সাক্ষাৎকার-বিশ্ববিদ্যালয়কে সমাজের সব ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে হবে by জুলফিকি আবদুল রাজাক

ইউনিভার্সিটি সেইন্স মালয়েশিয়ার ভাইস চ্যান্সেলর জুলফিকি আবদুল রাজাক ঢাকায় এসেছিলেন NUFU-NOMA আঞ্চলিক সম্মেলনে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মান বজায় রাখায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ে প্রধান বক্তা হিসেবে।


মঙ্গলবার রূপসী বাংলা হোটেলে এ সম্মেলন উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। ১৯৬৯ সালে কার্যক্রম শুরু করা ইউনিভার্সিটি সেইন্স মালয়েশিয়া সে দেশের গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। সমকালের সঙ্গে তিনি উচ্চশিক্ষার নানা দিক নিয়ে কথা বলেন

সাক্ষাৎকার গ্রহণ :অজয় দাশগুপ্ত
উচ্চশিক্ষার ব্যয় কীভাবে কমানো সম্ভব?
উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে জুলফিকি আবদুল রাজাক যে সময়ে বক্তব্য রাখছিলেন, ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা তখন রাজপথ প্রকম্পিত রেখেছিল 'পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের' মর্যাদা বহাল রাখার দাবিতে। বুধবার তার কাছে প্রশ্ন রেখেছিলাম এর সূত্র ধরেই। তাকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ২৭(৪) ধারা [পঞ্চম বৎসর হইতে ব্যয়ের শতভাগ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ও উৎস হইতে বহন করিতে হইবে] সম্পর্কে অবহিত করে বলি : উচ্চশিক্ষা কি কেবল সচ্ছলদের জন্য? উচ্চশিক্ষার জন্য প্রচুর অর্থ ও অন্যান্য সম্পদ প্রয়োজন। তা কীভাবে আসবে? তিনি প্রথমেই জানতে চান, ২০০৫ সালে যখন আইনটি করা হয় তখন কি ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি? তাকে জানাই, সে সময়ের ছাত্রছাত্রীরা এখন নেই। কর্তৃপক্ষও বদলে গেছে। নতুন যারা এসেছে এবং আসবে, সমস্যা তাদের। জুলফিকি আবদুল রাজাক বলেন, উন্নত দেশগুলোতেও উচ্চশিক্ষার ব্যয় বাড়ছে। ব্রিটেনে ছাত্র বেতন বাড়ানোর প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। এ বিষয়ে সরকারের বিশেষ মনোযোগ ও সচেতনতা দরকার। তবে একই সঙ্গে এটাও মনে রাখতে হবে, এমনকি অতি প্রয়োজনীয় ব্যয় বৃদ্ধির সিদ্ধান্তও কোনো দেশের কোনো প্রতিষ্ঠানেই সমাদৃত হয় না।
শিক্ষার দায়িত্ব সরকারের
জুলফিকি আবদুল রাজাক বলেন, প্রাথমিক থেকে প্রতিটি পর্যায়ে শিক্ষার মূল দায়িত্ব অবশ্যই সরকারের। তবে এর অর্থ এভাবে করা ঠিক হবে না যে, শিক্ষার যাবতীয় ব্যয় সরকারকে এককভাবে বহন করতে হবে। প্রতিটি দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার ওপর নির্ভর করবে এর মাত্রা। যাদের মেধা আছে এবং উচ্চশিক্ষা নিতে চায়, তারা যেন ব্যয় বহনে অক্ষমতার কারণে বঞ্চিত না হয়। যদি উচ্চশিক্ষিত ও স্বাস্থ্যবান অনেক নারী-পুরুষ সমাজে না থাকে, তাহলে কোনো দেশ এগিয়ে যেতে পারবে না। তাদের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে হবে। দূষণমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। সরকার এ দায় এড়াতে পারে না। যদি কোনো দেশ দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়, তাহলে উৎপাদনশীলতায় প্রভাব পড়বে।
কীভাবে নিজস্ব তহবিল গড়ে তোলা যাবে?
জুলফিকি আবদুল রাজাক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজস্ব তহবিলে চলতে হলে তার ক্ষমতা ও কাঠামো থাকতে হবে। শিক্ষার্থীদের ওপর ব্যয়ের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে এ সমস্যার সমাধান নেই। বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণা ও কনসালটেন্সির সূত্রে আয় করতে হবে। গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য উপযুক্ত অবকাঠামো থাকা এ জন্য আবশ্যকীয় শর্ত। একই সঙ্গে এসব সুবিধা কাজে লাগানোর জন্য থাকতে হবে দক্ষ জনশক্তি। এসব গবেষণালব্ধ ফল যাতে অর্থনীতির বিভিন্ন শাখায় কাজে লাগানো সম্ভব হয়, শিল্প-বাণিজ্যের উদ্যোক্তারা যাতে তা ব্যবহার করেন সে জন্য কার্যকর পদ্ধতি উদ্ধাবন করতে হবে। কস্ট এফেক্টিভও হতে হবে। উদ্যোক্তারা এমন কোনো গবেষণার ফল প্রয়োগে আগ্রহী হবেন না, যেখানে ব্যয়ের বোঝা বেশ ভারী হবে। তবে গবেষণাকাজের ক্ষেত্রে এটাও মনে রাখতে হবে যে, কেবল অর্থনীতির লাভ নয়, সমাজের আরও অনেক প্রয়োজন রয়েছে। এ ক্ষেত্রে আর্থিক লাভ বিচার করলে চলে না। এমন অনেক খাত রয়েছে যেখানে বিনিয়োগের জন্য ব্যক্তি খাত এগিয়ে আসে না, তাই রাষ্ট্রকে উদ্যোগ নিতে হয়।
পাঠ্য বিষয় নির্বাচনে অগ্রাধিকার
বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে পড়ানো হয়। বিবিএ, অর্থনীতি, ইংরেজি ভাষা, আইন, প্রকৌশল, চিকিৎসাবিজ্ঞান প্রভৃতি বিষয়ে দেখা যায় বিশেষ আগ্রহ। যেসব বিষয় 'মার্কেটেবল' অর্থাৎ চাকরির বাজারে সুবিধা বেশি মেলে সেগুলোই অগ্রাধিকার পায়। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় রয়েছে অনেক বিষয়। এমনকি পাঁচ বছর পড়ে ভালো ফল করেও ভালো চাকরি মেলার সম্ভাবনা কম_ এমন কয়েকটি বিষয়ও চালু রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ানোর বিষয় নির্বাচনের মানদণ্ড কী হওয়া উচিত, এ প্রশ্ন রেখেছিলাম জুলফিকি আবদুল রাজাকের কাছে। তিনি বলেন, এ বিষয়ে সরকারের দৃঢ় ও নীতিগত অবস্থান থাকা চাই। কেবল 'মার্কেটেবল' বিষয় নির্বাচন করলে চলবে না। তাহলে দর্শন, সাহিত্য, সমাজবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা_ এসব বিষয়ের কী হবে? সরকারকে অবশ্যই সব উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য কিছু বিষয় বাধ্যতামূলকভাবে নির্ধারণ করে দিতে হবে। দেশের প্রয়োজনের কথা সরকারই বেশি ভাববে, এটাই স্বাভাবিক। দেশের জন্য ঠিক কী কী চাই, কোন বিষয়ে গবেষণাকাজ অগ্রাধিকার দিতে হবে, সেটা তাদেরই ভালো জানার কথা। তবে মাতৃভাষা ও সাহিত্য অবশ্যই সব প্রতিষ্ঠানের পাঠ্যসূচিতে থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জ্ঞানচর্চার স্থান, কেবল বাজারের জন্য আকর্ষণীয় পণ্য উৎপাদন করা এর কাজ নয়।
পাটের জিন রহস্য উন্মোচনে সহযোগিতা
