হিযবুত তাহ্রীরের পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে র্যাবের দুটি মামলা
নিষিদ্ধঘোষিত হিযবুত তাহ্রীরের গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে র্যাবের ওপর হামলা ও সন্ত্রাসী তৎপরতায় যুক্ত থাকার অভিযোগে দুুটি মামলা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে র্যাব-১-এর উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদ হোসেন বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
উত্তরা থানার পুলিশ জানায়, শুক্রবার বিকেলে গ্রেপ্তার হওয়া হিযবুত তাহ্রীরের সদস্য মোসাদ্দেক আলী, মোসাব্বির আলী, ইব্রাহিম খলিল, মো. মিনহাজ ও ফাহিম আকতার ভূঁইয়াকে সেদিন রাতেই র্যাব থানায় সোপর্দ করে। এরপর মাহমুদ হোসেন বাদী হয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেন।
উত্তরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার রেজাউল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল শনিবার ওই পাঁচজনের প্রত্যেককে ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। শুনানি শেষে আদালত তাঁদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ওসি বলেন, হিযবুত তাহ্রীরের ওই সদস্যরা সরকারবিরোধী প্রচারপত্র বিলি করার সময় এর আগেও গ্রেপ্তার হয়েছেন। কিন্তু পাঁচ মাস আগে আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে আবার সরকারবিরোধী প্রচারণা শুরু করেন। তিনি বলেন, এই পাঁচজন সেনাবাহিনীর ব্যর্থ অভ্যুত্থানের চেষ্টার সঙ্গে জড়িত ছিল কি না, তা উদ্ঘাটনের জন্য তাঁদের যৌথ জিজ্ঞাসাবাদ সেলে পাঠানো হবে।
গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরের ৮ নম্বর সড়কের বায়তুন নূর মসজিদের সামনে সরকারবিরোধী ও সেনাবাহিনীর প্রতি উসকানিমূলক প্রচারপত্র বিতরণের সময় ওই পাঁচজনকে কয়েক বান্ডিল প্রচারপত্রসহ গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গত বৃহস্পতিবার সেনাসদরে সংবাদ সম্মেলনে সরকার উৎখাতের সাম্প্রতিক এক চক্রান্তের সঙ্গে হিযবুত তাহ্রীরের সংশ্লিষ্টতার কথা বলা হয়। অভ্যুত্থানের ব্যর্থ চেষ্টায় জড়িত ও বর্তমানে পলাতক মেজর জিয়াউল হক হিযবুত তাহ্রীরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন বলেও সেখানে বলা হয়। এর পরদিনই হিযবুত তাহ্রীরের ওই সদস্যরা উত্তরায় সেনাবাহিনীর প্রতি উসকানিমূলক প্রচারপত্র বিলি করতে নামেন।
একই প্রচারপত্র চলতি মাসের শুরুতেও হিযবুত তাহ্রীর বিভিন্ন এলাকায় বিতরণ করেছিল বলে গোয়েন্দারা জানিয়েছেন।
তাঁরা জানান, সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ফেসবুক, ব্লগ ছাড়াও সাইবার জগতে সক্রিয় হিযবুত তাহ্রীর। এসব সাইটে সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থানের আহ্বান জানিয়ে পোস্টার-লিফলেট ছাড়া হয়।
No comments