প্রবাসীদের মধ্যে বাংলা ভাষার বিস্তার ঘটাতে হবে by শিউলী আক্তার
আমার মায়ের মুখের ভাষা বড় আদরের ধন, আমার বুকের শক্তি, কঠিন মাটির বুকে দাঁড়ানোর শক্তি। আমার মায়ের ভালোবাসা, আমার মায়ের আদরের অভিব্যক্তি, বোনের স্নেহ_সব যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে আমার মায়ের ভাষার মাঝে, আমার বাংলা ভাষার মাঝে।
ভাষা আন্দোলন আমাদের জাতীয় ইতিহাসের এক অনন্য চেতনাদীপ্ত অধ্যায়। এই আন্দোলন জাতিসত্তার অন্বেষণ এক বিপুল সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। জাতির এগিয়ে চলার জন্য এই আন্দোলন প্রতিবাদী চেতনার এমন এক সুবিস্তৃত পথ রচনা করেছে, যা জাতিকে যেকোনো সংকটকালে পথের দিশা দেবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার। এ আন্দোলন অধিকার হরণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রেরণা দেবে। একুশের আন্দোলনের উত্তাপ আজও গোটা জাতিকে একক ধারায় উজ্জীবিত করে। তাই ইতিহাসের সুদীর্ঘ পথ পেরিয়ে ভাষা আন্দোলনের প্রতিবাদী চেতনার পথ দিয়ে আজও চলছে জাতির সুদৃপ্ত পদচারণা। তাই একুশের গুরুত্ব আমার ব্যক্তিজীবন, রাষ্ট্রীয়জীবন কিংবা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অপরিসীম ভূমিকা, গুরুত্ব ও অবদান রেখে চলেছে। তাই ভাষা আন্দোলনে শুধু বায়ান্নর একুশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত নয়। এই আন্দোলনের সূচনালগ্ন ছিল ১৯৪৭ সাল। এমনকি দেশ বিভাগের আগেও সচেতন বুদ্ধিজীবী সমাজ এবং শিক্ষাবিদরা রাষ্ট্রভাষার প্রশ্নটি স্পষ্টভাবে উচ্চারণ করেছিলেন। ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে আমাদের আবেগ, উত্তাপ ও উচ্ছ্বাস ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং প্রকৃত ঘটনার মূল পরিচিতি যেন হারিয়ে না যায়, সে জন্য আমাদের সচেতন হওয়া উচিত। ঐতিহাসিক সত্যের আলোকে মহান একুশের ভাষা আন্দোলনের ঘটনাপ্রবাহ সুবিন্যস্ত করা প্রয়োজন।
ভাষা সংরক্ষণের কথা যদি বলা হয়, তাহলে ভাষা এমনই একটি বিষয়, যা যন্ত্রের মতো কোনো সুরক্ষিত ভাণ্ডারে পুঞ্জীভূত করে রেখে সংরক্ষণ করা যায় না। ভাষা অনেকটা ব্যবসায়িক পণ্যের মতো। এ যেন প্রচারেই প্রসার। আমাদের প্রিয় মাতৃভাষা বাংলাকে বিশ্বের দরবারে পেঁৗছে দিতে হবে। বাংলা ভাষার উৎপত্তি, ইতিহাস, বিস্তৃতির ক্রমবিকাশ সংবলিত গ্রন্থগুলো সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। কোনো বিশেষ গোষ্ঠী, শাসক বা চক্রান্তকারী মহল যাতে ভাষার ইতিহাস বা প্রচল রীতিকে বিকৃত করতে না পারে, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। ভাষা গবেষক-কবি-সাহিত্যিক-সাংবাদিক-কলামিস্ট, যাঁরা ভাষার ইন্দ্রজাল