আবারও চাঙ্গা মাইনাস টু-প্লাস টু থিওরি! by মোহাম্মদ নূরাল হক
গত ১৭ ডিসেম্বর ২০০৯, দৈনিক আমার দেশ-এ প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে আবারও বহুল আলোচিত মাইনাস টু-প্লাস টু থিওরির বিষয়টি সামনে নিয়ে আসেন।
তিনি বলেন, ‘এবার মাইনাস করা হচ্ছে বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি তারেক রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে। এবারের মাইনাস টু ফর্মুলার সঙ্গে বিরোধী দল বিএনপি জড়িত। এখন এটা বিএনপির পক্ষ থেকে মাইনাস টু ফর্মুলা শুরু হয়েছে যে জয়কে মাইনাস করো, তারেককেও মাইনাস করো’ (দৈনিক আমার দেশ, ২১ ডিসেম্বর ২০০৯)।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এই প্লাস টু-মাইনাস টু থিওরিটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে সিডরের তাণ্ডবসম সব কিছু ওলট-পালটের মতো অবস্থার সৃষ্টি করেছিল। তখন সমগ্র বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে সাইক্লোনসম সংস্কার-সংস্কার ঝড় বয়ে যাচ্ছিল। দেশের বহুল আলোচিত সুশীল সমাজের একাংশ এ বিষয়টি নিয়ে যারপরনাই সোচ্চার ছিল। সেই সঙ্গে আগুনসম উপ্তত হাওয়ায় ঘি ঢেলেছিল আমাদের কথিত অতি দরদী ও আপনজনদের চেয়েও আপন? দাদারা (দাতাগোষ্ঠীর সদস্যরা)। এমনকি আশ্চর্যজনকভাবে এহেন প্লাস টু-মাইনাস টু থিওরির সঙ্গে সায় দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বি মাইলাম নামে একজন কূটনীতিকের একটি আবেগঘন কলাম ছাপা হয়েছিল তখনকার দিনের অতিপরিচিত এ বিষয়টিতে অধিকতর উত্সাহী একটি দৈনিক খবরের কাগজে। যেখানে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে প্রচুর আলো ও জ্ঞান ছড়ানো হয়েছিল।
২০০৭ সালে এই ‘প্লাস টু-মাইনাস টু থিওরিটি’ নিয়ে রশি টানাটানির খেলা যখন তুঙ্গে, তখন আমি একটি কলাম লিখেছিলাম যার শিরোনাম ছিল, ‘নেইদার প্লাস টু-নর মাইনাস টু, বাংলাদেশে সব ধরনের সংস্কার হতে হবে মাইনাস দুর্নীতিবাজ।’ আর দুর্নীতির বিষয়টি নির্ধারিত হতে হবে আদালতের সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। আমার লেখাটি প্রচুর আলো ও জ্ঞান ছড়ানোতে অভ্যস্ত সেই দৈনিক সে সময়ে হয়তোবা অজানা-অজ্ঞাত ভয়ের কারণে ছাপতে সাহস করেনি। এহেন অক্ষমতার জন্য সামান্যতম দুঃখও প্রকাশ করেনি।
আসলে আমার ওই লেখাটির মূল কথা ছিল, স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালনায় মূল সমস্যাই হলো দুর্নীতি। এ দুর্নীতিকে ঘিরেই সব রকমের অনাচার-অবিচার, অব্যবস্থাপনা-অস্থিরতা ও পরশ্রীকাতরতা-অসহনশীলতা দিনের পর দিন ডালপালা মেলে সমাজকে অক্টোপাসের মতো আষ্টেপৃষ্ঠে দলিত-মথিত অবস্থায় ক্যান্সারের মতো গ্রাস করে চলেছে। আর এহেন দুর্নীতির সবচেয়ে সহজ লক্ষ্যবস্তু হলো বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ। বস্তুত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের আসল মালিকানা হলো দেশের ধুঁকে-ধুঁকে বেঁচে থাকা নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষগুলো। যারা দেশের জনসংখ্যার শতকরা ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ। আসলে এরা দৈনন্দিন জীবনে তীব্র জঠরজ্বালায় শুধু দু’বেলা দুই মুঠো অন্ন, পরিবার-পরিজন নিয়ে কোনোরকম মাথা গোঁজার ঠাঁই ও লজ্জা নিবারণের জন্যে সামান্যতম বস্ত্রের সংস্থানে প্রাণিপাতেই ব্যস্ত। তাই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের সামান্যতম হিসাব-নিকাশ নেয়ার মতো বিলাসিতার সময় ও সামর্থ্য এদের কোথায়, বলুন?
