হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-গুম তদন্তে সরকার কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়নি
বাংলাদেশে 'গুম' আশঙ্কাজনক মাত্রায় বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাব্লিউ)। প্রধান বিরোধী দলের নেতাসহ রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের 'নিখোঁজ' বা 'গুম' হওয়ার ঘটনায় তারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
তাদের অভিযোগ, এ ধরনের ঘটনা তদন্তে সরকার কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়নি। তাই এ বিষয়ে অবিলম্বে বাংলাদেশ সরকারের স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া উচিত বলে সংস্থাটি জানিয়েছে। গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে তারা এ দাবি জানায়। সংস্থাটির নিজস্ব ওয়েবসাইটে বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়েছে।
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীসহ রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের নিখোঁজের ঘটনায় সংস্থাটি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এর আগে তারা শ্রমিকনেতা আমিনুল ইসলামের লাশ পাওয়ার ঘটনায়ও উদ্বেগ প্রকাশ করে।
গত ১৭ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজধানীর বনানী থেকে নিখোঁজ হন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি ইলিয়াস আলী। তাঁর সঙ্গে গাড়িচালক আনসারও নিখোঁজ হন। পুলিশ ওই রাতে পরিত্যক্ত অবস্থায় রাস্তা থেকে তাঁর গাড়ি এবং গাড়ি থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। কিন্তু এ পর্যন্ত তাঁদের কোনো সন্ধান মেলেনি।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, সামপ্রতিক সময়ে বাংলাদেশে বিরোধীদলীয় নেতা ও রাজনৈতিক কর্মীদের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেছে। ইলিয়াস আলীর অন্তর্ধানও এমনই একটি ঘটনা।
বিবৃতিতে বাংলাদেশের আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্যের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, শুধু ২০১২ সালে এ পর্যন্ত দেশে ২২ জন মানুষ একইভাবে নিখোঁজ হয়েছে। বাংলাদেশের আরেক মানবাধিকার সংস্থা 'অধিকার'-এর হিসাব অনুযায়ী, ২০১০ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত নিখোঁজ হয়েছেন অন্তত ৫০ জন।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বিবৃতিতে বলেন, এই ক্রমবর্ধমান নিখোঁজের ঘটনা, বিশেষ করে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার বিশ্বাসযোগ্য ও স্বাধীন তদন্ত প্রয়োজন। গুমের ঘটনা তদন্তে সরকার এ পর্যন্ত কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এমনকি এ ধরনের ঘটনা বন্ধেও কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইলিয়াস আলীকে খুঁজে বের করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। তবে একই সঙ্গে তিনি এও বলেছেন, সরকারের বিরুদ্ধে 'আন্দোলনের ইস্যু' তৈরি করতে দলের নির্দেশে ইলিয়াস ও তাঁর গাড়িচালক 'লুকিয়ে' আছেন।
অ্যাডামস বলেন, শেখ হাসিনার সরকার বহুবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে- নির্যাতনের সংস্কৃতি বন্ধ করে সুবিচার ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করা হবে। কিন্তু এর পরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্যাতনের সব অভিযোগই সরকার ক্রমাগতভাবে অস্বীকার বা উপেক্ষা করে আসছে। আর এ কারণেই জরুরি ভিত্তিতে 'নিখোঁজ হওয়ার' সব ঘটনার স্বাধীন তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
এ ছাড়া ইলিয়াস আলী নিখোঁজের ঘটনায় বিএনপির ডাকা হরতালের সময় হরতাল সমর্থকদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর 'অত্যধিক শক্তি প্রয়োগের' ঘটনায়ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। ২১ এপ্রিল ইলিয়াস আলীর নির্বাচনী এলাকা সিলেটের বিশ্বনাথে হরতাল চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে দুজন নিহত ও শতাধিক আহত হওয়ার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্যও সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীসহ রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের নিখোঁজের ঘটনায় সংস্থাটি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এর আগে তারা শ্রমিকনেতা আমিনুল ইসলামের লাশ পাওয়ার ঘটনায়ও উদ্বেগ প্রকাশ করে।
গত ১৭ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজধানীর বনানী থেকে নিখোঁজ হন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি ইলিয়াস আলী। তাঁর সঙ্গে গাড়িচালক আনসারও নিখোঁজ হন। পুলিশ ওই রাতে পরিত্যক্ত অবস্থায় রাস্তা থেকে তাঁর গাড়ি এবং গাড়ি থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। কিন্তু এ পর্যন্ত তাঁদের কোনো সন্ধান মেলেনি।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, সামপ্রতিক সময়ে বাংলাদেশে বিরোধীদলীয় নেতা ও রাজনৈতিক কর্মীদের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেছে। ইলিয়াস আলীর অন্তর্ধানও এমনই একটি ঘটনা।
বিবৃতিতে বাংলাদেশের আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্যের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, শুধু ২০১২ সালে এ পর্যন্ত দেশে ২২ জন মানুষ একইভাবে নিখোঁজ হয়েছে। বাংলাদেশের আরেক মানবাধিকার সংস্থা 'অধিকার'-এর হিসাব অনুযায়ী, ২০১০ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত নিখোঁজ হয়েছেন অন্তত ৫০ জন।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বিবৃতিতে বলেন, এই ক্রমবর্ধমান নিখোঁজের ঘটনা, বিশেষ করে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার বিশ্বাসযোগ্য ও স্বাধীন তদন্ত প্রয়োজন। গুমের ঘটনা তদন্তে সরকার এ পর্যন্ত কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এমনকি এ ধরনের ঘটনা বন্ধেও কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইলিয়াস আলীকে খুঁজে বের করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। তবে একই সঙ্গে তিনি এও বলেছেন, সরকারের বিরুদ্ধে 'আন্দোলনের ইস্যু' তৈরি করতে দলের নির্দেশে ইলিয়াস ও তাঁর গাড়িচালক 'লুকিয়ে' আছেন।
অ্যাডামস বলেন, শেখ হাসিনার সরকার বহুবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে- নির্যাতনের সংস্কৃতি বন্ধ করে সুবিচার ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করা হবে। কিন্তু এর পরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্যাতনের সব অভিযোগই সরকার ক্রমাগতভাবে অস্বীকার বা উপেক্ষা করে আসছে। আর এ কারণেই জরুরি ভিত্তিতে 'নিখোঁজ হওয়ার' সব ঘটনার স্বাধীন তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
এ ছাড়া ইলিয়াস আলী নিখোঁজের ঘটনায় বিএনপির ডাকা হরতালের সময় হরতাল সমর্থকদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর 'অত্যধিক শক্তি প্রয়োগের' ঘটনায়ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। ২১ এপ্রিল ইলিয়াস আলীর নির্বাচনী এলাকা সিলেটের বিশ্বনাথে হরতাল চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে দুজন নিহত ও শতাধিক আহত হওয়ার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্যও সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
No comments