আবাসন সমস্যা : এক মহা চ্যালেঞ্জ by ইফতেখার আহমেদ টিপু
আবাসন সমস্যা বাংলাদেশের একটি প্রধান সমস্যা। গত অর্ধশতাব্দীতে এই ভূখণ্ডের জনসংখ্যা বেড়েছে তিন গুণেরও বেশি। বর্ধিত জনসংখ্যার প্রয়োজনে বিপুল পরিমাণ জমি রাস্তাঘাট, শিল্প-কলকারখানা এবং অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ বাবদ ব্যবহৃত হয়েছে। আবাসনের প্রয়োজনে ব্যবহৃত জমির পরিমাণও বিশাল। পরিসংখ্যান অনুুযায়ী, বর্ধিত জনসংখ্যার প্রয়োজন মেটাতে গত চার দশকে দেশের ফসলি জমির পরিমাণ অর্ধেকে নেমে এসেছে।
বলা বাহুল্য, এসব জমি ব্যবহৃত হয়েছে বাড়িঘর নির্মাণসহ অন্যান্য কাজে।
আবাসন সমস্যা দেশের শীর্ষ পর্যায়ের একটি সমস্যা হলেও এর সমাধানে সমন্বিত উদ্যোগ নেই। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে আবাসন সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ থাকলেও তাদের ভূমিকা বহু ক্ষেত্রেই সাংঘর্ষিক। এ ক্ষেত্রে সমন্বয় ও সহযোগিতার অভাব থাকায় আবাসন সমস্যার সুপরিকল্পিত সমাধানের বিষয়টি উপেক্ষিত হচ্ছে। অথচ আবাসন সমস্যার সুসমন্বিত সমাধান কার্যত জাতীয় কর্তব্যে পরিণত হয়েছে।
খোদ রাজধানী ঢাকায়ই বস্তিতে আমানবিক জীবন যাপন করে প্রায় ৪৫ লাখ মানুষ। সরকারের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে সাড়ে ১৪ কোটি মানুষ চার লাখ হেক্টর জমিতে বাস করে। এখানে মাথাপিছু আবাদি জমির পরিমাণ মাত্র ১৬ শতাংশ। বাড়িঘর ও দালানকোঠা নির্মাণ, শহর সম্প্রসারণ, রাস্তাঘাট ও শিল্প-কারখানার জন্য বছরে প্রায় ৯৯ লাখ একর আবাদি জমি কমে যাচ্ছে। একটি শহরের মোট আয়তনের ৪০ শতাংশ রাস্তা থাকা দরকার। কিন্তু ঢাকার ক্ষেত্রে তা নেই। ঢাকার বাইরে আয়ের উৎস কম। ঢাকা শুধু অফিস-আদালতের শহর নয়, ব্যবসা-বাণিজ্যেরও। এখানে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের অভাব নেই। অফিস ভবনের পাশেই দাঁড়িয়ে আছে বাণিজ্যিক ভবন। এক জায়গায়ই মানুষের ভিড়। বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ শহর রাজধানী ঢাকার ৭০ শতাংশ মানুষের স্থায়ী কোনো আবাসস্থল বা ঠিকানা নেই। সারা দেশে নিজস্ব আবাসহীন মানুষের সংখ্যা ৫০ শতাংশ। বিশ্বে সর্বাধিক আয়বৈষম্যের দেশ বাংলাদেশে এ পরিস্থিতি ভবিষ্যতে আরো ভয়াবহ হবে। আমরা এখন এক বিস্ফোরণোন্মুখ বোমার ওপর বসবাস করছি। আবাসন সমস্যার সমাধান না হলে দেখা দিতে পারে চরম সামাজিক অসন্তোষ ও গণরোষ।
রাজধানী ঢাকার প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ বাস করে বস্তিতে, যারা গরিব ও নিম্নবিত্ত। মধ্যবিত্ত আর নিম্ন-মধ্যবিত্তরাও ভালো নেই। তারাও অনেকটা ঝরা পাতার মতো এই নগরীতে ছুটে বেড়ায় মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ের খোঁজে। প্রধানমন্ত্রী নগরবাসীর আবাসন সমস্যা সমাধানে আন্তরিক। তিনি গত ১০ মার্চ জাতীয় সংসদে জানিয়েছিলেন, মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন-আয়ের মানুষের জন্য ঢাকার চারপাশে চারটি স্যাটেলাইট টাউন গড়ে তোলা হবে। রাজউকের তত্ত্বাবধানে নির্মিত এসব টাউনে সব নাগরিক সুবিধা থাকবে।
