ভিন্নমত-বাংলাদেশ সরকারের ঋণ : আইএমএফ ভালো ঋণ বিক্রেতা বটে! by আবু আহমেদ
বাংলাদেশ সরকার তার বাজেট তথা ব্যয় সামাল দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল বা আইএমএফ থেকে এক বিলিয়ন ডলারের ঋণ কিনতে চাইছে। আর আইএমএফও কথিত নানা শর্ত দিয়ে সেই ঋণ বেচতে চাইছে। শর্ত দেওয়া আইএমএফের সাধারণ টার্মস অব রেফারেন্সেরই অংশ। যেকোনো সদস্যদেশের কাছেই ওয়াশিংটনভিত্তিক এই সংস্থা ঋণ বেচতে চাইলে কিছু শর্তের কথা অবশ্যই বলে।
পরে সেসব শর্ত ঋণগ্রহীতা রাষ্ট্র ষোলো আনা পূরণ করতে না পারলেও ওই সংস্থা বিক্রীত ঋণকে ছাড় দেয়। কারণ হলো, আইএমএফকে ঋণ বেচতে হবে, আর বাংলাদেশ হলো আইএমএফের ঋণের ভালো গ্রাহক। বাংলাদেশ সময়মতোই তার সব আন্তর্জাতিক উৎস থেকে নেওয়া ঋণ সুদ-আসলে পরিশোধ করেছে। কয়টা ঋণ আইএমএফ বাংলাদেশের কাছে বেচবে তা নির্ভর করছে_এক. বাংলাদেশ কতটা ঋণ পেতে আগ্রহী, দুই. আইএমএফ গ্লোবাল রিসোর্স প্রাপ্তি, তিন. আইএমএফ অন্যত্র কত ঋণ বেচতে সক্ষম হয়েছে তার ওপর। তবে যে শর্তগুলো দেয়, বাহ্যত মনে হবে ওগুলো ঋণক্রেতা দেশের মঙ্গলের জন্যই। কিন্তু এর পেছনে অন্য উদ্দেশ্য হলো, শর্ত না দিলে তাদের এত এত অর্থনীতি বিশ্লেষকের যে প্রয়োজনই পড়ে না! তাই এক বিলিয়ন ডলার ঋণ বেচার আগেই তাদের ডজনখানেক বিশ্লেষকের বাংলাদেশ সফর ঘটবে। তারা পরীক্ষা করবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি, টাকা-ডলার বিনিময় হার, আমাদের আমদানির ওপর শুল্কহার, ব্যাংক ব্যবস্থাপনা, গ্যাস-বিদ্যুতের বেঁধে দেওয়া মূল্য, কর কাঠামো ইত্যাদি।
তাদের পক্ষে আমাদের অর্থনীতিতে ত্রুটি-বিচ্যুতি খুঁজে বের করা মোটেই কঠিন কিছু বিষয় নয়। সুতরাং শর্ত দিতে চাইলে তারা একগাদা শর্ত দিতে পারবে। তবে বাংলাদেশ সেসব শর্ত কতটা হজম করতে পারে, সেটাও তারা দেখে। কারণ গ্রাহককে তো ঋণ কিনতে আগ্রহী করে তুলতে হবে! তবে ক্ষেত্রবিশেষে গ্রাহক ঋণ কিনতে না চাইলেও কিনতে বাধ্য করতে পারে। সেটা কিভাবে? সেই আলোচনায় আজকে গেলাম না। আইএমএফের খবরদারি কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মোটেই চলে না। মার্কিন সরকার যে বিশ্বে এক নম্বরের ঋণগ্রস্ত সরকার, সে ব্যাপারে আইএমএফ একটা কথাও বলে না। বলতে সেই সাহসও ওই সংস্থার নেই। কারণ ক্যাপিটল হিলে কংগ্রেস সদস্যরা ও রকম আইএমএফকে তুলাধুনা করবে। কোনো আইএমএফ বসই নিযুক্তি পাবে না মার্কিন প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়া। এই যে সাম্প্রতিককালে ফ্রান্সের সাবেক অর্থমন্ত্রী আইএমএফের প্রধান হলেন, তাতেও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের প্রয়োজন ছিল। সারা বিশ্ব একদিকে বললেও সেটা যুক্তরাষ্ট্র ভণ্ডুল করে দিতে পারে কোটাভিত্তিক তাদের ভোটিং পাওয়ারের কারণে। আজকে যে মার্কিন সরকারের বিশাল ঋণের কারণে ডলার দুর্বল হচ্ছে, সেখানে তো আইএমএফ বাধা দেওয়ার কথা। কারণ আইএমএফ সৃষ্টিই হয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ব্যবস্থা স্থিতিশীল রাখার জন্য।
