সময়ের প্রতিবিম্ব-বাঙালির সংগ্রামে-সমরে বিদেশি গণমাধ্যম by এবিএম মূসা

ত্তরের নভেম্বরে ১২ তারিখ রাতে জলোচ্ছ্বাসে আর প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে প্লাবিত ও বিধ্বস্ত হলো তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের দ্বীপাঞ্চল ও উপকূলীয় বিস্তীর্ণ এলাকা। সব ধরনের যোগাযোগবিচ্ছিন্ন এলাকার দুর্যোগের এ খবর বিশ্ববাসী ঘটনাচক্রে জানল এক সপ্তাহ পরে। মূল ভূখণ্ডের জনগণ, বিশেষ করে ঢাকার গণমাধ্যম খবরটি প্রথম জানতে পারল লন্ডন থেকে বিবিসির মাধ্যমে, তাও বিচ্ছিন্ন ও খণ্ডাকারে।


বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের তৎকালীন প্রধান লিড বিটার সামান্য যেটুকু খবর বিশেষ সূত্র থেকে পেলেন, তা আমাকে টেলিগ্রাফ করেন। দুর্যোগের বিস্তারিত বিবরণ চেয়ে পাঠালেন। আমি তখন ঢাকায় বিবিসির খণ্ডকালীন রিপোর্টার তথা স্ট্রিঙ্গার।
ইতিমধ্যে ঢাকায়ও দক্ষিণাঞ্চলের দুর্যোগের একটু-আধটু খবর আসছিল, কিন্তু সরকারের কেউ সঠিক কিছু বলতে পারছিলেন না। আমি রওনা হলাম তৎকালীন পাকিস্তান অবজারভার-এর চিত্রগ্রাহক মোজাম্মেলকে নিয়ে, প্রথমে যাব বরিশাল, তারপর ভোলা, সম্ভব হলে আরও দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের কোনো দ্বীপে। কীভাবে বিধ্বস্ত এলাকা দিয়ে হেঁটে দুর্গম অঞ্চলে পৌঁছালাম, সে এক ভিন্ন অ্যাডভেঞ্চার। অতীতের এই কাহিনি উল্লেখ করার কারণ—ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান আর সত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের খবর প্রচার করেই বিবিসি বাংলা বিভাগ বাঙালি জনগণের মাঝে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। আমি জেনে আনন্দিত, বর্তমান সরকার স্বাধীনতার ৪০ বছর উদ্যাপন উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধকালে সক্রিয় সহযোগিতা-সমর্থনের জন্য যেসব বিদেশি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেবে, বিবিসি তার মধ্যে অন্যতম।
স্বাধীনতার ৪০ বছর উদ্যাপন উপলক্ষে সত্তরের মহাপ্লাবন তথা সাইক্লোনের খবর দেশের গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশের ক্ষেত্রে একটি ব্যতিক্রমী বাধা ছিল, সে কথা প্রথমে উল্লেখ করতে চাই। তারপরে আসব মুক্তিযুদ্ধে বিবিসি প্রসঙ্গে। বাঙালির মহাদুর্যোগে ইয়াহিয়ার কেন্দ্রীয় সামরিক সরকারের নিষ্ক্রিয়তার ও অমানবিক অবস্থানের সমালোচনা হচ্ছে দেশে-বিদেশে। এ কারণে সামরিক শাসক বিধ্বস্ত এলাকার বিস্তারিত খবর সরাসরি প্রকাশ ও প্রচারের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল। এদিকে দক্ষিণের বিস্তীর্ণ দ্বীপাঞ্চল ও উপকূলীয় এলাকায় বিপর্যয়, জনদুর্ভোগ ও মৃত্যুর খবর সংগ্রহের জন্য দেশি কয়েকজন সাংবাদিক, বিশেষ করে বরিশাল, নোয়াখালী ও খুলনার স্থানীয় সংবাদদাতারা দুর্গত এলাকায় পৌঁছে গেছেন। তাঁদের পাঠানো খবরে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে, হাজার থেকে লাখ, শেষ পর্যন্ত