ডিসিসির সর্বশেষ ২০০৮ সালের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে ঢাকার দুই লাখ ৩১ হাজার ৫৯০টি বাড়িতে প্রায় এক কোটি ২০ লাখ মানুষ বাস করে। এসব মানুষের ৮০ শতাংশেরই নিজের বাড়ি নেই। এ ছাড়া ডিসিসির বস্তি উন্নয়ন বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে থাকা চার হাজার ৮০০ বস্তিতে বাস করে প্রায় ৪৫ লাখ মানুষ, যা নগরীর মোট জনসংখ্যার ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ (এক-তৃতীয়াংশ)। এদের অনেকেরই জীবন কেটে যায় রাস্তার পাশে। পুনর্বাসন ছাড়াই অনেক সময় বস্তি উচ্ছেদের শিকার হতে হয় এসব দরিদ্র মানুষকে। ডিসিসির এই হিসাব অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকার প্রতি বর্গকিলোমিটারে বাস করে ৩৩ হাজার ৩৩৩ জন মানুষ। সম্প্রতি উইকিপিডিয়ায় বিশ্বের শীর্ষ ঘনবসতিপূর্ণ ৫০টি মেট্রোপলিটন শহরের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ঢাকাকে ৭০ লাখ জনসংখ্যার শহর হিসেবে দেখানো হয়েছে। উইকিপিডিয়ার হিসাবে বিশ্বের শীর্ষ ঘনবসতিপূর্ণ ৫০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ৪০তম হলেও ডিসিসির সর্বশেষ ২০০৮ সালে রাজধানীতে বসবাসরত জনসংখ্যার ঘনত্বের হিসাবে ঢাকার অবস্থান হবে ষষ্ঠ। কিন্তু বাস্তবে রাজধানীর জনসংখ্যা হবে এর চেয়েও অনেক বেশি।
বর্তমানে ঢাকার যে আবাসন সমস্যা, তা এক দিনে সৃষ্টি হয়নি। নগর পরিকল্পনাবিদরা সর্বোচ্চ পরিশ্রম ও মেধা দিয়ে নগর উন্নয়নে পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন। কিন্তু এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব সরকারের। গণতান্ত্রিক সরকারের কাজ জনসাধারণের মতামত নিয়ে তার আলোকে কাজ করা। ভূমি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগগুলোর মধ্যে যথাযথ সমন্বয় করতে হবে। ঢাকা শহরসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার আশপাশে অনেক উপশহর গড়ে তোলা সম্ভব হলে শহরের জনসংখ্যার ঘনত্ব হ্রাস পাবে এবং সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশসম্মতভাবে বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশের মেগাসিটির মতো ঢাকাকে কাঙ্ক্ষিত সুন্দর নগরীতে রূপান্তর সহজতর হবে। জনবহুল বাংলাদেশে আবাসন সমস্যা অন্যতম জাতীয় সমস্যা। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রয়োজনের সঙ্গে সংগতি রেখে এখানে গৃহায়ণ সম্ভব হচ্ছে না বলে দিন দিন আবাসিক সমস্যা প্রকটতর হয়ে উঠছে। আবাসনবঞ্চিত মানুষ নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। অন্যদিকে শহরগুলোতে গৃহায়ণের সুযোগ কেবল বিত্তবানদের মধ্যেই একচেটিয়াভাবে সীমিত হয়ে পড়েছে। সরকার ঢাকার চারপাশে চারটি স্যাটেলাইট টাউন গড়ে তুলতে চাইছে, যেখানে অবশ্যই পৌর সুবিধা থাকতে হবে।
ঢাকায় জনসংখ্যার চাপ কমাতে আশপাশের শহরগুলোতে গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব সুযোগ-সুবিধার উন্নতি ঘটাতে হবে। আবাসন সমস্যা এখন জাতির জন্য এক মহা চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত পদক্ষেপের কোনো বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে প্রণয়ন করতে হবে জাতীয় আবাসন নীতি। রাজধানীর ওপর চাপ কমাতে বিকেন্দ্রীকরণকে গুরুত্ব দিতে হবে। ফসলি জমি সুরক্ষা করে স্বল্প জায়গায় অধিক লোকের বসবাস নিশ্চিত করতে নিতে হবে বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা।
