর অবনতির বিপরীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষের কর্মতৎপরতা হতাশাব্যঞ্জক। একটার পর একটা গুরুতর অপরাধের ঘটনা ঘটে চলেছে, কিন্তু সেসব ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও পুলিশের মহাপরিদর্শকের উপস্থিতিতে কমিটির সদস্যরা যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, তাতে পরিস্থিতির গুরুত্ব টের পাওয়া যায়। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বিএনপির নেতা ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ হওয়া, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডসহ অন্যান্য আলোচিত মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে কমিটির সদস্যদের জিজ্ঞাসার কোনো সদুত্তর আসলে মেলেনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী নিশ্চুপ ছিলেন; ‘বিষয়গুলো তদন্তাধীন’ বলে পুলিশের মহাপরিদর্শক সেগুলো নিয়ে আলোচনা তুলতে চাননি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী সাধারণত চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী কথাবার্তা বলে সংবাদের শিরোনাম হন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে—এ সত্য তাঁরা স্বীকার করতে চান না। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের জবাবদিহির উত্তম স্থান সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ক্ষমতাসীন জোটেরই সদস্যদের ‘তোপের মুখে’ তাঁদের লা-জওয়াব হয়ে যাওয়ার মানে কি এই যে, তাঁদের কাছে সত্যিই কোনো জবাব নেই?
সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের পরপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করা হবে। কিন্তু ৭৫ দিন পর তাঁদের লাশ কবর থেকে তুলতে হলো পুনঃ তদন্তের জন্য। কারণ, পুলিশ বিভাগের ব্যর্থতার পর এখন এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে র্যাবকে। ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হয়েছেন ১০ দিন আগে। পুলিশ-র্যাব কেউ বলতে পারছে না তিনি কোথায় আছেন, কেমন আছেন, বেঁচে আছেন নাকি নেই। সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাদের হত্যা বা নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনাগুলোতেই যদি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এমন ব্যর্থতার পরিচয় দেয়, তাহলে সাধারণ মানুষ এ ধরনের অপরাধের শিকার হলে তারা কী করবে?
আমাদের মনে গভীর প্রশ্ন: অপরাধ তদন্ত, ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন, অপরাধীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার ক্ষেত্রে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সদস্যদের যে ধরনের পেশাগত দক্ষতা, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও বিশেষজ্ঞ জ্ঞানের প্রয়োজন হয়, তার কি গুরুতর ঘাটতি রয়ে গেছে? তাই যদি থাকে, তাহলে সরকার সেই ঘাটতিগুলো পূরণের উদ্যোগ নেয় না কেন? এমন অদক্ষ-অযোগ্য সংস্থা দিয়ে কি দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব?
নাকি ব্যর্থতার অন্য কোনো কারণ রয়েছে? ইলিয়াস আলীর ঘটনা ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মোড় নিয়েছে: বিরোধীদলীয় নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর পাল্টাপাল্টি অভিযোগে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরাও যে প্রভাবিত হননি, তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রটি রাজনীতি থেকে মুক্ত রাখা অত্যন্ত জরুরি।
আইনশৃঙ্খলার এই গুরুতর অবনতি দীর্ঘ সময় চলতে দেওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ নেই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী সাধারণত চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী কথাবার্তা বলে সংবাদের শিরোনাম হন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে—এ সত্য তাঁরা স্বীকার করতে চান না। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের জবাবদিহির উত্তম স্থান সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ক্ষমতাসীন জোটেরই সদস্যদের ‘তোপের মুখে’ তাঁদের লা-জওয়াব হয়ে যাওয়ার মানে কি এই যে, তাঁদের কাছে সত্যিই কোনো জবাব নেই?
সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের পরপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করা হবে। কিন্তু ৭৫ দিন পর তাঁদের লাশ কবর থেকে তুলতে হলো পুনঃ তদন্তের জন্য। কারণ, পুলিশ বিভাগের ব্যর্থতার পর এখন এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে র্যাবকে। ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হয়েছেন ১০ দিন আগে। পুলিশ-র্যাব কেউ বলতে পারছে না তিনি কোথায় আছেন, কেমন আছেন, বেঁচে আছেন নাকি নেই। সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাদের হত্যা বা নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনাগুলোতেই যদি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এমন ব্যর্থতার পরিচয় দেয়, তাহলে সাধারণ মানুষ এ ধরনের অপরাধের শিকার হলে তারা কী করবে?
আমাদের মনে গভীর প্রশ্ন: অপরাধ তদন্ত, ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন, অপরাধীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার ক্ষেত্রে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সদস্যদের যে ধরনের পেশাগত দক্ষতা, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও বিশেষজ্ঞ জ্ঞানের প্রয়োজন হয়, তার কি গুরুতর ঘাটতি রয়ে গেছে? তাই যদি থাকে, তাহলে সরকার সেই ঘাটতিগুলো পূরণের উদ্যোগ নেয় না কেন? এমন অদক্ষ-অযোগ্য সংস্থা দিয়ে কি দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব?
নাকি ব্যর্থতার অন্য কোনো কারণ রয়েছে? ইলিয়াস আলীর ঘটনা ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মোড় নিয়েছে: বিরোধীদলীয় নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর পাল্টাপাল্টি অভিযোগে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরাও যে প্রভাবিত হননি, তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রটি রাজনীতি থেকে মুক্ত রাখা অত্যন্ত জরুরি।
আইনশৃঙ্খলার এই গুরুতর অবনতি দীর্ঘ সময় চলতে দেওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ নেই।
No comments