অস্থিতিশীল বাজার-লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না কেন?
বাজার পরিস্থিতি দীর্ঘদিন ধরেই অস্থিতিশীল। ক্রমেই এ পরিস্থিতি উত্তপ্ত থেকে উত্তপ্ততর হচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে দৃশ্যত সরকারের তরফে উদ্যোগ-আয়োজন কম পরিলক্ষিত না হলেও সেসবে কার্যত তেমন কোনো সুফল মিলছে না। পত্রপত্রিকায় নিত্য অস্থিতিশীল বাজার পরিস্থিতি বড় অংশ জুড়ে থাকছে। রমজানকে সামনে রেখে সরকারের তরফে বাজার পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের কাছে সহনীয় রাখার নতুন পদক্ষেপের পরই আরেক দফা বিড়ম্বনা দেখা দিয়েছে।
২৩ জুলাই কালের কণ্ঠে প্রকাশ, চিনি নিয়ে শুরু হয়েছে তুঘলকি কাণ্ড। অনেক ব্যবসায়ী চিনি বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন। বাজারে চিনি সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে_এ অভিযোগও উঠেছে। সরকার নির্ধারিত দামে চিনি বিক্রি তো হচ্ছেই না, উপরন্তু কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ভোক্তাদের নতুন বিড়ম্বনার মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। ভোজ্য তেলের ক্ষেত্রেও প্রায় একই চিত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে। একই চিত্র ছোলার ক্ষেত্রেও। অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও ঊর্ধ্বমুখী। সরকারি হিসাবে চিনিসহ অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের কোনো ঘাটতি না থাকলেও বাজারে এর বিপরীত চিত্র কেন পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং এর সমাধান সূত্র কী_এসব ব্যাখ্যার দায় অবশ্যই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের।
গত রমজানের তিক্ত অভিজ্ঞতা সামনে রেখেও এবার এখন পর্যন্ত আসন্ন রমজানের জন্য কোনো সুবার্তা মিলছে না। অসাধু ব্যবসায়ী চক্রের কারসাজি দিন দিন বেড়ে চললেও এ ক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতার খতিয়ান অনেক দীর্ঘ। গত বুধবার পুনর্বার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ব্যবসায়ীরা বৈঠক করে ভোজ্য তেল ও চিনির মূল্য পুনর্নির্ধারণের পরও কেন নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি দিয়ে ভোক্তাদের সেসব কিনতে হচ্ছে_এ প্রশ্নেরও জবাব দেওয়ার দায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও ব্যবসায়ীদের। মানুষের নিত্যদিনের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুত অঙ্গীকার পালনে ব্যর্থতার কারণে মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। তেল ও চিনির নির্ধারিত নতুন মূল্যের প্রস্তাবটি ব্যবসায়ীদেরই ছিল। সরকার কার্যত তা-ই মেনে নিয়েছে। এর আগেও এমনই হয়েছে। কিন্তু বারবারই দেখা গেছে, সরকারের সঙ্গে এসব বিষয়ে বৈঠকের পর বাজারে নতুন করে আরেক দফা তাপ লাগে এবং এবারও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। তবে এবার শুধু তাপই লাগেনি, কোনো কোনো পণ্যের সরবরাহ সংকটও প্রকট হয়ে উঠেছে। ২৩ জুলাই সহযোগী একটি দৈনিকের প্রতিবেদনে প্রকাশ, ভোগ্যপণ্যের ব্যবসায়ীদের একটি দুষ্টচক্রের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে টিসিবি। অথচ সরকার টিসিবির মাধ্যমে বিদ্যমান সংকট নিরসনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে আসছে। টিসিবি নিয়ে এ যাবৎ কথাবার্তা কম হয়নি। কিন্তু টিসিবিকে কার্যকর ও টিসিবির মাধ্যমে সংকট মোকাবিলার বিষয়টি উদ্যোগ-আয়োজনের মধ্যেই থেমে আছে স্পষ্টত। তার বাস্তবায়ন আর হচ্ছে না। বাজারে এখন যে সংকট বিরাজ করছে, তা মোকাবিলা করতে হলে বর্তমান টিসিবিকে দিয়ে তা সম্ভব নয়। টিসিবিকে জনবল, অর্থবল দিয়ে শক্তিশালী করার পাশাপাশি পরিকল্পিত উপায়ে দূরদর্শী পদক্ষেপ নিতে হবে। ঢেলে সাজাতে হবে সংস্থাটিকে। টিসিবির বিরুদ্ধেও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ, যেগুলোর সুরাহা সর্বাগ্রে দরকার।
