শিক্ষকদের আন্তরিক উপলব্ধিও প্রয়োজন-কোচিং বন্ধ করুন
শিক্ষকেরা শ্রেণীকক্ষে পাঠদানে মনোযোগী হলে শিক্ষার্থীদের বাইরে কোচিং করার প্রয়োজন থাকে না। কিন্তু অনেক আলোচনার পরও কোচিং-ব্যবস্থা বন্ধ করা যায়নি; বাড়েনি শ্রেণীকক্ষে শিক্ষাদানের মান। কোচিং বন্ধ করার দাবি শেষ পর্যন্ত আদালত পর্যন্ত পৌঁছেছে; রাজধানী ঢাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সংগঠন ‘অভিভাবক ঐক্য ফোরাম’-এর সভাপতি এ বিষয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেছিলেন।
প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট গত সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করে কোচিং নিষিদ্ধ করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। অর্থাৎ কোচিং-ব্যবস্থা বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদটা এল খোদ উচ্চ আদালত থেকে।
শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষণ-পদ্ধতির উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে কোচিং বন্ধ করার বিকল্প নেই। খোদ সরকারও এটা স্বীকার করে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ হাইকোর্টের রুলকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘হাইকোর্টের আদেশ আমরা মানতে বাধ্য। আমরাও দেশ থেকে কোচিং-ব্যবস্থা উঠিয়ে দিতে চাই।’ শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেছেন, আদালতের পূর্ণাঙ্গ আদেশ পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোচিং নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করাই এখন সরকারের কর্তব্য। আমরা আশা করি, সরকার দ্রুতই সে পদক্ষেপ নেবে।
দেশের সরকারি ও বেসরকারি এমপিওভুক্ত প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক—সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বন্ধ করতে সরকারের পক্ষ থেকে এই কঠোর পদক্ষেপকে শিক্ষকেরা যেন নেতিবাচক দৃষ্টিতে না দেখেন। শিক্ষার্থীদের পাঠদানে শিক্ষকদের আন্তরিকতার কোনো বিকল্প নেই—শিক্ষকদের মনে এই উপলব্ধি জাগানো একান্ত প্রয়োজন। শিক্ষকদের হাতে জাতি গঠনের এক বিরাট দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। কী প্রাথমিক, কী উচ্চ মাধ্যমিক—যেকোনো পর্যায়ে যিনি শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন, তিনি আত্মনিয়োগ করেছেন মানুষ গড়ার কাজে। এ কাজ কোনো সরকারি প্রজ্ঞাপনের চাপে নয়, নৈতিক বোধ আর আন্তরিক উপলব্ধি থেকেই ভালোভাবে সম্পন্ন হতে পারে। শ্রেণীকক্ষে আন্তরিকতার সঙ্গে পাঠদান শিক্ষকের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা আশা করি, শিক্ষকদের আন্তরিক সহযোগিতায় দেশ থেকে কোচিং-ব্যবস্থা অচিরেই উঠে যাবে, শ্রেণীকক্ষই হবে শিক্ষার্থীর বিদ্যালাভের শ্রেষ্ঠ স্থান।
শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষণ-পদ্ধতির উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে কোচিং বন্ধ করার বিকল্প নেই। খোদ সরকারও এটা স্বীকার করে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ হাইকোর্টের রুলকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘হাইকোর্টের আদেশ আমরা মানতে বাধ্য। আমরাও দেশ থেকে কোচিং-ব্যবস্থা উঠিয়ে দিতে চাই।’ শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেছেন, আদালতের পূর্ণাঙ্গ আদেশ পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোচিং নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করাই এখন সরকারের কর্তব্য। আমরা আশা করি, সরকার দ্রুতই সে পদক্ষেপ নেবে।
দেশের সরকারি ও বেসরকারি এমপিওভুক্ত প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক—সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বন্ধ করতে সরকারের পক্ষ থেকে এই কঠোর পদক্ষেপকে শিক্ষকেরা যেন নেতিবাচক দৃষ্টিতে না দেখেন। শিক্ষার্থীদের পাঠদানে শিক্ষকদের আন্তরিকতার কোনো বিকল্প নেই—শিক্ষকদের মনে এই উপলব্ধি জাগানো একান্ত প্রয়োজন। শিক্ষকদের হাতে জাতি গঠনের এক বিরাট দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। কী প্রাথমিক, কী উচ্চ মাধ্যমিক—যেকোনো পর্যায়ে যিনি শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন, তিনি আত্মনিয়োগ করেছেন মানুষ গড়ার কাজে। এ কাজ কোনো সরকারি প্রজ্ঞাপনের চাপে নয়, নৈতিক বোধ আর আন্তরিক উপলব্ধি থেকেই ভালোভাবে সম্পন্ন হতে পারে। শ্রেণীকক্ষে আন্তরিকতার সঙ্গে পাঠদান শিক্ষকের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা আশা করি, শিক্ষকদের আন্তরিক সহযোগিতায় দেশ থেকে কোচিং-ব্যবস্থা অচিরেই উঠে যাবে, শ্রেণীকক্ষই হবে শিক্ষার্থীর বিদ্যালাভের শ্রেষ্ঠ স্থান।
No comments