যুবলীগের ৫ নেতা-কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর, আগুন-ঈশ্বরদীতে ছাত্রলীগের কর্মীকে হত্যা
পাবনার ঈশ্বরদী হাসপাতালের সামনে গতকাল শনিবার ছাত্রলীগের কর্মী মোস্তফা কামালকে (২১) প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। নিহতের বাবা ও ছাত্রলীগের এক কর্মীর অভিযোগ, যুবলীগের সন্ত্রাসীরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্রলীগের ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা যুবলীগের পাঁচ নেতা-কর্মীর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্রলীগের ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা যুবলীগের পাঁচ নেতা-কর্মীর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছেন।
মোস্তফা পৌর শহরের মশুরিয়া পাড়া এলাকার বাসিন্দা পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানির ঠিকাদার আবুল কালাম আজাদের ছেলে। তিনি পাবনা টেক্সটাইল কলেজের চতুর্থ বর্ষে লেখাপড়া করতেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পরীক্ষা দিতে পাবনায় যাচ্ছিলেন মোস্তফা। ঈশ্বরদী হাসপাতালের সামনে আসামাত্র যুবলীগের কর্মী রুবেল, আল-আমিনসহ বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী মোস্তফার পেট ও বুকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। হাসপাতালে নেওয়ার পর মোস্তফাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
এ ঘটনার পর মোস্তফা হত্যাকারীদের বিচার দাবি করে ঈশ্বরদী হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন ছাত্রলীগের ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা। পরে তাঁরা পৌর শহরের মাহাতাব কলোনি, হাসপাতাল পাড়া, জিগাতলা এলাকায় পৌর যুবলীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন কুদ্দুস, যুবলীগের কর্মী রুবেল, আল-আমিন, সোহেল ওরফে নাটা সোহেল ও ওয়াসিমের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। হামলার খবর পেয়ে আগেই পালিয়ে যায় ওই সব বাড়ির সদস্যরা।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তারা প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভান। ততক্ষণে বাড়িগুলো পুড়ে ভস্মীভূত হয়।
মোস্তফার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্রলীগের কর্মী শাওন বলেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পৌর ছাত্রলীগের সম্মেলন নিয়ে তাঁরা নবনির্বাচিত সভাপতি জুবায়ের বিশ্বাসকে সমর্থন করেন। এতে জুবায়েরের প্রতিপক্ষ যুবলীগের কর্মী আল-আমিন, সোহেল, রুবেল, জীবন এবং যুবলীগের নেতা রুহুলের সঙ্গে তাঁদের মতবিরোধ হয়। এর জের ধরে কয়েক দিন আগেও তাঁরা একবার মোস্তফাকে মারধর করেন। গতকাল পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে তাঁরা প্রকাশ্যে মোস্তফাকে হত্যা করেন।
একই ধরনের বক্তব্য দিয়ে মোস্তফার বাবা আবুল কালাম আজাদ বলেন, যুবলীগের কর্মী রুবেল, আল-আমিনসহ বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী তাঁর ছেলেকে প্রকাশ্যে ঈশ্বরদী হাসপাতালের সামনে হত্যা করে।
পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের বিশ্বাস স্বীকার করেন, মোস্তফা ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন। গতকাল তাৎক্ষণিকভাবে এর বেশি কিছু বলতে তিনি রাজি হননি।
যুবলীগের কর্মী রুবেল ও আল-আমিন পলাতক থাকায় তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। যুবলীগের নেতা রুহুল আমিনের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
যোগাযোগ করলে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী হানিফুল ইসলাম বলেন, মোস্তফা হত্যার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পরীক্ষা দিতে পাবনায় যাচ্ছিলেন মোস্তফা। ঈশ্বরদী হাসপাতালের সামনে আসামাত্র যুবলীগের কর্মী রুবেল, আল-আমিনসহ বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী মোস্তফার পেট ও বুকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। হাসপাতালে নেওয়ার পর মোস্তফাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
এ ঘটনার পর মোস্তফা হত্যাকারীদের বিচার দাবি করে ঈশ্বরদী হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন ছাত্রলীগের ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা। পরে তাঁরা পৌর শহরের মাহাতাব কলোনি, হাসপাতাল পাড়া, জিগাতলা এলাকায় পৌর যুবলীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন কুদ্দুস, যুবলীগের কর্মী রুবেল, আল-আমিন, সোহেল ওরফে নাটা সোহেল ও ওয়াসিমের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। হামলার খবর পেয়ে আগেই পালিয়ে যায় ওই সব বাড়ির সদস্যরা।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তারা প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভান। ততক্ষণে বাড়িগুলো পুড়ে ভস্মীভূত হয়।
মোস্তফার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্রলীগের কর্মী শাওন বলেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পৌর ছাত্রলীগের সম্মেলন নিয়ে তাঁরা নবনির্বাচিত সভাপতি জুবায়ের বিশ্বাসকে সমর্থন করেন। এতে জুবায়েরের প্রতিপক্ষ যুবলীগের কর্মী আল-আমিন, সোহেল, রুবেল, জীবন এবং যুবলীগের নেতা রুহুলের সঙ্গে তাঁদের মতবিরোধ হয়। এর জের ধরে কয়েক দিন আগেও তাঁরা একবার মোস্তফাকে মারধর করেন। গতকাল পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে তাঁরা প্রকাশ্যে মোস্তফাকে হত্যা করেন।
একই ধরনের বক্তব্য দিয়ে মোস্তফার বাবা আবুল কালাম আজাদ বলেন, যুবলীগের কর্মী রুবেল, আল-আমিনসহ বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী তাঁর ছেলেকে প্রকাশ্যে ঈশ্বরদী হাসপাতালের সামনে হত্যা করে।
পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের বিশ্বাস স্বীকার করেন, মোস্তফা ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন। গতকাল তাৎক্ষণিকভাবে এর বেশি কিছু বলতে তিনি রাজি হননি।
যুবলীগের কর্মী রুবেল ও আল-আমিন পলাতক থাকায় তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। যুবলীগের নেতা রুহুল আমিনের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
যোগাযোগ করলে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী হানিফুল ইসলাম বলেন, মোস্তফা হত্যার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
No comments