আজও যেখানে মোট আন্তর্জাতিক লেনদেনের ৬৫-৭০ শতাংশ মার্কিন ডলারে সম্পন্ন হয়, সেখানে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ব্যবস্থা ঠিক রাখা মানে হলো ডলারের মূল্যমান ঠিক রাখা। কিন্তু সেখানে তো আইএমএফের কোনো কথা নেই। কারণ হলো যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যানদের, বিশেষ করে রিপাবলিকানদের এই সংস্থা জমের মতো ভয় করে। তাই এ সংস্থার প্রধান কাজ হলো বিশ্বের দুর্বল অর্থনীতি ও দুর্বল সরকারগুলোর কাছে ঋণ বেচা। ভারত-চীন এখন আইএমএফ ঋণের বড় গ্রাহক নয়। বড় গ্রাহক হলো বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলো, যেগুলোর সরকারের অর্থ ব্যয়ের দারুণ ক্ষুধা আছে। বাংলাদেশ সরকারেরও অর্থ ব্যয়ের দারুণ ক্ষুধা আছে। কারণ বিশাল সরকারি ব্যয়ের অর্থ জোগান দিতে বাংলাদেশ সরকার হিমশিম খাচ্ছে। যত করই আমরা জনগণ সরকারকে দিই না কেন, তাতেও সরকারের অর্থের থলি ভর্তি হওয়ার নয়! আরো অর্থ চাই। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ডানে-বাঁয়ে অনেক ঋণ করে চলেছে।
ইতিমধ্যে ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে সরকারি ঋণ বোধ করি আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। অথচ গত কয়েক বছর রাজস্ব আদায়ও অনেক বেড়েছে। আপনাদের কি মনে হয় জনগণ বাড়তি কর দিলেও সরকারের ঋণ করার প্রবণতা কমবে? আমার বিশ্বাস হয় না। কারণ হলো ঋণ কম করতে হলে কম ব্যয় করতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার কম ব্যয় করার চিন্তার ধারেকাছেও নেই। অদক্ষ বিশাল এক প্রশাসন এই অর্থনীতি গড়ে তুলেছে, যাকে পুষতে হচ্ছে জনগণকে বর্ধিত কর দিয়ে এবং চারদিক থেকে ধারকর্জ করে। আগে শুনতাম সরকারের আকার ছোট করো, এখন সেই স্লোগান বিদায় নিয়েছে। বিশ্বব্যাংকের এজেন্ডায়ও সেই স্লোগান এখন নেই। কারণ তাদের এজেন্ডায় ওই স্লোগান ছিল নব্বইয়ের দশকে। এরপর তারা অন্য স্লোগান আমদানি করেছে। সেটা হলো এমডিজি। এটাও এখন অনেকটা পরিত্যক্ত। সামনে জানি না আন্তর্জাতিক এসব ঋণবিক্রেতা সংস্থা অন্য কোন স্লোগান নিয়ে আমাদের সামনে হাজির হবে। এই সঙ্গে এও বলি, ঋণবিক্রেতা এসব সংস্থা যেসব সুপারিশ করে, তা যে একেবারে খারাপ তা বলব না। তবে কথা হলো, সুপারিশটা বাস্তবায়নের আগেই তারা একই কাজের জন্য নতুন করে ঋণ বিক্রির প্রস্তাব নিয়ে হাজির হয়। আশি ও নব্বইয়ের দশকে ওদের বড় এজেন্ডা ছিল বেসরকারীকরণ। বাংলাদেশ তো নিজ গরজেই বেসরকারীকরণের কথা। কিন্তু ওই এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে বিশ্বব্যাংক-এডিবি শত শত মিলিয়ন ডলারের ঋণ বিক্রি করেছে বাংলাদেশের কাছে। আমরা কি নিজ উদ্যোগে আমাদের লোকসানি এবং কথিত লাভজনক সরকারি সংস্থাগুলো ব্যক্তি খাতে ছেড়ে দিতে পারতাম না। বাংলাদেশ সরকার বিদেশি মুদ্রায় বড় অঙ্কের ঋণ নিচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে বাঁচানোর জন্য। যে সংস্থা মরে যেতে বাধ্য, তাকে জনগণের করের টাকায় ঋণ এনে দিলে কি বাঁচবে? সুতরাং এই ধরনের অর্থায়ন বাংলাদেশ অর্থনীতিতে যত দিন চলবে, তত দিন এই অর্থনীতি