আইএমএফের সব শর্ত মানছে সরকার-ব্যাংক খাতে সরকারের ঋণ আরও বাড়বে by মনজুর আহমেদ
ব্যাংক খাতে সরকারের ঋণ বর্তমানের চেয়ে আরও ১০ হাজার কোটি টাকা বাড়তে পারে। জাতীয় বাজেটের অর্থায়নে এই অতিরিক্ত ঋণ করতে চায় সরকার। এর চেয়েও বেশি ব্যাংকঋণ নিতে চায় সরকার। কিন্তু সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিরা তাতে সম্মত নন। শেষ পর্যন্ত চলতি ২০১১-১২ অর্থবছরে ২৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকা পর্যন্ত সরকারের ব্যাংকঋণ গ্রহণের বিষয়ে একরকম সম্মত হয়েছে আইএমএফ।
এদিকে, সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে ব্যাংক খাতে সরকারের নিট ঋণের পরিমাণ হয়েছে ১৫ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা (৮ ফেব্রুয়ারির হিসাব)। চলতি অর্থবছর সরকার জাতীয় বাজেটে ব্যাংক খাত থেকে মোট ১৮ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকার ঋণ করার পরিকল্পনা করেছিল।
একইভাবে আইএমএফের কাছ থেকে সম্ভাব্য বৈদেশিক লেনদেনের (বিওপি) সাহায্য বাজেট ব্যয় খাতেও খরচ করতে চেয়েছিল সরকার। কিন্তু তাতে সায় দেয়নি আইএমএফ।
সূত্রগুলো জানায়, গত সোমবার এই দুটি বিষয়ে মতবিরোধও হয় সরকারের সঙ্গে আইএমএফের প্রতিনিধিদের বৈঠকে। গতকাল মঙ্গলবার এগুলোর ক্ষেত্রে একরকম সমঝোতা হয়েছে। তার পরও সংস্থার প্রতিনিধিদল ওয়াশিংটন গিয়ে বিষয়টি চূড়ান্ত করবে বলে জানিয়েছে।
অবশ্য আলোচনা শেষে আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ সহায়তা পাওয়ার বিষয়ে সরকার এখন আশাবাদী। আজ আইএমএফের সঙ্গে সরকারের সমাপনী বৈঠক হতে পারে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আইএমএফের সফররত প্রতিনিধিদলের একটি বৈঠকের চেষ্টা করেও গতকাল পর্যন্ত কোনো ইতিবাচক সাড়া মেলেনি বলে জানা গেছে।
আইএমএফের দক্ষিণ এশীয় প্যাসিফিক বিভাগের উপপ্রধান ডেভিড কাউয়েনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেশে অবস্থান করছে। সংস্থাটি থেকে বর্ধিত ঋণসুবিধার (ইসিএফ) আওতায় ১০০ কোটি ডলার পেতে সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে।
ব্যাংকব্যবস্থায় সরকারের আরও ১০ হাজার কোটি টাকার ঋণ বাড়লে দেশের বেসরকারি খাতের ঋণ প্রাপ্তিতে সমস্যা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ব্যাংকে টাকা নেই, তাঁরা বিনিয়োগযোগ্য ঋণ পাচ্ছেন না। আইএমএফ ও বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন সময় সরকারকে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ঋণ করতে পরামর্শ দিলেও সেপথে যায়নি সরকার।
সূত্রগুলো জানায়, ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধনের প্রস্তাবের বিষয়ে সংস্থাটি একমত হয়েছে। এর আগের দফায় এ বিষয়ে আইএমএফের একজন বিশেষজ্ঞ এখানে এসে কারিগরি দিক বিশ্লেষণের কথা বলেছিলেন। কিন্তু এবারের আলোচনায় সেটি আর নেই। ভ্যাট আইন প্রণয়ন নিয়ে কিছুটা সংশয় ছিল। তবে রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে আলোচনায় প্রতিনিধিদল সন্তুষ্ট হয়েছে বলে জানা গেছে।
বেসরকারি খাতে নতুন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আইএমএফের মতামত হলো, বিধিবিধানের মধ্যে থেকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোতে বেশি ঋণ প্রবৃদ্ধি নিয়ে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জানা গেছে, ডিসেম্বরভিত্তিক হিসাবে সামগ্রিক ব্যাংক খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি যেখানে ১৮ শতাংশের চেয়ে একটু বেশি, সেখানে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর ২৫ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি রয়েছে।
