চোখের ওপর বন ধ্বংস, সরকার কি অন্ধ?-বনখেকো ভাটা ও করাতকল
বনের পাশে কাঠ চেরাইয়ের করাতকল আর গাছ পোড়ানো চুল্লিই হলো বাংলাদেশের বন সংরক্ষণের নমুনা। চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাশে এ রকম ২২টি ইটভাটা ও ২০টি করাতকল বিনা বাধায় বনের ওপর এই জল্লাদগিরি চালিয়ে যাচ্ছে।
বলা বাহুল্য, আমাদের অনেক আসবাবে, ঘরবাড়ি নির্মাণের ইটের মধ্যে কত কত বৃক্ষ হত্যার করুণ কাহিনি লুকিয়ে রয়েছে, সেই প্রশ্ন কে করে? সংরক্ষিত বনাঞ্চলেরই যদি এমন হাল, তাহলে বাদবাকি বনের কী হাল?
লোহাগাড়ায় ২০ হাজার একর সংরক্ষিত বন ও রক্ষিত বন রয়েছে বলে দাবি করেছে বন বিভাগ। বাস্তবে কতটা, তা নিরূপণ না করে বলা সম্ভব নয়। বনাঞ্চলের তিন কিলোমিটারের মধ্যে করাতকল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। একইভাবে বনাঞ্চলের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটাও নিষিদ্ধ। অথচ লোহাগাড়ায় এসব দিব্যি চলছে, এমনকি করাতকলগুলোতে দিব্যি বিদ্যুৎ সরবরাহ করে যাচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ। বন কর্তৃপক্ষ নীরব, প্রশাসন সহযোগী, বিদ্যুৎ বিভাগ কেবল বিল পেয়েই সন্তুষ্ট। এ অবস্থাকে উদাসীনতা বললে কম বলা হয়। এসব হলো বন ধ্বংসে সচেতন মদদ। এই মদদ অনেক সময় বাধ্যতামূলক হয় বন ধ্বংসকারী ভাটা ও করাতকলের মালিকদের অর্থ ও রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপটে।
কেবল লোহাগাড়ার বনই নয়, জাতীয় উদ্যান বলে ঘোষিত গাজীপুরের ভাওয়াল শালবনের অবস্থাও করুণ। খোদ সুন্দরবনই যেখানে বিপন্ন, সেখানে অভ্যন্তরের বনের অবস্থা কল্পনা করে আতঙ্কিত হতে হয়। বাণিজ্যের আগ্রাসন না থামালে এবং পরিবেশবিধ্বংসী উন্নয়ননীতি পরিহার না করলে অচিরেই দেশে বনভূমি বলে কিছু থাকবে না—এমন ভয় হওয়া অযৌক্তিক নয়।
সরকারিভাবে ১৮ শতাংশ বনভূমির কথা বলা হলেও এখন দেশে বনভূমির পরিমাণ মাত্র ৬ শতাংশ। এর বড় অংশটাই আবার কৃত্রিম বাগান এবং সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্য। বরাবরের মতো রক্ষকই যখন ভক্ষক, তখন জনগণ এবং পরিবেশপ্রেমী সংগঠনগুলোর সোচ্চার না হয়ে উপায় নেই। পাশাপাশি প্রশাসন যাতে আইন অনুযায়ী বন রক্ষায় সচেষ্ট হয়, সে ব্যাপারে সরকারের উচ্চপর্যায়ের কঠোর নজরদারিরও বিকল্প নেই।
লোহাগাড়ায় ২০ হাজার একর সংরক্ষিত বন ও রক্ষিত বন রয়েছে বলে দাবি করেছে বন বিভাগ। বাস্তবে কতটা, তা নিরূপণ না করে বলা সম্ভব নয়। বনাঞ্চলের তিন কিলোমিটারের মধ্যে করাতকল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। একইভাবে বনাঞ্চলের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটাও নিষিদ্ধ। অথচ লোহাগাড়ায় এসব দিব্যি চলছে, এমনকি করাতকলগুলোতে দিব্যি বিদ্যুৎ সরবরাহ করে যাচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ। বন কর্তৃপক্ষ নীরব, প্রশাসন সহযোগী, বিদ্যুৎ বিভাগ কেবল বিল পেয়েই সন্তুষ্ট। এ অবস্থাকে উদাসীনতা বললে কম বলা হয়। এসব হলো বন ধ্বংসে সচেতন মদদ। এই মদদ অনেক সময় বাধ্যতামূলক হয় বন ধ্বংসকারী ভাটা ও করাতকলের মালিকদের অর্থ ও রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপটে।
কেবল লোহাগাড়ার বনই নয়, জাতীয় উদ্যান বলে ঘোষিত গাজীপুরের ভাওয়াল শালবনের অবস্থাও করুণ। খোদ সুন্দরবনই যেখানে বিপন্ন, সেখানে অভ্যন্তরের বনের অবস্থা কল্পনা করে আতঙ্কিত হতে হয়। বাণিজ্যের আগ্রাসন না থামালে এবং পরিবেশবিধ্বংসী উন্নয়ননীতি পরিহার না করলে অচিরেই দেশে বনভূমি বলে কিছু থাকবে না—এমন ভয় হওয়া অযৌক্তিক নয়।
সরকারিভাবে ১৮ শতাংশ বনভূমির কথা বলা হলেও এখন দেশে বনভূমির পরিমাণ মাত্র ৬ শতাংশ। এর বড় অংশটাই আবার কৃত্রিম বাগান এবং সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্য। বরাবরের মতো রক্ষকই যখন ভক্ষক, তখন জনগণ এবং পরিবেশপ্রেমী সংগঠনগুলোর সোচ্চার না হয়ে উপায় নেই। পাশাপাশি প্রশাসন যাতে আইন অনুযায়ী বন রক্ষায় সচেষ্ট হয়, সে ব্যাপারে সরকারের উচ্চপর্যায়ের কঠোর নজরদারিরও বিকল্প নেই।
No comments