৩৫৭ শিশু আক্রান্ত, বারান্দা ও মেঝেতে চিকিৎসা
ঠাকুরগাঁওয়ে ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্ট রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এ পর্যন্ত এসব রোগে ৩৫৭ শিশু আক্রান্ত হয়েছে। শয্যা সংকটের কারণে আক্রান্ত শিশুদের সদর হাসপাতাল ওয়ার্ডের মেঝে ও বারান্দায় রেখে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রচুরসংখ্যক শিশুর চিকিৎসা দিতে গিয়ে হাসপাতালের চিকিৎসকেরা হিমসিম খাচ্ছেন। প্রচণ্ড শীতের মধ্যে বারান্দা ও মেঝেতে সন্তানদের নিয়ে থাকতে অভিভাবকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার ১১০ শিশু ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ৭৭ জন ডায়রিয়ায় এবং ৩৩ জন শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বহির্বিভাগে আরও ২৫৭ শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার সকালে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে, মাত্র ১৮ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছে ১১০ শিশু। শয্যা সংকটের কারণে ওয়ার্ডের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে অনেক শিশুকে। বারান্দার বিছানার লাইন শিশু ওয়ার্ডের বারান্দা পেরিয়ে চলে গেছে গাইনি ও প্রসূতি ওয়ার্ডের বারান্দা পর্যন্ত।
সদর উপজেলার মুজাবনী গ্রামের আকতারা বেগম তাঁর নয় মাসের ছেলে অর্ণবকে নিয়ে শিশু ওয়ার্ডের বারান্দায় বসে আছেন। তিনি জানান, বুধবার ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ছেলেকে তিনি হাসপাতালে ভর্তি করেন। দ্রুত চিকিৎসার পর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
শিশু ওয়ার্ডে কর্তব্যরত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শাহজাহান নেওয়াজ জানান, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে শিশুরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। আবার মৌসুমের কারণে ছয় মাসের কম বয়সী শিশুরা ব্রংকাইটিস (শ্বাসকষ্ট) রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। ঠিক সময়ে হাসপাতালে আসতে পারলে এবং সঠিক চিকিৎসা দেওয়া গেলে রোগীর সমস্যা হয় না। এই রোগে আক্রান্ত শিশুদের দ্রুত অক্সিজেন প্রয়োজন হয় বেশি। সিভিল সার্জন আফজাল হোসেন তরফদার জানান, আক্রান্ত শিশুদের উপযুক্ত সেবা দিতে কর্তব্যরত ও নার্সদের বাড়তি সময় দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
No comments