শুরু হোক বাংলা ভাষার সঠিক চর্চা by তনুরাজ তন্ময়
বাঙালি হিসেবে আজ আমরা গর্ব বোধ করি। আর এটা শুধু একুশে ফেব্রুয়ারি দিনটির জন্যই সম্ভব হয়েছে। এই দিনটির জন্য আমাদের সূর্যসন্তানরা তাদের মহামূল্যবান জীবন উৎসর্গ করেছিল বলেই। এ দিনটি শুধু জাতীয় নয়, আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হয়। আমরা বাঙালি জাতিসত্তা ধারণ করে ভাষার মাসে শহীদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করি।
কিন্তু একবারও কী ভেবেছি এই শ্রদ্ধাবোধ চেতনায় কতটা স্থান পেয়েছে। এই একুশ কিভাবে ব্যক্তিমনে জাগরণ ঘটাতে পারে, অধিকার আদায় করতে পারে তা আমাদের আজও উপলব্ধিতে আসেনি। কুসংস্কার আর ঘুণেধরা অনুভূতি লালন করি নিজেদের অন্তরে, চেতনে-অবচেতনে। ক্ষুদ্র এ ভূখণ্ডে বাঙালি ছাড়াও আরো বেশ কিছু জাতি বাস করে। আমাদের সেই ঘুণেধরা অবচেতন মনে আমরা তাদের বলি আদিবাসী বা নৃ- গোষ্ঠী। তাদেরও যে নিজস্ব ভাষা আর সংস্কৃতি আছে তা বেমালুম ভুলে যাই। ভুলে যাই মাতৃভাষার পাঠদানের প্রয়োজনের কথা। যে কারণে শুধু মাতৃভাষায় পাঠদান না থাকায় আদিবাসী শিশুদের প্রায় ৭০ ভাগ ঝরে যাচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার পর।
বাঙালি বিশ্ব মানচিত্রের একমাত্র জাতি যারা তাদের মাতৃভাষাকে জয় করেছে রক্তের বিনিময়ে। তার পরও ভাষার সঠিক চর্চা না থাকায় পাশ্চাত্য সংস্কৃতি বাংলা ভাষাকে গ্রাস করছে। অথচ স্বাধীন বাংলাদেশের বীজ বপনের মাধ্যমে পুরো জাতির জন্য এক গৌরবোজ্জ্বল আর চিরস্মরণীয় অধ্যায়ের নাম একুশে ফেব্রুয়ারি। সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারের মতো নাম না জানা আরো অনেক তরুণের প্রাণের বিনিময়ে এ বারতা বয়ে এনেছে। আর আমরা পেয়েছি মায়ের ভাষা 'বাংলা'। আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যপূর্ণ বাংলা গান আর সংস্কৃতি। হিন্দি, ইংরেজি গান আর তাদের দেখিয়ে দেওয়া সংস্কৃতির কাছে।
সবচেয়ে দুঃখের ব্যাপার হলো ছোটবেলা দেখেছি ইংরেজি পড়ানো হয় বাংলার পাশাপাশি। আর এখন দেখছি সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠগুলোতে ইংরেজির প্রতিই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। চাকরির ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটছে। আমি কতটা মাতৃভাষা জানি তার চেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে ইংরেজি জানাটা। বিশ্বায়ন আর মুক্তবাজার অর্থনীতির কথা বলে আজ ইংরেজিকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার সর্বস্তরে মাতৃভাষার জ্ঞান নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে কারো কোনো খেয়াল নেই। রাষ্ট্রের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ। বাঙালির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস সংবলিত জাতির ভাষার মান সমুন্নত সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা দরকার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদান এবং শিক্ষা-প্রক্রিয়ায় মাতৃভাষার উন্নয়ন জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাহিত্য বিভাগে বাংলা ভাষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে পাশাপাশি গণমাধ্যমগুলোকে ভাষার সর্বজনীন ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
আন্তর্জাতিকভাবে মাতৃভাষা দিবস পালিত হলেও বাংলা আজও আন্তর্জাতিক ভাষার স্বীকৃতি পায়নি। তবে শহীদের রক্ত বৃথা যাবে না। ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদের অবদান 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন তথা জাতি, রাষ্ট্র, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের একদিন বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক ভাষার স্বীকৃতি পাবে বলে আমরা আশাবাদী। দেশের উন্নয়ন মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি আর একুশে সেই জাগ্রত চেতনার বহিঃপ্রকাশ জনমনে শান্তি ফিরিয়ে আনবে আর আমরা দেখব সুখী-সমৃদ্ধশালী, শোষণহীন এক নতুন জাতি। সেই দিনের অপেক্ষায় আমরা সবাই।
বাঙালি বিশ্ব মানচিত্রের একমাত্র জাতি যারা তাদের মাতৃভাষাকে জয় করেছে রক্তের বিনিময়ে। তার পরও ভাষার সঠিক চর্চা না থাকায় পাশ্চাত্য সংস্কৃতি বাংলা ভাষাকে গ্রাস করছে। অথচ স্বাধীন বাংলাদেশের বীজ বপনের মাধ্যমে পুরো জাতির জন্য এক গৌরবোজ্জ্বল আর চিরস্মরণীয় অধ্যায়ের নাম একুশে ফেব্রুয়ারি। সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারের মতো নাম না জানা আরো অনেক তরুণের প্রাণের বিনিময়ে এ বারতা বয়ে এনেছে। আর আমরা পেয়েছি মায়ের ভাষা 'বাংলা'। আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যপূর্ণ বাংলা গান আর সংস্কৃতি। হিন্দি, ইংরেজি গান আর তাদের দেখিয়ে দেওয়া সংস্কৃতির কাছে।
সবচেয়ে দুঃখের ব্যাপার হলো ছোটবেলা দেখেছি ইংরেজি পড়ানো হয় বাংলার পাশাপাশি। আর এখন দেখছি সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠগুলোতে ইংরেজির প্রতিই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। চাকরির ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটছে। আমি কতটা মাতৃভাষা জানি তার চেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে ইংরেজি জানাটা। বিশ্বায়ন আর মুক্তবাজার অর্থনীতির কথা বলে আজ ইংরেজিকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার সর্বস্তরে মাতৃভাষার জ্ঞান নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে কারো কোনো খেয়াল নেই। রাষ্ট্রের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ। বাঙালির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস সংবলিত জাতির ভাষার মান সমুন্নত সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা দরকার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদান এবং শিক্ষা-প্রক্রিয়ায় মাতৃভাষার উন্নয়ন জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাহিত্য বিভাগে বাংলা ভাষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে পাশাপাশি গণমাধ্যমগুলোকে ভাষার সর্বজনীন ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
আন্তর্জাতিকভাবে মাতৃভাষা দিবস পালিত হলেও বাংলা আজও আন্তর্জাতিক ভাষার স্বীকৃতি পায়নি। তবে শহীদের রক্ত বৃথা যাবে না। ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদের অবদান 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন তথা জাতি, রাষ্ট্র, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের একদিন বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক ভাষার স্বীকৃতি পাবে বলে আমরা আশাবাদী। দেশের উন্নয়ন মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি আর একুশে সেই জাগ্রত চেতনার বহিঃপ্রকাশ জনমনে শান্তি ফিরিয়ে আনবে আর আমরা দেখব সুখী-সমৃদ্ধশালী, শোষণহীন এক নতুন জাতি। সেই দিনের অপেক্ষায় আমরা সবাই।
No comments