লেখক : সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক নবরাজ এবং চেয়ারম্যান, ইফাদ গ্রুপ
chairman@ifadgroup.com
আবাসন সমস্যা দেশের শীর্ষ পর্যায়ের একটি সমস্যা হলেও এর সমাধানে সমন্বিত উদ্যোগ নেই। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে আবাসন সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ থাকলেও তাদের ভূমিকা বহু ক্ষেত্রেই সাংঘর্ষিক। এ ক্ষেত্রে সমন্বয় ও সহযোগিতার অভাব থাকায় আবাসন সমস্যার সুপরিকল্পিত সমাধানের বিষয়টি উপেক্ষিত হচ্ছে। অথচ আবাসন সমস্যার সুসমন্বিত সমাধান কার্যত জাতীয় কর্তব্যে পরিণত হয়েছে।
খোদ রাজধানী ঢাকায়ই বস্তিতে আমানবিক জীবন যাপন করে প্রায় ৪৫ লাখ মানুষ। সরকারের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে সাড়ে ১৪ কোটি মানুষ চার লাখ হেক্টর জমিতে বাস করে। এখানে মাথাপিছু আবাদি জমির পরিমাণ মাত্র ১৬ শতাংশ। বাড়িঘর ও দালানকোঠা নির্মাণ, শহর সম্প্রসারণ, রাস্তাঘাট ও শিল্প-কারখানার জন্য বছরে প্রায় ৯৯ লাখ একর আবাদি জমি কমে যাচ্ছে। একটি শহরের মোট আয়তনের ৪০ শতাংশ রাস্তা থাকা দরকার। কিন্তু ঢাকার ক্ষেত্রে তা নেই। ঢাকার বাইরে আয়ের উৎস কম। ঢাকা শুধু অফিস-আদালতের শহর নয়, ব্যবসা-বাণিজ্যেরও। এখানে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের অভাব নেই। অফিস ভবনের পাশেই দাঁড়িয়ে আছে বাণিজ্যিক ভবন। এক জায়গায়ই মানুষের ভিড়। বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ শহর রাজধানী ঢাকার ৭০ শতাংশ মানুষের স্থায়ী কোনো আবাসস্থল বা ঠিকানা নেই। সারা দেশে নিজস্ব আবাসহীন মানুষের সংখ্যা ৫০ শতাংশ। বিশ্বে সর্বাধিক আয়বৈষম্যের দেশ বাংলাদেশে এ পরিস্থিতি ভবিষ্যতে আরো ভয়াবহ হবে। আমরা এখন এক বিস্ফোরণোন্মুখ বোমার ওপর বসবাস করছি। আবাসন সমস্যার সমাধান না হলে দেখা দিতে পারে চরম সামাজিক অসন্তোষ ও গণরোষ।
রাজধানী ঢাকার প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ বাস করে বস্তিতে, যারা গরিব ও নিম্নবিত্ত। মধ্যবিত্ত আর নিম্ন-মধ্যবিত্তরাও ভালো নেই। তারাও অনেকটা ঝরা পাতার মতো এই নগরীতে ছুটে বেড়ায় মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ের খোঁজে। প্রধানমন্ত্রী নগরবাসীর আবাসন সমস্যা সমাধানে আন্তরিক। তিনি গত ১০ মার্চ জাতীয় সংসদে জানিয়েছিলেন, মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন-আয়ের মানুষের জন্য ঢাকার চারপাশে চারটি স্যাটেলাইট টাউন গড়ে তোলা হবে। রাজউকের তত্ত্বাবধানে নির্মিত এসব টাউনে সব নাগরিক সুবিধা থাকবে।