মিলিয়ন তথা ১০ লাখে পৌঁছেছে। এ ছাড়া ঢাকার পত্রিকায়, বিদেশি গণমাধ্যমে ইয়াহিয়া সরকারের ত্রাণ প্রদানে অবহেলার প্রবল সমালোচনা হচ্ছে। বিব্রত সামরিক সরকার হুঁশিয়ারি জারি করল, মহাপ্রলয়ের ধ্বংসযজ্ঞের বিস্তারিত বিবরণ সরাসরি ছাপানো যাবে না; সরকারের নিস্পৃহতা আর ত্রাণকাজের বিফলতার বিবরণ তো নয়ই। তাই ঢাকার সংবাদপত্রে বিশেষ কৌশল অবলম্বনে সংবাদ ছাপা হতো। মৃতের সংখ্যা আর বিধ্বস্ত এলাকায় সরকারি ত্রাণকাজের ব্যর্থতার খবর আমি পাঠাতাম বিবিসি আর লন্ডন টাইমস-এ। রাতে বিবিসিতে প্রচারিত হতো সেই খবর। স্থানীয় পত্রিকায় পরদিন ছাপা হতো বিবিসির বরাত দিয়ে, ‘অ্যাকর্ডিং টু বিবিসি’ বলে।
দেশের সংবাদপত্র আর জনগণ জানার আগে বিবিসি কীভাবে মহাপ্রলয়ের খবর পেল? পরে জেনেছি সেই বিচিত্র কাহিনি। বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়ে একটি ব্রিটিশ নৌবহর যাচ্ছিল আরব সাগরের ঘাঁটি দিয়াগো গার্সিয়া দ্বীপ থেকে সিঙ্গাপুর। একটি ফ্রিগেট থেকে নাবিকেরা দেখল, সাগরের পানিতে অসংখ্য লাশ ভেসে আসছে উত্তর দিক থেকে। ব্যাপার কী তা জানার জন্য ফ্রিগেট বহর উত্তর দিকে রওনা হলো। যত সামনে এগোতে থাকে ততই লাশের বহরে আটকে যাচ্ছে নৌবহর। জাহাজের ক্যাপ্টেন চাঞ্চল্যকর খবরটি পাঠালেন লন্ডনের নৌ অ্যাডমিরালকে। বিলেতের গণমাধ্যম সেখান থেকে প্রাথমিক খবরটি পেল। লন্ডন টাইমস, ডেইলি টেলিগ্রাফ, মিরর ইত্যাদি পত্রিকায় ছাপা হলো ছিটেফোঁটা খবর। বিবিসি নিজেদের সূত্র থেকে পাওয়া, বিলেতি পত্রিকায় প্রকাশিত খবর প্রথমে সংক্ষিপ্ত আকারে প্রচার করল। পরে দিনের পর দিন বিবিসিতে দুর্গত অঞ্চল থেকে সংগৃহীত ও প্রেরিত আমার প্রতিবেদন বিস্তারিত প্রচার করতে থাকল। বলাবাহুল্য, খবর সংগ্রহ যতখানি দুরূহ ছিল, তার চেয়ে দুষ্কর পন্থা ছিল তা ঢাকায় পৌঁছানো। এ ক্ষেত্রে নোয়াখালী, ভোলা ও খুলনাসংলগ্ন এলাকায় কর্মরত বাঙালি সরকারি কর্মকর্তারা সব দেশি-বিদেশি সংবাদদাতাদের নিউজ টেলিগ্রাফ বাহকব্যবস্থা রিলে পদ্ধতিতে তথা এক স্থান থেকে অপর স্থান হয়ে ঢাকায় পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছিলেন।
এরই মধ্যে বিদেশ থেকে কয়েক ডজন সাংবাদিক এবং তখনকার দিনের সীমিত কয়েকটি টেলিভিশন—যথা বিবিসি-টিভি, লন্ডনের আই-টিভি, গ্রানাডা যুক্তরাষ্ট্রের এনটিসি আর এবিসি—চ্যানেলের প্রতিনিধিরা ঢাকায় পৌঁছেছেন। কেউ কেউ কীভাবে যেন খুলনা-বরিশালেও পৌঁছে গেছেন। বিদেশে প্রচারিত হতে থাকল খবর আর সাদা-কালো ছবি। সিঙ্গাপুর থেকে আমার সঙ্গে এসে যোগ দিলেন বিবিসির ব্রায়ান ব্যারন আর ব্যাংকক থেকে সানডে টাইমস-এর রবিন ম্যাকেঞ্জি। দিল্লি থেকে এলেন দ্য টাইমস-এর উপমহাদেশীয় প্রতিনিধি হেজেল হ্যাস্ট, নিউইয়র্ক টাইমস-এর হেনরি শেনবার্গ, ওয়াশিংটন ডেইলি নিউজ-এর হেনরি ব্র্যাডসায়ার, ডেইলি টেলিগ্রাফের সাইমন ড্রিং, আর্নল্ড জেটলিন এবং আরও অনেকে। তাঁদের সবাই এর আগে ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের সময়ও ঢাকায় এসেছিলেন। পরবর্তীকালে মুজিবনগর থেকে তাঁরা মুক্তিযুদ্ধের খবর পাঠিয়েছেন। তাঁরা অনেকেই পঁচিশে মার্চের কালরাতে ঢাকায় ইন্টারকন্টিনেন্টাল বর্তমানের রূপসী বাংলা থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। শুধু সাইমন লুকিয়ে দুই দিন থেকে গেলেন, তাঁদের দু-একজনের বিরল অভিজ্ঞতার বিবরণ ইতিমধ্যে প্রথম আলোতে ছাপা হয়েছে।
