পবিত্র কোরআনের আলো-ইহুদিদের সামাজিক সমস্যা নিরসনের দায়িত্বও বর্তে রাসুল (সা.)-এর ওপর
৪১. ইয়া-আইয়্যুহার্ রাছূলু লা ইয়াহ্যুনকাল্লাযীনা ইউছা-রিঊ'না ফিল কুফরি মিনাল্লাযীনা ক্বা-লূ আ-মান্না বিআফওয়াহিহিম ওয়া লাম তু'মিন্ ক্বুলূবুহুম; ওয়া মিনাল্লাযীনা হাদূ, ছাম্মা-ঊ'না লিলকাযিবি ছাম্মা-ঊ'না লিক্বাওমিন আ-খারীনা লাম ইয়া'তূকা; ইউহার্রিফূনাল কালিমা মিম্ বা'দি মাওয়া-দ্বিয়ি'হি; ইয়াক্বূলূনা ইন ঊতীতুম হাযা ফাখুযূহু, ওয়া ইন লাম তু'তূহু
ফাহযারূ; ওয়া মান ইয়ুরিদিল্লাহু ফিতনাতাহূ ফালান তামলিকা লাহূ মিনাল্লাহি শাইয়ান; উলা-য়িকাল্লাযীনা লামইউরিদিল্লাহু আন ইয়ুত্বাহ্হিরা ক্বুলূবাহুম; লাহুম ফিদ্ দুনিয়া খিয্ইউন ওয়া লাহুম ফিল আ-খিরাতি আ'যা-বুন আ'যীম। [সুরা : আল মায়েদা, আয়াত : ৪১]
অনুবাদ : ৪০. হে রাসুল, আপনি এদের নিয়ে চিন্তিত হবেন না যারা অবাধ্যতার দিকে দ্রুত অগ্রসর হয়। এরা আসলে সে দলের যারা মুখে বলে, আমরা ইমান এনেছি, আসলে অন্তরে তারা ইমান আনেনি। আর যারা ইহুদি তারা তো মিথ্যা কথা শোনার জন্য কান খাড়া করে রাখে, আর কান খাড়া করে রাখে তাদের সমকক্ষ অপর সম্প্রদায়ের কথা শোনার জন্য, যারা আপনার কাছে আসে না। তারা আল্লাহর কিতাবের কথাগুলো যথাযথভাবে জায়গামতো থাকার পরও এরা তা বিকৃত করে ফেলে। তারা বলে, যদি এ ধরনের অর্থাৎ তোমাদের পছন্দমতো বিধান দেওয়া হয় তবে তোমরা তা গ্রহণ করো, আর যদি এ ধরনের কোনো ফায়সালা না দেওয়া হয়, তবে সতর্ক হয়ে যেও। যাকে আল্লাহ তায়ালা পদস্খলনের দিকে নিয়ে যেতে চান তার জন্য আপনি কিছুই করতে পারবেন না। এরা হচ্ছে সেই সব মানুষ যাদের অন্তরকে আল্লাহ তায়ালা পাক-পবিত্র করার ইচ্ছাই পোষণ করেন না। তাদের জন্য পৃথিবীতে রয়েছে অপমান, আর পরকালেও তাদের জন্য অপেক্ষা করছে ভয়াবহ শাস্তি।
ব্যাখ্যা : এই আয়াতের বর্ণিত ঘটনা এমন এক সময়ের যখন মদিনা রাষ্ট্রের ক্ষমতার পরিধি মদিনার সীমা ছাড়িয়ে আরবের অন্যান্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। মদিনা রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে সব ধর্ম-সমাজের মানুষদের বিচার মীমাংসাসহ প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখতে হতো। এই আয়াতে এ ধরনের কিছু বিষয় সম্পর্কে কথা বলা হয়েছে। আয়াতটির শানেনুজুল এরকম_ খায়বারের ইহুদিদের মধ্যে দুইজন বিবাহিত নারী-পুরুষ জিনায় লিপ্ত হয়ে ধরা পড়েছিল। তাওরাতে জিনার শাস্তি সঙ্গেসার বা পাথর মেরে হত্যা করার বিধান। এই বিধান জানা ছিল বলেই তারা মদিনায় রাসুলের (সা.) বিচার পাওয়ার আবেদন জানাল। সে অনুযায়ী তাদের ওখানে এনেই হাজির করা হলো। তারা রাসুল (সা.)-এর কাছে জানতে চাইল তাঁর ধর্মমতে জিনা বা ব্যভিচারের শাস্তি কী? তিনি জানালেন সঙ্গেসার। তারা তাওরাতের মিথ্যা উদ্ধৃতি দিয়ে রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে তর্ক করল। তারা বলল, তাওরাতের বিধান তো এরূপ নয়; বরং ৪০ বেত এবং মুখে কালি মেখে শহর ঘোরানো। রাসুল (সা.) ঠিকই জানতেন তাওরাতে জিনার শাস্তি 'সঙ্গেসার'। এর পরও তিনি ইহুদি আলেম ইবনে সুরিয়াকে ডেকে এ ব্যাপারে জানতে চাইলেন। ইবনে সুরিয়াও জানাল এ ব্যাপারে সঙ্গেসারেরই বিধান। অতঃপর রাসুল (সা.) রায় দিলেন উভয়কেই পাথর মেরে হত্যা করা হোক। এ ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল ইহুদি সরদারদের কিছু কারসাজির ফলে। তারা নিজেরা রাসুল (সা.)-এর দরবারে না এসে নিম্নস্থ লোকদের পাঠিয়েছিল। তারা বলে দিয়েছিল, আমাদের রচিত বিধান অর্থাৎ ৪০ বেতের নির্দেশ দেওয়া হলে বিচার মানবে, অন্যথায় মানবে না। তারা মনে করেছিল রাসুল (সা.) তাওরাতের বিধান সম্বন্ধে জানেন না। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ আয়াতটি নাজিল হয়।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
