বিদ্যুৎকেন্দ্রের তেলে মধুমতী নদীর পানি দূষণ by সুব্রত সাহা
গোপালগঞ্জে নতুন স্থাপিত ১০০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্রটি মধুমতী নদীর দুই তীরের মানুষের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেন্দ্রটি থেকে নদীর হরিদাসপুর এলাকায় জ্বালানিবর্জ্য ফেলায় পানি দূষিত হয়ে পড়েছে। এতে গোপালগঞ্জ পৌরসভায় পানি সরবরাহে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। ১০-১২ দিন ধরে পানি সরবরাহ অর্ধেকে নেমে এসেছে। আগামী বোরো মৌসুমে ধান উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছে কৃষি বিভাগ।
নদীর মাছ ও শুশুক ওই এলাকা থেকে চলে গেছে। নদীর পাড়ের মানুষ পানি ব্যবহার করতে পারছে না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি—ফার্নেস তেল সরাসরি নদীতে ফেলা হচ্ছে। হরিদাসপুর থেকে নদীর উজান ও ভাটিতে প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকায় এই তেল ভাসছে। নদীর সঙ্গে সংযুক্ত খালগুলোতে গিয়ে ওই তেল পৌঁছে গেছে বিভিন্ন সেচখালেও।
হরিদাসপুর, মালেঙ্গা, উড়ফি, মধুপুর, মাহিকদাহ, চাপাইল, বৌলতলী, সাতপাড় ও উলপুর গ্রামের বিভিন্ন সংযোগ খাল দিয়ে তেলমিশ্রিত পানি সেচনালা দিয়ে শস্যখেতে চলে যাচ্ছে। নিমতলী গ্রামের প্রায় ৪০ বিঘা জমিতে তেলমিশ্রিত পানি ওঠায় ধানের চারা মরে গেছে বলে কৃষকদের অভিযোগ।
গোপালগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষ মধুমতী থেকে পানি উত্তোলন ও শোধন করে সরবরাহ করে। কিন্তু পানির সঙ্গে তেল আসায় শোধনাগার প্রায় অকেজো হয়ে পড়েছে। শোধনাগারের রাফিং ফিল্টার, ফাইন ফিল্টার ও বাফেল ওয়াল বিকল হয়ে পড়ছে। ফলে পানি সরবরাহ অর্ধেকে নেমে আসায় দৈনিক তিন ঘণ্টার পরিবর্তে আধা ঘণ্টা পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
পৌর পানি শোধনাগারের উপসহকারী প্রকৌশলী জাকারিয়া আলম বলেন, শোধনাগারের অনেক যন্ত্রপাতি অকেজো হয়ে পড়ছে। প্রতিদিন চারবার শোধনাগারের ফিল্টারগুলো পরিষ্কার করতে হচ্ছে। নদীতে তেল ফেলা বন্ধ না হলে যেকোনো সময় শোধনাগার বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ঘুরে দেখা গেছে, মোট ১৬টির মধ্যে অধিকাংশ জেনারেটর দিয়ে ফার্নেস তেল চুইয়ে পড়ছে। ১০ জন নারী শ্রমিক ওই তেল তুলে ড্রেনে ফেলছেন। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ টানেল দিয়েও তেল চুইয়ে ড্রেন দিয়ে সরাসরি নদীতে পড়ছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রটি চালু করার আগে থেকে সরবরাহ পাইপে ছিদ্র থাকায় কিছু তেল জমা ছিল। সেগুলোই এখন নদীতে পড়ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নারী শ্রমিকেরা মেশিন থেকে চুইয়ে পড়া যে তেল তুলে ড্রেনে ফেলছেন, তা বন্ধ করা হবে। এর পরও কিছুু তেল চুইয়ে নদীতে যেতে পারে। তবে তা হবে সামান্য। এতে পরিবেশ বা প্রতিবেশের ক্ষতি হবে না।
কৃষি অধিদপ্তরের স্থানীয় উপপরিচালক ভাস্কর চক্রবর্তী বলেন, ফার্নেস তেলযুক্ত পানি দিয়ে সেচ দিলে মাটির খাদ্যগুণ নষ্ট হবে। এতে ধানগাছ মারা যাবে অথবা উৎপাদন কমে যাবে।
গোপালগঞ্জে ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন পরিমল সরকার বলেছেন, তেলমিশ্রিত পানিতে গোসল করলে চর্মরোগ এবং পান করলে আন্ত্রিক, লিভার ও কিডনির সমস্যা দেখা দেবে।