একটি চক্র বাজার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে_এই সত্য এড়ানো কঠিন। প্রশ্ন হচ্ছে, কেন চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না? কেন সরকারের পক্ষে তাদের অস্তিত্বের কথা স্বীকার করার পরও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? পণ্যের মজুদ ঘাটতি নেই_এ কথা সরকারের দিক থেকে বারবার বলা হলেও বাজারে সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিচ্ছে কেন? এর উৎসই বা সন্ধান করা হচ্ছে না কেন? সরকারের মনে রাখা উচিত, বাজার হচ্ছে সরকারের জন্য একটি ব্যারোমিটার। বাজারে জিনিসপত্রের দাম যত ঊর্ধ্বমুখী হবে, সাধারণ মানুষের ভোগান্তি তত বাড়বে এবং সরকারের জনপ্রিয়তা ততই হ্রাস পেতে থাকব। মানুষের স্বস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করার দায় অবশ্যই সরকারের। যে পাগলা ঘোড়া বাজার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, সেই ঘোড়ার লাগাম টেনে ধরার সব রকম শক্তি সরকারকেই প্রয়োগ করতে হবে। এ নিয়ে যত কালক্ষেপণ করা হবে, ততই নেতিবাচক প্রভাবের চিত্র প্রকট হয়ে উঠবে। এমনটি তো কাম্য হতে পারে না।
গত রমজানের তিক্ত অভিজ্ঞতা সামনে রেখেও এবার এখন পর্যন্ত আসন্ন রমজানের জন্য কোনো সুবার্তা মিলছে না। অসাধু ব্যবসায়ী চক্রের কারসাজি দিন দিন বেড়ে চললেও এ ক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতার খতিয়ান অনেক দীর্ঘ। গত বুধবার পুনর্বার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ব্যবসায়ীরা বৈঠক করে ভোজ্য তেল ও চিনির মূল্য পুনর্নির্ধারণের পরও কেন নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি দিয়ে ভোক্তাদের সেসব কিনতে হচ্ছে_এ প্রশ্নেরও জবাব দেওয়ার দায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও ব্যবসায়ীদের। মানুষের নিত্যদিনের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুত অঙ্গীকার পালনে ব্যর্থতার কারণে মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। তেল ও চিনির নির্ধারিত নতুন মূল্যের প্রস্তাবটি ব্যবসায়ীদেরই ছিল। সরকার কার্যত তা-ই মেনে নিয়েছে। এর আগেও এমনই হয়েছে। কিন্তু বারবারই দেখা গেছে, সরকারের সঙ্গে এসব বিষয়ে বৈঠকের পর বাজারে নতুন করে আরেক দফা তাপ লাগে এবং এবারও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। তবে এবার শুধু তাপই লাগেনি, কোনো কোনো পণ্যের সরবরাহ সংকটও প্রকট হয়ে উঠেছে। ২৩ জুলাই সহযোগী একটি দৈনিকের প্রতিবেদনে প্রকাশ, ভোগ্যপণ্যের ব্যবসায়ীদের একটি দুষ্টচক্রের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে টিসিবি। অথচ সরকার টিসিবির মাধ্যমে বিদ্যমান সংকট নিরসনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে আসছে। টিসিবি নিয়ে এ যাবৎ কথাবার্তা কম হয়নি। কিন্তু টিসিবিকে কার্যকর ও টিসিবির মাধ্যমে সংকট মোকাবিলার বিষয়টি উদ্যোগ-আয়োজনের মধ্যেই থেমে আছে স্পষ্টত। তার বাস্তবায়ন আর হচ্ছে না। বাজারে এখন যে সংকট বিরাজ করছে, তা মোকাবিলা করতে হলে বর্তমান টিসিবিকে দিয়ে তা সম্ভব নয়। টিসিবিকে জনবল, অর্থবল দিয়ে শক্তিশালী করার পাশাপাশি পরিকল্পিত উপায়ে দূরদর্শী পদক্ষেপ নিতে হবে। ঢেলে সাজাতে হবে সংস্থাটিকে। টিসিবির বিরুদ্ধেও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ, যেগুলোর সুরাহা সর্বাগ্রে দরকার।
একটি চক্র বাজার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে_এই সত্য এড়ানো কঠিন। প্রশ্ন হচ্ছে, কেন চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না? কেন সরকারের পক্ষে তাদের অস্তিত্বের কথা স্বীকার করার পরও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? পণ্যের মজুদ ঘাটতি নেই_এ কথা সরকারের দিক থেকে বারবার বলা হলেও বাজারে সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিচ্ছে কেন? এর উৎসই বা সন্ধান করা হচ্ছে না কেন? সরকারের মনে রাখা উচিত, বাজার হচ্ছে সরকারের জন্য একটি ব্যারোমিটার। বাজারে জিনিসপত্রের দাম যত ঊর্ধ্বমুখী হবে, সাধারণ মানুষের ভোগান্তি তত বাড়বে এবং সরকারের জনপ্রিয়তা ততই হ্রাস পেতে থাকব। মানুষের স্বস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করার দায় অবশ্যই সরকারের। যে পাগলা ঘোড়া বাজার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, সেই ঘোড়ার লাগাম টেনে ধরার সব রকম শক্তি সরকারকেই প্রয়োগ করতে হবে। এ নিয়ে যত কালক্ষেপণ করা হবে, ততই নেতিবাচক প্রভাবের চিত্র প্রকট হয়ে উঠবে। এমনটি তো কাম্য হতে পারে না।
No comments