বাংলাদেশের বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলমের গবেষণাকাজের কেন্দ্র মালয়েশিয়া, এটা জানা ছিল। তিনি পাটের জিন রহস্য উন্মোচন করে খ্যাতিলাভ করেছেন। রূপসী বাংলার সম্মেলনে তিনিও হাজির ছিলেন। জুলফিকি আবদুল রাজাক জানালেন, মাকসুদুল আলম তাদের দেশের জন্যও গৌরব এনে দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাকাজে বিভিন্ন দেশ, বিশেষ করে উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জাতীয় অগ্রাধিকারের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হয়। বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় কৃষিপণ্য হচ্ছে পাট। এ বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন। অর্থনীতিতে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোতেও অনেক প্রতিভা রয়েছে, যাদের বিকাশে আমরা সহযোগিতা দিতে পারি। মাকসুদুল আলম এ কারণেই মালয়েশিয়ায়। এর মাধ্যমে এক দেশের গবেষণার ফল অন্য দেশ কাজে লাগাতে পারে। পাট আপনাদের বিশেষ ফোকাসে রয়েছে। অর্থনীতির চেহারা বদলে দিতে পারে এ সম্পদ। মালয়েশিয়ায়ও এ ধরনের অনেক বিষয় রয়েছে, যা নিয়ে গবেষণাকাজে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। পাটের বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে। অনেক ধরনের সিনথেটিক পণ্যের বিকল্প হচ্ছে পাট। এর ফলন ও মান বাড়ানোর সুযোগ মাকসুদুল আলমের গবেষণার ফলে বেড়ে যাবে।
দেশের নেতা তৈরি
জুলফিকি আবদুল রাজাক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কেবল দক্ষ কর্মী তৈরি করবে না, দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ে তুলতেও অবদান রাখবে। কেবল রাজনৈতিক অঙ্গনে নয়, সমাজের সর্বক্ষেত্রে যারা নেতৃত্ব দেবেন তারা নিজেদের গড়ে তুলবেন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণায় যুক্ত থাকার সময়ে। তারা চিন্তা জগতে পথিকৃৎ হবেন। আলো ছড়াবেন। সব ছাত্রছাত্রী এ ভূমিকায় আসতে পারবেন, এমন নয়। দেশের জন্য দক্ষ কর্মীরও প্রয়োজন রয়েছে। তার জন্যও বিশ্ববিদ্যালয়কে ভূমিকা রাখতে হবে। অর্থাৎ ভারসাম্য থাকা চাই।
ইউনিভার্সিটি সেইন্স মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়ায় তার নিজের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানতে চাইলে জুলফিকি আবদুল রাজাক বলেন, আমাদের প্রধান ক্যাম্পাস পেনাংয়ে। এটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে পাঠদানের প্রতিষ্ঠান। আরও রয়েছে তিনটি শাখা ক্যাম্পাস_ ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যাম্পাস পেনাংয়ে, হেলথ ক্যাম্পাস পূর্ব উপকূলের কেলাংতানে। তৃতীয় ক্যাম্পাস রয়েছে ভারতের বাঙ্গালুরুতে, যেখানে ডক্টর অব মেডিসিন ডিগ্রি দেওয়া হয়। পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ও আন্ডার গ্র্যাজুয়েট কোর্সে শিক্ষার্থী ২৮ হাজারের কিছু বেশি। এর মধ্যে ৮ হাজার পোস্টগ্র্যাজুয়েট কোর্সে। বাংলাদেশসহ ৬০টি দেশ থেকে তিন হাজার ছাত্রছাত্রী সেখানে পড়াশোনা করছে। আমরা নানা দেশের অগ্রসর চিন্তা ও ধারণার সম্মিলন ঘটাতে চাই। অনেক চিন্তা ও শর্ত একত্র হলে তা নতুন শক্তি হয়ে ওঠে। সংস্কৃতিরও আদান-প্রদান ঘটে। আমি মনে করি, এখন সব বিশ্ববিদ্যালয়েরই গ্গ্নোবাল হয়ে উঠতে হবে। বাংলাদেশের মাকসুদুল আলম এ নীতির কারণেই এখন মালয়েশিয়ায়। উন্নয়নশীল দেশে প্রতিভার অভাব নেই। তাদের বিকাশের সুযোগ করে দিতে পরস্পরের সঙ্গে হাত মেলাতে হবে। আমাদের শিক্ষক প্রায় দেড় হাজার। তারাও নানা দেশের শিক্ষার্থীদের নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
বাংলাদেশের শ্রমিকদের অবস্থা
বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক কর্মী কাজ করছেন মালয়েশিয়ায়। এর ফলে দেশে বেকার সমস্যার তীব্রতা কমছে। কর্মীরা পাঠাচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা, যা সমৃদ্ধ করছে রিজার্ভ। কিন্তু মালয়েশিয়ায় এসব কর্মীর একটা অংশ কয়েক বছর ধরেই সমস্যায় রয়েছে। জুলফিকি আবদুল রাজাককে এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করায় তিনি বলেন, সেখানে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বিদেশি শ্রমিক রয়েছে, যারা বৈধ নয়। অনেক ক্ষেত্রে সরকারও তাদের অবস্থা সম্পর্কে অবহিত থাকে না। এ কারণে পরিকল্পনা প্রণয়নে সমস্যা হয়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজেও এ ধরনের 'অবৈধ' উপস্থিতি কখনও কখনও সমস্যা সৃষ্টি করে। এ কারণে সরকার সব বিদেশি শ্রমিকের রেজিস্ট্রেশন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে সব পক্ষই উপকৃত হবে।
বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের সুযোগ
ঢাকার ঘটঋট-ঘঙগঅ আঞ্চলিক সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রহমান, অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম, অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, রোবায়েত ফেরদৌস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার কাজে সহায়তা করেন একদল শিক্ষার্থী। সমকালের জন্য সাক্ষাৎকার প্রদানকালেই জুলফিকি আবদুল রাজাক এসব শিক্ষার্থীর উদ্দেশে বলেন, মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষার সুযোগ বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীরা আরও বেশি করে গ্রহণ করতে পারে। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৭৬ সালে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। সাক্ষাৎকার প্রদানের সময়ে মালয়েশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ঢাকার কয়েকজন শিক্ষার্থীকে তার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ই-মেইল নম্বর প্রদান করেন।
প্রিয় ঢাকা
ঢাকা কেমন দেখলেন_ এ প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এখানকার খাবার ভালো। হজম হয় সহজে। মানুষ বন্ধুভাবাপন্ন। এবার নিয়ে তিনবার এখানে এসেছি। মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে অনেক মিল। ট্রাফিক জ্যাম রয়েছে। তবে স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল, সব দেশেরই এটা সমস্যা। দূষণও বড় সমস্যা। এসব থেকে মুক্ত হওয়ার পথ দেখাতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়কে। তাদের নগর পরিকল্পনা তুলে ধরতে হবে। যানজট কমিয়ে আনার কর্মকৌশল তুলে ধরতে হবে। সমাধানের সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিতে হবে। সরকার, প্রশাসন এবং সমাজের বিভিন্ন অঙ্গনে যারা রয়েছেন তাদের কাজ হবে এসব ধারণা বাস্তবায়ন। কেবল শ্রেণীকক্ষে নির্দিষ্ট পাঠ্যসূচি শেষ ও পরীক্ষা গ্রহণের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না।
সমকালের পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীদের ধন্যবাদ জানিয়ে জুলফিকি আবদুল রাজাক সাক্ষাৎকার শেষ করেন।
 

No comments

Powered by Blogger.