গোপালগঞ্জ শহরতলির হরিদাসপুর গ্রামের মধুমতী নদীর পাড়ে প্রায় ১২ একর জমির ওপর গত ৩১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উদ্বোধন করেন। সরকারি অর্থায়নে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ৭৭৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে কেন্দ্রটি স্থাপন করে। এটির নির্মাণকাজ করেছে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি—ফার্নেস তেল সরাসরি নদীতে ফেলা হচ্ছে। হরিদাসপুর থেকে নদীর উজান ও ভাটিতে প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকায় এই তেল ভাসছে। নদীর সঙ্গে সংযুক্ত খালগুলোতে গিয়ে ওই তেল পৌঁছে গেছে বিভিন্ন সেচখালেও।
হরিদাসপুর, মালেঙ্গা, উড়ফি, মধুপুর, মাহিকদাহ, চাপাইল, বৌলতলী, সাতপাড় ও উলপুর গ্রামের বিভিন্ন সংযোগ খাল দিয়ে তেলমিশ্রিত পানি সেচনালা দিয়ে শস্যখেতে চলে যাচ্ছে। নিমতলী গ্রামের প্রায় ৪০ বিঘা জমিতে তেলমিশ্রিত পানি ওঠায় ধানের চারা মরে গেছে বলে কৃষকদের অভিযোগ।
গোপালগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষ মধুমতী থেকে পানি উত্তোলন ও শোধন করে সরবরাহ করে। কিন্তু পানির সঙ্গে তেল আসায় শোধনাগার প্রায় অকেজো হয়ে পড়েছে। শোধনাগারের রাফিং ফিল্টার, ফাইন ফিল্টার ও বাফেল ওয়াল বিকল হয়ে পড়ছে। ফলে পানি সরবরাহ অর্ধেকে নেমে আসায় দৈনিক তিন ঘণ্টার পরিবর্তে আধা ঘণ্টা পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
পৌর পানি শোধনাগারের উপসহকারী প্রকৌশলী জাকারিয়া আলম বলেন, শোধনাগারের অনেক যন্ত্রপাতি অকেজো হয়ে পড়ছে। প্রতিদিন চারবার শোধনাগারের ফিল্টারগুলো পরিষ্কার করতে হচ্ছে। নদীতে তেল ফেলা বন্ধ না হলে যেকোনো সময় শোধনাগার বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ঘুরে দেখা গেছে, মোট ১৬টির মধ্যে অধিকাংশ জেনারেটর দিয়ে ফার্নেস তেল চুইয়ে পড়ছে। ১০ জন নারী শ্রমিক ওই তেল তুলে ড্রেনে ফেলছেন। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ টানেল দিয়েও তেল চুইয়ে ড্রেন দিয়ে সরাসরি নদীতে পড়ছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রটি চালু করার আগে থেকে সরবরাহ পাইপে ছিদ্র থাকায় কিছু তেল জমা ছিল। সেগুলোই এখন নদীতে পড়ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নারী শ্রমিকেরা মেশিন থেকে চুইয়ে পড়া যে তেল তুলে ড্রেনে ফেলছেন, তা বন্ধ করা হবে। এর পরও কিছুু তেল চুইয়ে নদীতে যেতে পারে। তবে তা হবে সামান্য। এতে পরিবেশ বা প্রতিবেশের ক্ষতি হবে না।
কৃষি অধিদপ্তরের স্থানীয় উপপরিচালক ভাস্কর চক্রবর্তী বলেন, ফার্নেস তেলযুক্ত পানি দিয়ে সেচ দিলে মাটির খাদ্যগুণ নষ্ট হবে। এতে ধানগাছ মারা যাবে অথবা উৎপাদন কমে যাবে।
গোপালগঞ্জে ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন পরিমল সরকার বলেছেন, তেলমিশ্রিত পানিতে গোসল করলে চর্মরোগ এবং পান করলে আন্ত্রিক, লিভার ও কিডনির সমস্যা দেখা দেবে।
গোপালগঞ্জ শহরতলির হরিদাসপুর গ্রামের মধুমতী নদীর পাড়ে প্রায় ১২ একর জমির ওপর গত ৩১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উদ্বোধন করেন। সরকারি অর্থায়নে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ৭৭৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে কেন্দ্রটি স্থাপন করে। এটির নির্মাণকাজ করেছে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড।
No comments