কেবল মন্দ নজির নয়, সরকারি বিধিরও লঙ্ঘন-পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা!
সব সম্ভবের দেশ বাংলাদেশ। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো সম্পর্ক না থাকলেও, মঙ্গলবার সেই মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হয় বলে পত্রিকান্তরে খবর প্রকাশিত হয়েছে। চাঁদপুরে বাবুরহাট স্কুল ও কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
চাঁদপুরে গিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার সময় নেই বলে তিনি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাটি নিলেন তাঁরই মন্ত্রণালয়ে। এর আগে ৪ আগস্ট পুরান বাজার কলেজের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে একই স্থানে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অন্য মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা ভাবা হয়। বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের বিষয়াদি দেখভাল করা এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব বলে অনেক গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়। সাধারণের প্রবেশের ক্ষেত্রেও অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের থেকে সেখানে কড়াকড়ি বেশি। কিন্তু সেখানে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হয় কী করে?
সরকার কার্যপ্রণালি বণ্টনের (অ্যালোকেশন অব বিজনেস) মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর যে দায়িত্ব অর্পণ করেছে, তার মধ্যে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার কথা নেই। সে জন্য কোনো কক্ষ বরাদ্দ থাকারও কথা নয়। তার পরও সেখানে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া কেবল মন্দ নজির নয়, সরকারি বিধিরও লঙ্ঘন। সাবেক কূটনীতিকেরা এই ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিহিত করেছেন। তাঁদের প্রশ্ন, মন্ত্রণালয়ের প্রধান ব্যক্তিই যদি সরকারি বিধি লঙ্ঘন করেন, তাহলে অন্যরা কী করবেন?
নিজ দপ্তরে বসে মন্ত্রণালয়-বহির্ভূত কাজ করার প্রবণতা অনেক মন্ত্রীরই আছে। স্বীকার করি, তাঁরা একই সঙ্গে দলের নেতাও। তাই বলে তাঁরা মন্ত্রীর দপ্তরে বসে দলীয় বা মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার-বহির্ভূত কাজ করতে পারেন না। সে ধরনের কাজ করবেন অফিসের সময়সূচির পরে বা আগে।
আমরা চাই মন্ত্রীরা নিজ দপ্তরে বসে মন্ত্রণালয়ের কাজই করবেন। মন্ত্রণালয়-বহির্ভূত কাজে নিজেদের জড়াবেন না। আর যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে মন্ত্রী পরীক্ষা নিতে অপারগ, সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতির পদটি আঁকড়ে রাখারই বা কী যুক্তি? অন্য কোনো দেশে এই নজির নেই। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা কোনো মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে হতে পারে না। মন্ত্রী বা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে সজাগ থাকবেন আশা করি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অন্য মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা ভাবা হয়। বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের বিষয়াদি দেখভাল করা এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব বলে অনেক গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়। সাধারণের প্রবেশের ক্ষেত্রেও অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের থেকে সেখানে কড়াকড়ি বেশি। কিন্তু সেখানে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হয় কী করে?
সরকার কার্যপ্রণালি বণ্টনের (অ্যালোকেশন অব বিজনেস) মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর যে দায়িত্ব অর্পণ করেছে, তার মধ্যে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার কথা নেই। সে জন্য কোনো কক্ষ বরাদ্দ থাকারও কথা নয়। তার পরও সেখানে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া কেবল মন্দ নজির নয়, সরকারি বিধিরও লঙ্ঘন। সাবেক কূটনীতিকেরা এই ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিহিত করেছেন। তাঁদের প্রশ্ন, মন্ত্রণালয়ের প্রধান ব্যক্তিই যদি সরকারি বিধি লঙ্ঘন করেন, তাহলে অন্যরা কী করবেন?
নিজ দপ্তরে বসে মন্ত্রণালয়-বহির্ভূত কাজ করার প্রবণতা অনেক মন্ত্রীরই আছে। স্বীকার করি, তাঁরা একই সঙ্গে দলের নেতাও। তাই বলে তাঁরা মন্ত্রীর দপ্তরে বসে দলীয় বা মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার-বহির্ভূত কাজ করতে পারেন না। সে ধরনের কাজ করবেন অফিসের সময়সূচির পরে বা আগে।
আমরা চাই মন্ত্রীরা নিজ দপ্তরে বসে মন্ত্রণালয়ের কাজই করবেন। মন্ত্রণালয়-বহির্ভূত কাজে নিজেদের জড়াবেন না। আর যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে মন্ত্রী পরীক্ষা নিতে অপারগ, সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতির পদটি আঁকড়ে রাখারই বা কী যুক্তি? অন্য কোনো দেশে এই নজির নেই। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা কোনো মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে হতে পারে না। মন্ত্রী বা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে সজাগ থাকবেন আশা করি।
No comments