কেউ কেউ অবাক হয়ে ভাবতে পারেন, আমার উল্লিখিত নামগুলোর মধ্যে গত শনিবার প্রথম আলোতে প্রকাশিত ‘বিদেশি সহযোদ্ধা’ শীর্ষক কলামের মার্ক ট্যালি নেই কেন। এই প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, মার্ক ট্যালি ঊনসত্তরে, সত্তরে এমনকি একাত্তরেও ভারতে আসেননি, কিংবা রণাঙ্গনের খবর পাঠাননি। উল্লিখিত কলামটিতে এম এ মোমেন লিখেছেন ‘শরণার্থী শিবিরে মার্ক ট্যালি’। এই তথ্য সত্যি নয়, কারণ দিল্লিতে কর্মরত বিবিসির সংবাদদাতাকে ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থায় বিরূপ ও সমালোচনামূলক খবর পাঠানোর অপরাধে কয়েক মাস আগেই অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বহিষ্কার করেছিলেন।
যা-ই হোক, বিদেশি গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা বেয়ারিং তথা বাকিতে টেলিগ্রাম পাঠানোর ব্যবস্থায় তখনকার দিনের একমাত্র সংবাদমাধ্যম হংকংভিত্তিক কেব্ল অ্যান্ড ওয়্যারলেসের মাধ্যমে খবর পাঠাতেন। প্রথম দিকে আমি খবর পাঠাতাম বর্তমানে আনন্দবাজার সম্পাদক—তখন এশিয়ান নিউজ এজেন্সি ও সানডে টাইমস পত্রিকার স্ট্রিঙ্গার তথা খণ্ডকালীন সংবাদদাতা—অভীক সরকারের বেয়ারিং কার্ডটি ব্যবহার করে। তখনকার টেলিযোগাযোগব্যবস্থায় বিদেশি সব সংবাদদাতাকে খবরের কেব্ল অ্যান্ড ওয়্যারলেস মাধ্যমটি ব্যবহার করে হংকং না হয় সিঙ্গাপুরের যোগসূত্র তথা টেলিরুট হয়ে নিজস্ব পত্রিকা বা রেডিওতে খবর পাঠাতে হতো। তখন তো ফ্যাক্স, ই-মেইল অথবা মোবাইল ফোন ছিল না। মোমেনের ‘শরণার্থী শিবিরে মার্ক ট্যালি’ কথাটি যথাযথভাবে প্রযোজ্য নয়। ট্যালি প্রথম ভারতে তথা স্বাধীন বাংলাদেশে বিবিসি প্রতিনিধি পরিচয়ে এসেছিলেন বাহাত্তরে।
একাত্তরের রণাঙ্গন ও মুজিবনগর তথা কলকাতা থেকে আমার পাঠানো অথবা অন্যান্য বিদেশি পত্রিকা থেকে পাওয়া সংগৃহীত মুক্তিযুদ্ধের খবর বিশ্লেষণ করে বিবিসিতে বাংলায় পড়ে শোনাতেন প্রধানত প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত কয়েকজন বাঙালি সাংবাদিক। তাঁরা ইস্টার্ন সার্ভিসে কর্মরত ছিলেন, তখনো বাংলা বিভাগের আলাদা নামকরণ হয়নি। বিশ্লেষকদের অগ্রগণ্য ছিলেন সিরাজুর রহমান, সব্যসাচী সাহিত্যিক সৈয়দ সামসুল হক ও নুরুল ইসলাম। তবে প্রধান ভাষ্য ইংরেজিতে তৈরি করতেন উইলিয়াম ক্রলি আর মার্ক ট্যালি। অধিকাংশ ভাষ্যই তাই তাঁদের নামে প্রচারিত হতো। তবে মার্ক ট্যালি একাত্তরের এপ্রিলে একবার অধিকৃত ঢাকায় এসেছিলেন, যে তথ্যটি এম এ মোমেন উল্লেখ করেছেন। ইয়াহিয়া সরকার ‘সব কুছ কবজামে হ্যায়’ অর্থাৎ এক মাসেই পূর্ব