কোনো অসন্তোষ কাম্য নয়-ঈদের আগে বেতন-বোনাস
ঈদের আগে বেতন-বোনাস নিয়ে গোলযোগ ও হাঙ্গামা যেন স্বাভাবিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। গাজীপুরে গত বুধবার এ নিয়ে ভাঙচুর ও অবরোধ হয়েছে, আহত হয়েছেন পুলিশসহ ১৫ জন। এ ঘটনাকে একটি সতর্কবার্তা হিসেবে বিবেচনা করা হলে সামনে এ ধরনের ঘটনা ঠেকানোর কাজটি সহজ হবে।
গাজীপুরের ক্যাসিও পিয়া অ্যাপারেলসের শ্রমিকদের দাবি ছিল ৩০ অক্টোবরের মধ্যে বেতন ও বোনাস। সঙ্গে ছিল আরও একটি দাবি, শ্রমিকদের জন্য বাস সার্ভিস চালু রাখা। এই দাবিগুলোকে অযৌক্তিক বলা যাবে না। ঈদের আগে বেতন ও বোনাস দেওয়া হবে, এটাই প্রত্যাশিত। সেটা একটু আগেই দেওয়া উচিত, যাতে এই টাকা ঈদ উৎসবে যথাযথভাবে কাজে লাগানো যায়। আর বাস সার্ভিস বন্ধ রাখা মানে শ্রমিকদের কারখানায় আসা-যাওয়াটা কষ্টকর হয়ে পড়া।
প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক বলেছেন, তাঁরা ২৭ অক্টোবর বোনাস ও ৪ নভেম্বর বেতন দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। এ পরিস্থিতিতে আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, কয়েক দিনের এই হেরফেরের বিষয়টি এড়ানো বা এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতায় আসা কি অসম্ভব একটি বিষয় ছিল? আর কারখানা কর্তৃপক্ষের কেন ঈদের যথাযথ সময় আগে বেতন-বোনাস দেওয়ার আগাম প্রস্তুতি থাকবে না? ঈদ বিষয়টি তো হঠাৎ করে সামনে এসে হাজির হয়নি। কারখানা কর্তৃপক্ষ এ ক্ষেত্রে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে, অন্যদিকে উদ্যোগী হয়ে সমঝোতা বা পরিস্থিতি সামালও দিতে পারেনি। শ্রমিক ও কারখানা কর্তৃপক্ষের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ বা আস্থাহীনতা থাকলে যা ঘটার কথা, এ ক্ষেত্রে তা-ই ঘটেছে। আমরা মনে করি, কারখানা কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনার মান ভালো হলে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সহজেই এড়ানো যেত। অন্যদিকে শ্রমিকদেরও বিষয়টি জানা প্রয়োজন, যেকোনো দাবিদাওয়া আদায়ের পথ হচ্ছে আলাপ-আলোচনা। অবরোধ বা ভাঙচুরের মতো ধ্বংসাত্মক কাজ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
আমরা মনে করি, ঈদের আগে সব শিল্পকারখানার কর্তৃপক্ষ যাতে শ্রমিকদের হাতে বেতন-বোনাস তুলে দিতে পারে, সে ব্যাপারে তাদের আগাম প্রস্তুতি ও উদ্যোগ জরুরি। ঈদের আগে আর কোনো প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকেরা বেতন-বোনাসের মতো ন্যায্য পাওনার দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছেন, এমন কিছু আমরা দেখতে চাই না।
প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক বলেছেন, তাঁরা ২৭ অক্টোবর বোনাস ও ৪ নভেম্বর বেতন দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। এ পরিস্থিতিতে আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, কয়েক দিনের এই হেরফেরের বিষয়টি এড়ানো বা এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতায় আসা কি অসম্ভব একটি বিষয় ছিল? আর কারখানা কর্তৃপক্ষের কেন ঈদের যথাযথ সময় আগে বেতন-বোনাস দেওয়ার আগাম প্রস্তুতি থাকবে না? ঈদ বিষয়টি তো হঠাৎ করে সামনে এসে হাজির হয়নি। কারখানা কর্তৃপক্ষ এ ক্ষেত্রে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে, অন্যদিকে উদ্যোগী হয়ে সমঝোতা বা পরিস্থিতি সামালও দিতে পারেনি। শ্রমিক ও কারখানা কর্তৃপক্ষের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ বা আস্থাহীনতা থাকলে যা ঘটার কথা, এ ক্ষেত্রে তা-ই ঘটেছে। আমরা মনে করি, কারখানা কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনার মান ভালো হলে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সহজেই এড়ানো যেত। অন্যদিকে শ্রমিকদেরও বিষয়টি জানা প্রয়োজন, যেকোনো দাবিদাওয়া আদায়ের পথ হচ্ছে আলাপ-আলোচনা। অবরোধ বা ভাঙচুরের মতো ধ্বংসাত্মক কাজ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
আমরা মনে করি, ঈদের আগে সব শিল্পকারখানার কর্তৃপক্ষ যাতে শ্রমিকদের হাতে বেতন-বোনাস তুলে দিতে পারে, সে ব্যাপারে তাদের আগাম প্রস্তুতি ও উদ্যোগ জরুরি। ঈদের আগে আর কোনো প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকেরা বেতন-বোনাসের মতো ন্যায্য পাওনার দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছেন, এমন কিছু আমরা দেখতে চাই না।
No comments