দক্ষ হবে না। আইএমএফ-বিশ্বব্যাংক বিমান বাংলাদেশকে শেয়ারবাজারের মাধ্যমে ব্যক্তি খাতে ছেড়ে দিতে বলবে না। কারণ তাতে যে যুক্তরাষ্ট্রের এঙ্মি ব্যাংকের ঋণ বেচা কমে যাবে! এই যে বাংলাদেশ ব্যাংক আইএমএফের পরামর্শ অনুযায়ী একটা সংবেদনশীল মুদ্রানীতি অনুসরণ করছে, সেটা কি অর্থনীতির জন্য ভালো? এ জন্যই বলছি, সরকারি ব্যয় কমান, স্বাধীন মুদ্রানীতি অনুসরণ করুন, শেয়ারবাজারকে অর্থায়নের জন্য প্রধান উৎস হিসেবে বিবেচনা করুন; দেখবেন এই অর্থনীতি অনেক উন্নতি করছে। যে অর্থনীতি অব্যবস্থায়-দুর্নীতিতে অর্থ ব্যয় করে, সেই অর্থনীতির ঋণের বোঝা শুধু বাড়বেই। অনুরোধ, সেই পথ থেকে সরে আসুন।
লেখক : অর্থনীতিবিদ ও অধ্যাপক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
তাদের পক্ষে আমাদের অর্থনীতিতে ত্রুটি-বিচ্যুতি খুঁজে বের করা মোটেই কঠিন কিছু বিষয় নয়। সুতরাং শর্ত দিতে চাইলে তারা একগাদা শর্ত দিতে পারবে। তবে বাংলাদেশ সেসব শর্ত কতটা হজম করতে পারে, সেটাও তারা দেখে। কারণ গ্রাহককে তো ঋণ কিনতে আগ্রহী করে তুলতে হবে! তবে ক্ষেত্রবিশেষে গ্রাহক ঋণ কিনতে না চাইলেও কিনতে বাধ্য করতে পারে। সেটা কিভাবে? সেই আলোচনায় আজকে গেলাম না। আইএমএফের খবরদারি কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মোটেই চলে না। মার্কিন সরকার যে বিশ্বে এক নম্বরের ঋণগ্রস্ত সরকার, সে ব্যাপারে আইএমএফ একটা কথাও বলে না। বলতে সেই সাহসও ওই সংস্থার নেই। কারণ ক্যাপিটল হিলে কংগ্রেস সদস্যরা ও রকম আইএমএফকে তুলাধুনা করবে। কোনো আইএমএফ বসই নিযুক্তি পাবে না মার্কিন প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়া। এই যে সাম্প্রতিককালে ফ্রান্সের সাবেক অর্থমন্ত্রী আইএমএফের প্রধান হলেন, তাতেও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের প্রয়োজন ছিল। সারা বিশ্ব একদিকে বললেও সেটা যুক্তরাষ্ট্র ভণ্ডুল করে দিতে পারে কোটাভিত্তিক তাদের ভোটিং পাওয়ারের কারণে। আজকে যে মার্কিন সরকারের বিশাল ঋণের কারণে ডলার দুর্বল হচ্ছে, সেখানে তো আইএমএফ বাধা দেওয়ার কথা। কারণ আইএমএফ সৃষ্টিই হয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ব্যবস্থা স্থিতিশীল রাখার জন্য।
আজও যেখানে মোট আন্তর্জাতিক লেনদেনের ৬৫-৭০ শতাংশ মার্কিন ডলারে সম্পন্ন হয়, সেখানে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ব্যবস্থা ঠিক রাখা মানে হলো ডলারের মূল্যমান ঠিক রাখা। কিন্তু সেখানে তো আইএমএফের কোনো কথা নেই। কারণ হলো যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যানদের, বিশেষ করে রিপাবলিকানদের এই সংস্থা জমের মতো ভয় করে। তাই এ সংস্থার প্রধান কাজ হলো বিশ্বের দুর্বল অর্থনীতি ও দুর্বল সরকারগুলোর কাছে ঋণ বেচা। ভারত-চীন এখন আইএমএফ ঋণের বড় গ্রাহক নয়। বড় গ্রাহক হলো বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলো, যেগুলোর সরকারের অর্থ ব্যয়ের দারুণ ক্ষুধা আছে। বাংলাদেশ সরকারেরও অর্থ ব্যয়ের দারুণ ক্ষুধা আছে। কারণ বিশাল সরকারি ব্যয়ের অর্থ জোগান দিতে বাংলাদেশ সরকার হিমশিম খাচ্ছে। যত করই আমরা জনগণ সরকারকে দিই না কেন, তাতেও সরকারের অর্থের থলি ভর্তি হওয়ার নয়! আরো অর্থ চাই। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ডানে-বাঁয়ে অনেক ঋণ করে চলেছে।