ডিসিসির সর্বশেষ ২০০৮ সালের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে ঢাকার দুই লাখ ৩১ হাজার ৫৯০টি বাড়িতে প্রায় এক কোটি ২০ লাখ মানুষ বাস করে। এসব মানুষের ৮০ শতাংশেরই নিজের বাড়ি নেই। এ ছাড়া ডিসিসির বস্তি উন্নয়ন বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে থাকা চার হাজার ৮০০ বস্তিতে বাস করে প্রায় ৪৫ লাখ মানুষ, যা নগরীর মোট জনসংখ্যার ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ (এক-তৃতীয়াংশ)। এদের অনেকেরই জীবন কেটে যায় রাস্তার পাশে। পুনর্বাসন ছাড়াই অনেক সময় বস্তি উচ্ছেদের শিকার হতে হয় এসব দরিদ্র মানুষকে। ডিসিসির এই হিসাব অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকার প্রতি বর্গকিলোমিটারে বাস করে ৩৩ হাজার ৩৩৩ জন মানুষ। সম্প্রতি উইকিপিডিয়ায় বিশ্বের শীর্ষ ঘনবসতিপূর্ণ ৫০টি মেট্রোপলিটন শহরের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ঢাকাকে ৭০ লাখ জনসংখ্যার শহর হিসেবে দেখানো হয়েছে। উইকিপিডিয়ার হিসাবে বিশ্বের শীর্ষ ঘনবসতিপূর্ণ ৫০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ৪০তম হলেও ডিসিসির সর্বশেষ ২০০৮ সালে রাজধানীতে বসবাসরত জনসংখ্যার ঘনত্বের হিসাবে ঢাকার অবস্থান হবে ষষ্ঠ। কিন্তু বাস্তবে রাজধানীর জনসংখ্যা হবে এর চেয়েও অনেক বেশি।
বর্তমানে ঢাকার যে আবাসন সমস্যা, তা এক দিনে সৃষ্টি হয়নি। নগর পরিকল্পনাবিদরা সর্বোচ্চ পরিশ্রম ও মেধা দিয়ে নগর উন্নয়নে পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন। কিন্তু এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব সরকারের। গণতান্ত্রিক সরকারের কাজ জনসাধারণের মতামত নিয়ে তার আলোকে কাজ করা। ভূমি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগগুলোর মধ্যে যথাযথ সমন্বয় করতে হবে। ঢাকা শহরসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার আশপাশে অনেক উপশহর গড়ে তোলা সম্ভব হলে শহরের জনসংখ্যার ঘনত্ব হ্রাস পাবে এবং সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশসম্মতভাবে বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশের মেগাসিটির মতো ঢাকাকে কাঙ্ক্ষিত সুন্দর নগরীতে রূপান্তর সহজতর হবে। জনবহুল বাংলাদেশে আবাসন সমস্যা অন্যতম জাতীয় সমস্যা। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রয়োজনের সঙ্গে সংগতি রেখে এখানে গৃহায়ণ সম্ভব হচ্ছে না বলে দিন দিন আবাসিক সমস্যা প্রকটতর হয়ে উঠছে। আবাসনবঞ্চিত মানুষ নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। অন্যদিকে শহরগুলোতে গৃহায়ণের সুযোগ কেবল বিত্তবানদের মধ্যেই একচেটিয়াভাবে সীমিত হয়ে পড়েছে। সরকার ঢাকার চারপাশে চারটি স্যাটেলাইট টাউন গড়ে তুলতে চাইছে, যেখানে অবশ্যই পৌর সুবিধা থাকতে হবে।
ঢাকায় জনসংখ্যার চাপ কমাতে আশপাশের শহরগুলোতে গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব সুযোগ-সুবিধার উন্নতি ঘটাতে হবে। আবাসন সমস্যা এখন জাতির জন্য এক মহা চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত পদক্ষেপের কোনো বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে প্রণয়ন করতে হবে জাতীয় আবাসন নীতি। রাজধানীর ওপর চাপ কমাতে বিকেন্দ্রীকরণকে গুরুত্ব দিতে হবে। ফসলি জমি সুরক্ষা করে স্বল্প জায়গায় অধিক লোকের বসবাস নিশ্চিত করতে নিতে হবে বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা।
লেখক : সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক নবরাজ এবং চেয়ারম্যান, ইফাদ গ্রুপ
chairman@ifadgroup.com
No comments