পাকিস্তানে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে গেছে, তা বিদেশে প্রচার করার জন্য মার্ক ট্যালিসহ কয়েকজন বিদেশি সাংবাদিককে ঢাকায় এনেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে আরও এসেছিলেন আমার পশ্চিম পাকিস্তানি সাংবাদিক বন্ধু টনি, অ্যান্থনি ম্যাসকানার্স। টনি তখন করাচিতে সানডে টাইমস ও মর্নিং নিউজ-এর করাচি সংস্করণের বিশেষ প্রতিনিধি। বিধ্বস্ত পূর্ব পাকিস্তানের পরিস্থিতি দেখে বিচলিত টনি করাচি থেকে লন্ডনে পালিয়ে গেলেন। পুরো প্রথম পৃষ্ঠাব্যাপী সানডে টাইমস-এ ছাপা হলো ‘জেনোসাইড ইন পাকিস্তান’। সেই রিপোর্টটি বিবিসি ইস্টার্ন ও ওয়ার্ল্ড সার্ভিস পুরো ২০ মিনিট প্রচার করেছিল।
প্রতিদিনের রাতের মাত্র আধঘণ্টার অনুষ্ঠানটির প্রচার সময় বিবিসি শুধু পূর্ব পাকিস্তানের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের খবর প্রচারের জন্য ১৫ মিনিট বাড়িয়ে দিল। ইতিপূর্বের নির্ধারিত সীমিত রাতের ১০টার প্রচারসূচির সঙ্গে প্রথমবার যোগ হলো সকাল সাড়ে সাতটার আধঘণ্টার বাংলায় নতুন সম্প্রচার। বলেছি, বিবিসির বাংলা ও অন্যান্য ভাষায় অনুষ্ঠান প্রচারের কেন্দ্র ছিল লন্ডনের বুশ হাউসে। তবে আমরা খবর পাঠাতাম শেফার্ড বুশে অবস্থিত ওয়ার্ল্ড সার্ভিসে। সেখান থেকে বাছাই করে বাংলা, উর্দু, হিন্দি, সিংহলি, ফারসি, আরবি, চীনা এবং অন্যান্য এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অধিবাসীদের জন্য বুশ হাউস থেকে ইস্টার্ন সার্ভিসের অনুষ্ঠানে প্রচারের জন্য পাঠানো হতো। স্বাভাবিকভাবেই পশ্চিম পাকিস্তানিদের অনেকেই বিবিসির মাধ্যমেই জানতে পেরেছিলেন ঢাকার কালরাতের ও গণহত্যার এবং মুক্তিযুদ্ধের খবর। আমার পশ্চিম পাকিস্তানি সাংবাদিক বন্ধুদের অনেকেই—নকভি, আবদুল্লাহ মালিক, আই এ রহমান সামরিক শাসনের নিয়ন্ত্রণ উপেক্ষা করে একটু-আধটু প্রতিবাদী সংবাদ নিজস্ব পদ্ধতিতে দু-একটি উর্দু দৈনিকে আর সাময়িকীতে প্রচার করেছিলেন। এই অপরাধে পাকিস্তান টাইমস-এ কর্মরত আবদুল্লাহ মালিককে জেল খাটতে এবং বেত্রাঘাতের শাস্তি পেতে হয়েছিল। পরে শুনেছি, রেডিও পাকিস্তান বিশেষ কায়দায় বিবিসির প্রচার ‘জ্যামিং’ তথা ‘হিজিবিজি’ করার বিশেষ একটি পদ্ধতি ব্যবহার করেছিল। যে কারণে একাত্তরে পশ্চিম পাকিস্তানের জনগণের পূর্ব পাকিস্তানে কী ঘটছে তা সব জানা সম্ভব হয়নি।
একাত্তরে এপ্রিলে আমার ঢাকা ত্যাগের পর অবরুদ্ধ দেশ থেকে বিবিসিতে খবর পাঠাতেন আমার অনুজ সাংবাদিক নিজামউদ্দিন অনেক ঝুঁকি নিয়ে, পাকিস্তানিদের হুমকি উপেক্ষা করে। এ কারণে ১২ ডিসেম্বর আলবদর বাহিনী তাঁকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর অন্যান্য শহীদ সাংবাদিক-বুদ্ধিজীবীর মাঝে রায়ের বাজারের বধ্যভূমিতে তাঁর লাশটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে নিজামউদ্দিন ও অন্য শহীদদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।
এবিএম মূসা: সাংবাদিক ও কলাম লেখক।

No comments

Powered by Blogger.