যেকোনো যুক্তিতে বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতি মূলোত্পাটনে ‘প্লাস টু-মাইনাস টু থিওরিটি’ কোনো কার্যকর থিওরি হতেই পারে না। এ থিওরিটি যে নেহাতই ব্যক্তিকেন্দ্রিক, অশুভ ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
অথচ প্রশ্নটি হলো, আমাদের সমাজে বিশেষ করে যারা ধর্তব্যের মধ্যে তাদের ব্যক্তিস্বার্থ, গোষ্ঠীস্বার্থ, দলীয়স্বার্থ, অসত্ উদ্দেশ্য, সক্রিয় সহায়তা ও সামগ্রিক সহযোগিতা না থাকলে যুগের পর যুগ একটি দেশে অব্যাহতভাবে দুর্নীতি চলতে থাকে কী করে? যুগের পর যুগ কীভাবে মিথ্যা সত্যকে ছাপিয়ে রাজত্ব করে? কীভাবে দিনের পর দিন অসভ্যতা সভ্যতাকে দমিয়ে রাখে? কীভাবে দেশজুড়ে অহরহ মানবতা ঘরে ঘরে-পথে পথে অব্যাহতভাবে নিগৃহীত হয়? কীভাবে গত ৩৮ বছরে নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠরা সরব সংখ্যালঘিষ্ঠদের করুণায় নির্জীব প্রাণীর মতো বেঁচে থাকে? কীভাবে বাংলাদেশের ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ মানুষ দিনের পর দিন গরিব থেকে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে?
এমন প্রেক্ষাপট সত্ত্বেও সঙ্গত প্রশ্ন হলো, তাহলে সাধারণ মানুষ জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেয় কেন? বিশেষ করে নির্বাচনে পরাজিতদের অভিযোগ হলো, সূক্ষ্ম কারচুপি, স্থূল কারচুপি, ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং অথবা ডিজিটাল কারচুপি ইত্যাদি ইত্যাদি। আসলে, এহেন অভিযোগগুলো হলো ব্যক্তি, গোষ্ঠী অথবা দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে উত্থাপিত অভিযোগ। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ১৯৯০-এর গণআন্দোলনের পর থেকে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচন মোটামুটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে ধরে নেয়া যায়, যা মোটামুটি আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃত। তবে স্থান, কাল ও পাত্রভেদে যেটুকু কারচুপি ও অনিয়ম হয়েছে তা পৃথিবীর যেকোনো দেশেই কম-বেশি হয়ে থাকে। খোদ যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও ব্রিটেনেও কারচুপি ও অনিয়ম হয়ে থাকে। তা নানা রংয়ে অথবা নানা ঢংয়ে। আমাদের আশপাশের দেশগুলোর উদাহরণ তো আমাদের সামনেই আছে। ভারতের বিগত নির্বাচন চলাকালীন তো অনিয়ম ও কারচুপিসহ নির্বাচনী সহিংসতায় ডজন-ডজন মানুষ নিহত হয়েছে।
বাংলাদেশে উল্লিখিত বছরগুলোতে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচন কার্যক্রম মোটামুটি সঠিক বলার যৌক্তিক কারণ হলো, জাতীয় নির্বাচনের ফলাফলে কোনোভাবেই কিন্তু সদ্য ক্ষমতা ছেড়ে দেয়া শাসক দল অদ্যাবধি জয়লাভ করতে পারেনি। এখানে ১৯৯১ সালের নির্বাচনের প্রেক্ষাপট ছিল বেশ ব্যতিক্রমী। যেখানে দলীয়ভাবে জয়লাভের বিষয়টি ছিল আধাআধি। এ ছাড়া বাকি নির্বাচনগুলোতে ক্ষমতাসীন দল তাদের পাঁচ বছরের শাসনকাল অতিবাহিত করার পর শাসক দলের আপাত পরাজয়। এ ব্যাপারে নিরপেক্ষজনের সন্দেহের কোনো অবকাশ আছে বলেও আমার মনে হয় না। আর যুগের পর যুগ এসব অতি পরিচিত দলের সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আমরা সবাই কম-বেশি ভুক্তভোগী ও ওয়াকিবহালও বটে।