অনুবাদ : ৪০. হে রাসুল, আপনি এদের নিয়ে চিন্তিত হবেন না যারা অবাধ্যতার দিকে দ্রুত অগ্রসর হয়। এরা আসলে সে দলের যারা মুখে বলে, আমরা ইমান এনেছি, আসলে অন্তরে তারা ইমান আনেনি। আর যারা ইহুদি তারা তো মিথ্যা কথা শোনার জন্য কান খাড়া করে রাখে, আর কান খাড়া করে রাখে তাদের সমকক্ষ অপর সম্প্রদায়ের কথা শোনার জন্য, যারা আপনার কাছে আসে না। তারা আল্লাহর কিতাবের কথাগুলো যথাযথভাবে জায়গামতো থাকার পরও এরা তা বিকৃত করে ফেলে। তারা বলে, যদি এ ধরনের অর্থাৎ তোমাদের পছন্দমতো বিধান দেওয়া হয় তবে তোমরা তা গ্রহণ করো, আর যদি এ ধরনের কোনো ফায়সালা না দেওয়া হয়, তবে সতর্ক হয়ে যেও। যাকে আল্লাহ তায়ালা পদস্খলনের দিকে নিয়ে যেতে চান তার জন্য আপনি কিছুই করতে পারবেন না। এরা হচ্ছে সেই সব মানুষ যাদের অন্তরকে আল্লাহ তায়ালা পাক-পবিত্র করার ইচ্ছাই পোষণ করেন না। তাদের জন্য পৃথিবীতে রয়েছে অপমান, আর পরকালেও তাদের জন্য অপেক্ষা করছে ভয়াবহ শাস্তি।
ব্যাখ্যা : এই আয়াতের বর্ণিত ঘটনা এমন এক সময়ের যখন মদিনা রাষ্ট্রের ক্ষমতার পরিধি মদিনার সীমা ছাড়িয়ে আরবের অন্যান্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। মদিনা রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে সব ধর্ম-সমাজের মানুষদের বিচার মীমাংসাসহ প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখতে হতো। এই আয়াতে এ ধরনের কিছু বিষয় সম্পর্কে কথা বলা হয়েছে। আয়াতটির শানেনুজুল এরকম_ খায়বারের ইহুদিদের মধ্যে দুইজন বিবাহিত নারী-পুরুষ জিনায় লিপ্ত হয়ে ধরা পড়েছিল। তাওরাতে জিনার শাস্তি সঙ্গেসার বা পাথর মেরে হত্যা করার বিধান। এই বিধান জানা ছিল বলেই তারা মদিনায় রাসুলের (সা.) বিচার পাওয়ার আবেদন জানাল। সে অনুযায়ী তাদের ওখানে এনেই হাজির করা হলো। তারা রাসুল (সা.)-এর কাছে জানতে চাইল তাঁর ধর্মমতে জিনা বা ব্যভিচারের শাস্তি কী? তিনি জানালেন সঙ্গেসার। তারা তাওরাতের মিথ্যা উদ্ধৃতি দিয়ে রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে তর্ক করল। তারা বলল, তাওরাতের বিধান তো এরূপ নয়; বরং ৪০ বেত এবং মুখে কালি মেখে শহর ঘোরানো। রাসুল (সা.) ঠিকই জানতেন তাওরাতে জিনার শাস্তি 'সঙ্গেসার'। এর পরও তিনি ইহুদি আলেম ইবনে সুরিয়াকে ডেকে এ ব্যাপারে জানতে চাইলেন। ইবনে সুরিয়াও জানাল এ ব্যাপারে সঙ্গেসারেরই বিধান। অতঃপর রাসুল (সা.) রায় দিলেন উভয়কেই পাথর মেরে হত্যা করা হোক। এ ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল ইহুদি সরদারদের কিছু কারসাজির ফলে। তারা নিজেরা রাসুল (সা.)-এর দরবারে না এসে নিম্নস্থ লোকদের পাঠিয়েছিল। তারা বলে দিয়েছিল, আমাদের রচিত বিধান অর্থাৎ ৪০ বেতের নির্দেশ দেওয়া হলে বিচার মানবে, অন্যথায় মানবে না। তারা মনে করেছিল রাসুল (সা.) তাওরাতের বিধান সম্বন্ধে জানেন না। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ আয়াতটি নাজিল হয়।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments