এত আয়োজন, তবু ফল নেই কেন?-রুনি-সাগর হত্যার তদন্ত
সাংবাদিক দম্পতি রুনি-সাগর হত্যার কোনো কূলকিনারা এখন অবধি করতে পারেনি পুলিশ। ঘাতকেরা এবং তাদের উদ্দেশ্য চিহ্নিত না হওয়ায় গুজব ও রহস্যের ডালপালা ছড়ানোর সুযোগ পেয়েছে। কোনো কোনো মহল থেকে মুখরোচক রটনা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টাও দেখা গেছে।
এসবের উপযুক্ত বিহিত হতে পারে কেবল সত্য প্রকাশে। এখন পর্যন্ত তার দেখা না পাওয়া তাই দুঃখজনক।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘটনা তদন্তে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। তাতে কোনো কাজ না হওয়ায় তিনি একে কৌশল বলে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। কৌশলই হোক আর যা-ই হোক, কাজের কাজ যে হয়নি তা অস্বীকার করা যাবে না। এই ঘটনায় জনমনে যে নিরাপত্তাহীনতার বোধ সৃষ্টি হয়েছে, তাও দূর করা দরকার ছিল। এই ঘটনা সাংবাদিকসমাজকে ভীতসন্ত্রস্ত করার জন্য কি না, সেই প্রশ্নটাও জাগ্রত। সব মিলিয়ে এই জোড়া খুনের মধ্যে বর্তমান সময়ের সংকটের অনেক দিকই ফুটে উঠেছে। পারিবারিক নিরাপত্তার প্রশ্ন, সাংবাদিকদের পেশাগত নিরাপত্তা ও সম্মানের প্রশ্ন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়দায়িত্বের প্রশ্ন প্রভৃতি বিষয় ইতিমধ্যে সামনে এসে গেছে। এ কারণেই সুষ্ঠু তদন্ত ও অকাট্য প্রমাণের ভিত্তিতে এই আলোচিত হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করা প্রয়োজন। কোনো রকম গোঁজামিল দিয়ে দায়মুক্ত হওয়ার সুযোগ কারোরই নেই।
হত্যার বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী সাংবাদিকসমাজসহ নাগরিক ও পেশাজীবী বিভিন্ন সংস্থা সরব হয়েছে। গণমাধ্যমের কর্মীরা তাঁদের সহকর্মীদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তদন্তে দীর্ঘসূত্রতার ছায়াপাতের পরও দায়িত্বশীলভাবে সংযম দেখিয়েছেন। কিন্তু সংযমেরও যেমন শেষ আছে, তেমনি কালক্ষেপণেরও একটা সীমা থাকা উচিত।
গতকালের প্রথম আলোর সংবাদে জানা যাচ্ছে, পুরো ডিবিই ঘটনা তদন্তে নিয়োজিত হয়েছে। তাদের হাতে ‘অনেক তথ্য’, তার পরও কেন সিদ্ধান্তে আসা যাচ্ছে না? মানুষ একটা যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা চায় এবং সবচেয়ে বেশি চায় প্রতিকার। নিহত দম্পতির শিশুপুত্র মেঘেরও জানা চাই, কে বা কারা কেন তার বাবা-মাকে হত্যা করেছে এবং তাদের কী বিচার হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘটনা তদন্তে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। তাতে কোনো কাজ না হওয়ায় তিনি একে কৌশল বলে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। কৌশলই হোক আর যা-ই হোক, কাজের কাজ যে হয়নি তা অস্বীকার করা যাবে না। এই ঘটনায় জনমনে যে নিরাপত্তাহীনতার বোধ সৃষ্টি হয়েছে, তাও দূর করা দরকার ছিল। এই ঘটনা সাংবাদিকসমাজকে ভীতসন্ত্রস্ত করার জন্য কি না, সেই প্রশ্নটাও জাগ্রত। সব মিলিয়ে এই জোড়া খুনের মধ্যে বর্তমান সময়ের সংকটের অনেক দিকই ফুটে উঠেছে। পারিবারিক নিরাপত্তার প্রশ্ন, সাংবাদিকদের পেশাগত নিরাপত্তা ও সম্মানের প্রশ্ন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়দায়িত্বের প্রশ্ন প্রভৃতি বিষয় ইতিমধ্যে সামনে এসে গেছে। এ কারণেই সুষ্ঠু তদন্ত ও অকাট্য প্রমাণের ভিত্তিতে এই আলোচিত হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করা প্রয়োজন। কোনো রকম গোঁজামিল দিয়ে দায়মুক্ত হওয়ার সুযোগ কারোরই নেই।
হত্যার বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী সাংবাদিকসমাজসহ নাগরিক ও পেশাজীবী বিভিন্ন সংস্থা সরব হয়েছে। গণমাধ্যমের কর্মীরা তাঁদের সহকর্মীদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তদন্তে দীর্ঘসূত্রতার ছায়াপাতের পরও দায়িত্বশীলভাবে সংযম দেখিয়েছেন। কিন্তু সংযমেরও যেমন শেষ আছে, তেমনি কালক্ষেপণেরও একটা সীমা থাকা উচিত।
গতকালের প্রথম আলোর সংবাদে জানা যাচ্ছে, পুরো ডিবিই ঘটনা তদন্তে নিয়োজিত হয়েছে। তাদের হাতে ‘অনেক তথ্য’, তার পরও কেন সিদ্ধান্তে আসা যাচ্ছে না? মানুষ একটা যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা চায় এবং সবচেয়ে বেশি চায় প্রতিকার। নিহত দম্পতির শিশুপুত্র মেঘেরও জানা চাই, কে বা কারা কেন তার বাবা-মাকে হত্যা করেছে এবং তাদের কী বিচার হয়েছে।
No comments