সৃষ্টি করেন, যাঁরা ভাষার অসীম মহিমায় মানব-হৃদয় হরণ করেন, বিজ্ঞান, দর্শন, সাহিত্য প্রভৃতি মহান ক্ষেত্রে তথ্য-উপাত্ত-তত্ত্ব তুলে ধরে মানব সভ্যতাকে সমৃদ্ধ করেন, তাঁরা যেন খেয়াল রাখেন, ভাষা একটি জাতীয় পবিত্র আমানত, যার মাধ্যমে আপনি আপনার প্রজ্ঞা, চিন্তা-চেতনা ও জ্ঞান-গরিমার বিষয়গুলো বিবৃত করেছেন। নিজ স্বার্থে যেন জাতীয় আমানতকে বিকৃত না করেন। সর্বোপরি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, বাংলা ভাষার গবেষণার মতো মহামূল্যবান বইগুলো যেন আর্কাইভের মাধ্যমে সংরক্ষিত করা হয় এবং বাংলা ভাষার ব্যবহারে বিকৃতি ঘটালে, তা যেন আইন করে প্রতিরোধ করা হয়।
ভাষা সমৃদ্ধির জন্য চাই সর্বব্যাপী ব্যবহার এবং পরিচর্যা। শিক্ষাক্ষেত্রে ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলা ভাষাকে তুলে ধরা, বিশেষ করে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে প্রচলনের চেষ্টা করা প্রয়োজন।
অলঙ্কার যেমন মানুষের দেহের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে, তেমনি রাষ্ট্রের মূল ভাষার সঙ্গে ক্ষুদ্র জাতি-গোষ্ঠীর ভাষা যুক্ত হয়ে মূল ভাষার অলঙ্কার তৈরি করে এবং মূল ভাষাকে সুন্দর ও মাধুর্যপূর্ণ করে তোলে। আর এতে মূল ভাষাও পরিপূর্ণতা লাভ করে। এতে ওই ক্ষুদ্র জাতি-গোষ্ঠীর জীবন, সংস্কৃতি এবং ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণে সহায়তা করে। সর্বোপরি একটি জাতি এবং তার ভাষা সংস্কৃতিকে পরিপূর্ণতা দান করে।
আমাদের মহান এই মাতৃভাষা বাংলার আন্তর্জাতিকীকরণ করতে হলে প্রথমেই যা দরকার, তা হলো রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা। আর সেই হিসেবে আইন, বিচার ও শাসন বিভাগসহ রাষ্ট্রীয় সব সংস্থায় বাংলা ভাষার বাধ্যতামূলক প্রচলন করা। বিভিন্ন দূতাবাসে বাংলা ভাষার মাধ্যমে পত্রালাপ করা। শিক্ষা-সংস্কৃতির আন্তর্জাতিক মাধ্যমগুলোকে বাংলা ভাষা ব্যবহারে বাধ্য করা, প্রবাসীদের মধ্যে বাংলা ভাষার বিস্তার ঘটানো। বিভিন্ন দেশে বাংলা ভাষার সংস্কৃতিমূলক অনুষ্ঠান পরিচালনা করা। বাংলা নাটক-সিনেমা আন্তর্জাতিক মানের করে নির্মাণ করা, যেন বহির্বিশ্বের দর্শকদের মাঝেও বাংলা নাটক-সিনেমার প্রতি আগ্রহ জন্মে। সর্বোপরি জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে বাংলার প্রচলন করা।