ইতিমধ্যে ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে সরকারি ঋণ বোধ করি আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। অথচ গত কয়েক বছর রাজস্ব আদায়ও অনেক বেড়েছে। আপনাদের কি মনে হয় জনগণ বাড়তি কর দিলেও সরকারের ঋণ করার প্রবণতা কমবে? আমার বিশ্বাস হয় না। কারণ হলো ঋণ কম করতে হলে কম ব্যয় করতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার কম ব্যয় করার চিন্তার ধারেকাছেও নেই। অদক্ষ বিশাল এক প্রশাসন এই অর্থনীতি গড়ে তুলেছে, যাকে পুষতে হচ্ছে জনগণকে বর্ধিত কর দিয়ে এবং চারদিক থেকে ধারকর্জ করে। আগে শুনতাম সরকারের আকার ছোট করো, এখন সেই স্লোগান বিদায় নিয়েছে। বিশ্বব্যাংকের এজেন্ডায়ও সেই স্লোগান এখন নেই। কারণ তাদের এজেন্ডায় ওই স্লোগান ছিল নব্বইয়ের দশকে। এরপর তারা অন্য স্লোগান আমদানি করেছে। সেটা হলো এমডিজি। এটাও এখন অনেকটা পরিত্যক্ত। সামনে জানি না আন্তর্জাতিক এসব ঋণবিক্রেতা সংস্থা অন্য কোন স্লোগান নিয়ে আমাদের সামনে হাজির হবে। এই সঙ্গে এও বলি, ঋণবিক্রেতা এসব সংস্থা যেসব সুপারিশ করে, তা যে একেবারে খারাপ তা বলব না। তবে কথা হলো, সুপারিশটা বাস্তবায়নের আগেই তারা একই কাজের জন্য নতুন করে ঋণ বিক্রির প্রস্তাব নিয়ে হাজির হয়। আশি ও নব্বইয়ের দশকে ওদের বড় এজেন্ডা ছিল বেসরকারীকরণ। বাংলাদেশ তো নিজ গরজেই বেসরকারীকরণের কথা। কিন্তু ওই এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে বিশ্বব্যাংক-এডিবি শত শত মিলিয়ন ডলারের ঋণ বিক্রি করেছে বাংলাদেশের কাছে। আমরা কি নিজ উদ্যোগে আমাদের লোকসানি এবং কথিত লাভজনক সরকারি সংস্থাগুলো ব্যক্তি খাতে ছেড়ে দিতে পারতাম না। বাংলাদেশ সরকার বিদেশি মুদ্রায় বড় অঙ্কের ঋণ নিচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে বাঁচানোর জন্য। যে সংস্থা মরে যেতে বাধ্য, তাকে জনগণের করের টাকায় ঋণ এনে দিলে কি বাঁচবে? সুতরাং এই ধরনের অর্থায়ন বাংলাদেশ অর্থনীতিতে যত দিন চলবে, তত দিন এই অর্থনীতি দক্ষ হবে না। আইএমএফ-বিশ্বব্যাংক বিমান বাংলাদেশকে শেয়ারবাজারের মাধ্যমে ব্যক্তি খাতে ছেড়ে দিতে বলবে না। কারণ তাতে যে যুক্তরাষ্ট্রের এঙ্মি ব্যাংকের ঋণ বেচা কমে যাবে! এই যে বাংলাদেশ ব্যাংক আইএমএফের পরামর্শ অনুযায়ী একটা সংবেদনশীল মুদ্রানীতি অনুসরণ করছে, সেটা কি অর্থনীতির জন্য ভালো? এ জন্যই বলছি, সরকারি ব্যয় কমান, স্বাধীন মুদ্রানীতি অনুসরণ করুন, শেয়ারবাজারকে অর্থায়নের জন্য প্রধান উৎস হিসেবে বিবেচনা করুন; দেখবেন এই অর্থনীতি অনেক উন্নতি করছে। যে অর্থনীতি অব্যবস্থায়-দুর্নীতিতে অর্থ ব্যয় করে, সেই অর্থনীতির ঋণের বোঝা শুধু বাড়বেই। অনুরোধ, সেই পথ থেকে সরে আসুন।
লেখক : অর্থনীতিবিদ ও অধ্যাপক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
No comments