আবার জাতীয় নির্বাচনের এরূপ ফলাফলের অর্থ এই নয় যে দেশের নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ নির্বাচনে বিজয়ী দলের একনিষ্ঠ সমর্থক অথবা সদস্য। বাংলাদেশের নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বছরের পর বছর জাতীয় জীবনে সব ধরনের অন্যায়-অবিচার ও দুর্নীতি-দুঃশাসনের বিকল্প খুঁজে ফেরে। যার ফলে এবার এ দল, পরেরবার সে দল নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতাসীন হয়। আর বছরের পর বছর এমন বাস্তবতায় লাভবান হয় সাঙ্গপাঙ্গসহ ক্ষমতাধররা এবং অব্যাহতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে দেশের নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠরা, যারা বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ।
বাংলাদেশের নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মূল সমস্যা হলো দুটি—প্রথমত অশিক্ষা। দ্বিতীয়ত দারিদ্র্য। স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যাবধি জাতীয় জীবনে এ দুটি বিষয়ের বাস্তবিক অর্থে কোনো উন্নতিই হয়নি। যতটুকু পরিলক্ষিত হয় তা শুধুই কাগজে-কলমে, আকাশচুম্বী পরিকল্পনা-প্রাক্কলন ও বোমা বিস্ফোরণ সদৃশ কথামালার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। অথচ এ দুটি বিষয়ে যেসব বাগাড়ম্বর চলে অথবা যেসব ফোলা-ফাঁপানো পরিসংখ্যান সাধারণে উপস্থাপন করা হয়, তার প্রায় সবটুকুই কম-বেশি ধাপ্পা বা ধোঁকা। বাস্তবে যদি দেশে শিক্ষা বিস্তৃত হয়েই থাকে, তবে একবিংশ শতাব্দীতে আমাদের সমাজে দিনের পর দিন অস্থিরতা ও অনাচার অব্যাহতভাবে বেড়েই চলেছে কেন? আবার বছরের পর বছর যদি দেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েই থাকে, তাহলে দেশে দরিদ্র জনসংখ্যা বেড়েই চলেছে কেন? সুধীজন অথবা সুশীল (?) সমাজের কাছে এর কোনো সদুত্তর আছে কি?
এরূপ অবস্থার প্রেক্ষাপটে, নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠের চরম অক্ষমতা ও ব্যর্থতা হলো, জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেয়াটাই তারা সব দায়িত্বের শেষ মনে করেন। এক্ষেত্রে অশিক্ষা ও দারিদ্র্য এদের স্বার্থান্বেষীদের ওপর নির্ভরতায় অনেকটা বাধ্য হয়। তাই জাতীয় নির্বাচনের পর দেশের সার্বিক রাজনীতিতে ও জাতীয় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশ নেয়ার লক্ষ্যে কোনোরকমের দায়-দায়িত্ব তারা অনুভব করে না বা করার মতো সময়ও তাদের নেই। জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমেই তারা পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য দেশের রাজনীতিতে ও জাতীয় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে তাদের সক্রিয় ভূমিকার ইতি টানে। এমন পরিস্থিতির মূল কারণ দুটি আমি আগেই বলেছি।
তবে নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠের জীবনের সবচেয়ে কঠিন প্রশ্নটি হলো, ক্রমাবনত দারিদ্র্যের কশাঘাত। অর্থাত্ জঠর যন্ত্রণার যেনতেনভাবে আশু সমাধান। বাংলাদেশের ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ মানুষের জীবনে সূর্য ওঠে ক্ষুধা নিবারণের তাগিদ নিয়ে। আর সূর্য অস্ত যায় সারা দিনের ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত দেহে ঘরে ফেরার মধ্য দিয়ে, পরবর্তী সূর্যোদয়ের হতাশা সামনে নিয়ে। ওদিকে রাতের অন্ধকারটুকুতে সারা দিনের পরিশ্রান্তিতে তারা বাস্তবিক অর্থেই নিজেদের এলিয়ে দিতে বাধ্য হয় অবচেতন-অচেতন অবস্থায়। এই হলো বাংলাদেশের নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠের বছরে ৩৬৫ দিনের নিত্যকর্ম। তাই নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠদের দ্বারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের হিসাব-নিকাশ ইত্যাদি বিষয়ের মারপ্যাঁচের চিন্তা-ভাবনারই-বা সময় কোথায়?