ভাষা সংরক্ষণের কথা যদি বলা হয়, তাহলে ভাষা এমনই একটি বিষয়, যা যন্ত্রের মতো কোনো সুরক্ষিত ভাণ্ডারে পুঞ্জীভূত করে রেখে সংরক্ষণ করা যায় না। ভাষা অনেকটা ব্যবসায়িক পণ্যের মতো। এ যেন প্রচারেই প্রসার। আমাদের প্রিয় মাতৃভাষা বাংলাকে বিশ্বের দরবারে পেঁৗছে দিতে হবে। বাংলা ভাষার উৎপত্তি, ইতিহাস, বিস্তৃতির ক্রমবিকাশ সংবলিত গ্রন্থগুলো সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। কোনো বিশেষ গোষ্ঠী, শাসক বা চক্রান্তকারী মহল যাতে ভাষার ইতিহাস বা প্রচল রীতিকে বিকৃত করতে না পারে, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। ভাষা গবেষক-কবি-সাহিত্যিক-সাংবাদিক-কলামিস্ট, যাঁরা ভাষার ইন্দ্রজাল সৃষ্টি করেন, যাঁরা ভাষার অসীম মহিমায় মানব-হৃদয় হরণ করেন, বিজ্ঞান, দর্শন, সাহিত্য প্রভৃতি মহান ক্ষেত্রে তথ্য-উপাত্ত-তত্ত্ব তুলে ধরে মানব সভ্যতাকে সমৃদ্ধ করেন, তাঁরা যেন খেয়াল রাখেন, ভাষা একটি জাতীয় পবিত্র আমানত, যার মাধ্যমে আপনি আপনার প্রজ্ঞা, চিন্তা-চেতনা ও জ্ঞান-গরিমার বিষয়গুলো বিবৃত করেছেন। নিজ স্বার্থে যেন জাতীয় আমানতকে বিকৃত না করেন। সর্বোপরি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, বাংলা ভাষার গবেষণার মতো মহামূল্যবান বইগুলো যেন আর্কাইভের মাধ্যমে সংরক্ষিত করা হয় এবং বাংলা ভাষার ব্যবহারে বিকৃতি ঘটালে, তা যেন আইন করে প্রতিরোধ করা হয়।
ভাষা সমৃদ্ধির জন্য চাই সর্বব্যাপী ব্যবহার এবং পরিচর্যা। শিক্ষাক্ষেত্রে ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলা ভাষাকে তুলে ধরা, বিশেষ করে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে প্রচলনের চেষ্টা করা প্রয়োজন।
অলঙ্কার যেমন মানুষের দেহের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে, তেমনি রাষ্ট্রের মূল ভাষার সঙ্গে ক্ষুদ্র জাতি-গোষ্ঠীর ভাষা যুক্ত হয়ে মূল ভাষার অলঙ্কার তৈরি করে এবং মূল ভাষাকে সুন্দর ও মাধুর্যপূর্ণ করে তোলে। আর এতে মূল ভাষাও পরিপূর্ণতা লাভ করে। এতে ওই ক্ষুদ্র জাতি-গোষ্ঠীর জীবন, সংস্কৃতি এবং ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণে সহায়তা করে। সর্বোপরি একটি জাতি এবং তার ভাষা সংস্কৃতিকে পরিপূর্ণতা দান করে।
আমাদের মহান এই মাতৃভাষা বাংলার আন্তর্জাতিকীকরণ করতে হলে প্রথমেই যা দরকার, তা হলো রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা। আর সেই হিসেবে আইন, বিচার ও শাসন বিভাগসহ রাষ্ট্রীয় সব সংস্থায় বাংলা ভাষার বাধ্যতামূলক প্রচলন করা। বিভিন্ন দূতাবাসে বাংলা ভাষার মাধ্যমে পত্রালাপ করা। শিক্ষা-সংস্কৃতির আন্তর্জাতিক মাধ্যমগুলোকে বাংলা ভাষা ব্যবহারে বাধ্য করা, প্রবাসীদের মধ্যে বাংলা ভাষার বিস্তার ঘটানো। বিভিন্ন দেশে বাংলা ভাষার সংস্কৃতিমূলক অনুষ্ঠান পরিচালনা করা। বাংলা নাটক-সিনেমা আন্তর্জাতিক মানের করে নির্মাণ করা, যেন বহির্বিশ্বের দর্শকদের মাঝেও বাংলা নাটক-সিনেমার প্রতি আগ্রহ জন্মে। সর্বোপরি জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে বাংলার প্রচলন করা।
No comments