অন্যদিকে, বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার ধার (ওডি বা ওভার ড্রাফট) হিসাবে দিতে পারবে না বলে আইএমএফ শর্ত দিয়েছে। তারা বরং বলেছে, দরকার হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার বিক্রি করে বাজারের চাহিদা মেটাতে পারে।
একইভাবে আইএমএফের কাছ থেকে সম্ভাব্য বৈদেশিক লেনদেনের (বিওপি) সাহায্য বাজেট ব্যয় খাতেও খরচ করতে চেয়েছিল সরকার। কিন্তু তাতে সায় দেয়নি আইএমএফ।
সূত্রগুলো জানায়, গত সোমবার এই দুটি বিষয়ে মতবিরোধও হয় সরকারের সঙ্গে আইএমএফের প্রতিনিধিদের বৈঠকে। গতকাল মঙ্গলবার এগুলোর ক্ষেত্রে একরকম সমঝোতা হয়েছে। তার পরও সংস্থার প্রতিনিধিদল ওয়াশিংটন গিয়ে বিষয়টি চূড়ান্ত করবে বলে জানিয়েছে।
অবশ্য আলোচনা শেষে আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ সহায়তা পাওয়ার বিষয়ে সরকার এখন আশাবাদী। আজ আইএমএফের সঙ্গে সরকারের সমাপনী বৈঠক হতে পারে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আইএমএফের সফররত প্রতিনিধিদলের একটি বৈঠকের চেষ্টা করেও গতকাল পর্যন্ত কোনো ইতিবাচক সাড়া মেলেনি বলে জানা গেছে।
আইএমএফের দক্ষিণ এশীয় প্যাসিফিক বিভাগের উপপ্রধান ডেভিড কাউয়েনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেশে অবস্থান করছে। সংস্থাটি থেকে বর্ধিত ঋণসুবিধার (ইসিএফ) আওতায় ১০০ কোটি ডলার পেতে সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে।
ব্যাংকব্যবস্থায় সরকারের আরও ১০ হাজার কোটি টাকার ঋণ বাড়লে দেশের বেসরকারি খাতের ঋণ প্রাপ্তিতে সমস্যা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ব্যাংকে টাকা নেই, তাঁরা বিনিয়োগযোগ্য ঋণ পাচ্ছেন না। আইএমএফ ও বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন সময় সরকারকে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ঋণ করতে পরামর্শ দিলেও সেপথে যায়নি সরকার।
সূত্রগুলো জানায়, ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধনের প্রস্তাবের বিষয়ে সংস্থাটি একমত হয়েছে। এর আগের দফায় এ বিষয়ে আইএমএফের একজন বিশেষজ্ঞ এখানে এসে কারিগরি দিক বিশ্লেষণের কথা বলেছিলেন। কিন্তু এবারের আলোচনায় সেটি আর নেই। ভ্যাট আইন প্রণয়ন নিয়ে কিছুটা সংশয় ছিল। তবে রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে আলোচনায় প্রতিনিধিদল সন্তুষ্ট হয়েছে বলে জানা গেছে।
বেসরকারি খাতে নতুন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আইএমএফের মতামত হলো, বিধিবিধানের মধ্যে থেকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোতে বেশি ঋণ প্রবৃদ্ধি নিয়ে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জানা গেছে, ডিসেম্বরভিত্তিক হিসাবে সামগ্রিক ব্যাংক খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি যেখানে ১৮ শতাংশের চেয়ে একটু বেশি, সেখানে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর ২৫ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি রয়েছে।
অন্যদিকে, বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার ধার (ওডি বা ওভার ড্রাফট) হিসাবে দিতে পারবে না বলে আইএমএফ শর্ত দিয়েছে। তারা বরং বলেছে, দরকার হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার বিক্রি করে বাজারের চাহিদা মেটাতে পারে।
No comments