‘সুন্দরবন মায়ের মতন’ কর্মসূচি শুরু by আশরাফুল ইসলাম ও শেখ হেদায়েতুল্লাহ
‘সুন্দরবন মায়ের মতন’ এই স্লোগান নিয়ে ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্ট অব বাংলাদেশের সুন্দরবন টাইগার প্রজেক্টের পাঁচ বছর মেয়াদি স্থানীয় গণসংযোগ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক পথচলা শুরু হলো। সুন্দরবন ও এর জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এদিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক শুক্রবার দুপুরে প্রধান অতিথি হিসেবে এ কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এ সময় বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন, খুলনা বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সাইফুদ্দিন শাহ, বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. ইউনুস আলী ও জুওলজিক্যাল সোসাইটি অব লন্ডনের এশিয়া কর্মসূচির প্রধান ড. অ্যাডাম বারলো। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্ট অব বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম।
প্রধান অতিথি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘সুন্দরবন মায়ের মতন। এরচেয়ে সুন্দর উপলব্ধি আর হতে পারে না। আগামী প্রজন্মকে পরিবেশ সচেতন হতে হবে। কেবল সুন্দরবন নিয়ে সচেতন হলে চলবে না। ভৌগোলিক, রাজনীতিক বিভেদ থাকলেও প্রকৃতির কোনো সীমারেখা নেই। পরিবেশ বিপর্যয় যে দেশেই ঘটুক, প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটলে আমরা কেউ তা থেকে রক্ষা পারছি না।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব মানবতা অভিন্ন। মাকে রক্ষা করা যেমন দায়িত্ব সন্তানের, ঠিক তেমনি সুন্দরবনও আমাদের মায়ের মতন। তাই সবাই মিলে একে রক্ষা করতে হবে।’
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দিন শাহ বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় দেশকে বাঁচাতে সুন্দরবন বুক পেতে দেয়। বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সুন্দরবন অত্যন্ত ঝুঁকিতে রয়েছে। আমরা নানাভাবে এর ওপর জুলুম চালাচ্ছি। সুন্দরবন মূলত বাঁচে নদ-নদীর পানির পুষ্টিতে। এখন পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় লবণাক্ততা বাড়ছে। যার ফলে সুন্দরবনের পশ্চিম অংশ ধ্বংসের মুখে।
প্রধান বন সংরক্ষক মো. ইউনুস আলী বলেন, ‘প্রকৃতিকে যথেচ্ছ ব্যবহারের কারণে আমাদের জীববৈচিত্র্য আজ হুমকির মুখে। গত শতকে চার থেকে পাঁচ শতাংশ প্রাণী ও উদ্ভিদ পৃথিবী থেকে বিলুপ্তি হয়ে গেছে।’
‘বন বিভাগ নানা প্রতিকূলতার মধ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তাই এখন আমরা বনকর্মীদের দক্ষতা বাড়ানো প্রয়োজন।’
তিনি আরো বলেন, ‘সুন্দরবনের ওপর আশপাশের ৭৬টি গ্রামের মানুষের জীবন-জীবিকা নির্ভরশীল। তাই বন রক্ষা করতে হলে তাদেরও কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। বন বিভাগের একক প্রচেষ্টায় সুন্দরবন রক্ষা করা যাবে না। এছাড়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনটি অনেক পুরনো। শিগগিরই এটি সংশোধণ হবে বলে আশা করছি।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, জুওলজিক্যাল সোসাইটি অব লন্ডনের এশিয়া প্রোগ্রাম হেড অ্যাডাম বারলো ও সুন্দরবন টাইগার প্রজেক্টের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর ইকবাল হোসেন। আলোচনা শেষে শিশুদের চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা। এর আগে কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার সকালে নগরীর শহীদ হাদিস পার্ক থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
প্রধান অতিথি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘সুন্দরবন মায়ের মতন। এরচেয়ে সুন্দর উপলব্ধি আর হতে পারে না। আগামী প্রজন্মকে পরিবেশ সচেতন হতে হবে। কেবল সুন্দরবন নিয়ে সচেতন হলে চলবে না। ভৌগোলিক, রাজনীতিক বিভেদ থাকলেও প্রকৃতির কোনো সীমারেখা নেই। পরিবেশ বিপর্যয় যে দেশেই ঘটুক, প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটলে আমরা কেউ তা থেকে রক্ষা পারছি না।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব মানবতা অভিন্ন। মাকে রক্ষা করা যেমন দায়িত্ব সন্তানের, ঠিক তেমনি সুন্দরবনও আমাদের মায়ের মতন। তাই সবাই মিলে একে রক্ষা করতে হবে।’
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দিন শাহ বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় দেশকে বাঁচাতে সুন্দরবন বুক পেতে দেয়। বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সুন্দরবন অত্যন্ত ঝুঁকিতে রয়েছে। আমরা নানাভাবে এর ওপর জুলুম চালাচ্ছি। সুন্দরবন মূলত বাঁচে নদ-নদীর পানির পুষ্টিতে। এখন পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় লবণাক্ততা বাড়ছে। যার ফলে সুন্দরবনের পশ্চিম অংশ ধ্বংসের মুখে।
প্রধান বন সংরক্ষক মো. ইউনুস আলী বলেন, ‘প্রকৃতিকে যথেচ্ছ ব্যবহারের কারণে আমাদের জীববৈচিত্র্য আজ হুমকির মুখে। গত শতকে চার থেকে পাঁচ শতাংশ প্রাণী ও উদ্ভিদ পৃথিবী থেকে বিলুপ্তি হয়ে গেছে।’
‘বন বিভাগ নানা প্রতিকূলতার মধ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তাই এখন আমরা বনকর্মীদের দক্ষতা বাড়ানো প্রয়োজন।’
তিনি আরো বলেন, ‘সুন্দরবনের ওপর আশপাশের ৭৬টি গ্রামের মানুষের জীবন-জীবিকা নির্ভরশীল। তাই বন রক্ষা করতে হলে তাদেরও কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। বন বিভাগের একক প্রচেষ্টায় সুন্দরবন রক্ষা করা যাবে না। এছাড়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনটি অনেক পুরনো। শিগগিরই এটি সংশোধণ হবে বলে আশা করছি।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, জুওলজিক্যাল সোসাইটি অব লন্ডনের এশিয়া প্রোগ্রাম হেড অ্যাডাম বারলো ও সুন্দরবন টাইগার প্রজেক্টের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর ইকবাল হোসেন। আলোচনা শেষে শিশুদের চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা। এর আগে কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার সকালে নগরীর শহীদ হাদিস পার্ক থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
No comments