বিদায় মধ্যরাতের অশ্বারোহী-তাঁর স্মৃতি অক্ষয় হোক
বিশিষ্ট সাংবাদিক, ছড়াকার, সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং সংগ্রাম-আন্দোলনের সংগঠক ফয়েজ আহমদ ৮৪ বছর বয়সে চিরবিদায় নিলেন সোমবার ভোরে। তাঁর কর্ম ও খ্যাতির সীমানা ছিল বিস্তৃত। নির্দিষ্ট করে তাঁর পরিচয় তুলে ধরা ভার। গভীর শ্রদ্ধায় আমরা এই কীর্তিমানকে স্মরণ করার পাশাপাশি শোক প্রকাশ করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা। ১৯২৮ সালের ২ মে মুন্সীগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
তাঁর বেড়ে ওঠা এবং আমাদের সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক অঙ্গনে ক্রমান্বয়ে কর্মকাণ্ডের বিস্তৃতি ঘটানোর মধ্য দিয়ে তিনি শেষ পর্যন্ত পরিণত হয়েছিলেন এক মহীরুহে। বিগত বেশ কিছুদিন যাবৎ তিনি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগলেও নিজেকে গুটিয়ে রাখেননি। জীবনের বিচিত্র অভিজ্ঞতায় পূর্ণ এই মানুষটি মৃত্যুর আগেই তাঁর চোখ সন্ধানীতে এবং দেহ বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজে দান করে গেছেন।
অকৃতদার ফয়েজ আহমদ জীবনের শুরু থেকেই বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। দৈনিক ইত্তেফাকে সাংবাদিকতায় তাঁর হাতেখড়ি। পরে আজাদ পত্রিকায় প্রধান প্রতিবেদক হিসেবে যোগ দেন। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান সম্পাদক ফয়েজ আহমদের হাত ধরেই পিকিং রেডিওতে (বর্তমানে বেইজিং রেডিও) বাংলা ভাষায় অনুষ্ঠান প্রচার চালু হয়। স্বাধীনতা-পূর্ব ও স্বাধীনতা-উত্তর প্রতিটি গণতান্ত্রিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তিনি ছিলেন সক্রিয় এবং সামনের কাতারে। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে এবং এর প্রস্তুতি পর্বেও সংগঠক ও সাংবাদিক হিসেবে তাঁর অংশগ্রহণ অবিস্মরণীয়। দেশের অন্যতম জনপ্রিয় এই শিশুসাহিত্যিক সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। জাতীয় কবিতা পরিষদের প্রথম পাঁচ বছর আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। অসাম্প্রদায়িক ও বাঙালি চেতনায় সমৃদ্ধ ফয়েজ আহমদকে কারাবাসও করতে হয়েছে। 'মধ্যরাতের অশ্বারোহী' বইটি তাঁর শতাধিক গ্রন্থের মধ্যে সাংবাদিক জীবনের এক অক্ষয় কীর্তি। অসীম সাহসী, প্রত্যুৎপন্নমতি, মেধাবী এবং দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ফয়েজ আহমদের চিরপ্রস্থান যে শূন্যতা সৃষ্টি করেছে, তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।
স্বাধীন বাংলাদেশে ফয়েজ আহমদ জাতির ক্রান্তিলগ্নে অসম্ভব তেজস্বিতায় নিজেকে নিয়োজিত করেন সংকট উত্তরণে, সব ধরনের প্রয়াস চালিয়ে। তিনি যেন হয়ে উঠেছিলেন বাতিঘর। তাঁর কর্ম, খ্যাতি ইত্যাদির সীমারেখা টেনে দেওয়া সম্ভব নয়। আর এ জন্যই তাঁর কাছে আমাদের ঋণও অশেষ। সাহিত্য, সাংবাদিকতা, শিল্প-সংস্কৃতির অঙ্গনে তিনি হয়ে উঠেছিলেন অপরিহার্য; এবং তাঁর এই অপরিহার্যতার কোনো বিকল্প শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের কাছে ছিল না। তাঁর প্রতি আমরা আবারও গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি।
অকৃতদার ফয়েজ আহমদ জীবনের শুরু থেকেই বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। দৈনিক ইত্তেফাকে সাংবাদিকতায় তাঁর হাতেখড়ি। পরে আজাদ পত্রিকায় প্রধান প্রতিবেদক হিসেবে যোগ দেন। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান সম্পাদক ফয়েজ আহমদের হাত ধরেই পিকিং রেডিওতে (বর্তমানে বেইজিং রেডিও) বাংলা ভাষায় অনুষ্ঠান প্রচার চালু হয়। স্বাধীনতা-পূর্ব ও স্বাধীনতা-উত্তর প্রতিটি গণতান্ত্রিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তিনি ছিলেন সক্রিয় এবং সামনের কাতারে। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে এবং এর প্রস্তুতি পর্বেও সংগঠক ও সাংবাদিক হিসেবে তাঁর অংশগ্রহণ অবিস্মরণীয়। দেশের অন্যতম জনপ্রিয় এই শিশুসাহিত্যিক সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। জাতীয় কবিতা পরিষদের প্রথম পাঁচ বছর আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। অসাম্প্রদায়িক ও বাঙালি চেতনায় সমৃদ্ধ ফয়েজ আহমদকে কারাবাসও করতে হয়েছে। 'মধ্যরাতের অশ্বারোহী' বইটি তাঁর শতাধিক গ্রন্থের মধ্যে সাংবাদিক জীবনের এক অক্ষয় কীর্তি। অসীম সাহসী, প্রত্যুৎপন্নমতি, মেধাবী এবং দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ফয়েজ আহমদের চিরপ্রস্থান যে শূন্যতা সৃষ্টি করেছে, তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।
স্বাধীন বাংলাদেশে ফয়েজ আহমদ জাতির ক্রান্তিলগ্নে অসম্ভব তেজস্বিতায় নিজেকে নিয়োজিত করেন সংকট উত্তরণে, সব ধরনের প্রয়াস চালিয়ে। তিনি যেন হয়ে উঠেছিলেন বাতিঘর। তাঁর কর্ম, খ্যাতি ইত্যাদির সীমারেখা টেনে দেওয়া সম্ভব নয়। আর এ জন্যই তাঁর কাছে আমাদের ঋণও অশেষ। সাহিত্য, সাংবাদিকতা, শিল্প-সংস্কৃতির অঙ্গনে তিনি হয়ে উঠেছিলেন অপরিহার্য; এবং তাঁর এই অপরিহার্যতার কোনো বিকল্প শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের কাছে ছিল না। তাঁর প্রতি আমরা আবারও গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি।
No comments