যুবলীগ কার্যালয়ের এ কেমন ব্যবহার!-অপহূত ব্যবসায়ী উদ্ধার
সরকারি দলের যুবসংগঠনের কার্যালয় কী কী কাজে ব্যবহূত হতে পারে? যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকারের কাছে এর একটি উত্তর রয়েছে। নাটোরের জেলা যুবলীগ কার্যালয় থেকে তিনি নিজে অপহূত দুই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেছেন। আর হাতেনাতে আটক করেছেন একজনকে। নাটোর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আত্মপক্ষ সমর্থন করে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, কিন্তু তাতে কি খুব কিছু আসে-যায়?
একটি মামলায় হাজিরা দিয়ে আদালত থেকে বাড়ি ফিরছিলেন দুই ব্যবসায়ী। তাঁদের অনুসরণ করে তাঁদের মাইক্রোবাস আটক করে নাটোর জেলা যুবলীগ কার্যালয়ে নিয়ে আসেন ছয়-সাতজন যুবক। নিজেদের পরিচয় দিয়েছেন যুবলীগ কর্মী, বিশেষ করে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলামের কর্মী বলে। ব্যবসায়ীরা তাঁদের আইনজীবীদের মারফত শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, অপহরণের ঘটনা সত্য নয়। অগত্যা শরণাপন্ন হতে হয় নাটের-২ আসনের সাংসদ এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকারের। তিনি যুবলীগ কার্যালয়ে গিয়ে দেখলেন, ঘটনা সত্যি। মাইক্রোবাসসহ দুই ব্যবসায়ীকে আটকে রাখা হয়েছে যুবলীগ কার্যালয়ে। মন্ত্রী নিজেই বলেছেন, ‘অপহরণকারীরা আমাকে দেখে পালানোর চেষ্টা করে, আমরা হাতেনাতে একজনকে ধরতে পারি।’ সরকারি দলের যুবসংগঠনের কার্যালয়ের এ কেমন ব্যবহার!
অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম দাবি করেছেন, অপহরণের ঘটনার সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ের কোনো লোক জড়িত নয়। যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী যখন যুবলীগ কার্যালয় থেকে অপহূত দুই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেন, তখন শফিকুল ইসলামের এই বক্তব্যকে আমরা কীভাবে নেব? তিনি যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক, সেই সংগঠনের কার্যালয়ে তাঁর জানার বাইরে অপহূতদের আটকে রাখার সুযোগ আছে কি? যদি তা হয়ে থাকে, তবে এটা তাঁর বড় সাংগঠনিক ব্যর্থতা হিসেবে বিবেচিত হবে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা যেহেতু অভিযোগ করেছেন, অপহরণকারীরা নিজেদের শফিকুল ইসলামের লোক বলে পরিচয় দিয়েছে এবং অপহরণ করে যুবলীগ কার্যালয়ে নিয়ে গেছে, তখন বিষয়টি আসলে কী ঘটতে পারে, তা ধারণা করা কঠিন নয়।
অপহরণ বা অপহরণের চেষ্টা একটি গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেটা আমাদের আশা। সরকারি দলের লোক বলে এ ক্ষেত্রে কেউ যাতে ছাড় না পায়, তা পুলিশকে নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু যুবলীগ কার্যালয় অপহরণের কাজে ব্যবহূত হয়েছে—বিষয়টির একটি সাংগঠনিক তদন্ত এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়াও জরুরি।
অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম দাবি করেছেন, অপহরণের ঘটনার সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ের কোনো লোক জড়িত নয়। যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী যখন যুবলীগ কার্যালয় থেকে অপহূত দুই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেন, তখন শফিকুল ইসলামের এই বক্তব্যকে আমরা কীভাবে নেব? তিনি যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক, সেই সংগঠনের কার্যালয়ে তাঁর জানার বাইরে অপহূতদের আটকে রাখার সুযোগ আছে কি? যদি তা হয়ে থাকে, তবে এটা তাঁর বড় সাংগঠনিক ব্যর্থতা হিসেবে বিবেচিত হবে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা যেহেতু অভিযোগ করেছেন, অপহরণকারীরা নিজেদের শফিকুল ইসলামের লোক বলে পরিচয় দিয়েছে এবং অপহরণ করে যুবলীগ কার্যালয়ে নিয়ে গেছে, তখন বিষয়টি আসলে কী ঘটতে পারে, তা ধারণা করা কঠিন নয়।
অপহরণ বা অপহরণের চেষ্টা একটি গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেটা আমাদের আশা। সরকারি দলের লোক বলে এ ক্ষেত্রে কেউ যাতে ছাড় না পায়, তা পুলিশকে নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু যুবলীগ কার্যালয় অপহরণের কাজে ব্যবহূত হয়েছে—বিষয়টির একটি সাংগঠনিক তদন্ত এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়াও জরুরি।
No comments