আসলে মাইনাস টু-প্লাস টু থিওরি হলো ক্ষমতার লড়াই। একজনকে সরিয়ে আরেকজনের ক্ষমতা দখল আর কি। এখানে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সুশাসন ও সামান্যতম সৌজন্যবোধের কোনো স্থান আছে বলে অদ্যাবধি প্রমাণিত হয়নি। ক্ষমতা, ক্ষমতা এবং ক্ষমতাই একমাত্র লক্ষ্য, তা ‘যেনতেন প্রকারে হোক’। অর্থাত্ যেভাবেই হস্তগত করা যায়, তাই বৈধ। অথচ ক্ষমতার লড়াইয়ে অতীত ইতিহাসের নির্মম বাস্তবতা নেতা-নেত্রীদের অদ্যাবধি কখনও প্রভাবিত করেছে বলেও জানা নেই।
আজ বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতায় ও ক্ষমতার লড়াইয়ে প্রজ্ঞা, বুদ্ধিবৃত্তি, পরিমিতিবোধ ও ভারসাম্যপূর্ণ-সামঞ্জস্যপূর্ণ মনোভাবের বড়ই প্রয়োজন। আর এহেন পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করতে হবে সরব সংখ্যালঘিষ্ঠদেরই। অন্যথায় অপেক্ষারত নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠদের সামনের লাইনে আসতে বাধ্য করা হলে তার ফলাফল নিশ্চিতভাবে ভবিতব্যই বলে দেবে। অতীত ইতিহাস থেকে উদাহরণ টানার প্রয়োজন আছে কি? তবে এ ব্যাপারে কোরআনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ‘কুলিল্লাহুম্মা মালিকাল মুলিক তু’তিল্ মুল্কা মান্ তাশায়ু ওয়া তানিযউ’ল্ মুল্কা মিম্মান্ তাশায়ু ওয়া তুইয্যু মান্ তাশায়ু ওয়া তুযিল্লু মান্ তাশায়ু বি ইয়াদিকাল্ খাইরু ইন্নাকা আ’লা কুল্লি শাইয়িন্ কস্ফাদির।’ (সূরা-আল-ইম্রান, আয়াত-২৬)। অর্থাত্ ‘বলুন, ইয়া আল্লাহ্! তুমিই সার্বভৌম শক্তির অধিকারী। তুমি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান কর এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজ্য ছিনিয়ে নাও এবং যাকে ইচ্ছা সম্মাান দান কর, আর যাকে ইচ্ছা অপমানে পতিত কর। তোমারই হাতে রয়েছে যাবতীয় কল্যাণ। নিশ্চয়ই, তুমি সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাশীল।’
তাই আরও অনেক দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই আসুন, আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজেরা নিজেদের শোধরাই—সত্যের পথে, সহজ পথে! যে পথ আমাদের সবাইকে নিশ্চিত করতে পারে একটি অর্থপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা ও অফুরন্ত সুখ-শান্তি।
লেখক : পেনশনার
haquenoor@yahoo.com
No comments